নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় গণপিটুনিতে জামায়াতের দুই কর্মী নিহতের ছয় দিন পর হত্যা মামলা হয়েছে। আজ রোববার নিহত আবু ছালেকের স্ত্রী সুরমি আক্তার বাদী হয়ে থানায় এ মামলা করেন। মামলায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৩৭ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ১০ থেকে ১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, আসামিরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে তাঁদের দুজনকে ডেকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। এরপর নিহত একজনের পাশে পুলিশের অস্ত্র আসামিরা ফেলে রেখে যায়।
সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহিদুল ইসলাম এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আবু ছালেক জামায়াতের একজন সক্রিয় কর্মী এবং জুলাইয়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সন্মুখসারির যোদ্ধা ছিলেন। তিনি বিগত সরকারের আমলে মামলা-হামলার শিকার হয়ে দীর্ঘদিন এলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে ছিলেন। মামলার বিবাদীরা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত।
বাদী দাবি করেন, আসামিরা গুজব ছড়িয়ে আবু ছালেক ও নেজাম উদ্দিনকে পিটিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে। এরপর আসামিদের একজন একটি পিস্তল নিহত নেজাম উদ্দিনের লাশের পাশে রেখে পালিয়ে যান।
এজাহারে এওচিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা নজরুল ইসলাম ওরফে মানিককে হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনাকারী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া নজরুলের তিন ভাই মো. হারুন, মো. মমতাজ ও মো. কামরুল ইসলামকেও আসামি করা হয়েছে।
এজাহারে তাঁরা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিল বলে জানায়। এঁদের মধ্যে মো. হারুনকে মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া রমজান আলী, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হোসেন কবির ও সদস্য মোখলেছুর রহমানসহ ৩৭ জন নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়েছে।
এজাহারে বলা হয়, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি রাতে ছনখোলায় আবদুল নুর নামের এক ব্যক্তির একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় কে বা কারা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। আবদুল নুর এ ঘটনা আবু ছালেক ও তাঁর বন্ধু নেজাম উদ্দিনকে অবহিত করেন। পরে ২২ ফেব্রুয়ারি ছনখোলা এলাকায় আবু ছালেক ও নেজাম উদ্দিন অটোরিকশা পোড়ানোর বিষয়ে একটি সালিস বৈঠক করেন।
ওই সালিস বৈঠকে আবদুল নুরের গাড়িতে কারা আগুন লাগিয়েছে, তা শনাক্ত হয় এবং শনাক্ত হওয়া ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণ হিসেবে সাত লাখ টাকা পরিশোধ করতে বলা হয়।
আরও বলা হয়, আবদুল নুর ক্ষতিপূরণের সিদ্ধান্তের বিষয়ে সন্তুষ্ট হননি। মামলায় অভিযুক্ত কয়েকজন ৩ মার্চ রাত সাড়ে ৯টার দিকে ক্ষতিপূরণের বিষয়টি সমাধানের কথা বলে আবু ছালেক ও তাঁর বন্ধু নেজাম উদ্দিনকে ছনখোলা পশ্চিমপাড়া এলাকায় ডেকে নিয়ে যান। এরপর সালিস বৈঠক চলাকালে পূর্বপরিকল্পিতভাবে আবু ছালেক ও নেজাম উদ্দিনকে মারধর শুরু করেন।
পরে পরিকল্পনা অনুযায়ী ছনখোলা পশ্চিমপাড়া জামে মসজিদের মাইকে ডাকাত পড়েছে গুজব ছড়িয়ে দেওয়া হয়। পরে আবু ছালেক ও নেজাম উদ্দিনকে পিটিয়ে, কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়। এরপর মামলার প্রধান আসামি মো. হারুন একটি পিস্তল নেজাম উদ্দিনের লাশের পাশে রেখে পালিয়ে যান।
উল্লেখ্য, ৩ মার্চ রাতে সাতকানিয়ার এওচিয়া ইউনিয়নের ছনখোলা পশ্চিমপাড়া গণপিটুনিতে দুই ব্যক্তি নিহত হন। তাঁরা হলেন মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন (৪৩) ও আবু ছালেক (৩৮)। দুজনই স্থানীয় জামায়াতের কর্মী হিসেবে পরিচিত। একই ঘটনায় এক দোকানিসহ পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হন।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আধা স্বয়ংক্রিয় অত্যাধুনিক বিদেশি পিস্তল জব্দ করে। গত ৫ আগস্ট এই বিদেশি পিস্তল নগরীর কোতোয়ালি থানা থেকে লুট হয়। লুটের এই পিস্তল ব্যবহারের অভিযোগে নিহত দুই জামায়াত কর্মীর সহযোগীদের বিরুদ্ধে ৬ মার্চ অস্ত্র আইনে পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করে।
চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় গণপিটুনিতে জামায়াতের দুই কর্মী নিহতের ছয় দিন পর হত্যা মামলা হয়েছে। আজ রোববার নিহত আবু ছালেকের স্ত্রী সুরমি আক্তার বাদী হয়ে থানায় এ মামলা করেন। মামলায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৩৭ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ১০ থেকে ১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, আসামিরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে তাঁদের দুজনকে ডেকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। এরপর নিহত একজনের পাশে পুলিশের অস্ত্র আসামিরা ফেলে রেখে যায়।
সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহিদুল ইসলাম এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আবু ছালেক জামায়াতের একজন সক্রিয় কর্মী এবং জুলাইয়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সন্মুখসারির যোদ্ধা ছিলেন। তিনি বিগত সরকারের আমলে মামলা-হামলার শিকার হয়ে দীর্ঘদিন এলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে ছিলেন। মামলার বিবাদীরা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত।
বাদী দাবি করেন, আসামিরা গুজব ছড়িয়ে আবু ছালেক ও নেজাম উদ্দিনকে পিটিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে। এরপর আসামিদের একজন একটি পিস্তল নিহত নেজাম উদ্দিনের লাশের পাশে রেখে পালিয়ে যান।
এজাহারে এওচিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা নজরুল ইসলাম ওরফে মানিককে হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনাকারী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া নজরুলের তিন ভাই মো. হারুন, মো. মমতাজ ও মো. কামরুল ইসলামকেও আসামি করা হয়েছে।
এজাহারে তাঁরা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিল বলে জানায়। এঁদের মধ্যে মো. হারুনকে মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া রমজান আলী, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হোসেন কবির ও সদস্য মোখলেছুর রহমানসহ ৩৭ জন নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়েছে।
এজাহারে বলা হয়, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি রাতে ছনখোলায় আবদুল নুর নামের এক ব্যক্তির একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় কে বা কারা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। আবদুল নুর এ ঘটনা আবু ছালেক ও তাঁর বন্ধু নেজাম উদ্দিনকে অবহিত করেন। পরে ২২ ফেব্রুয়ারি ছনখোলা এলাকায় আবু ছালেক ও নেজাম উদ্দিন অটোরিকশা পোড়ানোর বিষয়ে একটি সালিস বৈঠক করেন।
ওই সালিস বৈঠকে আবদুল নুরের গাড়িতে কারা আগুন লাগিয়েছে, তা শনাক্ত হয় এবং শনাক্ত হওয়া ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণ হিসেবে সাত লাখ টাকা পরিশোধ করতে বলা হয়।
আরও বলা হয়, আবদুল নুর ক্ষতিপূরণের সিদ্ধান্তের বিষয়ে সন্তুষ্ট হননি। মামলায় অভিযুক্ত কয়েকজন ৩ মার্চ রাত সাড়ে ৯টার দিকে ক্ষতিপূরণের বিষয়টি সমাধানের কথা বলে আবু ছালেক ও তাঁর বন্ধু নেজাম উদ্দিনকে ছনখোলা পশ্চিমপাড়া এলাকায় ডেকে নিয়ে যান। এরপর সালিস বৈঠক চলাকালে পূর্বপরিকল্পিতভাবে আবু ছালেক ও নেজাম উদ্দিনকে মারধর শুরু করেন।
পরে পরিকল্পনা অনুযায়ী ছনখোলা পশ্চিমপাড়া জামে মসজিদের মাইকে ডাকাত পড়েছে গুজব ছড়িয়ে দেওয়া হয়। পরে আবু ছালেক ও নেজাম উদ্দিনকে পিটিয়ে, কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়। এরপর মামলার প্রধান আসামি মো. হারুন একটি পিস্তল নেজাম উদ্দিনের লাশের পাশে রেখে পালিয়ে যান।
উল্লেখ্য, ৩ মার্চ রাতে সাতকানিয়ার এওচিয়া ইউনিয়নের ছনখোলা পশ্চিমপাড়া গণপিটুনিতে দুই ব্যক্তি নিহত হন। তাঁরা হলেন মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন (৪৩) ও আবু ছালেক (৩৮)। দুজনই স্থানীয় জামায়াতের কর্মী হিসেবে পরিচিত। একই ঘটনায় এক দোকানিসহ পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হন।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আধা স্বয়ংক্রিয় অত্যাধুনিক বিদেশি পিস্তল জব্দ করে। গত ৫ আগস্ট এই বিদেশি পিস্তল নগরীর কোতোয়ালি থানা থেকে লুট হয়। লুটের এই পিস্তল ব্যবহারের অভিযোগে নিহত দুই জামায়াত কর্মীর সহযোগীদের বিরুদ্ধে ৬ মার্চ অস্ত্র আইনে পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করে।
চুয়াডাঙ্গায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় মো. ইস্রাফিল (৩৯) নামের এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়।
৬ মিনিট আগেজামালপুরের বকশীগঞ্জে জাতীয় নাগরিক কমিটিতে (এনসিপি) আওয়ামী লীগের দোসরদের পুনর্বাসনের অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। আজ ...
৯ মিনিট আগেচট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে গৃহবধূ ফাতেমা আক্তারকে (২৬) পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগে শাশুড়ি সাজেদা বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
২৭ মিনিট আগেগাজীপুরের শ্রীপুরে একটি কমিউনিটি ক্লিনিকে চুরির ঘটনা ঘটেছে। আজ রোববার গভীর রাত থেকে ভোররাতের কোনো একসময় উপজেলার মাওনা দক্ষিণপাড়া কমিউনিটি ক্লিনিকে এ ঘটনা ঘটে।
২৮ মিনিট আগে