কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারত থেকে অবৈধ পথে আসছে চিনি। সেসব চিনি ছড়িয়ে পড়ছে স্থানীয়সহ জেলা-উপজেলার বিভিন্ন বাজারে। এ কারণে অবৈধভাবে আসায় সরকার হারাচ্ছে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব, অন্যদিকে দেশের চিনি শিল্পে ঘটছে ব্যাপক ক্ষতি।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা বলছেন, চোরাকারবারিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সেটি অব্যাহত রয়েছে। অন্যদিকে দেশের বাজারের তুলনায় দাম কমে পাওয়ায় এ চিনির কারবার বেড়েই চলেছে এবং স্থানীয় বাজারসহ জেলার অধিকাংশ বাজারে ওই চিনিতে সয়লাব হয়ে গেছে বলে দাবি স্থানীয় সচেতন মহলের।
স্থানীরা বলছে, উপজেলার গোপীনাথপুর ও বায়েক ইউনিয়নের সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে আনা হচ্ছে ভারতীয় চিনি। বায়েক ইউনিয়নের গোরাঙ্গলা, পুঠিয়া, খাদলা, মাদলা, শ্যামপুর, কুল্লাপাথর এবং গোপীনাথপুর সীমান্তের ধ্বজ নগর, মুতিনগর, কাজিয়াতলী, বাগানবাড়ি, পাথারিয়া দ্বার ও লতুয়ামুড়া এলাকা দিয়ে অবৈধ পথে প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ ভারতীয় চিনি দেশে প্রবেশ করে। এক শ্রেণির চোরাকারবারি সীমান্ত এলাকার নিম্ন আয়ের মানুষদের চিনি চোরাচালানের কাজে ব্যবহার করেন। কাটা তারের বেড়া পাড় করে বাইসাইকেল, মোটরসাইকেল ও ইজিবাইকের পাশাপাশি, রাতে পিকআপ ভ্যানে করে এসব চিনি ছড়িয়ে যায় জেলার বিভিন্ন বাজারে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কারবারে এক প্রত্যক্ষদর্শী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বায়েক ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী এলাকার শতাধিক মানুষ চিনি চোরাচালান ও পাচারে জড়িত। প্রতিদিন প্রায় ৩০-৪০ টন চিনি পাচার হয়ে দেশে আসছে। দেশের বাজারের তুলনায় ভারতে চিনির দাম কম হওয়ায় চোরাকারবারিরা সুযোগ নেয়।’
স্থানীয় বাজার ও ব্যবসায়ী সূত্রে জানা যায়, ভারতের বাজারে বর্তমানে প্রতি কেজি চিনি ৪৪ রুপি এবং ৫০ কেজির বস্তার দাম ২ হাজার ২০০ রুপিতে বিক্রি হচ্ছে।
বাংলাদেশে উপজেলার কুটি বাজারে পাইকারি বিক্রেতারা ৫ হাজার ৬০০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি করছেন খুচরা মুদি দোকানিদের কাছে। উপজেলার গ্রামের হাট-বাজারগুলোতে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৩০-১৪০ টাকায়।
স্থানীয় সচেতন নাগরিকেরা বলছে, এতে এক শ্রেণির মানুষ লাভবান হলেও দেশীয় চিনিশিল্প হুমকির মুখে পড়ছে। সেই সঙ্গে দ্রুত এই চোরাচালান বন্ধের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
সৈয়দাবাদ গ্রামের বাসিন্দা লিয়াকত মাসুদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাজারে চিনি আনতে গেলে ভারতীয় চিনি ছাড়া দেশীয় বা আমদানীকৃত চিনি পাওয়া যাচ্ছে না। অনেক দোকানে বস্তা পরিবর্তন করে অন্য বস্তায় রেখে বিক্রি করছে। নিরুপায় হয়ে ভারতীয় চিনিই কিনতে হয়।’
এদিকে সম্প্রতি উপজেলার কাঠেরপুল এলাকা থেকে পাচারের সময় একটি পিকআপ ভ্যান ও দুটি খোলা পিকআপে ১১ টন ভারতীয় চিনি আটক করে কসবা থানা-পুলিশ। এরপরও বন্ধ হয়নি এ চোরাকারবার। চতুর চোরাকারবারিরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে চালিয়ে যাচ্ছেন চিনি পাচার।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অবৈধ পথে ভারতীয় চিনি আনা বন্ধে আমরা নিয়মিত কাজ করছি। সম্প্রতি তিনটি গাড়িসহ বড় ধরনের চিনির চালান জব্দ করেছি। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।’
এ বিষয়ে জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মেহেদি হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অবৈধপথে চিনি আনা বন্ধে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে। বিগত সময়ে বেশ কিছু দোকানিকে অবৈধ ভারতীয় চিনি রাখার দায়ে জরিমানা করা হয়েছে। নিয়মিত বাজার মনিটরিং অব্যাহত থাকবে।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশ সুপার মো. সাখাওয়াত হোসেন আজকের পত্রিকাকে জানান, কসবায় অবৈধপথে আনা চিনি উদ্ধারসহ ও চোরাকারবারিদের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়তই কাজ করছে পুলিশ। সম্প্রতি পুলিশের অভিযানে বিপুল পরিমাণ চিনি উদ্ধারসহ চোরাকারবারি আটক হয়েছে। অবৈধ পথে আসা পণ্যের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান অব্যাহত আছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণেও কাজ করছে পুলিশ।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারত থেকে অবৈধ পথে আসছে চিনি। সেসব চিনি ছড়িয়ে পড়ছে স্থানীয়সহ জেলা-উপজেলার বিভিন্ন বাজারে। এ কারণে অবৈধভাবে আসায় সরকার হারাচ্ছে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব, অন্যদিকে দেশের চিনি শিল্পে ঘটছে ব্যাপক ক্ষতি।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা বলছেন, চোরাকারবারিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সেটি অব্যাহত রয়েছে। অন্যদিকে দেশের বাজারের তুলনায় দাম কমে পাওয়ায় এ চিনির কারবার বেড়েই চলেছে এবং স্থানীয় বাজারসহ জেলার অধিকাংশ বাজারে ওই চিনিতে সয়লাব হয়ে গেছে বলে দাবি স্থানীয় সচেতন মহলের।
স্থানীরা বলছে, উপজেলার গোপীনাথপুর ও বায়েক ইউনিয়নের সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে আনা হচ্ছে ভারতীয় চিনি। বায়েক ইউনিয়নের গোরাঙ্গলা, পুঠিয়া, খাদলা, মাদলা, শ্যামপুর, কুল্লাপাথর এবং গোপীনাথপুর সীমান্তের ধ্বজ নগর, মুতিনগর, কাজিয়াতলী, বাগানবাড়ি, পাথারিয়া দ্বার ও লতুয়ামুড়া এলাকা দিয়ে অবৈধ পথে প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ ভারতীয় চিনি দেশে প্রবেশ করে। এক শ্রেণির চোরাকারবারি সীমান্ত এলাকার নিম্ন আয়ের মানুষদের চিনি চোরাচালানের কাজে ব্যবহার করেন। কাটা তারের বেড়া পাড় করে বাইসাইকেল, মোটরসাইকেল ও ইজিবাইকের পাশাপাশি, রাতে পিকআপ ভ্যানে করে এসব চিনি ছড়িয়ে যায় জেলার বিভিন্ন বাজারে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কারবারে এক প্রত্যক্ষদর্শী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বায়েক ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী এলাকার শতাধিক মানুষ চিনি চোরাচালান ও পাচারে জড়িত। প্রতিদিন প্রায় ৩০-৪০ টন চিনি পাচার হয়ে দেশে আসছে। দেশের বাজারের তুলনায় ভারতে চিনির দাম কম হওয়ায় চোরাকারবারিরা সুযোগ নেয়।’
স্থানীয় বাজার ও ব্যবসায়ী সূত্রে জানা যায়, ভারতের বাজারে বর্তমানে প্রতি কেজি চিনি ৪৪ রুপি এবং ৫০ কেজির বস্তার দাম ২ হাজার ২০০ রুপিতে বিক্রি হচ্ছে।
বাংলাদেশে উপজেলার কুটি বাজারে পাইকারি বিক্রেতারা ৫ হাজার ৬০০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি করছেন খুচরা মুদি দোকানিদের কাছে। উপজেলার গ্রামের হাট-বাজারগুলোতে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৩০-১৪০ টাকায়।
স্থানীয় সচেতন নাগরিকেরা বলছে, এতে এক শ্রেণির মানুষ লাভবান হলেও দেশীয় চিনিশিল্প হুমকির মুখে পড়ছে। সেই সঙ্গে দ্রুত এই চোরাচালান বন্ধের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
সৈয়দাবাদ গ্রামের বাসিন্দা লিয়াকত মাসুদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাজারে চিনি আনতে গেলে ভারতীয় চিনি ছাড়া দেশীয় বা আমদানীকৃত চিনি পাওয়া যাচ্ছে না। অনেক দোকানে বস্তা পরিবর্তন করে অন্য বস্তায় রেখে বিক্রি করছে। নিরুপায় হয়ে ভারতীয় চিনিই কিনতে হয়।’
এদিকে সম্প্রতি উপজেলার কাঠেরপুল এলাকা থেকে পাচারের সময় একটি পিকআপ ভ্যান ও দুটি খোলা পিকআপে ১১ টন ভারতীয় চিনি আটক করে কসবা থানা-পুলিশ। এরপরও বন্ধ হয়নি এ চোরাকারবার। চতুর চোরাকারবারিরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে চালিয়ে যাচ্ছেন চিনি পাচার।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অবৈধ পথে ভারতীয় চিনি আনা বন্ধে আমরা নিয়মিত কাজ করছি। সম্প্রতি তিনটি গাড়িসহ বড় ধরনের চিনির চালান জব্দ করেছি। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।’
এ বিষয়ে জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মেহেদি হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অবৈধপথে চিনি আনা বন্ধে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে। বিগত সময়ে বেশ কিছু দোকানিকে অবৈধ ভারতীয় চিনি রাখার দায়ে জরিমানা করা হয়েছে। নিয়মিত বাজার মনিটরিং অব্যাহত থাকবে।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশ সুপার মো. সাখাওয়াত হোসেন আজকের পত্রিকাকে জানান, কসবায় অবৈধপথে আনা চিনি উদ্ধারসহ ও চোরাকারবারিদের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়তই কাজ করছে পুলিশ। সম্প্রতি পুলিশের অভিযানে বিপুল পরিমাণ চিনি উদ্ধারসহ চোরাকারবারি আটক হয়েছে। অবৈধ পথে আসা পণ্যের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান অব্যাহত আছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণেও কাজ করছে পুলিশ।’
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পদ্মা নদীতে টর্নেডো সৃষ্টি হয়ে পানি আকাশে উঠে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলের দিকে উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের কোলদিয়াড় এলাকায় পদ্মা নদীতে এ ঘটনা ঘটে। ইতিমধ্যে এ দৃশ্যের বেশ কয়েকটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া...
৩৫ মিনিট আগে২০০৭ সালে আমান দম্পতির বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। ওই বছরের ২১ জুন রায় দেন বিচারিক আদালত। রায়ে আমানকে ১৩ বছরের ও তাঁর স্ত্রীকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে রায়ের বিরুদ্ধে তাঁরা হাইকোর্টে আপিল করেন। ২০১০ সালে হাইকোর্ট তাঁদের খালাস দেন। পরবর্তীতে দুদক আপিল করলে ২০১৪ সালে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বাতিল কর
৩৮ মিনিট আগেগাজীপুর মহানগরীর পূবাইলে ধর্ষণের অভিযোগে মসজিদের এক ইমামকে গত ২০ এপ্রিল সকালে গণপিটুনি দেন স্থানীয়রা। পরে পুলিশ ইমামকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। ধর্ষণের ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মামলা হলে পুলিশ তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়। কারাগারে অসুস্থ হয়ে ওই ইমামের মৃত্যু হয়। ইমামের এই মৃত্যুকে পরিকল্পিত...
৪৩ মিনিট আগেসহপাঠীদের থেকে জানা যায়, বিকেলে এক যুবক ওই শিক্ষার্থীকে মেস থেকে উদ্ধার করে প্রথমে ন্যাশনাল মেডিকেল ইনস্টিটিউট এবং পরে মিটফোর্ড হাসপাতালে নিয়ে যান। সন্দেহজনক হওয়ায় তাঁকে সূত্রাপুর থানায় পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তাঁর নাম ইয়াসিন মজুমদার।
১ ঘণ্টা আগে