হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে তীব্র জলোচ্ছ্বাসে নোয়াখালীর হাতিয়ার নিঝুম দ্বীপসহ চরাঞ্চল লন্ডভন্ড হয়ে পড়েছে। ভেসে গেছে মানুষের ঘরবাড়ি। ভেঙেছে পাকা ও কাঁচা রাস্তা। ভিটেমাটি হারিয়ে এখনো অনেকে আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছেন।
হাতিয়ায় মানুষ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জোয়ারের পানিতে। গত কয়েক বছরের তুলনায় এবারের ঘূর্ণিঝড়ে জোয়ারের পানিতে বেশি প্লাবিত হয়েছে হাতিয়ার বিভিন্ন এলাকা। হাতিয়ার নিঝুম দ্বীপ, চরগাসিয়া ও ঢালচরে বেড়িবাঁধ না থাকায় সাত-আট ফুট উচ্চতায় জলোচ্ছ্বাসে মানুষের ঘরবাড়ি ভেসে গেছে।
নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দিনাজ উদ্দিন বলেন, এই দ্বীপের চারপাশে বেড়িবাঁধ নেই। এতে গত দুই দিন দিনে ও রাতে দুবার করে প্লাবিত হচ্ছে সব কটি গ্রাম। কিছু কিছু জায়গায় পানি নেমে গেলেও অনেক জায়গায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল (সোমবার) রাতে ১০ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হয়। পানির স্রোতে নামার বাজার থেকে মোক্তারিয়া ঘাট পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার প্রধান সড়কের অনেক অংশ ভেঙে খালে পরিণত হয়েছে। এসব অংশ দিয়ে মানুষ নৌকায় পারাপার হচ্ছে।
তিনি বলেন, নিঝুম দ্বীপের দক্ষিণ ও পূর্ব অংশে অনেকের ঘরবাড়ি জোয়ারের পানিতে ভেসে গেছে। এ ছাড়া প্রায় ১০০ কিলোমিটার কাঁচা সড়ক জোয়ারের তোড়ে ভেঙে ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায়। এতে মানুষ জরুরি প্রয়োজনেও বাড়ি থেকে বের হতে পারছে না।
একই অবস্থা হরনী ইউনিয়নের চরগাসিয়ায়। নতুন জেগে ওঠা এই চরে ১০ বছর ধরে মানুষ বসবাস করছে। বেড়িবাঁধ না থাকায় গত রাতের জোয়ারে অনেকের ঘরবাড়ি ভেসে গেছে।
চরগাসিয়া জনতা বাজার সমাজের সভাপতি তৈমুর হোসেন জানান, জোয়ারের স্রোতের তীব্রতা এত বেশি ছিল যে মানুষের নতুন তৈরি করা ঘরও ভেসে যায়। অনেকে ঘরের চালের ওপরে আশ্রয় নেয়। এই চরে প্রায় ১৭ হাজার লোকের বসবাস। রাত ১টার সময় আসা জোয়ারে নিরুপায় হয়ে অনেকে বাড়ি-ঘর ছেড়ে সরকারি আশ্রয়কেন্দ্রে গিয়ে ওঠে। তবে সকাল পর্যন্ত অনেকের গবাদি পশু ভেসে যাওয়ার সংবাদ পাওয়া যাচ্ছে।
তৈমুর আরও জানান, সকালে জনতা বাজার এলাকার পূর্ব পাশের গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, জোয়ারের স্রোতে অনেকের ঘর ভিটা থেকে ভেসে গিয়ে জমিতে এলোমেলোভাবে পড়ে আছে। অনেক বাড়িতে শূন্য ভিটা পড়ে থাকতে দেখা যায়।
এ ছাড়া জোয়ারে ও ঢেউয়ের আঘাতে নলচিরা ইউনিয়নের বেড়িবাঁধের বাইরে ঘাট এলাকায় প্রায় ১৫টি দোকানঘর পানিতে ভেসে গেছে। নলচিরা ঘাটের দোকানের মালিক সাদ্দাম হোসেন বলেন, চোখের সামনে নিজের দোকানঘরটি ভেসে যায়। ঢেউয়ের তীব্রতার কারণে মালামাল চেষ্টা করেও রক্ষা করা যায়নি।
তাঁর মতো আরও অনেকের দোকানঘর ভেসে গেছে। অনেকে ভেসে যাওয়া ঘরের বিভিন্ন অংশ দড়ি দিয়ে বেঁধে রেখেও মালামাল রক্ষা করতে পারেননি।
স্থানীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী বলেন, তাৎক্ষণিক হাতিয়ায় ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতির একটি বিবরণ ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এতে প্রায় ৫০ হাজার লোককে ক্ষতিগ্রস্ত দেখানো হয়েছে। ৩ হাজার ৫০০ পরিবারের ঘর সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়। এ ছাড়া প্রায় ১০০ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা ভেঙে যাওয়ার কথা উল্লেখ করা হয় ক্ষয়ক্ষতির বিবরণে।
ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে তীব্র জলোচ্ছ্বাসে নোয়াখালীর হাতিয়ার নিঝুম দ্বীপসহ চরাঞ্চল লন্ডভন্ড হয়ে পড়েছে। ভেসে গেছে মানুষের ঘরবাড়ি। ভেঙেছে পাকা ও কাঁচা রাস্তা। ভিটেমাটি হারিয়ে এখনো অনেকে আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছেন।
হাতিয়ায় মানুষ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জোয়ারের পানিতে। গত কয়েক বছরের তুলনায় এবারের ঘূর্ণিঝড়ে জোয়ারের পানিতে বেশি প্লাবিত হয়েছে হাতিয়ার বিভিন্ন এলাকা। হাতিয়ার নিঝুম দ্বীপ, চরগাসিয়া ও ঢালচরে বেড়িবাঁধ না থাকায় সাত-আট ফুট উচ্চতায় জলোচ্ছ্বাসে মানুষের ঘরবাড়ি ভেসে গেছে।
নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দিনাজ উদ্দিন বলেন, এই দ্বীপের চারপাশে বেড়িবাঁধ নেই। এতে গত দুই দিন দিনে ও রাতে দুবার করে প্লাবিত হচ্ছে সব কটি গ্রাম। কিছু কিছু জায়গায় পানি নেমে গেলেও অনেক জায়গায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল (সোমবার) রাতে ১০ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হয়। পানির স্রোতে নামার বাজার থেকে মোক্তারিয়া ঘাট পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার প্রধান সড়কের অনেক অংশ ভেঙে খালে পরিণত হয়েছে। এসব অংশ দিয়ে মানুষ নৌকায় পারাপার হচ্ছে।
তিনি বলেন, নিঝুম দ্বীপের দক্ষিণ ও পূর্ব অংশে অনেকের ঘরবাড়ি জোয়ারের পানিতে ভেসে গেছে। এ ছাড়া প্রায় ১০০ কিলোমিটার কাঁচা সড়ক জোয়ারের তোড়ে ভেঙে ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায়। এতে মানুষ জরুরি প্রয়োজনেও বাড়ি থেকে বের হতে পারছে না।
একই অবস্থা হরনী ইউনিয়নের চরগাসিয়ায়। নতুন জেগে ওঠা এই চরে ১০ বছর ধরে মানুষ বসবাস করছে। বেড়িবাঁধ না থাকায় গত রাতের জোয়ারে অনেকের ঘরবাড়ি ভেসে গেছে।
চরগাসিয়া জনতা বাজার সমাজের সভাপতি তৈমুর হোসেন জানান, জোয়ারের স্রোতের তীব্রতা এত বেশি ছিল যে মানুষের নতুন তৈরি করা ঘরও ভেসে যায়। অনেকে ঘরের চালের ওপরে আশ্রয় নেয়। এই চরে প্রায় ১৭ হাজার লোকের বসবাস। রাত ১টার সময় আসা জোয়ারে নিরুপায় হয়ে অনেকে বাড়ি-ঘর ছেড়ে সরকারি আশ্রয়কেন্দ্রে গিয়ে ওঠে। তবে সকাল পর্যন্ত অনেকের গবাদি পশু ভেসে যাওয়ার সংবাদ পাওয়া যাচ্ছে।
তৈমুর আরও জানান, সকালে জনতা বাজার এলাকার পূর্ব পাশের গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, জোয়ারের স্রোতে অনেকের ঘর ভিটা থেকে ভেসে গিয়ে জমিতে এলোমেলোভাবে পড়ে আছে। অনেক বাড়িতে শূন্য ভিটা পড়ে থাকতে দেখা যায়।
এ ছাড়া জোয়ারে ও ঢেউয়ের আঘাতে নলচিরা ইউনিয়নের বেড়িবাঁধের বাইরে ঘাট এলাকায় প্রায় ১৫টি দোকানঘর পানিতে ভেসে গেছে। নলচিরা ঘাটের দোকানের মালিক সাদ্দাম হোসেন বলেন, চোখের সামনে নিজের দোকানঘরটি ভেসে যায়। ঢেউয়ের তীব্রতার কারণে মালামাল চেষ্টা করেও রক্ষা করা যায়নি।
তাঁর মতো আরও অনেকের দোকানঘর ভেসে গেছে। অনেকে ভেসে যাওয়া ঘরের বিভিন্ন অংশ দড়ি দিয়ে বেঁধে রেখেও মালামাল রক্ষা করতে পারেননি।
স্থানীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী বলেন, তাৎক্ষণিক হাতিয়ায় ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতির একটি বিবরণ ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এতে প্রায় ৫০ হাজার লোককে ক্ষতিগ্রস্ত দেখানো হয়েছে। ৩ হাজার ৫০০ পরিবারের ঘর সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়। এ ছাড়া প্রায় ১০০ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা ভেঙে যাওয়ার কথা উল্লেখ করা হয় ক্ষয়ক্ষতির বিবরণে।
ইঞ্জিনের হেডলাইট নষ্ট হয়ে যাওয়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তালশহর থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশন পর্যন্ত প্রায় ৮ কিলোমিটার পথ মোবাইল ফোনের টর্চের আলোতে পাড়ি দিয়েছে তিতাস কমিউটার ট্রেন। গতকাল শনিবার (২১ জুন) রাতে এ ঘটনা ঘটে।
২১ মিনিট আগেকুষ্টিয়ার দৌলতপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে হাসেম আলী (৩৫) নামে এক নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। আজ রোববার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের হোসেনাবাদ গোড়ের পাড়া গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
২৩ মিনিট আগেসম্প্রতি জেলা স্বাস্থ্য বিভাগে নিয়োগের বিষয়ে নাহিদ রাব্বি নামের একজন চাকরি পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে ১০ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। বিষয়টি নিয়ে ২ মিনিট ৩৮ সেকেন্ডের একটি কল রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, যেখানে ঘুষ লেনদেনের কথা স্পষ্টভাবে উঠে আসে।
৩০ মিনিট আগেময়মনসিংহের তারাকান্দায় নিয়ন্ত্রণ হারানো একটি বাসে অটোরিকশা, পিকআপ ভ্যান ও লরিসহ চারটি গাড়ির ধাক্কায় তিনজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও কয়েকজন।
১ ঘণ্টা আগে