Ajker Patrika

পার্বত্য চট্টগ্রামে ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়নি, প্রমাণ দেখাতে পারবে না কেউ: উপদেষ্টা নাহিদ

ফেনী প্রতিনিধি
আপডেট : ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২০: ৩২
পার্বত্য চট্টগ্রামে ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়নি, প্রমাণ দেখাতে পারবে না কেউ: উপদেষ্টা নাহিদ

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে কোথাও সরকারিভাবে ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়নি। সেখানে বিচ্ছিন্নভাবে কয়েকটি জায়গায় সমস্যা হয়েছিল। 

আজ শনিবার সকালে ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার আন্ধারমানিক এলাকায় বন্যাদুর্গত এলাকা পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম এসব কথা বলেন। 

নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘সাময়িকভাবে কিছু জায়গায় ইন্টারনেট বন্ধ ছিল, কিন্তু সেটিকে অতিরঞ্জিত করে বলা হচ্ছে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এ রকম কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি এবং এমন কোনো ঘটনাও ঘটেনি। পার্বত্য চট্টগ্রাম বা কোনো এলাকায় দীর্ঘ সময় ইন্টারনেট বন্ধ ছিল এমন প্রমাণও কেউ দেখাতে পারবে না।’ 

ডাক ও টেলিযোগাযোগ উপদেষ্টা বলেন, ‘ইন্টারনেট বন্ধের বিষয়টি সত্য নয়। এ বিষয়ে সেখানকার জেলা প্রশাসকসহ অন্যান্য কর্মকর্তার সঙ্গেও আমি কথা বলেছি। এ ধরনের অভিযোগের ক্ষেত্রে যথাযথ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে সম্পূর্ণ সত্যতা জেনে নেওয়ার অনুরোধ রইল।’ 

এর আগে রাঙামাটি শহরে সহিংসতার ঘটনায় আগুনে ইন্টারনেটের তার পুড়ে যাওয়ায় গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে রাঙামাটি শহরে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা বিঘ্নিত হচ্ছিল। ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা বিঘ্নিত হলেও বিভিন্ন মোবাইল অপারেটরের নেটওয়ার্ক স্বাভাবিক ছিল। 

পার্বত্য চট্টগ্রামে উদ্ভূত পরিস্থিতি সমাধানের চেষ্টা চলছে উল্লেখ করে তথ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামে আমাদের দীর্ঘদিনের একটি সমস্যা রয়েছে। অভ্যন্তরীণ সমস্যা আমাদের অভ্যন্তরীণভাবেই সমাধান করতে হবে। এ ব্যাপারে আজ কয়েকজন উপদেষ্টা সেখানে যাচ্ছেন। অভ্যন্তরীণভাবে আমরা সমাধানের চেষ্টা করছি। দেশ সংকটকালীন মুহূর্তের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, এ জন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। বাংলাদেশকে অশান্ত করার পরিকল্পনা অনেকেরই রয়েছে। নানাভাবে পরিস্থিতির সংকট তৈরি করার চেষ্টা করা হচ্ছে।’ 

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন কার্যক্রমের বিষয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘এখানে যেহেতু প্রতিবছর বন্যা হয়, সে জন্য স্থায়ী একটি সমাধান প্রয়োজন। ক্ষতির পরিমাণ কমিয়ে আনতে বাঁধগুলো কীভাবে সংস্কার করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা চলছে। এখন আমরা পুনর্বাসন কার্যক্রমে জোর দিচ্ছি। প্রাথমিকভাবে গৃহনির্মাণে সবার চাহিদা রয়েছে। পাশাপাশি যাদের শিক্ষাসামগ্রী নষ্ট হয়ে গেছে, তা দ্রুত সরবরাহ করতে হবে।’ 

নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘ভারতের এভাবে বাঁধ খুলে দেওয়া উচিত হয়নি। যদিও তারা বিষয়টি স্বীকার করেনি। এ বিষয়ে যৌথ নদী কমিশন, কূটনৈতিক পর্যায়ে আলোচনা করা হয়েছে। ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটে, সে জন্য ভারতের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে।’ 

এর আগে আন্ধারমানিক এলাকা ঘুরে ঘুরে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম। এ সময় ফেনী জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার, পুলিশ সুপার মো. হাবিবুর রহমানসহ প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা: বিমানবাহিনীকে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিতে বললেন প্রধান উপদেষ্টা

সারজিসের সামনেই বগুড়ায় এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধীদের মধ্যে হাতাহাতি-সংঘর্ষ

পিটুনিতে নিহত সেই শামীম মোল্লাকে বহিষ্কার করল জাবি প্রশাসন, সমালোচনার ঝড়

জনবল-সরঞ্জাম বেশি হলেও সমরশক্তিতে ভারত কি পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে

মধুপুরে বিদ্যালয়ে ঢুকে শিক্ষককে জুতাপেটা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত