চাঁদপুর (চট্টগ্রাম), প্রতিনিধি
চাঁদপুর শহরের ব্যবসায়ী নারায়ণ ঘোষকে হত্যার দায়ে অভিযুক্ত ছিলেন রাজু চন্দ্র শীল। আসামি রাজু হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে চাঁদপুরের আদালতে গত মঙ্গলবার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এরপর আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করায় আপাতত তাঁর রিমান্ড আবেদন করেনি সিআইডি।
জানা যায়, ঢাকার সিআইডি কর্তৃক আটকের পর রাজুকে সোমবার চাঁদপুর সিআইডির কাছে হস্তান্তর করা হয়। এতে মামলার তদন্ত মডেল থানার পরিবর্তে সিআইডির কাছে হস্তান্তরিত হয়। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে রাজুকে চাঁদপুরের আদালতে সোপর্দ করে সিআইডি।
প্রযুক্তি ব্যবহার করে গত রোববার রাতে ঢাকা সিআইডি’র বিশেষ টিম রাজুকে সিলেট শহর থেকে আটক করে। আটকের পর খুনের রহস্যও উন্মোচন করেছে সিআইডি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃত রাজু জানিয়েছেন, পাওনা টাকার লেনদেনের জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) মামলার প্রধান আসামি রাজু চন্দ্র শীল (৩০) কে আটকের পর হত্যাকাণ্ডের বিস্তারিত তথ্য জানতে পারে। আটককৃত রাজু চাঁদপুর শহরের বিপণিবাগ বাজারের টিপটপ সেলুনের কর্মচারী ছিল। সেই সেলুনেই গত বুধবার দিবাগত রাতে ব্যবসায়ী নারায়ণ ঘোষকে হত্যা করে।
গত বৃহস্পতিবার নারায়ণ চন্দ্র ঘোষের লাশ বিপণীবাগ বাজারের পাবলিক টয়লেটের পাশ থেকে বস্তাবন্দী অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। নিহত নারায়ণ ঘোষ চাঁদপুরের বিভিন্ন দোকানে দীর্ঘদিন ধরে দই-মিষ্টি বিক্রয় করে আসছিলেন। ঘটনার দিন তিনি রাতে পাওনা টাকা আদায়ের জন্য তিনি অভিযুক্ত রাজু চন্দ্র শীলের কাছে যান। এরপরই তাকে হত্যা করা হয়।
এ বিষয়ে বিপণীবাগ বাজারের নৈশপ্রহরী মো. ইসমাইল বলেন, গত বুধবার দিবাগত রাতে ওই বাজারের টিপটপ সেলুনের কর্মচারী রাজু চন্দ্র শীলকে রাত ১টায় দোকানের সাটার খুলে পানি দিয়ে দোকান পরিষ্কার করতে দেখা যায়। তখন তাকে জিজ্ঞেস করলে সে জানায়, ধর্মীয় উৎসবের কারণে দোকান পরিষ্কার করে ময়লা জিনিসপত্র বস্তায় করে নিয়ে যাচ্ছে।
রাজু সেই বস্তাটি বিপণীবাগ মার্কেটের পশ্চিম পাশে শরীফ স্টিল ও পানির পাম্পের স্টাফ রুমের গলির ভেতর (পাবলিক টয়লেট সংলগ্ন) ফেলে রেখে পুনরায় দোকানে ফিরে আসে। এরপর আসামি রাজু আবার পানি দিয়ে সেলুন পরিষ্কার করতে থাকে। সেলুন থেকে মরদেহ ফেলার স্থান পর্যন্ত রক্তের দাগ দেখা যায়।
পরবর্তী সময়ে সেলুনের মালিক শ্রীকৃষ্ণ দোকান খুলে সেলুনের মেঝেতে রক্তের পানি দেখতে পান। এ ছাড়া সেলুনের দেয়ালে, চেয়ারে, মেঝেতে, বালতির মধ্যে রক্তের দাগ দেখতে পান তিনি। এই ঘটনার পর আসামি রাজু চন্দ্র শীল পলাতক ছিল।
নারায়ণ ঘোষের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, এই ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার তার ছোট ছেলে রাজীব ঘোষ রাজু বাদী হয়ে টিপটপ সেলুন কর্মচারী রাজু চন্দ্র শীলকে ১ নম্বর এবং অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনকে আসামি করে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার নম্বর ৩০, তাং ১৬ /৯ / ২০২১।
প্রথমে এই মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় মডেল থানার ইন্সপেক্টর ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড অপারেশন মো. এনামুল হককে। পরে মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় সিআইডিকে।
এ বিষয়ে চাঁদপুর মডেল থানার ওসি মো. আবদুর রশিদ জানান, ঢাকার সিআইডি সিলেট থেকে আসামি রাজুকে আটক করেছে। তাকে চাঁদপুর সিআইডি’র কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। মঙ্গলবার তাকে চাঁদপুরের আদালতে তোলা হয়।
সিআইডির এলআইসি শাখার বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর গণমাধ্যমকে বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি সিআইডি নজরে আসে। এরপর ঘটনাটির ছায়া তদন্ত শুরু করে সিআইডি। তিনি বলেন, সিআইডি অভিযুক্তের সম্ভাব্য লুকিয়ে থাকার সকল স্থানে অভিযান পরিচালনা করে। অবশেষে সিলেট শহর হতে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে। আসামিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে সিআইডি জানায়, আসামি স্বীকার করেছে টাকার লেনদেনকে কেন্দ্র করেই সে হত্যাকাণ্ডটি ঘটিয়েছে।
চাঁদপুর শহরের ব্যবসায়ী নারায়ণ ঘোষকে হত্যার দায়ে অভিযুক্ত ছিলেন রাজু চন্দ্র শীল। আসামি রাজু হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে চাঁদপুরের আদালতে গত মঙ্গলবার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এরপর আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করায় আপাতত তাঁর রিমান্ড আবেদন করেনি সিআইডি।
জানা যায়, ঢাকার সিআইডি কর্তৃক আটকের পর রাজুকে সোমবার চাঁদপুর সিআইডির কাছে হস্তান্তর করা হয়। এতে মামলার তদন্ত মডেল থানার পরিবর্তে সিআইডির কাছে হস্তান্তরিত হয়। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে রাজুকে চাঁদপুরের আদালতে সোপর্দ করে সিআইডি।
প্রযুক্তি ব্যবহার করে গত রোববার রাতে ঢাকা সিআইডি’র বিশেষ টিম রাজুকে সিলেট শহর থেকে আটক করে। আটকের পর খুনের রহস্যও উন্মোচন করেছে সিআইডি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃত রাজু জানিয়েছেন, পাওনা টাকার লেনদেনের জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) মামলার প্রধান আসামি রাজু চন্দ্র শীল (৩০) কে আটকের পর হত্যাকাণ্ডের বিস্তারিত তথ্য জানতে পারে। আটককৃত রাজু চাঁদপুর শহরের বিপণিবাগ বাজারের টিপটপ সেলুনের কর্মচারী ছিল। সেই সেলুনেই গত বুধবার দিবাগত রাতে ব্যবসায়ী নারায়ণ ঘোষকে হত্যা করে।
গত বৃহস্পতিবার নারায়ণ চন্দ্র ঘোষের লাশ বিপণীবাগ বাজারের পাবলিক টয়লেটের পাশ থেকে বস্তাবন্দী অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। নিহত নারায়ণ ঘোষ চাঁদপুরের বিভিন্ন দোকানে দীর্ঘদিন ধরে দই-মিষ্টি বিক্রয় করে আসছিলেন। ঘটনার দিন তিনি রাতে পাওনা টাকা আদায়ের জন্য তিনি অভিযুক্ত রাজু চন্দ্র শীলের কাছে যান। এরপরই তাকে হত্যা করা হয়।
এ বিষয়ে বিপণীবাগ বাজারের নৈশপ্রহরী মো. ইসমাইল বলেন, গত বুধবার দিবাগত রাতে ওই বাজারের টিপটপ সেলুনের কর্মচারী রাজু চন্দ্র শীলকে রাত ১টায় দোকানের সাটার খুলে পানি দিয়ে দোকান পরিষ্কার করতে দেখা যায়। তখন তাকে জিজ্ঞেস করলে সে জানায়, ধর্মীয় উৎসবের কারণে দোকান পরিষ্কার করে ময়লা জিনিসপত্র বস্তায় করে নিয়ে যাচ্ছে।
রাজু সেই বস্তাটি বিপণীবাগ মার্কেটের পশ্চিম পাশে শরীফ স্টিল ও পানির পাম্পের স্টাফ রুমের গলির ভেতর (পাবলিক টয়লেট সংলগ্ন) ফেলে রেখে পুনরায় দোকানে ফিরে আসে। এরপর আসামি রাজু আবার পানি দিয়ে সেলুন পরিষ্কার করতে থাকে। সেলুন থেকে মরদেহ ফেলার স্থান পর্যন্ত রক্তের দাগ দেখা যায়।
