Ajker Patrika

বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্রকে কোমরে রশি বেঁধে আদালতে নেওয়ার ছবি ভাইরাল

চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
আপডেট : ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪: ৪৭
বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্রকে কোমরে রশি বেঁধে আদালতে নেওয়ার ছবি ভাইরাল

কক্সবাজারের পেকুয়ায় মারামারির মামলায় গ্রেপ্তার হামিম মো. ফাহিম (২৫) নামের এক বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্রকে কোমরে রশি বেঁধে আদালতে তোলার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। গতকাল রোববার দুপুরে কোমরে রশি ও হাতকড়া পরিয়ে তাঁকে আদালতে তোলা হয়।

বিষয়টিকে বেআইনি ও অমানবিক আখ্যা দিয়ে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) চকরিয়া শাখার সাধারণ সম্পাদক ও চকরিয়া অ্যাডভোকেট’স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিফতাহ উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘দাগি আসামি ছাড়া কাউকে কোমরে রশি বাঁধা বা ডান্ডাবেড়ি পরানো যাবে না। একজন ছাত্রকে কোমরে রশিবাঁধা আইনসম্মত নয়, অমানবিকও বটে।’

হামিম মো. ফাহিম পেকুয়া সদর ইউনিয়নের শেখের কিল্লাঘোনা গ্রামের বাসিন্দা মো. সাহাব উদ্দিনের ছেলে ও সাউদার্ন ইউনিভার্সিটির এলএলবির শিক্ষার্থী। ফাহিম পেকুয়া সদরে একটি কোচিং সেন্টার পরিচালনা করেন।

পুলিশ ও ফাহিমের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মারামারি মামলায় পরোয়ানায় গত শনিবার রাতে ফাহিমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গতকাল রোববার পেকুয়া থানা-পুলিশের একটি দল কোমরে রশি বেঁধে ও হাতকড়া পরিয়ে তাঁকে আদালতে হাজির করে। হাজির করা হলে আদালত তাঁর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কক্সবাজার জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

ফাহিমের বাবা শাহাব উদ্দিন বলেন, ‘গত ডিসেম্বরের শুরুতে আমার ছোট ছেলের সঙ্গে মারামারির ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে ৯৯৯-এ ফোন করা হলে পুলিশ এসে আমার ছেলেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়। পরে ফাহিম বাদী হয়ে মামলা করে। এরপর প্রতিপক্ষের লোক গোপনে আদালতে মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে মামলা করলে ওয়ারেন্ট হয়। কিন্তু তা কেউ জানত না। সে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ও শিক্ষক হিসেবে কোচিং সেন্টারে পরিচালনা করে। কিন্তু তাকে এভাবে দাগি আসামির মতো কোমরে রশি বেঁধে আদালতে নেওয়া দৃষ্টিকটু।’

পেকুয়া থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) রইস উদ্দিন বলেন, ‘একটি মামলায় ফাহিমের বিরুদ্ধে আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল। আমরা শুধু ওয়ারেন্ট তামিল করেছি। আদালতে পাঠানোর বিষয়ে কিছু জানা নেই।’

এ ব্যাপারে পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইলিয়াস গতকাল রোববার রাতে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নিরাপত্তা বলয়ে আসামিকে থানা থেকে আদালতে নেওয়া হয়েছে।’ 

দাগি আসামি নয়, হাতকড়া পরানোর পরও কোমরে দড়ি বাঁধার কারণ জানতে চাইলে ওসি মোহাম্মদ ইলিয়াস উত্তেজিত হয়ে বলেন, ‘আপনাকে তো বললাম, তারপরও আপনি পেঁচিয়ে প্রশ্ন করছেন। আপনার এ বিষয়ে ধারণা নেই। কারও কাছ থেকে ধারণা নিয়ে জানতে চাইবেন।’

জানতে চাইলে চকরিয়া সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) এম এম রকীব উর রাজা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আসামি গ্রেপ্তার ও কোমরে রশি বেঁধে আদালতে পাঠানোর বিষয় আমাকে কেউ জানায়নি। আপনার কাছ থেকে শুনলাম। ছবিটি দেখেছি, খবর নিচ্ছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

অরকার আক্রমণে তরুণী প্রশিক্ষকের মৃত্যু, ভাইরাল ভিডিওটি সম্পর্কে যা জানা গেল

অস্থিরতার সামান্য ইঙ্গিত পেলেই আমরা চলে যাব

ভারতকে পাকিস্তানি সেনাপ্রধানের পারমাণবিক যুদ্ধের হুমকি, যা বলল যুক্তরাষ্ট্র

প্লট–ফ্ল্যাট বরাদ্দে সচিব, এমপি, মন্ত্রী, বিচারপতিসহ যাঁদের কোটা বাতিল

জর্ডান-মিসরকে নিয়ে বৃহত্তর ইসরায়েল প্রতিষ্ঠা করতে চান নেতানিয়াহু

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত