নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামে তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচির দ্বিতীয় দিন পর্যন্ত বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের প্রায় অর্ধশত নেতা-কর্মী পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন। বিএনপির সিনিয়র নেতাদের ধরতে চলছে বাসায় বাসায় তল্লাশি। বিএনপির দাবি, শান্তিপূর্ণ অবরোধ কর্মসূচি পালনের সময় নেতা-কর্মীদের পুলিশ গ্রেপ্তার করছে। গ্রেপ্তারের পর মিথ্যা মামলায় তাঁদের কারাগারে পাঠানো হচ্ছে।
বিএনপি নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) স্পীনা রানী প্রামাণিক। তিনি বলেন, ‘নাশকতা কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।’
সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবি এবং বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মুক্তির দাবিতে গত মঙ্গলবার থেকে সারা দেশের মতো চট্টগ্রামেও তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচি পালন করছেন দলটির নেতা-কর্মীরা। তাঁদের সঙ্গে সমর্থন দিয়ে জামায়াতে ইসলামীও অবরোধ কর্মসূচি ডেকেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অবরোধ শুরুর পর থেকে চট্টগ্রামে দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ থাকলেও শহরের অভ্যন্তরে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। চট্টগ্রাম মহানগরী এলাকায় অবরোধ কর্মসূচির দ্বিতীয় দিন পর্যন্ত কয়েকটি বাসে আগুন ও গাড়ি ভাঙচুর ছাড়া এ পর্যন্ত বড় ধরনের কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। সর্বশেষ কর্ণফুলী থানা এলাকায় পোশাকশ্রমিকদের বহনকারী একটি বাসে ভাঙচুর ও আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। তবে অবরোধ ঘিরে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক রয়েছে।
অবরোধের সমর্থনে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা বিভিন্ন এলাকায় ঝটিকা মিছিল বের করলেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতায় তা পণ্ড হয়ে যাচ্ছে। এ সময় কোথাও কোথাও ধরপাকড়ও হচ্ছে। প্রকাশ্যে কোথাও পিকেটিং নজরে আসছে না। তবে বিএনপি দাবি করছে, গাড়িতে আগুন ও ভাঙচুরের ঘটনায় বিএনপির নেতা-কর্মীরা জড়িত নন।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির মুখপাত্র মো. ইদ্রিস আলী এই তথ্য জানিয়ে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অবরোধের সমর্থনে প্রথম দিন চট্টগ্রামের বিভিন্ন প্রবেশপথ অবরুদ্ধ করে শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল-সমাবেশ পালন করা হচ্ছে। বিএনপির শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচিতে পুলিশ ন্যক্কারজনকভাবে হামলা ও গ্রেপ্তার করে নির্যাতন চালাচ্ছে। গত সোমবার সন্ধ্যা থেকে মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত বিএনপির ৪২ জন নেতা-কর্মীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারদের মধ্যে অনেককে বাসা থেকে তুলে এনেছে পুলিশ।’
দলটির তথ্যমতে, গ্রেপ্তারদের মধ্যে চট্টগ্রাম মহানগর ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ওয়ার্ড পর্যায়ে বিএনপির নেতারা আছেন।
ইদ্রিস আলী বলেন, ‘বিএনপির সিনিয়র নেতাদের ধরতে তাঁদের বাসায় পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে। বিএনপির ডাকা হরতালের আগের দিন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল হাসেম বক্করসহ কয়েকজন সিনিয়র নেতার বাসায় তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ। তবে তাঁদের কাউকে পাওয়া যায়নি।
আজ মঙ্গলবার রাতে দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ানের খোঁজে নগরের চান্দগাঁও আবাসিক এলাকার ছোট ভাইয়ের বাসায় তল্লাশি চালিয়েছিল পুলিশ। চট্টগ্রাম জেলা সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের মহাসচিব ও বহদ্দারহাট বাস টার্মিনাল সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইউনুছ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সংগঠনের সিদ্ধান্ত মোতাবেক অবরোধের মধ্যেও গাড়ি চলাচলের জন্য মালিক ও শ্রমিকদের বলা হয়েছে।’
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে বাস বন্ধ থাকলেও লোহাগাড়া উপজেলা পর্যন্ত বিভিন্ন বাস চলাচল করেছে। মোহাম্মদ ইউনুছ বলেন, ‘অবরোধের কারণে মানুষের মধ্যে ভয় ও আতঙ্ক কাজ করছে। এর জন্য অনেকেই গাড়ি চলাচল বন্ধ রাখছে।’
চট্টগ্রামে মো. আজগর নামের এক সিএনজি অটোরিকশাচালক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নিজের উপার্জিত কষ্টের টাকা দিয়ে গাড়িটি কিনেছি। এ কারণে অবরোধে রাস্তায় ভয় থাকে। কখন কী না হয়। দুই দিন গাড়ি বন্ধ রেখেছিলাম। কিন্তু পেটের দায়ে তো বেশি দিন গাড়ি বন্ধ করে রাখা যায় না। তাই আজ রাস্তায় বেরিয়েছি।’
চট্টগ্রামে তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচির দ্বিতীয় দিন পর্যন্ত বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের প্রায় অর্ধশত নেতা-কর্মী পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন। বিএনপির সিনিয়র নেতাদের ধরতে চলছে বাসায় বাসায় তল্লাশি। বিএনপির দাবি, শান্তিপূর্ণ অবরোধ কর্মসূচি পালনের সময় নেতা-কর্মীদের পুলিশ গ্রেপ্তার করছে। গ্রেপ্তারের পর মিথ্যা মামলায় তাঁদের কারাগারে পাঠানো হচ্ছে।
বিএনপি নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) স্পীনা রানী প্রামাণিক। তিনি বলেন, ‘নাশকতা কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।’
সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবি এবং বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মুক্তির দাবিতে গত মঙ্গলবার থেকে সারা দেশের মতো চট্টগ্রামেও তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচি পালন করছেন দলটির নেতা-কর্মীরা। তাঁদের সঙ্গে সমর্থন দিয়ে জামায়াতে ইসলামীও অবরোধ কর্মসূচি ডেকেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অবরোধ শুরুর পর থেকে চট্টগ্রামে দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ থাকলেও শহরের অভ্যন্তরে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। চট্টগ্রাম মহানগরী এলাকায় অবরোধ কর্মসূচির দ্বিতীয় দিন পর্যন্ত কয়েকটি বাসে আগুন ও গাড়ি ভাঙচুর ছাড়া এ পর্যন্ত বড় ধরনের কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। সর্বশেষ কর্ণফুলী থানা এলাকায় পোশাকশ্রমিকদের বহনকারী একটি বাসে ভাঙচুর ও আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। তবে অবরোধ ঘিরে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক রয়েছে।
অবরোধের সমর্থনে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা বিভিন্ন এলাকায় ঝটিকা মিছিল বের করলেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতায় তা পণ্ড হয়ে যাচ্ছে। এ সময় কোথাও কোথাও ধরপাকড়ও হচ্ছে। প্রকাশ্যে কোথাও পিকেটিং নজরে আসছে না। তবে বিএনপি দাবি করছে, গাড়িতে আগুন ও ভাঙচুরের ঘটনায় বিএনপির নেতা-কর্মীরা জড়িত নন।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির মুখপাত্র মো. ইদ্রিস আলী এই তথ্য জানিয়ে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অবরোধের সমর্থনে প্রথম দিন চট্টগ্রামের বিভিন্ন প্রবেশপথ অবরুদ্ধ করে শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল-সমাবেশ পালন করা হচ্ছে। বিএনপির শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচিতে পুলিশ ন্যক্কারজনকভাবে হামলা ও গ্রেপ্তার করে নির্যাতন চালাচ্ছে। গত সোমবার সন্ধ্যা থেকে মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত বিএনপির ৪২ জন নেতা-কর্মীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারদের মধ্যে অনেককে বাসা থেকে তুলে এনেছে পুলিশ।’
দলটির তথ্যমতে, গ্রেপ্তারদের মধ্যে চট্টগ্রাম মহানগর ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ওয়ার্ড পর্যায়ে বিএনপির নেতারা আছেন।
ইদ্রিস আলী বলেন, ‘বিএনপির সিনিয়র নেতাদের ধরতে তাঁদের বাসায় পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে। বিএনপির ডাকা হরতালের আগের দিন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল হাসেম বক্করসহ কয়েকজন সিনিয়র নেতার বাসায় তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ। তবে তাঁদের কাউকে পাওয়া যায়নি।
আজ মঙ্গলবার রাতে দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ানের খোঁজে নগরের চান্দগাঁও আবাসিক এলাকার ছোট ভাইয়ের বাসায় তল্লাশি চালিয়েছিল পুলিশ। চট্টগ্রাম জেলা সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের মহাসচিব ও বহদ্দারহাট বাস টার্মিনাল সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইউনুছ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সংগঠনের সিদ্ধান্ত মোতাবেক অবরোধের মধ্যেও গাড়ি চলাচলের জন্য মালিক ও শ্রমিকদের বলা হয়েছে।’
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে বাস বন্ধ থাকলেও লোহাগাড়া উপজেলা পর্যন্ত বিভিন্ন বাস চলাচল করেছে। মোহাম্মদ ইউনুছ বলেন, ‘অবরোধের কারণে মানুষের মধ্যে ভয় ও আতঙ্ক কাজ করছে। এর জন্য অনেকেই গাড়ি চলাচল বন্ধ রাখছে।’
চট্টগ্রামে মো. আজগর নামের এক সিএনজি অটোরিকশাচালক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নিজের উপার্জিত কষ্টের টাকা দিয়ে গাড়িটি কিনেছি। এ কারণে অবরোধে রাস্তায় ভয় থাকে। কখন কী না হয়। দুই দিন গাড়ি বন্ধ রেখেছিলাম। কিন্তু পেটের দায়ে তো বেশি দিন গাড়ি বন্ধ করে রাখা যায় না। তাই আজ রাস্তায় বেরিয়েছি।’
রাজশাহীর তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কলমা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। ছাত্র-জনতার ওপর হামলার অভিযোগে তানোর থানার একটি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মাইনুল। এ মামলায় তিনি জামিনে ছিলেন। তারপরেও তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।
৭ মিনিট আগেপ্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য, আশরাফুল সকালে পুকুরপাড়ে হাঁটছিলেন। এ সময় চোখে-মুখে পানি দিতে পুকুরে নামেন। পরে হঠাৎ তিনি পানিতে তলিয়ে যান। বিষয়টি দেখে স্থানীয় লোকজন ছুটে এসে তাঁকে উদ্ধার করে পাড়ে তোলে। তখনই দেখা যায়, তিনি মারা গেছেন।
৩২ মিনিট আগেসুমন তাঁর ফেসবুক প্রোফাইলে শহীদ আবু সাঈদের একটি ছবি যুক্ত করে তাতে অশালীন মন্তব্য ও ব্যঙ্গাত্মক ইমোজি পোস্ট করেন। এতে স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর শুক্রবার রাতেই কেন্দুয়া শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন ‘জুলাই যোদ্ধারা’। তাঁরা শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে অভি
৩৫ মিনিট আগেঠোঁটারপাড়া ও জামাল পুরের কয়েক মাদক ব্যবসায়ীর সঙ্গে মহন ও হৃদয়ের মাদক ব্যবসা নিয়ে অনেক দিন ধরেই বিরোধ চলছিল। ঘটনার দিন মহন ও হৃদয় তাদের জনি নামের এক বন্ধুর অসুস্থ দাদাকে দেখতে ঠোঁটারপাড়ায় যান। বন্ধুর বাড়ি থেকে ফেরার পথে মহন ও হৃদয়ের ওপর প্রতিপক্ষের লোকজন ঠোঁটারপাড়া মাঠে গুলি ছোঁড়ে। গুলির শব্দ শুনে জন
৩৮ মিনিট আগে