পরবর্তী সময়ে সেলুনের মালিক শ্রীকৃষ্ণ দোকান খুলে সেলুনের মেঝেতে রক্তের পানি দেখতে পান। এ ছাড়া সেলুনের দেয়ালে, চেয়ারে, মেঝেতে, বালতির মধ্যে রক্তের দাগ দেখতে পান তিনি। এই ঘটনার পর আসামি রাজু চন্দ্র শীল পলাতক ছিল।
নারায়ণ ঘোষের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, এই ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার তার ছোট ছেলে রাজীব ঘোষ রাজু বাদী হয়ে টিপটপ সেলুন কর্মচারী রাজু চন্দ্র শীলকে ১ নম্বর এবং অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনকে আসামি করে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার নম্বর ৩০, তাং ১৬ /৯ / ২০২১।
প্রথমে এই মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় মডেল থানার ইন্সপেক্টর ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড অপারেশন মো. এনামুল হককে। পরে মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় সিআইডিকে।
এ বিষয়ে চাঁদপুর মডেল থানার ওসি মো. আবদুর রশিদ জানান, ঢাকার সিআইডি সিলেট থেকে আসামি রাজুকে আটক করেছে। তাকে চাঁদপুর সিআইডি’র কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। মঙ্গলবার তাকে চাঁদপুরের আদালতে তোলা হয়।
সিআইডির এলআইসি শাখার বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর গণমাধ্যমকে বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি সিআইডি নজরে আসে। এরপর ঘটনাটির ছায়া তদন্ত শুরু করে সিআইডি। তিনি বলেন, সিআইডি অভিযুক্তের সম্ভাব্য লুকিয়ে থাকার সকল স্থানে অভিযান পরিচালনা করে। অবশেষে সিলেট শহর হতে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে। আসামিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে সিআইডি জানায়, আসামি স্বীকার করেছে টাকার লেনদেনকে কেন্দ্র করেই সে হত্যাকাণ্ডটি ঘটিয়েছে।
‘স্বপ্ন দেখি বই পড়ি’ স্লোগান সামনে রেখে রাজধানীর হাজারীবাগ গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজে অনুষ্ঠিত হয়েছে প্রথম বাংলাদেশ বুক অলিম্পিয়াড। এটি নারীদের জন্য বিশেষভাবে আয়োজিত একটি উদ্যোগ। এই আয়োজনে বক্তারা বই পড়ে কেবল জ্ঞান অর্জনের পরিবর্তে অনুধাবনচর্চার ওপর জোর দেন।
১ ঘণ্টা আগেকক্সবাজারে সরকারি সফরে এসে ‘অসুস্থ হয়ে পড়ায়’ সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স যোগে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। শনিবার রাত সাড়ে ১০ টার পরপরই তাকে নিয়ে কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।
২ ঘণ্টা আগেরবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসের উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) আগামী একনেক সভায় অনুমোদনের দাবিতে অনশন করছেন শিক্ষার্থীরা। অনশনে অংশ নেওয়া দুই শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
৩ ঘণ্টা আগেরংপুরের গঙ্গাচড়ায় নিখোঁজের এক দিন পর অবৈধ বালু পয়েন্টে দুই শিশুর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় এজাহারনামীয় এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১৩। গ্রেপ্তার মনু মিয়া (২৮) উপজেলার সিটপাইকন এলাকার আনোয়ারুল ইসলামের ছেলে।
৩ ঘণ্টা আগে