চাঁদপুর প্রতিনিধি

‘প্রতিদিনই এশার নামাজ পড়তে মসজিদে যাওয়ার সময় বলে যায়। এদিনও মসজিদে গিয়েছে, কিন্তু আমার কাছে বলে যায়নি। তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি এলাকায়। পরে লোকজন বাসার সামনে নিয়ে আসে। কিন্তু রক্তভেজা শরীরে। তার অবস্থা দেখে আমি অজ্ঞান হয়ে যাই। আমার একমাত্র ছেলে। কেন তাকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে?’
এভাবে কাঁদতে কাঁদতে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১৬ বছর বয়সী কিশোর সাইমনের কথা বলছিলেন তার মা এবং চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ পৌর এলাকার মকিমাবাদ এলাকার বাসিন্দা বিউটি আক্তার। গত শুক্রবার রাতের ওই সংঘর্ষে আহত সাইমন ঢাকার এক হাসপাতালে মারা যান পরদিন শনিবার রাতে।
গতকাল রোববার রাতে হাজীগঞ্জ পৌর এলাকার মিঠানিয়া ব্রিজসংলগ্ন একটি পাঁচতলা ভবনে সাইমনদের ভাড়া বাসায় কথা হয় তাঁর মা-বাবার সঙ্গে। এদিন সন্ধ্যা ৬টার দিকে সাইমনের গ্রামের বাড়ি ফরিদগঞ্জ উপজেলার সুবিদপুর ইউনিয়নের দিকদাই গ্রামের সরদারবাড়িতে তাকে দাফন করা হয়। সেখান থেকেই বাবা-মা বাসায় আসেন। একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে শোকাহত এবং অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। অনেক অনুরোধের পর রাজি হন কথা বলতে।
বিউটি আক্তার বলেন, ‘স্বপ্ন ছিল ছেলে কোরআনের হাফেজ হবে। যে কারণে দুই বছর আগে এলাকার সাউদুল কুরআন হিফজ মাদ্রাসায় ভর্তি করাই। সেখানে হিফজ বিভাগে পড়াশোনা করত। ঘটনার দিন শুক্রবার দুপুরে আমার ছেলে খুব আনন্দ-উল্লাস করছিল। তখন বাসার প্রতিবেশীরা বলছিল সাইমন খুব দুষ্টুমি করে, তার কোনো বিপদ হতে পারে। কিন্তু এসব আমি কিছুই মনে করিনি। কিন্তু সত্যি সত্যি আমি ছেলেকে হারিয়ে ফেললাম। আর কোনো দিন সাইমন আমাকে মা বলে ডাকবে না।’
তিনি বলেন, ‘সাইমনের বয়স যখন ৯ বছর, তখন ওর বাবা সাইফুল ইসলাম আমাদের ছেড়ে চলে যান। তিনি অন্যত্র বিয়ে করেন। আমার সঙ্গে ডিভোর্স হয়। ওই বয়সে সাইমনকে নিয়ে আমি বাপের বাড়িতে চলে আসি। তিন বছর আগে মো. ইউনুছের সঙ্গে বিয়ে হয় আমার।’
মো. ইউনুছের বাড়ি চাঁদপুর সদর উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের চরবাকিলা গ্রামে। দ্বিতীয় বিয়ের পর থেকে হাজীগঞ্জের এই বাসায় ভাড়া থাকেন এই দম্পতি। ইউনুছ রাজমিস্ত্রি কাজ করে সংসার চালান।
আবারও কান্নাজড়িত কণ্ঠে বিউটি বলেন, ‘গত সাত বছর আমার ছেলের খোঁজ নেয়নি তার জন্মদাতা। আমি মানুষের বাসায় কাজ করে ছেলেকে লালন-পালন করেছি। আমার স্বপ্নই ছিল ছেলে হাফেজ ও আলেম হবে। আমরা সেই স্বপ্ন ভেঙে চুরমার। আমার মা-বাবা নেই। আমরা পাঁচ বোন। আমার কোনো ভাই নেই।’
সাইমনের সৎবাবা ইউনুছ বলেন, ‘সাইমন হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক জামে মসজিদে এশার নামাজ পড়তে আসে। আমিও সেখানে এশার নামাজ আদায় করতে যাই। মসজিদে থাকতেই একজন পরিচিত ব্যক্তি ফোন দিয়ে জানাল সংঘর্ষে সাইমন আহত হয়েছে। তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় কুমিল্লা নিয়ে যাই। রাতেই কুমিল্লা থেকে পাঠায় রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসারত অবস্থায় শনিবার সন্ধ্যায় ৭টায় সাইমন মারা যায়। সেখানে হাসপাতালের খরচ আসে সব মিলিয়ে প্রায় ৭২ হাজার টাকা। এলাকার লোকজনের সহযোগিতায় হাসপাতালের বিল পরিশোধ করে ঢাকা থেকে চাঁদপুরে আসি।’
তিনি আরও বলেন, ‘রোববার দুপুরে সাইমনের মরদেহ ঢাকার হাসপাতাল থেকে নিয়ে হাজীগঞ্জ থানায় এলে ময়নাতদন্তের জন্য দুপুরে চাঁদপুর মর্গে পাঠায়। ময়নাতদন্ত শেষে গ্রামের বাড়ি ফরিদগঞ্জ দিকদাইর সরদারবাড়িতে জানাজা শেষে সাইমনকে দাফন করা হয়।’
হত্যার ঘটনা সম্পর্কে ইউনুছ বলেন, ‘তখন বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ চলছিল। নামাজ শেষে বাসায় আসার জন্য বের হয়। কিন্তু দুই পক্ষের মারামারি দেখে বড় মসজিদের গেটের সামনে রাস্তার পাশে দাঁড়ায়। একপর্যায়ে বাসার দিকে হাঁটা শুরু করলে তাকে পেছন থেকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা ও পিঠে কোপ দেয়। তলপেটেও আঘাত করা হয়। তখন সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে মৃত্যুযন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিল। ওই অবস্থায় লোকজন আমাকে ফোন দিয়ে জানায়।’
এদিকে সাইমন হত্যার ঘটনায় জনৈক সাইফুল ইসলাম নামে মামা পরিচয়ের ব্যক্তি হাজীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন বলে নিশ্চিত করেছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুক। তিনি বলেন, ‘মামলায় ৩০০ থেকে ৪০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।’
সাইমন হত্যার বিষয়ে মা-বাবা কেউই কোনো ধরনের মামলা করেননি নিশ্চিত করে তার মা বিউটি বেগম জানান, তার কোনো ভাই নেই। বাবা ইউনুছ এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘আমরা ওসিকে জানিয়েছি এ ঘটনায় মামলা করব না।’

‘প্রতিদিনই এশার নামাজ পড়তে মসজিদে যাওয়ার সময় বলে যায়। এদিনও মসজিদে গিয়েছে, কিন্তু আমার কাছে বলে যায়নি। তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি এলাকায়। পরে লোকজন বাসার সামনে নিয়ে আসে। কিন্তু রক্তভেজা শরীরে। তার অবস্থা দেখে আমি অজ্ঞান হয়ে যাই। আমার একমাত্র ছেলে। কেন তাকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে?’
এভাবে কাঁদতে কাঁদতে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১৬ বছর বয়সী কিশোর সাইমনের কথা বলছিলেন তার মা এবং চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ পৌর এলাকার মকিমাবাদ এলাকার বাসিন্দা বিউটি আক্তার। গত শুক্রবার রাতের ওই সংঘর্ষে আহত সাইমন ঢাকার এক হাসপাতালে মারা যান পরদিন শনিবার রাতে।
গতকাল রোববার রাতে হাজীগঞ্জ পৌর এলাকার মিঠানিয়া ব্রিজসংলগ্ন একটি পাঁচতলা ভবনে সাইমনদের ভাড়া বাসায় কথা হয় তাঁর মা-বাবার সঙ্গে। এদিন সন্ধ্যা ৬টার দিকে সাইমনের গ্রামের বাড়ি ফরিদগঞ্জ উপজেলার সুবিদপুর ইউনিয়নের দিকদাই গ্রামের সরদারবাড়িতে তাকে দাফন করা হয়। সেখান থেকেই বাবা-মা বাসায় আসেন। একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে শোকাহত এবং অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। অনেক অনুরোধের পর রাজি হন কথা বলতে।
বিউটি আক্তার বলেন, ‘স্বপ্ন ছিল ছেলে কোরআনের হাফেজ হবে। যে কারণে দুই বছর আগে এলাকার সাউদুল কুরআন হিফজ মাদ্রাসায় ভর্তি করাই। সেখানে হিফজ বিভাগে পড়াশোনা করত। ঘটনার দিন শুক্রবার দুপুরে আমার ছেলে খুব আনন্দ-উল্লাস করছিল। তখন বাসার প্রতিবেশীরা বলছিল সাইমন খুব দুষ্টুমি করে, তার কোনো বিপদ হতে পারে। কিন্তু এসব আমি কিছুই মনে করিনি। কিন্তু সত্যি সত্যি আমি ছেলেকে হারিয়ে ফেললাম। আর কোনো দিন সাইমন আমাকে মা বলে ডাকবে না।’
তিনি বলেন, ‘সাইমনের বয়স যখন ৯ বছর, তখন ওর বাবা সাইফুল ইসলাম আমাদের ছেড়ে চলে যান। তিনি অন্যত্র বিয়ে করেন। আমার সঙ্গে ডিভোর্স হয়। ওই বয়সে সাইমনকে নিয়ে আমি বাপের বাড়িতে চলে আসি। তিন বছর আগে মো. ইউনুছের সঙ্গে বিয়ে হয় আমার।’
মো. ইউনুছের বাড়ি চাঁদপুর সদর উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের চরবাকিলা গ্রামে। দ্বিতীয় বিয়ের পর থেকে হাজীগঞ্জের এই বাসায় ভাড়া থাকেন এই দম্পতি। ইউনুছ রাজমিস্ত্রি কাজ করে সংসার চালান।
আবারও কান্নাজড়িত কণ্ঠে বিউটি বলেন, ‘গত সাত বছর আমার ছেলের খোঁজ নেয়নি তার জন্মদাতা। আমি মানুষের বাসায় কাজ করে ছেলেকে লালন-পালন করেছি। আমার স্বপ্নই ছিল ছেলে হাফেজ ও আলেম হবে। আমরা সেই স্বপ্ন ভেঙে চুরমার। আমার মা-বাবা নেই। আমরা পাঁচ বোন। আমার কোনো ভাই নেই।’
সাইমনের সৎবাবা ইউনুছ বলেন, ‘সাইমন হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক জামে মসজিদে এশার নামাজ পড়তে আসে। আমিও সেখানে এশার নামাজ আদায় করতে যাই। মসজিদে থাকতেই একজন পরিচিত ব্যক্তি ফোন দিয়ে জানাল সংঘর্ষে সাইমন আহত হয়েছে। তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় কুমিল্লা নিয়ে যাই। রাতেই কুমিল্লা থেকে পাঠায় রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসারত অবস্থায় শনিবার সন্ধ্যায় ৭টায় সাইমন মারা যায়। সেখানে হাসপাতালের খরচ আসে সব মিলিয়ে প্রায় ৭২ হাজার টাকা। এলাকার লোকজনের সহযোগিতায় হাসপাতালের বিল পরিশোধ করে ঢাকা থেকে চাঁদপুরে আসি।’
তিনি আরও বলেন, ‘রোববার দুপুরে সাইমনের মরদেহ ঢাকার হাসপাতাল থেকে নিয়ে হাজীগঞ্জ থানায় এলে ময়নাতদন্তের জন্য দুপুরে চাঁদপুর মর্গে পাঠায়। ময়নাতদন্ত শেষে গ্রামের বাড়ি ফরিদগঞ্জ দিকদাইর সরদারবাড়িতে জানাজা শেষে সাইমনকে দাফন করা হয়।’
হত্যার ঘটনা সম্পর্কে ইউনুছ বলেন, ‘তখন বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ চলছিল। নামাজ শেষে বাসায় আসার জন্য বের হয়। কিন্তু দুই পক্ষের মারামারি দেখে বড় মসজিদের গেটের সামনে রাস্তার পাশে দাঁড়ায়। একপর্যায়ে বাসার দিকে হাঁটা শুরু করলে তাকে পেছন থেকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা ও পিঠে কোপ দেয়। তলপেটেও আঘাত করা হয়। তখন সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে মৃত্যুযন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিল। ওই অবস্থায় লোকজন আমাকে ফোন দিয়ে জানায়।’
এদিকে সাইমন হত্যার ঘটনায় জনৈক সাইফুল ইসলাম নামে মামা পরিচয়ের ব্যক্তি হাজীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন বলে নিশ্চিত করেছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুক। তিনি বলেন, ‘মামলায় ৩০০ থেকে ৪০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।’
সাইমন হত্যার বিষয়ে মা-বাবা কেউই কোনো ধরনের মামলা করেননি নিশ্চিত করে তার মা বিউটি বেগম জানান, তার কোনো ভাই নেই। বাবা ইউনুছ এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘আমরা ওসিকে জানিয়েছি এ ঘটনায় মামলা করব না।’
চাঁদপুর প্রতিনিধি

‘প্রতিদিনই এশার নামাজ পড়তে মসজিদে যাওয়ার সময় বলে যায়। এদিনও মসজিদে গিয়েছে, কিন্তু আমার কাছে বলে যায়নি। তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি এলাকায়। পরে লোকজন বাসার সামনে নিয়ে আসে। কিন্তু রক্তভেজা শরীরে। তার অবস্থা দেখে আমি অজ্ঞান হয়ে যাই। আমার একমাত্র ছেলে। কেন তাকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে?’
এভাবে কাঁদতে কাঁদতে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১৬ বছর বয়সী কিশোর সাইমনের কথা বলছিলেন তার মা এবং চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ পৌর এলাকার মকিমাবাদ এলাকার বাসিন্দা বিউটি আক্তার। গত শুক্রবার রাতের ওই সংঘর্ষে আহত সাইমন ঢাকার এক হাসপাতালে মারা যান পরদিন শনিবার রাতে।
গতকাল রোববার রাতে হাজীগঞ্জ পৌর এলাকার মিঠানিয়া ব্রিজসংলগ্ন একটি পাঁচতলা ভবনে সাইমনদের ভাড়া বাসায় কথা হয় তাঁর মা-বাবার সঙ্গে। এদিন সন্ধ্যা ৬টার দিকে সাইমনের গ্রামের বাড়ি ফরিদগঞ্জ উপজেলার সুবিদপুর ইউনিয়নের দিকদাই গ্রামের সরদারবাড়িতে তাকে দাফন করা হয়। সেখান থেকেই বাবা-মা বাসায় আসেন। একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে শোকাহত এবং অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। অনেক অনুরোধের পর রাজি হন কথা বলতে।
বিউটি আক্তার বলেন, ‘স্বপ্ন ছিল ছেলে কোরআনের হাফেজ হবে। যে কারণে দুই বছর আগে এলাকার সাউদুল কুরআন হিফজ মাদ্রাসায় ভর্তি করাই। সেখানে হিফজ বিভাগে পড়াশোনা করত। ঘটনার দিন শুক্রবার দুপুরে আমার ছেলে খুব আনন্দ-উল্লাস করছিল। তখন বাসার প্রতিবেশীরা বলছিল সাইমন খুব দুষ্টুমি করে, তার কোনো বিপদ হতে পারে। কিন্তু এসব আমি কিছুই মনে করিনি। কিন্তু সত্যি সত্যি আমি ছেলেকে হারিয়ে ফেললাম। আর কোনো দিন সাইমন আমাকে মা বলে ডাকবে না।’
তিনি বলেন, ‘সাইমনের বয়স যখন ৯ বছর, তখন ওর বাবা সাইফুল ইসলাম আমাদের ছেড়ে চলে যান। তিনি অন্যত্র বিয়ে করেন। আমার সঙ্গে ডিভোর্স হয়। ওই বয়সে সাইমনকে নিয়ে আমি বাপের বাড়িতে চলে আসি। তিন বছর আগে মো. ইউনুছের সঙ্গে বিয়ে হয় আমার।’
মো. ইউনুছের বাড়ি চাঁদপুর সদর উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের চরবাকিলা গ্রামে। দ্বিতীয় বিয়ের পর থেকে হাজীগঞ্জের এই বাসায় ভাড়া থাকেন এই দম্পতি। ইউনুছ রাজমিস্ত্রি কাজ করে সংসার চালান।
আবারও কান্নাজড়িত কণ্ঠে বিউটি বলেন, ‘গত সাত বছর আমার ছেলের খোঁজ নেয়নি তার জন্মদাতা। আমি মানুষের বাসায় কাজ করে ছেলেকে লালন-পালন করেছি। আমার স্বপ্নই ছিল ছেলে হাফেজ ও আলেম হবে। আমরা সেই স্বপ্ন ভেঙে চুরমার। আমার মা-বাবা নেই। আমরা পাঁচ বোন। আমার কোনো ভাই নেই।’
সাইমনের সৎবাবা ইউনুছ বলেন, ‘সাইমন হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক জামে মসজিদে এশার নামাজ পড়তে আসে। আমিও সেখানে এশার নামাজ আদায় করতে যাই। মসজিদে থাকতেই একজন পরিচিত ব্যক্তি ফোন দিয়ে জানাল সংঘর্ষে সাইমন আহত হয়েছে। তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় কুমিল্লা নিয়ে যাই। রাতেই কুমিল্লা থেকে পাঠায় রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসারত অবস্থায় শনিবার সন্ধ্যায় ৭টায় সাইমন মারা যায়। সেখানে হাসপাতালের খরচ আসে সব মিলিয়ে প্রায় ৭২ হাজার টাকা। এলাকার লোকজনের সহযোগিতায় হাসপাতালের বিল পরিশোধ করে ঢাকা থেকে চাঁদপুরে আসি।’
তিনি আরও বলেন, ‘রোববার দুপুরে সাইমনের মরদেহ ঢাকার হাসপাতাল থেকে নিয়ে হাজীগঞ্জ থানায় এলে ময়নাতদন্তের জন্য দুপুরে চাঁদপুর মর্গে পাঠায়। ময়নাতদন্ত শেষে গ্রামের বাড়ি ফরিদগঞ্জ দিকদাইর সরদারবাড়িতে জানাজা শেষে সাইমনকে দাফন করা হয়।’
হত্যার ঘটনা সম্পর্কে ইউনুছ বলেন, ‘তখন বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ চলছিল। নামাজ শেষে বাসায় আসার জন্য বের হয়। কিন্তু দুই পক্ষের মারামারি দেখে বড় মসজিদের গেটের সামনে রাস্তার পাশে দাঁড়ায়। একপর্যায়ে বাসার দিকে হাঁটা শুরু করলে তাকে পেছন থেকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা ও পিঠে কোপ দেয়। তলপেটেও আঘাত করা হয়। তখন সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে মৃত্যুযন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিল। ওই অবস্থায় লোকজন আমাকে ফোন দিয়ে জানায়।’
এদিকে সাইমন হত্যার ঘটনায় জনৈক সাইফুল ইসলাম নামে মামা পরিচয়ের ব্যক্তি হাজীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন বলে নিশ্চিত করেছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুক। তিনি বলেন, ‘মামলায় ৩০০ থেকে ৪০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।’
সাইমন হত্যার বিষয়ে মা-বাবা কেউই কোনো ধরনের মামলা করেননি নিশ্চিত করে তার মা বিউটি বেগম জানান, তার কোনো ভাই নেই। বাবা ইউনুছ এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘আমরা ওসিকে জানিয়েছি এ ঘটনায় মামলা করব না।’

‘প্রতিদিনই এশার নামাজ পড়তে মসজিদে যাওয়ার সময় বলে যায়। এদিনও মসজিদে গিয়েছে, কিন্তু আমার কাছে বলে যায়নি। তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি এলাকায়। পরে লোকজন বাসার সামনে নিয়ে আসে। কিন্তু রক্তভেজা শরীরে। তার অবস্থা দেখে আমি অজ্ঞান হয়ে যাই। আমার একমাত্র ছেলে। কেন তাকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে?’
এভাবে কাঁদতে কাঁদতে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১৬ বছর বয়সী কিশোর সাইমনের কথা বলছিলেন তার মা এবং চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ পৌর এলাকার মকিমাবাদ এলাকার বাসিন্দা বিউটি আক্তার। গত শুক্রবার রাতের ওই সংঘর্ষে আহত সাইমন ঢাকার এক হাসপাতালে মারা যান পরদিন শনিবার রাতে।
গতকাল রোববার রাতে হাজীগঞ্জ পৌর এলাকার মিঠানিয়া ব্রিজসংলগ্ন একটি পাঁচতলা ভবনে সাইমনদের ভাড়া বাসায় কথা হয় তাঁর মা-বাবার সঙ্গে। এদিন সন্ধ্যা ৬টার দিকে সাইমনের গ্রামের বাড়ি ফরিদগঞ্জ উপজেলার সুবিদপুর ইউনিয়নের দিকদাই গ্রামের সরদারবাড়িতে তাকে দাফন করা হয়। সেখান থেকেই বাবা-মা বাসায় আসেন। একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে শোকাহত এবং অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। অনেক অনুরোধের পর রাজি হন কথা বলতে।
বিউটি আক্তার বলেন, ‘স্বপ্ন ছিল ছেলে কোরআনের হাফেজ হবে। যে কারণে দুই বছর আগে এলাকার সাউদুল কুরআন হিফজ মাদ্রাসায় ভর্তি করাই। সেখানে হিফজ বিভাগে পড়াশোনা করত। ঘটনার দিন শুক্রবার দুপুরে আমার ছেলে খুব আনন্দ-উল্লাস করছিল। তখন বাসার প্রতিবেশীরা বলছিল সাইমন খুব দুষ্টুমি করে, তার কোনো বিপদ হতে পারে। কিন্তু এসব আমি কিছুই মনে করিনি। কিন্তু সত্যি সত্যি আমি ছেলেকে হারিয়ে ফেললাম। আর কোনো দিন সাইমন আমাকে মা বলে ডাকবে না।’
তিনি বলেন, ‘সাইমনের বয়স যখন ৯ বছর, তখন ওর বাবা সাইফুল ইসলাম আমাদের ছেড়ে চলে যান। তিনি অন্যত্র বিয়ে করেন। আমার সঙ্গে ডিভোর্স হয়। ওই বয়সে সাইমনকে নিয়ে আমি বাপের বাড়িতে চলে আসি। তিন বছর আগে মো. ইউনুছের সঙ্গে বিয়ে হয় আমার।’
মো. ইউনুছের বাড়ি চাঁদপুর সদর উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের চরবাকিলা গ্রামে। দ্বিতীয় বিয়ের পর থেকে হাজীগঞ্জের এই বাসায় ভাড়া থাকেন এই দম্পতি। ইউনুছ রাজমিস্ত্রি কাজ করে সংসার চালান।
আবারও কান্নাজড়িত কণ্ঠে বিউটি বলেন, ‘গত সাত বছর আমার ছেলের খোঁজ নেয়নি তার জন্মদাতা। আমি মানুষের বাসায় কাজ করে ছেলেকে লালন-পালন করেছি। আমার স্বপ্নই ছিল ছেলে হাফেজ ও আলেম হবে। আমরা সেই স্বপ্ন ভেঙে চুরমার। আমার মা-বাবা নেই। আমরা পাঁচ বোন। আমার কোনো ভাই নেই।’
সাইমনের সৎবাবা ইউনুছ বলেন, ‘সাইমন হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক জামে মসজিদে এশার নামাজ পড়তে আসে। আমিও সেখানে এশার নামাজ আদায় করতে যাই। মসজিদে থাকতেই একজন পরিচিত ব্যক্তি ফোন দিয়ে জানাল সংঘর্ষে সাইমন আহত হয়েছে। তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় কুমিল্লা নিয়ে যাই। রাতেই কুমিল্লা থেকে পাঠায় রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসারত অবস্থায় শনিবার সন্ধ্যায় ৭টায় সাইমন মারা যায়। সেখানে হাসপাতালের খরচ আসে সব মিলিয়ে প্রায় ৭২ হাজার টাকা। এলাকার লোকজনের সহযোগিতায় হাসপাতালের বিল পরিশোধ করে ঢাকা থেকে চাঁদপুরে আসি।’
তিনি আরও বলেন, ‘রোববার দুপুরে সাইমনের মরদেহ ঢাকার হাসপাতাল থেকে নিয়ে হাজীগঞ্জ থানায় এলে ময়নাতদন্তের জন্য দুপুরে চাঁদপুর মর্গে পাঠায়। ময়নাতদন্ত শেষে গ্রামের বাড়ি ফরিদগঞ্জ দিকদাইর সরদারবাড়িতে জানাজা শেষে সাইমনকে দাফন করা হয়।’
হত্যার ঘটনা সম্পর্কে ইউনুছ বলেন, ‘তখন বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ চলছিল। নামাজ শেষে বাসায় আসার জন্য বের হয়। কিন্তু দুই পক্ষের মারামারি দেখে বড় মসজিদের গেটের সামনে রাস্তার পাশে দাঁড়ায়। একপর্যায়ে বাসার দিকে হাঁটা শুরু করলে তাকে পেছন থেকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা ও পিঠে কোপ দেয়। তলপেটেও আঘাত করা হয়। তখন সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে মৃত্যুযন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিল। ওই অবস্থায় লোকজন আমাকে ফোন দিয়ে জানায়।’
এদিকে সাইমন হত্যার ঘটনায় জনৈক সাইফুল ইসলাম নামে মামা পরিচয়ের ব্যক্তি হাজীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন বলে নিশ্চিত করেছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুক। তিনি বলেন, ‘মামলায় ৩০০ থেকে ৪০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।’
সাইমন হত্যার বিষয়ে মা-বাবা কেউই কোনো ধরনের মামলা করেননি নিশ্চিত করে তার মা বিউটি বেগম জানান, তার কোনো ভাই নেই। বাবা ইউনুছ এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘আমরা ওসিকে জানিয়েছি এ ঘটনায় মামলা করব না।’

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, যাত্রীবাহী লঞ্চের সঙ্গে বাল্কহেডের সংঘর্ষ হয়। কিছুক্ষণের মধ্যে বাল্কহেডটি নদীতে ডুবে যায়। ভিডিওতে দেখা যায়, বাল্কহেডে থাকা স্টাফরা নদীতে লাফ দিয়ে বাঁচার চেষ্টা করছেন।
৫ মিনিট আগে
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় প্রাইভেট কার থামিয়ে দেশীয় অস্ত্রধারী ডাকাতেরা নগদ টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে। শনিবার দিবাগত রাতে উপজেলার মোকারিমপুর ইউনিয়নের মনিপার্ক এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
২০ মিনিট আগে
ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানগুলোর মধ্যে রয়েছে পারভেজ সওদাগরের দোকান, মনু বেকারি, সেলিম বেকারি, সেলিম সওদাগরের দোকান, সেলিম সওদাগরের গুদাম এবং একটি সেলুন। এতে প্রায় ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
৩৪ মিনিট আগে
রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বড় আলমপুর ইউনিয়নের মক্তাগাড়ি গ্রাম থেকে ওমরপুরগামী কাঁচা রাস্তার পাশে ধানখেত থেকে এক অটোভ্যানচালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত ব্যক্তি হলেন উপজেলার চতরা ইউনিয়নের সোনাতলা গোবিন্দপাড়া গ্রামের মোয়াজ্জেম আলীর ছেলে নুরুল ইসলাম (৫৫)।
১ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

ফতুল্লার বুড়িগঙ্গা নদীতে রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় যাত্রীবাহী লঞ্চের ধাক্কায় একটি বাল্কহেড ডুবে গেছে। নৌ পুলিশ এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, যাত্রীবাহী লঞ্চের সঙ্গে বাল্কহেডের সংঘর্ষ হয়। কিছুক্ষণের মধ্যে বাল্কহেডটি নদীতে ডুবে যায়। ভিডিওতে দেখা যায়, বাল্কহেডে থাকা স্টাফরা নদীতে লাফ দিয়ে বাঁচার চেষ্টা করছেন।
নৌ পুলিশের উপপরিদর্শক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, সদরঘাট থেকে ভোলাগামী ‘বোগদাদীয়া-১৩’ লঞ্চটি ফতুল্লার বুড়িগঙ্গা অংশে পৌঁছালে একটি বালুবাহী বাল্কহেডের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে বাল্কহেডটি ডুবে যায়। তবে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। ধাক্কা দেওয়া লঞ্চটিকে পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
প্রতক্ষ্যদর্শী শেখ সাদ্দাম বলেন, ‘নদীপারাপারের সময় দুর্ঘটনাটি দেখেছি। সঙ্গে সঙ্গে আমার মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করেছি।’

ফতুল্লার বুড়িগঙ্গা নদীতে রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় যাত্রীবাহী লঞ্চের ধাক্কায় একটি বাল্কহেড ডুবে গেছে। নৌ পুলিশ এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, যাত্রীবাহী লঞ্চের সঙ্গে বাল্কহেডের সংঘর্ষ হয়। কিছুক্ষণের মধ্যে বাল্কহেডটি নদীতে ডুবে যায়। ভিডিওতে দেখা যায়, বাল্কহেডে থাকা স্টাফরা নদীতে লাফ দিয়ে বাঁচার চেষ্টা করছেন।
নৌ পুলিশের উপপরিদর্শক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, সদরঘাট থেকে ভোলাগামী ‘বোগদাদীয়া-১৩’ লঞ্চটি ফতুল্লার বুড়িগঙ্গা অংশে পৌঁছালে একটি বালুবাহী বাল্কহেডের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে বাল্কহেডটি ডুবে যায়। তবে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। ধাক্কা দেওয়া লঞ্চটিকে পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
প্রতক্ষ্যদর্শী শেখ সাদ্দাম বলেন, ‘নদীপারাপারের সময় দুর্ঘটনাটি দেখেছি। সঙ্গে সঙ্গে আমার মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করেছি।’

‘প্রতিদিনই এশার নামাজ পড়তে মসজিদে যাওয়ার সময় বলে যায়। এদিনও মসজিদে গেছে, কিন্তু আমার কাছে বলে যায়নি। তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি এলাকায়। রাত ৮টার পরে লোকজন বাসার সামনে নিয়ে আসে। কিন্তু রক্তভেজা শরীরে। তার অবস্থা দেখে আমি অজ্ঞান হয়ে যাই। আমার একমাত্র ছেলে। কেন তাকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে?’
২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় প্রাইভেট কার থামিয়ে দেশীয় অস্ত্রধারী ডাকাতেরা নগদ টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে। শনিবার দিবাগত রাতে উপজেলার মোকারিমপুর ইউনিয়নের মনিপার্ক এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
২০ মিনিট আগে
ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানগুলোর মধ্যে রয়েছে পারভেজ সওদাগরের দোকান, মনু বেকারি, সেলিম বেকারি, সেলিম সওদাগরের দোকান, সেলিম সওদাগরের গুদাম এবং একটি সেলুন। এতে প্রায় ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
৩৪ মিনিট আগে
রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বড় আলমপুর ইউনিয়নের মক্তাগাড়ি গ্রাম থেকে ওমরপুরগামী কাঁচা রাস্তার পাশে ধানখেত থেকে এক অটোভ্যানচালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত ব্যক্তি হলেন উপজেলার চতরা ইউনিয়নের সোনাতলা গোবিন্দপাড়া গ্রামের মোয়াজ্জেম আলীর ছেলে নুরুল ইসলাম (৫৫)।
১ ঘণ্টা আগেকুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় প্রাইভেট কার থামিয়ে দেশীয় অস্ত্রধারী ডাকাতেরা নগদ টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে। শনিবার দিবাগত রাতে উপজেলার মোকারিমপুর ইউনিয়নের মনিপার্ক এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
প্রাইভেট কারটির মালিক শিমুল জানান, পার্শ্ববর্তী ঈশ্বরদী থেকে রাতে গাড়ির জ্বালানি গ্যাস নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে মনিপার্ক এলাকায় পৌঁছালে কয়েকজন ডাকাত গাড়িটি লক্ষ্য করে তাড়া করে। অস্ত্রের মুখে তারা গাড়িতে থাকা ৩২ হাজার ৮০০ টাকা ছিনিয়ে নেয়। এ সময় চালক হিমেলকে মারধর করা হয়।
ডাকাতির ঘটনা প্রাইভেট কারে থাকা বাপ্পি নামের এক যাত্রী ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেন। ভিডিওটি মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়। শিমুল জানিয়েছেন, এই ঘটনায় ভেড়ামারা থানায় লিখিত অভিযোগ ও মামলা করা হবে।
ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুর রহমান বলেন, থানায় এখনো কোনো অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় প্রাইভেট কার থামিয়ে দেশীয় অস্ত্রধারী ডাকাতেরা নগদ টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে। শনিবার দিবাগত রাতে উপজেলার মোকারিমপুর ইউনিয়নের মনিপার্ক এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
প্রাইভেট কারটির মালিক শিমুল জানান, পার্শ্ববর্তী ঈশ্বরদী থেকে রাতে গাড়ির জ্বালানি গ্যাস নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে মনিপার্ক এলাকায় পৌঁছালে কয়েকজন ডাকাত গাড়িটি লক্ষ্য করে তাড়া করে। অস্ত্রের মুখে তারা গাড়িতে থাকা ৩২ হাজার ৮০০ টাকা ছিনিয়ে নেয়। এ সময় চালক হিমেলকে মারধর করা হয়।
ডাকাতির ঘটনা প্রাইভেট কারে থাকা বাপ্পি নামের এক যাত্রী ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেন। ভিডিওটি মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়। শিমুল জানিয়েছেন, এই ঘটনায় ভেড়ামারা থানায় লিখিত অভিযোগ ও মামলা করা হবে।
ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুর রহমান বলেন, থানায় এখনো কোনো অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

‘প্রতিদিনই এশার নামাজ পড়তে মসজিদে যাওয়ার সময় বলে যায়। এদিনও মসজিদে গেছে, কিন্তু আমার কাছে বলে যায়নি। তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি এলাকায়। রাত ৮টার পরে লোকজন বাসার সামনে নিয়ে আসে। কিন্তু রক্তভেজা শরীরে। তার অবস্থা দেখে আমি অজ্ঞান হয়ে যাই। আমার একমাত্র ছেলে। কেন তাকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে?’
২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, যাত্রীবাহী লঞ্চের সঙ্গে বাল্কহেডের সংঘর্ষ হয়। কিছুক্ষণের মধ্যে বাল্কহেডটি নদীতে ডুবে যায়। ভিডিওতে দেখা যায়, বাল্কহেডে থাকা স্টাফরা নদীতে লাফ দিয়ে বাঁচার চেষ্টা করছেন।
৫ মিনিট আগে
ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানগুলোর মধ্যে রয়েছে পারভেজ সওদাগরের দোকান, মনু বেকারি, সেলিম বেকারি, সেলিম সওদাগরের দোকান, সেলিম সওদাগরের গুদাম এবং একটি সেলুন। এতে প্রায় ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
৩৪ মিনিট আগে
রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বড় আলমপুর ইউনিয়নের মক্তাগাড়ি গ্রাম থেকে ওমরপুরগামী কাঁচা রাস্তার পাশে ধানখেত থেকে এক অটোভ্যানচালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত ব্যক্তি হলেন উপজেলার চতরা ইউনিয়নের সোনাতলা গোবিন্দপাড়া গ্রামের মোয়াজ্জেম আলীর ছেলে নুরুল ইসলাম (৫৫)।
১ ঘণ্টা আগেপটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলায় আগুনে গুদামসহ সাতটি দোকান পুড়ে গেছে। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার গৈড়লার টেক এলাকায় এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আগুনে দোকানগুলোর নগদ টাকা ও বিপুল পরিমাণ মালপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তবে কীভাবে আগুনের সূত্রপাত, তা এখনো নিশ্চিত করতে পারেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানগুলোর মধ্যে রয়েছে পারভেজ সওদাগরের দোকান, মনু বেকারি, সেলিম বেকারি, সেলিম সওদাগরের দোকান, সেলিম সওদাগরের গুদাম এবং একটি সেলুন। এতে প্রায় ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী আকিব জাবেদ বলেন, মনু বেকারিতে গ্যাস সংযোগ ছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, গ্যাস লিকেজ থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে।
পটিয়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার রাজেশ বড়ুয়া জানান, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। তা না হলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা ছিল।

চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলায় আগুনে গুদামসহ সাতটি দোকান পুড়ে গেছে। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার গৈড়লার টেক এলাকায় এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আগুনে দোকানগুলোর নগদ টাকা ও বিপুল পরিমাণ মালপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তবে কীভাবে আগুনের সূত্রপাত, তা এখনো নিশ্চিত করতে পারেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানগুলোর মধ্যে রয়েছে পারভেজ সওদাগরের দোকান, মনু বেকারি, সেলিম বেকারি, সেলিম সওদাগরের দোকান, সেলিম সওদাগরের গুদাম এবং একটি সেলুন। এতে প্রায় ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী আকিব জাবেদ বলেন, মনু বেকারিতে গ্যাস সংযোগ ছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, গ্যাস লিকেজ থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে।
পটিয়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার রাজেশ বড়ুয়া জানান, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। তা না হলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা ছিল।

‘প্রতিদিনই এশার নামাজ পড়তে মসজিদে যাওয়ার সময় বলে যায়। এদিনও মসজিদে গেছে, কিন্তু আমার কাছে বলে যায়নি। তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি এলাকায়। রাত ৮টার পরে লোকজন বাসার সামনে নিয়ে আসে। কিন্তু রক্তভেজা শরীরে। তার অবস্থা দেখে আমি অজ্ঞান হয়ে যাই। আমার একমাত্র ছেলে। কেন তাকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে?’
২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, যাত্রীবাহী লঞ্চের সঙ্গে বাল্কহেডের সংঘর্ষ হয়। কিছুক্ষণের মধ্যে বাল্কহেডটি নদীতে ডুবে যায়। ভিডিওতে দেখা যায়, বাল্কহেডে থাকা স্টাফরা নদীতে লাফ দিয়ে বাঁচার চেষ্টা করছেন।
৫ মিনিট আগে
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় প্রাইভেট কার থামিয়ে দেশীয় অস্ত্রধারী ডাকাতেরা নগদ টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে। শনিবার দিবাগত রাতে উপজেলার মোকারিমপুর ইউনিয়নের মনিপার্ক এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
২০ মিনিট আগে
রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বড় আলমপুর ইউনিয়নের মক্তাগাড়ি গ্রাম থেকে ওমরপুরগামী কাঁচা রাস্তার পাশে ধানখেত থেকে এক অটোভ্যানচালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত ব্যক্তি হলেন উপজেলার চতরা ইউনিয়নের সোনাতলা গোবিন্দপাড়া গ্রামের মোয়াজ্জেম আলীর ছেলে নুরুল ইসলাম (৫৫)।
১ ঘণ্টা আগেপীরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি

রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বড় আলমপুর ইউনিয়নের মক্তাগাড়ি গ্রাম থেকে ওমরপুরগামী কাঁচা রাস্তার পাশে ধানখেত থেকে এক অটোভ্যানচালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত ব্যক্তি হলেন উপজেলার চতরা ইউনিয়নের সোনাতলা গোবিন্দপাড়া গ্রামের মোয়াজ্জেম আলীর ছেলে নুরুল ইসলাম (৫৫)।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সকালে ধানখেতে একটি মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দিলে পীরগঞ্জ থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করেছি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।’

রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বড় আলমপুর ইউনিয়নের মক্তাগাড়ি গ্রাম থেকে ওমরপুরগামী কাঁচা রাস্তার পাশে ধানখেত থেকে এক অটোভ্যানচালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত ব্যক্তি হলেন উপজেলার চতরা ইউনিয়নের সোনাতলা গোবিন্দপাড়া গ্রামের মোয়াজ্জেম আলীর ছেলে নুরুল ইসলাম (৫৫)।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সকালে ধানখেতে একটি মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দিলে পীরগঞ্জ থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করেছি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।’

‘প্রতিদিনই এশার নামাজ পড়তে মসজিদে যাওয়ার সময় বলে যায়। এদিনও মসজিদে গেছে, কিন্তু আমার কাছে বলে যায়নি। তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি এলাকায়। রাত ৮টার পরে লোকজন বাসার সামনে নিয়ে আসে। কিন্তু রক্তভেজা শরীরে। তার অবস্থা দেখে আমি অজ্ঞান হয়ে যাই। আমার একমাত্র ছেলে। কেন তাকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে?’
২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, যাত্রীবাহী লঞ্চের সঙ্গে বাল্কহেডের সংঘর্ষ হয়। কিছুক্ষণের মধ্যে বাল্কহেডটি নদীতে ডুবে যায়। ভিডিওতে দেখা যায়, বাল্কহেডে থাকা স্টাফরা নদীতে লাফ দিয়ে বাঁচার চেষ্টা করছেন।
৫ মিনিট আগে
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় প্রাইভেট কার থামিয়ে দেশীয় অস্ত্রধারী ডাকাতেরা নগদ টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে। শনিবার দিবাগত রাতে উপজেলার মোকারিমপুর ইউনিয়নের মনিপার্ক এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
২০ মিনিট আগে
ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানগুলোর মধ্যে রয়েছে পারভেজ সওদাগরের দোকান, মনু বেকারি, সেলিম বেকারি, সেলিম সওদাগরের দোকান, সেলিম সওদাগরের গুদাম এবং একটি সেলুন। এতে প্রায় ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
৩৪ মিনিট আগে