Ajker Patrika

বিএসএফের গুলিতে আহত সেই ভারতীয় যুবক ঢাকায় আটক

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা সীমান্ত দিয়ে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ঢুকে পড়া ভারতীয় যুবককে ঢাকার একটি হাসপাতাল থেকে আটক করে বিজিবি। ছবি: সংগৃহীত
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা সীমান্ত দিয়ে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ঢুকে পড়া ভারতীয় যুবককে ঢাকার একটি হাসপাতাল থেকে আটক করে বিজিবি। ছবি: সংগৃহীত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে প্রবেশ করা এক ভারতীয় নাগরিককে ঢাকা থেকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। তিনি ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে আহত অবস্থায় মাদলা এলাকা দিয়ে প্রবেশ করেন। গুলির ওই ঘটনায় বাংলাদেশি এক কিশোর নিহত হন।

আজ সোমবার দুপুরে বিজিবির একটি দল রাজধানীর মগবাজারের একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভারতীয় ওই নাগরিককে আটক করে।

আটক যুবকের নাম সুজন বর্মণ। তিনি ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলার বটতলী গ্রামের মঙ্গল বর্মণের ছেলে। তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ঢাকা মহানগর পুলিশের হাতিরঝিল থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

পুলিশ ও বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রোববার রাতে কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের মাদলা সীমান্ত দিয়ে চোরাই পথে মোটরসাইকেল আনার সময় বিএসএফের গুলিতে দুজন আহত হয়। তাঁরা হলো বাংলাদেশি কিশোর সাকিব (১৭) ও ভারতীয় যুবক সুজন বর্মণ। সাকিব বায়েক ইউনিয়নের মাদলা গুচ্ছগ্রামের মোতালেব হোসেনের ছেলে।

কসবা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি কিশোর সাকিব। ছবি: সংগৃহীত
কসবা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি কিশোর সাকিব। ছবি: সংগৃহীত

সাকিবকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সকালে তিনি মারা যান। সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ঢুকে পড়া আহত সুজনকে স্থানীয় লোকজন চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠিয়েছিলেন।

কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের বলেন, গতকাল রাতে কসবার মাদলা সীমান্তে বিএসএফের ছোড়া গুলিতে সাকিব নামের বাংলাদেশি এক কিশোর ও ভারতীয় এক নাগরিক আহত হয়। গুলিবিদ্ধ সাকিবকে কুমিল্লা ও ভারতীয় নাগরিককে ঢাকায় পাঠান স্থানীয় লোকজন। এর মধ্যে সাকিব চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকালে মারা গেছে। চিকিৎসাধীন ভারতীয় নাগরিকের বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে।

কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সামিউল ইসলাম বলেন, রাতে ভারতীয় যুবক সুজনের মাধ্যমে চোরাই মোটরসাইকেল আনার জন্য মাদলা সীমান্তে যায় সাকিব। এ সময় সীমান্তে টহলরত বিএসএফের সদস্যরা তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। এতে তারা গুলিবিদ্ধ হয়। নিহত সাকিবের লাশ তার বাড়িতে নেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে বিজিবি ৬০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. জিয়াউর রহমানের মোবাইলে কল করা হলেও তিনি তা ধরেননি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত