বদরুল ইসলাম মাসুদ, বান্দরবান
আধুনিক সভ্যতার অন্যতম চাহিদা বিদ্যুৎ। বিদ্যুৎ ছাড়া এখন প্রাত্যহিক জীবন প্রায় অসম্পন্ন। তাই মুজিব বর্ষে সরকার ‘ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ’ কর্মসূচি নিয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামকে ‘পিছিয়ে পড়া’ অঞ্চল বলা হতো। এই তকমাকে ডিঙিয়ে পাহাড়ে এখন বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত হওয়ার পথে। বান্দরবান, খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে দুর্গম ও পাহাড়ি এলাকায় বিদ্যুতের সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার জন্য সরকার প্রকল্প গ্রহণ করেছে।
সরকার সোলার সিস্টেমের মাধ্যমে পার্বত্য তিন জেলার দুর্গম এলাকাসমূহে বিদ্যুতের আলো পৌঁছে দেওয়ার প্রকল্প গ্রহণ করে। যেসব এলাকায় বিদ্যুতের তার ও খুঁটির ব্যবস্থা করা প্রায় অসম্ভব, সেখানে সোলার সিস্টেমের মাধ্যমে বিদ্যুৎ পৌঁছানো হবে। সোলার প্যানেলের মাধ্যমে পার্বত্য তিন জেলায় ৪২ হাজার ৫০০ পরিবারকে বিদ্যুতের আওতায় আনা হচ্ছে।
গত ২৫ আগস্ট অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তাফা কামালের সভাপতিত্বে বৈঠকে এই প্রকল্প অনুমোদন করা হয়। এই প্রকল্পের মাধ্যমে তিন পার্বত্য জেলার ৪০ হাজার পরিবার এবং ২ হাজার ৫০০টি মসজিদ, মন্দির, মাদ্রাসা, পালিটোল, গির্জা, কমিউনিটি সেন্টার ও পাড়া কেন্দ্র (শিক্ষা কেন্দ্র) সোলারের মাধ্যমে আলোকিত হবে।
পার্বত্য মন্ত্রণালয় সূত্রমতে, প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে ২০৪ কোটি ৩৩ লাখ ২৫ হাজার টাকা। বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি লিমিটেড থেকে এই সিস্টেম ক্রয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে বিজিবি ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট। এ লক্ষ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সদস্য হারুন অর রশিদকে প্রকল্প পরিচালকের (পিডি) দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ২০২৩ সালের জুন মাসে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং গত বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের জানান, যেসব দুর্গম এলাকায় কয়েক বছরের মধ্যে বিদ্যুতের সুবিধা পৌঁছানো সম্ভব নয়, এমন দুর্গম এলাকার সোলার প্যানেলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হবে। তিনি বলেন, অনুমোদন পাওয়া প্রকল্পের আওতায় মোট ৪২ হাজার ৫০০ পরিবার ও প্রতিষ্ঠানকে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হলে পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রায় সবাই বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় আসবে।
পার্বত্য মন্ত্রী জানান, গত অর্থ বছরের শেষ দিকে দুর্গম ও প্রত্যন্ত এলাকায় সোলার প্যানেলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান (২য় পর্যায়) প্রকল্প প্রস্তাব জমা দেওয়া হয়। খুব কম সময়ের মধ্যেই প্রস্তাবটি সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত কমিটির অনুমোদন পাওয়ায় তিনি প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ৪০ হাজার বাড়িতে ১০০ ওয়াট ক্ষমতার সোলার হোম সিস্টেমের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে। এর মধ্যে বান্দরবানে ১৪ হাজার, রাঙামাটি ও খাগড়াছড়িতে ১৩ হাজার করে সোলার হোম সিস্টেম স্থাপন করা হবে।
এ ছাড়া ২ হাজার ৫০০ ধর্মীয়, শিক্ষা ও কমিউনিটি সেন্টারে ৩২০ ওয়াট ক্ষমতার সোলার সিস্টেমের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে। এর মধ্যে বান্দরবানে ৯০০ এবং রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলায় ৮০০ করে সোলার স্থাপন করা হবে।
এ প্রকল্পের আওতায় বান্দরবান জেলার সদর, লামা, আলীকদম, নাইক্ষ্যংছড়ি, থানচি ও রুমা, রাঙামাটি জেলার সদর, বাঘাইছড়ি, কাপ্তাই, বিলাইছড়ি, বরকল, লংগদু, নানিয়ারচর, কাউখালী, রাজস্থলী এবং খাগড়াছড়ি জেলার সদর, রামগড়, দীঘিনালা, মহালছড়ি, মাটিরাঙ্গা, গুইমারা, মানিকছড়ি, পানছড়ি উপজেলা রয়েছে।
আধুনিক সভ্যতার অন্যতম চাহিদা বিদ্যুৎ। বিদ্যুৎ ছাড়া এখন প্রাত্যহিক জীবন প্রায় অসম্পন্ন। তাই মুজিব বর্ষে সরকার ‘ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ’ কর্মসূচি নিয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামকে ‘পিছিয়ে পড়া’ অঞ্চল বলা হতো। এই তকমাকে ডিঙিয়ে পাহাড়ে এখন বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত হওয়ার পথে। বান্দরবান, খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে দুর্গম ও পাহাড়ি এলাকায় বিদ্যুতের সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার জন্য সরকার প্রকল্প গ্রহণ করেছে।
সরকার সোলার সিস্টেমের মাধ্যমে পার্বত্য তিন জেলার দুর্গম এলাকাসমূহে বিদ্যুতের আলো পৌঁছে দেওয়ার প্রকল্প গ্রহণ করে। যেসব এলাকায় বিদ্যুতের তার ও খুঁটির ব্যবস্থা করা প্রায় অসম্ভব, সেখানে সোলার সিস্টেমের মাধ্যমে বিদ্যুৎ পৌঁছানো হবে। সোলার প্যানেলের মাধ্যমে পার্বত্য তিন জেলায় ৪২ হাজার ৫০০ পরিবারকে বিদ্যুতের আওতায় আনা হচ্ছে।
গত ২৫ আগস্ট অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তাফা কামালের সভাপতিত্বে বৈঠকে এই প্রকল্প অনুমোদন করা হয়। এই প্রকল্পের মাধ্যমে তিন পার্বত্য জেলার ৪০ হাজার পরিবার এবং ২ হাজার ৫০০টি মসজিদ, মন্দির, মাদ্রাসা, পালিটোল, গির্জা, কমিউনিটি সেন্টার ও পাড়া কেন্দ্র (শিক্ষা কেন্দ্র) সোলারের মাধ্যমে আলোকিত হবে।
পার্বত্য মন্ত্রণালয় সূত্রমতে, প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে ২০৪ কোটি ৩৩ লাখ ২৫ হাজার টাকা। বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি লিমিটেড থেকে এই সিস্টেম ক্রয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে বিজিবি ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট। এ লক্ষ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সদস্য হারুন অর রশিদকে প্রকল্প পরিচালকের (পিডি) দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ২০২৩ সালের জুন মাসে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং গত বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের জানান, যেসব দুর্গম এলাকায় কয়েক বছরের মধ্যে বিদ্যুতের সুবিধা পৌঁছানো সম্ভব নয়, এমন দুর্গম এলাকার সোলার প্যানেলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হবে। তিনি বলেন, অনুমোদন পাওয়া প্রকল্পের আওতায় মোট ৪২ হাজার ৫০০ পরিবার ও প্রতিষ্ঠানকে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হলে পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রায় সবাই বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় আসবে।
পার্বত্য মন্ত্রী জানান, গত অর্থ বছরের শেষ দিকে দুর্গম ও প্রত্যন্ত এলাকায় সোলার প্যানেলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান (২য় পর্যায়) প্রকল্প প্রস্তাব জমা দেওয়া হয়। খুব কম সময়ের মধ্যেই প্রস্তাবটি সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত কমিটির অনুমোদন পাওয়ায় তিনি প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ৪০ হাজার বাড়িতে ১০০ ওয়াট ক্ষমতার সোলার হোম সিস্টেমের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে। এর মধ্যে বান্দরবানে ১৪ হাজার, রাঙামাটি ও খাগড়াছড়িতে ১৩ হাজার করে সোলার হোম সিস্টেম স্থাপন করা হবে।
এ ছাড়া ২ হাজার ৫০০ ধর্মীয়, শিক্ষা ও কমিউনিটি সেন্টারে ৩২০ ওয়াট ক্ষমতার সোলার সিস্টেমের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে। এর মধ্যে বান্দরবানে ৯০০ এবং রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলায় ৮০০ করে সোলার স্থাপন করা হবে।
এ প্রকল্পের আওতায় বান্দরবান জেলার সদর, লামা, আলীকদম, নাইক্ষ্যংছড়ি, থানচি ও রুমা, রাঙামাটি জেলার সদর, বাঘাইছড়ি, কাপ্তাই, বিলাইছড়ি, বরকল, লংগদু, নানিয়ারচর, কাউখালী, রাজস্থলী এবং খাগড়াছড়ি জেলার সদর, রামগড়, দীঘিনালা, মহালছড়ি, মাটিরাঙ্গা, গুইমারা, মানিকছড়ি, পানছড়ি উপজেলা রয়েছে।
ভালো খবরের পাওয়ার প্রত্যাশায় সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে থাকা সচিবালয়ের কর্মচারীরা আগামীকাল মঙ্গলবার আন্দোলন কর্মসূচিতে বিরতি দিয়েছেন। আগামীকাল সচিবালয়ের বাইরের কর্মচারী সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে জনসংযোগ করবেন সচিবালয়ের কর্মচারী নেতারা।
৯ মিনিট আগেখাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার প্রত্যন্ত পাহাড়ি অঞ্চল খাগড়াবিল এলাকার একমাত্র ভরসা খাগড়াবিল জুনিয়র হাই স্কুল। ১৯৯৪ সালে স্থানীয় যুবকদের স্বপ্ন, শ্রম আর নিজেদের অর্থায়নে প্রতিষ্ঠিত এই স্কুলটি দুর্গম এলাকার গরিব-অসহায় মানুষের সন্তানদের শিক্ষার আলো পৌঁছে দিচ্ছিল।
১৬ মিনিট আগেসরকারিভাবে বাঘুটিয়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের রাহাতপুর এলাকায় বালু উত্তোলনের ইজারা দেওয়া হয়েছে। তবে ইজারাকৃত স্থানে বালু না কেটে উত্তোলনকারীরা ৬ নম্বর ওয়ার্ডের পারুরিয়া চর এলাকায় বোলগেট বসিয়ে অবৈধভাবে বালু তুলছিল। খবর পেয়ে এলাকাবাসী একত্র হয়ে তাদের ধাওয়া দেয় এবং দুটি বোলগেট জব্দ করে।
২৩ মিনিট আগেরাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়ায় নজরুল বেপারী (৩২) নামের এক যুবককে এলোপাথাড়িভাবে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। আজ সোমবার (২৩ জুন) সকাল ৭টার দিকে দৌলতদিয়ার মুক্তি মহিলা সমিতির সামনে একটি পুকুর পাড়ে লাশটি পাওয়া যায়।
৩০ মিনিট আগে