ইসমাইল হোসেন কিরন, হাতিয়া (নোয়াখালী)
নোয়াখালীর হাতিয়ায় বাস্তবায়ন করা হচ্ছে ১৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন একটি প্রকল্প। এর মাধ্যমে নিঝুম দ্বীপসহ উপজেলা হাতিয়াকে শতভাগ বিদ্যুতায়নের আওতায় আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
গত বুধবার থেকে প্রকল্পটির জন্য আওতায় বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা উন্নয়নে হাতিয়াতে তিনটি নতুন উপকেন্দ্র নির্মাণের জন্য ট্রাকবোঝাই মালামাল আসা শুরু হয়েছে হাতিয়ায়। নদী পারি দিয়ে আনা এসব মাল নিয়ে যাওয়া হচ্ছে উপজেলা সদরের দক্ষিণে হরেন্দ্র মার্কেটের পাশের বালুর মাঠে। এখানেই হেভি ফুয়েল ওয়েল (এইচএফও) ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি হবে। এর আগে বিদ্যুৎ বিভাগ এই স্থানে ১৬ একর অধিগ্রহণ করে বালু ভরাট করে রেখেছে।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রকল্পের মালামাল পরিবহনের জন্য ব্যবহার করা হবে ১ হাজার ১০০টি ট্রাক। এর মধ্যে ২০ টন ওজনের বড় লরিও ব্যবহার হবে। মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম নদী পথ হওয়ায় একটি ভাসমান ফেরি আনা হয়েছে। একবার একটি ফেরিতে ১০টির মত ট্রাক পারাপার করা যাবে। এই ফেরিতে ট্রাকগুলো হাতিয়ার চেয়ারম্যান ঘাট থেকে নলচিরা ঘাটে পৌঁছানো হবে। এ ছাড়া হাতিয়ার সড়কগুলো এসব ট্রাক চলাচলের জন্য অনুপযোগী। তাই বিশেষ করে ঘাট এলাকায় সড়ক সম্প্রসারণ করা হয়েছে।
ফেরি থেকে ট্রাক নামানোর জন্য ঘাটে বিশাল মাঠ তৈরি করা হয়েছে। ঘাট থেকে প্রকল্প এলাকার দূরত্ব ১৫ কিলোমিটার। সড়কের অনেক স্থানে গাছ কেটে বাড়ানো হয়েছে প্রশস্ততা।বিশাল এই কর্মযজ্ঞ শুরু হয়েছে গত এক সপ্তাহ ধরে। কিন্তু গত বুধবার বিদ্যুতের মালবাহী ট্রাকগুলো আসতে দেখে সাধারণ মানুষকে আনন্দ উল্লাস করতে দেখা গেছে। বিভিন্ন বাজারের ওপর দিয়ে আসা ট্রাকগুলো দেখে মানুষজনকে চিৎকার করে উল্লাস করতে দেখা গেছে। কেউ কেউ ট্রাকের পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তোলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপলোড করেছেন।
হাতিয়া বিদ্যুৎ বিভাগের আবাসিক প্রকৌশলীর দায়িত্বে থাকা উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মশিউর রহমান জানান, স্বাধীনতার আগে পাকিস্তান সরকার হাতিয়ায় পাঁচটি ডিজেল ইঞ্জিন দিয়ে শুরু করে ‘হাতিয়া বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র’। কিন্তু অনেক পুরোনো এই ইঞ্জিনগুলো বর্তমানে অনেকটাই বিকল। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর স্থানীয় সাংসদ আয়েশা ফেরদাউসের আবেদনের প্রেক্ষিতে সরকার তিনটি নতুন ইঞ্জিন দিয়ে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি কিছুটা সচল রাখে। বর্তমানে এই বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র থেকে ১ হাজার ২০০ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়। এতে শুধু পৌর এলাকার কিছু সংখ্যক মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধা পাচ্ছেন। অন্যদিকে নিঝুম দ্বীপসহ হাতিয়ার ১১টি ইউনিয়নের মানুষ বিদ্যুতের সুবিধা থেকে বঞ্চিত রয়েছেন।
২০২০ সালের প্রথম দিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে হাতিয়া সফর করেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এ সময় তিনি হাতিয়াতে শতভাগ বিদ্যুৎ ব্যবস্থা করে দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়ে যান। এরপরই বিদ্যুৎ বিভাগের একাধিক কর্মকর্তা হাতিয়াতে জরিপ করেন।
এরপর টেকসই বিদ্যুৎ উন্নয়নের জন্য একটি প্রকল্প তৈরি করে সরকার। এর নাম দেওয়া হয় ‘হাতিয়া দ্বীপ, নিঝুম দ্বীপ ও কুতুবদিয়া দ্বীপ শতভাগ নির্ভরযোগ্য ও টেকসই বিদ্যুতায়ন প্রকল্প’। প্রকল্প ব্যয় নির্ধারণ করা হয় ৩৮৪ কোটি ৩৬ লাখ ১৫ হাজার টাকা। গত ৩ ফেব্রুয়ারি একনেক সভায় তা অনুমোদন দেওয়া হয়। বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয় বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডকে (বিউবো)। এ প্রকল্পটির প্রায় ১০ ভাগ কাজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে কুতুবদিয়া দ্বীপে।
এই প্রকল্পের প্রধান প্রকৌশলী ফারুক আহম্মেদ বলেন, সরকারের অনুমোদন দেওয়া এই প্রকল্পের মাধ্যমে শুধু বিতরণ বিভাগের উন্নয়ন করা হবে। উৎপাদনের জন্য চুক্তি করা হয় দেশ এনার্জি লিমিটেড নামে একটি কোম্পানির সঙ্গে। তারা প্রাথমিক ভাবে ১৫ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন প্ল্যান্ট তৈরি করবে হাতিয়ায়। এতে ১৫ বছরের জন্য চুক্তি করা হয়েছে। যাদের কাছ থেকে প্রতি ইউনিট ১২ দশমিক ১০ সেন্টে কিনে নেবে সরকার।
প্রকৌশলী ফারুক আহম্মেদ আরও জানান, বিদ্যুৎ বিতরণের জন্য সরকার ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে হাতিয়ায়। মালামাল নিয়ে প্রথম টিপের ১০টি ট্রাক হাতিয়া পৌঁছেছে। প্রতিদিন ফেরিতে দুটি করে টিপ দেওয়ার চিন্তাভাবনা আছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে হাতিয়াতে তিনটি নতুন ৩৩/১১ কেভি উপকেন্দ্র নির্মাণ করা হবে। এ ছাড়া মূল হাতিয়ায় নতুন ৪৬৫ কিলোমিটার ও নিঝুম দ্বীপে ৪৭ কিলোমিটার লাইন নির্মাণ করা হবে। পুরোনো ২৫ কিলোমিটার লাইন মেরামত করে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বিদ্যুৎ ব্যবহারের উপযোগী করে তৈরি করা হবে। নিঝুম দ্বীপ হাতিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ায় মোক্তারিয়া ঘাট থেকে নিঝুম দ্বীপ খাল পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার ১১ কেভি সাবমেরিন ক্যাবল স্থাপন করা হবে।
বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির উৎপাদনের দায়িত্বে থাকা দেশ এনার্জি লিমিটেডের জ্যেষ্ঠ প্রকৌশলী নাসির উদ্দিন জানান, হাতিয়াতে ১৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য সরকারের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। এ জন্য বিদ্যুৎ বিভাগ হাতিয়ার হরেন্দ্র মার্কেট এলাকায় পাঁচ একর জমি দিয়েছে কোম্পানিকে। সেখানে মাটি ভরাটের কাজ শেষ হয়েছে। এখানে ১৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন হেভি ফুয়েল ওয়েল (এইচ এফ ও) ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা হবে। কোম্পানির কার্যক্রম পরিচালনার জন্য হাতিয়াতে একটি বাসা ভাড়া নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন দেশ থেকে আনা মালামাল চট্টগ্রামের বন্দরে চলে এসেছে।
হাতিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক সাংসদ মোহাম্মদ আলী বলেন, হাতিয়াবাসীর স্বপ্ন ছিল হাতিয়াতে শতভাগ বিদ্যুতের উন্নয়ন হবে। এটি স্থাপনের মধ্য দিয়ে জীবন যাত্রার ব্যাপক পরিবর্তন আসবে হাতিয়াবাসীর।
নোয়াখালীর হাতিয়ায় বাস্তবায়ন করা হচ্ছে ১৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন একটি প্রকল্প। এর মাধ্যমে নিঝুম দ্বীপসহ উপজেলা হাতিয়াকে শতভাগ বিদ্যুতায়নের আওতায় আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
গত বুধবার থেকে প্রকল্পটির জন্য আওতায় বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা উন্নয়নে হাতিয়াতে তিনটি নতুন উপকেন্দ্র নির্মাণের জন্য ট্রাকবোঝাই মালামাল আসা শুরু হয়েছে হাতিয়ায়। নদী পারি দিয়ে আনা এসব মাল নিয়ে যাওয়া হচ্ছে উপজেলা সদরের দক্ষিণে হরেন্দ্র মার্কেটের পাশের বালুর মাঠে। এখানেই হেভি ফুয়েল ওয়েল (এইচএফও) ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি হবে। এর আগে বিদ্যুৎ বিভাগ এই স্থানে ১৬ একর অধিগ্রহণ করে বালু ভরাট করে রেখেছে।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রকল্পের মালামাল পরিবহনের জন্য ব্যবহার করা হবে ১ হাজার ১০০টি ট্রাক। এর মধ্যে ২০ টন ওজনের বড় লরিও ব্যবহার হবে। মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম নদী পথ হওয়ায় একটি ভাসমান ফেরি আনা হয়েছে। একবার একটি ফেরিতে ১০টির মত ট্রাক পারাপার করা যাবে। এই ফেরিতে ট্রাকগুলো হাতিয়ার চেয়ারম্যান ঘাট থেকে নলচিরা ঘাটে পৌঁছানো হবে। এ ছাড়া হাতিয়ার সড়কগুলো এসব ট্রাক চলাচলের জন্য অনুপযোগী। তাই বিশেষ করে ঘাট এলাকায় সড়ক সম্প্রসারণ করা হয়েছে।
ফেরি থেকে ট্রাক নামানোর জন্য ঘাটে বিশাল মাঠ তৈরি করা হয়েছে। ঘাট থেকে প্রকল্প এলাকার দূরত্ব ১৫ কিলোমিটার। সড়কের অনেক স্থানে গাছ কেটে বাড়ানো হয়েছে প্রশস্ততা।বিশাল এই কর্মযজ্ঞ শুরু হয়েছে গত এক সপ্তাহ ধরে। কিন্তু গত বুধবার বিদ্যুতের মালবাহী ট্রাকগুলো আসতে দেখে সাধারণ মানুষকে আনন্দ উল্লাস করতে দেখা গেছে। বিভিন্ন বাজারের ওপর দিয়ে আসা ট্রাকগুলো দেখে মানুষজনকে চিৎকার করে উল্লাস করতে দেখা গেছে। কেউ কেউ ট্রাকের পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তোলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপলোড করেছেন।
হাতিয়া বিদ্যুৎ বিভাগের আবাসিক প্রকৌশলীর দায়িত্বে থাকা উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মশিউর রহমান জানান, স্বাধীনতার আগে পাকিস্তান সরকার হাতিয়ায় পাঁচটি ডিজেল ইঞ্জিন দিয়ে শুরু করে ‘হাতিয়া বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র’। কিন্তু অনেক পুরোনো এই ইঞ্জিনগুলো বর্তমানে অনেকটাই বিকল। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর স্থানীয় সাংসদ আয়েশা ফেরদাউসের আবেদনের প্রেক্ষিতে সরকার তিনটি নতুন ইঞ্জিন দিয়ে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি কিছুটা সচল রাখে। বর্তমানে এই বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র থেকে ১ হাজার ২০০ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়। এতে শুধু পৌর এলাকার কিছু সংখ্যক মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধা পাচ্ছেন। অন্যদিকে নিঝুম দ্বীপসহ হাতিয়ার ১১টি ইউনিয়নের মানুষ বিদ্যুতের সুবিধা থেকে বঞ্চিত রয়েছেন।
২০২০ সালের প্রথম দিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে হাতিয়া সফর করেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এ সময় তিনি হাতিয়াতে শতভাগ বিদ্যুৎ ব্যবস্থা করে দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়ে যান। এরপরই বিদ্যুৎ বিভাগের একাধিক কর্মকর্তা হাতিয়াতে জরিপ করেন।
এরপর টেকসই বিদ্যুৎ উন্নয়নের জন্য একটি প্রকল্প তৈরি করে সরকার। এর নাম দেওয়া হয় ‘হাতিয়া দ্বীপ, নিঝুম দ্বীপ ও কুতুবদিয়া দ্বীপ শতভাগ নির্ভরযোগ্য ও টেকসই বিদ্যুতায়ন প্রকল্প’। প্রকল্প ব্যয় নির্ধারণ করা হয় ৩৮৪ কোটি ৩৬ লাখ ১৫ হাজার টাকা। গত ৩ ফেব্রুয়ারি একনেক সভায় তা অনুমোদন দেওয়া হয়। বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয় বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডকে (বিউবো)। এ প্রকল্পটির প্রায় ১০ ভাগ কাজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে কুতুবদিয়া দ্বীপে।
এই প্রকল্পের প্রধান প্রকৌশলী ফারুক আহম্মেদ বলেন, সরকারের অনুমোদন দেওয়া এই প্রকল্পের মাধ্যমে শুধু বিতরণ বিভাগের উন্নয়ন করা হবে। উৎপাদনের জন্য চুক্তি করা হয় দেশ এনার্জি লিমিটেড নামে একটি কোম্পানির সঙ্গে। তারা প্রাথমিক ভাবে ১৫ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন প্ল্যান্ট তৈরি করবে হাতিয়ায়। এতে ১৫ বছরের জন্য চুক্তি করা হয়েছে। যাদের কাছ থেকে প্রতি ইউনিট ১২ দশমিক ১০ সেন্টে কিনে নেবে সরকার।
প্রকৌশলী ফারুক আহম্মেদ আরও জানান, বিদ্যুৎ বিতরণের জন্য সরকার ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে হাতিয়ায়। মালামাল নিয়ে প্রথম টিপের ১০টি ট্রাক হাতিয়া পৌঁছেছে। প্রতিদিন ফেরিতে দুটি করে টিপ দেওয়ার চিন্তাভাবনা আছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে হাতিয়াতে তিনটি নতুন ৩৩/১১ কেভি উপকেন্দ্র নির্মাণ করা হবে। এ ছাড়া মূল হাতিয়ায় নতুন ৪৬৫ কিলোমিটার ও নিঝুম দ্বীপে ৪৭ কিলোমিটার লাইন নির্মাণ করা হবে। পুরোনো ২৫ কিলোমিটার লাইন মেরামত করে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বিদ্যুৎ ব্যবহারের উপযোগী করে তৈরি করা হবে। নিঝুম দ্বীপ হাতিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ায় মোক্তারিয়া ঘাট থেকে নিঝুম দ্বীপ খাল পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার ১১ কেভি সাবমেরিন ক্যাবল স্থাপন করা হবে।
বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির উৎপাদনের দায়িত্বে থাকা দেশ এনার্জি লিমিটেডের জ্যেষ্ঠ প্রকৌশলী নাসির উদ্দিন জানান, হাতিয়াতে ১৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য সরকারের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। এ জন্য বিদ্যুৎ বিভাগ হাতিয়ার হরেন্দ্র মার্কেট এলাকায় পাঁচ একর জমি দিয়েছে কোম্পানিকে। সেখানে মাটি ভরাটের কাজ শেষ হয়েছে। এখানে ১৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন হেভি ফুয়েল ওয়েল (এইচ এফ ও) ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা হবে। কোম্পানির কার্যক্রম পরিচালনার জন্য হাতিয়াতে একটি বাসা ভাড়া নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন দেশ থেকে আনা মালামাল চট্টগ্রামের বন্দরে চলে এসেছে।
হাতিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক সাংসদ মোহাম্মদ আলী বলেন, হাতিয়াবাসীর স্বপ্ন ছিল হাতিয়াতে শতভাগ বিদ্যুতের উন্নয়ন হবে। এটি স্থাপনের মধ্য দিয়ে জীবন যাত্রার ব্যাপক পরিবর্তন আসবে হাতিয়াবাসীর।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) খাল খননের প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, কার্যাদেশ অনুযায়ী মাটি না কেটে কাজ শেষ করেছেন ঠিকাদার। এ ব্যাপারে সংস্থার চেয়ারম্যান ড. এম আসাদুজ্জামানের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেকিশোরগঞ্জে বজ্রপাতে মৃত্যু আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে ৷ গত ২৩ দিনে জেলায় শিক্ষার্থী, কৃষকসহ বজ্রপাতে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে কৃষকের সংখ্যা বেশি। আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, খোলা স্থানে কাজ করা মানুষ বজ্রপাতে বেশি মারা যাচ্ছে; বিশেষ করে হাওরাঞ্চলে খোলা জায়গায় মানুষজন কাজ করার কারণে সেখানে হতাহতের...
২ ঘণ্টা আগেপিরোজপুরে ২৫০ শয্যার জেলা হাসপাতাল চালু করতে ৯ তলা ভবনের নির্মাণকাজ শেষ হয় প্রায় দেড় বছর আগে। কিন্তু বিদ্যুতের সংযোগ এখনো দেওয়া হয়নি এবং বসেনি লিফট। এতে করে পুরোনো ভবনে ১০০ শয্যা নিয়ে চলছে সেবা কার্যক্রম। সেখানে অধিকাংশ সময় রোগী ভর্তি থাকে ধারণক্ষমতার দ্বিগুণ। শয্যা না পেয়ে রোগীদের থাকতে হচ্ছে...
২ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের আধুনিক ভাস্কর্য শিল্পের অন্যতম পথিকৃৎ নভেরা আহমেদ। গত শতকের ষাটের দশকে তখনকার পূর্ববঙ্গে ভাস্কর্য শিল্পকে পরিচিত করে তোলার কাজটি শুরু করেছিলেন নিজের ভিন্নধর্মী কাজ দিয়ে। নিভৃতচারী এ শিল্পী একপর্যায়ে স্থায়ীভাবে পাড়ি জমান অন্যতম শিল্পতীর্থ ফ্রান্সে। নারী এই ভাস্করকে নিয়ে বেঙ্গল ফাউন্ডেশন...
২ ঘণ্টা আগে