Ajker Patrika

চট্টগ্রাম নগরীতে সন্ধ্যা নাগাদ সমাবেশ করবে এনসিপি

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া

চট্টগ্রাম নগরীতে আজ রোববার সন্ধ্যা নাগাদ ঐতিহাসিক বিপ্লবী উদ্যানে সমাবেশ করবেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা-কর্মীরা। এরপর ওই সমাবেশ শেষে জুলাই পদযাত্রা শুরু করা হবে। শনিবার এনসিপি জুলাই পদযাত্রার রোডম্যাপ কর্মসূচিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এনসিপির চট্টগ্রাম জেলা সংগঠক মো. রাফসান জানি জানিয়েছেন, আজ বিকেল সাড়ে ৫টায় বহদ্দারহাট, মুরাদপুর হয়ে বিপ্লবী উদ্যানে জমায়েত হবেন। এর আগে নগরের বহদ্দারহাটে কেন্দ্রীয় নেতাদের স্বাগত জানানো হবে। এরপর সন্ধ্যা ৬টায় বিপ্লবী উদ্যানে মূল সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে সমাবেশ শেষে পদযাত্রা শুরু হবে।

চট্টগ্রাম উত্তর, দক্ষিণ ও মহানগরের নেতা-কর্মীদের সরাসরি বিপ্লবী উদ্যানের সমাবেশে মিছিল নিয়ে যোগদানের জন্য বলা হয়েছে।

চট্টগ্রামে পদযাত্রা কর্মসূচিতে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্যসচিব আখতার হোসেন, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনীম জারাসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।

সারা দেশে ‘জুলাই পদযাত্রা’র অংশ হিসেবে শনিবার (১৯ জুলাই) থেকে চট্টগ্রাম অঞ্চলে কর্মসূচি শুরু করেছে এনসিপি। এ জন্য শুক্রবার রাতেই কেন্দ্রীয় নেতারা কক্সবাজারে এসে পৌঁছান। শনিবার সকালে প্রথমে কক্সবাজার বাস টার্মিনাল থেকে পদযাত্রা শুরু হয়। শহরের প্রধান সড়ক হয়ে পাবলিক লাইব্রেরির শহীদ দৌলত মাঠে সমাবেশ করে এনসিপি। এরপর চকরিয়া উপজেলায় গিয়ে সমাবেশ করে বান্দরবানে গিয়ে কর্মসূচি পালন করেন নেতারা।

বান্দরবান থেকে রাতে চট্টগ্রাম নগরীতে ফেরেন এনসিপি নেতারা। আজ (রোববার) সকালে রাঙামাটিতে কর্মসূচি শেষ করে সরাসরি চট্টগ্রামে আসবেন এনসিপি নেতারা। চট্টগ্রামে পদযাত্রা শেষ করে রাতেই তারা ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেওয়ার কথা রয়েছে।

এর আগে কক্সবাজারে পথসভায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদকে নিয়ে বিষোদ্‌গারমূলক বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে চকরিয়া পৌর শহরে এনসিপির জুলাই পদযাত্রার অস্থায়ী মঞ্চ ভাঙচুর করেন বিএনপির একদল বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মী।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ড্রামে খণ্ডিত লাশ: নিহতের বন্ধুকে প্রধান আসামি করে মামলা করল পরিবার

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
নিহত আশরাফুল হক। ফাইল ছবি
নিহত আশরাফুল হক। ফাইল ছবি

হাইকোর্টসংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ মাঠের সামনে প্লাস্টিকের ড্রামে ভরা খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় মামলা হয়েছে। নিহত আশরাফুল হকের বোন আনজিনা বেগম আজ শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) সকালে শাহবাগ থানায় মামলাটি করেন। মামলায় আশরাফুলের বন্ধু জরেজ মিয়াকে প্রধান আসামি ও অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জাতীয় ঈদগাহের গেটের কাছে নীল রঙের প্লাস্টিকের ড্রামটি দেখে পথচারীদের সন্দেহ হলে পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ ড্রাম থেকে টুকরা করা মরদেহ উদ্ধার করে। তাৎক্ষণিকভাবে পরিচয় নিশ্চিত করা না গেলেও পরে ফিঙ্গারপ্রিন্টের মাধ্যমে জানা যায়, নিহত ব্যক্তি রংপুরের বদরগঞ্জের গোপালপাড়ার মো. আশরাফুল হক (৪২)। তিনি পেশায় একজন ব্যবসায়ী ছিলেন; ভারত ও মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ ও আলু আমদানি করতেন, এ-সংক্রান্ত সরকারি লাইসেন্সও ছিল তাঁর।

আজ সকালে আশরাফুলের পরিবার মর্গে এসে পরিচয় শনাক্ত করে। তাঁর বোন জানান, আশরাফুলের কারও সঙ্গে শত্রুতা ছিল না। তিন দিন আগে তিনি বন্ধু জরেজের সঙ্গে ঢাকায় এসেছিলেন। এর পর থেকে তাঁর মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। গত বুধবার রাত ৯টার পর আর পরিবারের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ ছিল না।

পুলিশ বলছে, আশরাফুল বাড়ি থেকে ঢাকায় আসার পর থেকে তিনি নিখোঁজ হন। তাঁর মরদেহ ২৬ টুকরা করে ড্রামে ভরে ফেলে যাওয়া হয়। হত্যাকাণ্ডটি পরিকল্পিতভাবে সংঘটিত হয়েছে বলে ধারণা করছেন তদন্তসংশ্লিষ্টরা।

শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালিদ মনসুর বলেন, ব্যবসায়ী আশরাফুল হককে হত্যা করে মরদেহ ২৬ টুকরা করে ড্রামে ভরা হয়। তাঁর বোনের করা মামলায় আশরাফুলের বন্ধু জরেজ মিয়া প্রধান আসামি। এখনো কাউকে আটক করা যায়নি। সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণসহ অন্য তথ্যের ভিত্তিতে হত্যার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্তে কাজ চলছে।

এর আগে গতকাল আশরাফুল হকের শ্যালক আব্দুল মজিদ বদরগঞ্জ থানার সামনে জানান, আশরাফুল তাঁর বাবাকে রংপুরে একটি হাসপাতালে রেখে গত মঙ্গলবার মালয়েশিয়াফেরত বন্ধু জরেজের সঙ্গে ঢাকায় যান। বুধবার বিকেল ৫টার দিকে আশরাফুল তাঁর স্ত্রী লাকী বেগমের সঙ্গে শেষ কথা বলেন। এরপর আর যোগাযোগ হয়নি। এর পর থেকে স্ত্রী লাকী বেগম আশরাফুলকে ফোন করলে তাঁর বন্ধু জরেজ ফোন রিসিভ করতেন। আশরাফুলের খোঁজ করলে তিনি বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত আছেন বলে জানাতেন। স্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে গতকাল বিকেলে ভাইয়ের সঙ্গে বদরগঞ্জ থানায় যান লাকী বেগম। সেখানে জানতে পারেন, ঢাকায় স্বামী আশরাফুল হকের খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ছেলে খুনের ঘটনায় মামলা করলেন বিচারক

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
ছেলের লাশ নিয়ে জামালপুরে গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে বাবা। ছবি: আজকের পত্রিকা
ছেলের লাশ নিয়ে জামালপুরে গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে বাবা। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ আব্দুর রহমান তাঁর ছেলে তাওসিফ রহমান সুমনকে (১৬) খুনের ঘটনায় মামলা করেছেন। শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে তিনি মামলার এজাহারে সই দিয়ে ছেলের লাশ নিয়ে জামালপুরের গ্রামের বাড়ি রওনা হন। পরে রাজপাড়া থানা-পুলিশ মামলাটি রেকর্ড করে।

রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) মুখপাত্র গাজিউর রহমান বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আরএমপির মুখপাত্র বলেন, বিচারক নিজে বাদী হয়ে মামলা করেছেন। মামলার একমাত্র আসামি লিমন মিয়া (৩৪)। তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। পুলিশ হেফাজতে হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছে। চিকিৎসা শেষে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।

আসামি লিমন মিয়ার বাড়ি গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার মদনেরপাড়া ভবানীগঞ্জ গ্রামে। তাঁর বাবার নাম এস এম সোলায়মান শেখ। তিনি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্য ও ফুলছড়ি উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক। লিমন সেনাবাহিনীতে সৈনিক পদে চাকরি করতেন। ২০১৮ সালে তাঁর চাকরি চলে যায়। এরপর থেকে তিনি নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন।

কয়েক বছর আগে বিয়ে করেছিলেন লিমন। তবে সংসার টেকেনি। বিচারক আব্দুর রহমানের স্ত্রী তাসমিনা নাহার লুসীর (৪৪) সঙ্গে তাঁর পূর্বপরিচয় ছিল। তাঁর কাছ থেকে লিমন টাকা নিতেন।

পুলিশের ভাষ্য, টাকা দেওয়া বন্ধ করে দিলে নানাভাবে ব্ল্যাকমেইল করে আসছিলেন লিমন। দিয়েছিলেন প্রাণনাশের হুমকিও। এ নিয়ে ৬ নভেম্বর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছিলেন তাসমিনা।

বিচারক আব্দুর রহমান এক বছর আগে শ্রম আদালতের বিচারক হয়ে রাজশাহী আসেন। গত মাসে তাঁকে মহানগর দায়রা জজ হিসেবে পদায়ন করা হয়। রাজশাহী আসার পর নগরের ডাবতলা এলাকায় বাসাভাড়া নিয়েছিলেন। সেখানে স্ত্রী ও একমাত্র ছেলে তাওসিফকে নিয়ে থাকতেন তিনি।

বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটায় এই বাসায় যান লিমন। সেখানে তাওসিফকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি চিকিৎসাধীন তাসমিনা নাহারও। এ ছাড়া ধস্তাধস্তিতে হামলাকারী নিজেও আহত হন। পরে তিনজনকেই ভবনের অন্য ফ্ল্যাটের বাসিন্দারা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তাওসিফকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

শুক্রবার সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে তাওসিফের লাশের ময়নাতদন্ত হয়। ময়নাতদন্ত করেন ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান সহযোগী অধ্যাপক কফিল উদ্দিন ও একই বিভাগের প্রভাষক শারমিন সোবহান কাবেরী। ময়নাতদন্ত শেষে মর্গের ভেতরে ঢুকে ছেলের লাশ একনজর দেখতে যান বাবা বিচারক আবদুর রহমান। এ সময় তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন।

রামেকের ফরেনসিক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জানান, তাওসিফের ডান ঊরু, ডান পা ও বা বাহুতে ধারালো ও চোখে অস্ত্রের আঘাত পাওয়া গেছে। এই তিনটি জায়গায় রক্তনালি আছে। সেগুলো কেটে গিয়েছিল। এ কারণে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়। অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণও ছিল শরীরে। তাঁরা মনে করছেন, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।

পুলিশের সুরতহাল প্রতিবেদনে তাওসিফের গলায় কালশিরা দাগ রয়েছে বলে বলা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক বলেছেন, নরম কাপড় দিয়ে শ্বাসরোধের কারণে এই দাগটি হতে পারে। তবে এটি মৃত্যুর প্রধান কারণ নয়। ধারালো অস্ত্রের আঘাত ও শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টা একই সময়ে হয়েছে বলেও জানান ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক।

ময়নাতদন্তের পর কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের রাজশাহী সেন্টারের সদস্যরা রামেক হাসপাতালের নির্ধারিত কক্ষে লাশের গোসল করিয়ে দেন। পরে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের ফ্রিজিং অ্যাম্বুলেন্সেই লাশ নিয়ে যাওয়া হয়। নিহত তাওসিফ রাজশাহী গভ. ল্যাবরেটরি স্কুলের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নিখোঁজের দুই দিন পর কালকিনিতে পুকুর থেকে সৌদিপ্রবাসীর লাশ উদ্ধার

মাদারীপুর প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

নিখোঁজের দুই দিন পর মাদারীপুরের কালকিনির একটি পুকুর থেকে সৌদি আরবপ্রবাসী মো. সাইফুল ইসলাম মুন্সীর (২৮) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

আজ শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কালকিনি উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের সূর্য্যমনি বাজারের পাশে একটি পুকুর থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত সাইফুল ইসলাম কালকিনি উপজেলার বাঁশগাড়ী ইউনিয়নের স্নানঘাটা এলাকার মোহাম্মাদ আলী মুন্সীর ছেলে।

পুলিশ ও নিহত সাইফুলের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সাইফুল ইসলাম মুন্সী গত বুধবার (১২ নভেম্বর) সকালে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর তিনি আর বাড়ি ফেরেননি। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে লাশ কালকিনির সূর্য্যমনি বাজারের পাশে একটি পুকুরে ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে কালকিনি থানার পুলিশ ওই প্রবাসীর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম সোহেল রানা বলেন, নিহত প্রবাসী সাইফুল ইসলাম মুন্সীর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

তদন্ত করতে গিয়ে হামলার শিকার এসআইসহ তিন পুলিশ

ফেনী প্রতিনিধি
আহত পুলিশ সদস্যরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
আহত পুলিশ সদস্যরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

ফেনীর পরশুরামে অভিযোগের তদন্ত করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন এক উপপরিদর্শকসহ তিন পুলিশ সদস্য। আজ শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে পরশুরাম পৌর এলাকার দক্ষিণ কোলাপাড়ার গুনাগাজী মজুমদার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।  

আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন পরশুরাম মডেল থানা-পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মুন্না দে, কনস্টেবল নাজমুল ইসলাম ও রুহুল আমিন।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ কোলাপাড়া গুনাগাজী মজুমদার বাড়ির নাসির উদ্দিনের স্ত্রী শেফালি আক্তার পারিবারিক বিরোধ ও মারধরের অভিযোগ তুলে তাঁর প্রতিবেশী বনবিভাগের উপজেলা রেঞ্জ অফিসে কর্মরত ফারুক মিয়া, তাঁর ছেলে যুবদল নেতা রাজিব মজুমদার ও পৌর ৫ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সদস্যসচিব এমাম হোসেন ফয়সালের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন। আজ সকাল ১০টার দিকে পরশুরাম মডেল থানার এসআই মুন্না দের নেতৃত্বে তিন পুলিশ সদস্য ঘটনা তদন্তে সেখানে উপস্থিত হন। এ সময় অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশের সঙ্গে বাগ্‌বিতণ্ডায় জড়ান ফারুক। কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে ফারুক ও তাঁর ছেলেরা পুলিশকে ‘তোরা গুন্ডা নাকি’ বলে লাঠি ও ছুরি নিয়ে আক্রমণ করেন। এ সময় পুলিশ কনস্টেবল নাজমুল ইসলামকে পিঠে ছুরিকাঘাতসহ তাঁদের পোশাক ছিঁড়ে অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন তাঁরা। খবর পেয়ে থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে আহত পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করে পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন।

আহত উপপরিদর্শক মুন্না দে বলেন, ‘থানায় করা একটি অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্তে গেলে বিনা উসকানিতে আমাদের ওপর হামলা করা হয়েছে। হামলায় জড়িত ফয়সাল ও রাজিবের বিরুদ্ধে মাদকের সঙ্গে জড়িত থাকারও অভিযোগ রয়েছে।’

এ ব্যাপারে ‎পরশুরাম মডেল থানার পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নুরুল হাকিম বলেন, পুলিশের ওপর হামলা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত