Ajker Patrika

‘পাহাড়ে পালিয়ে জঙ্গিরা র‍্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে’

কক্সবাজার ও উখিয়া প্রতিনিধি
আপডেট : ২৩ জানুয়ারি ২০২৩, ১৪: ২৭
‘পাহাড়ে পালিয়ে জঙ্গিরা র‍্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে’

কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরে জঙ্গি সংগঠনের আস্তানার সন্ধান পেয়েছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। গতকাল রোববার মধ্যরাত থেকে র‍্যাব কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এ আস্তানায় অভিযান চালায়। এ সময় র‍্যাবের সঙ্গে জঙ্গিদের ব্যাপক গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। সেখান থেকে র‍্যাব জঙ্গি সংগঠন ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র শুরা সদস্য ও সামরিক শাখার প্রধান মাসিকুর রহমান মাসুদ ওরফে রনবীর ও তাঁর সহযোগী বোমা বিশেষজ্ঞ আবুল বাশারকে আটক করে। 

র‍্যাব এ সময় দেশি-বিদেশি তিনটি অস্ত্র, তিনটি ম্যাগাজিন ও ১১২টি গুলি এবং আড়াই লাখ টাকা উদ্ধার করে। আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এক সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন এই অভিযানের তথ্য জানিয়েছেন। 

খন্দকার আল মঈন বলেন, র‍্যাবের কাছে গোয়েন্দা তথ্য ছিল, নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র সামরিক শাখার প্রধান রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আত্মগোপনে রয়েছে। এ তথ্যের ভিত্তিতে রোববার মধ্যরাতে কুতুপালং ৭ নম্বর ক্যাম্পের এ ব্লকে অভিযান শুরু করে। অভিযানে র‍্যাবের অবস্থান বুঝতে পেরে জঙ্গিরা পাশের পাহাড়ে চলে যায়। এ সময় সশস্ত্র জঙ্গিরা র‍্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থে র‍্যাব সদস্যরাও পাল্টা গুলি চালান। একপর্যায়ে র‍্যাব মাসিকুর রহমান মাসুদ ওরফে রনবীর ও তাঁর সহযোগী বোমা বিশেষজ্ঞ আবুল বাশারকে আটক করতে সক্ষম হয়। 

jongi-arrest-1খন্দকার আল মঈন জানান, জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র সামরিক শাখার প্রধান ও শুরা সদস্য মাসিকুর রহমান মাসুদ ওরফে রনবীরের নেতৃত্বে তরুণদের জঙ্গিবাদে জড়িত করতে অস্ত্র প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছে। এ কারণে পার্বত্য এলাকায়ও অভিযান পরিচালিত হয়েছে। এ পর্যন্ত এ সংগঠনটির ৩৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কীভাবে তারা আস্তানা গেড়েছে, তা গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যাবে বলে জানান তিনি। 

উদ্ধার হওয়া অস্ত্র, গোলাবারদ ও নগদ টাকা।তিনি আরও জানান, বুধবার রাতে র‍্যাব এই জঙ্গি সংগঠনের আরও পাঁচ সদস্যকে বান্দরবানের থানচি ও রোয়াংছড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে আটক করে। আটক ব্যক্তিরা হলেন নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি এলাকার নিজামুদ্দিন হিরন ইউসুফ (৩০), কুমিল্লার আহমেদ সাইহা (২৭) ও মো. বাইজিদ ইসলাম মুয়াজ (২১), সিলেটের মো. সাদিকুর রহমান সুমন ফারকুন (৩০) ও ১৭ বছরের এক কিশোর। তাঁদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সংগঠনটির সদস্যদের উপস্থিতির বিষয়ে জানা যায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত