Ajker Patrika

ফের সংঘর্ষে জড়াল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের দুই পক্ষ, আহত ৪

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
আপডেট : ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ২১: ৩৬
ফের সংঘর্ষে জড়াল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের দুই পক্ষ, আহত ৪

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের দুই পক্ষ পূর্ব ঘটনার জের ধরে আবারও সংঘর্ষে জড়িয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সোহরাওয়ার্দী হল মোড়ে সংঘর্ষের সূচনা হয়। পরে তা সোহরাওয়ার্দী হলের ভেতর ও আশপাশ এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় সোহরাওয়ার্দী হলের প্রভোস্টের কক্ষসহ অন্তত আটটি কক্ষ ভাঙচুর করা হয়। 

বিবদমান পক্ষ দুটি হলো, বিজয় গ্রুপের নেতা দেলোয়ার হোসেনের অনুসারী এবং মো. আল-আমিনের অনুসারী পক্ষ। 

ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সূত্রে জানা গেছে, হলের কক্ষ দখল, টেন্ডারের টাকা ভাগ-বাঁটোয়ারা ও গ্রুপের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে বিজয় গ্রুপে কোন্দল চলছিল। গত সোমবার একুশের প্রথম প্রহরে আল-আমিনের অনুসারীরা এ এফ রহমান হল ও আলাওল হল থেকে ফুল নিয়ে সোহরাওয়ার্দী হল প্রাঙ্গণে গেলে দেলোয়ারের অনুসারীদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে তা রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে রূপ নেয়। এতে উভয় পক্ষের ১৫ কর্মী আহত হন। 

এই ঘটনার জেরে দুই পক্ষে কয়েক দিন ধরে উত্তেজনা চলছিল। আজ শুক্রবার বিকেলে দুই পক্ষ আবার সংঘর্ষে জড়ায়। একপর্যায়ে আল আমিনের অনুসারীরা এফ রহমান ও আলাওল হল থেকে সোহরাওয়ার্দী হলে গিয়ে হামলা চালান। পরে সোহরাওয়ার্দী হল থেকে দেলোয়ারের অনুসারীরা বের হলে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতিতে উভয় পক্ষের লোকজনের হাতে দেশীয় অস্ত্র দেখা গেছে। এক পক্ষ অপর পক্ষের দিকে অনবরত ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। পরে প্রক্টরিয়াল বডির উপস্থিতিতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। সন্ধ্যা ৭টার দিকে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পুরো এলাকায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছিল।

সংঘর্ষে চারজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা নিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসাকেন্দ্রের প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আবু তৈয়ব আজকের পত্রিকাকে বলেন, সংঘর্ষে আহত হয়ে চারজন চিকিৎসা নিতে এসেছিলেন। এর মধ্যে একজনের সেলাইয়ের প্রয়োজন হয়। বাকি তিনজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

ভাঙচুরের পর প্রভোস্টের কক্ষের সামনে পড়ে থাকা কাচ। ছবি: আজকের পত্রিকাসোহরাওয়ার্দী হলের প্রভোস্ট ড. শিপক কৃষ্ণ দেবনাথ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আলাওল ও এফ রহমান হল থেকে এসে কিছু ছেলে আমাদের হলের অফিস কক্ষসহ আটটি কক্ষ ভাঙচুর করেছে। আমরা প্রক্টরিয়াল বডিকে বিষয়টি জানিয়েছি।’ 

এ বিষয়ে জানতে বিজয় গ্রুপের এক পক্ষের নেতা দেলোয়ার হোসেনকে ফোন দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি। অন্য পক্ষের নেতা আল-আমিনকেও একাধিকবার ফোন দেওয়া হয়। কিন্তু তিনিও ফোন রিসিভ করেননি। 

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর গোলাম কুদ্দুস লাভলু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পূর্ব ঘটনার জের ধরে ছাত্রলীগের একটি গ্রুপ সোহরাওয়ার্দী হলে অতর্কিতে হামলা চালিয়ে হলের প্রভোস্টের কক্ষসহ আটটি কক্ষ ভাঙচুর করে। আমরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এনেছি। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এবার ভোট বয়কট প্রগতিশীলদের, পুনর্নির্বাচন দাবি

স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতির হোতা মোতাজ্জেরুল ইসলাম মিঠু গ্রেপ্তার

নতুন ট্রেন্ড ন্যানো ব্যানানা, নিজের থ্রিডি ফিগারিন বানাবেন যেভাবে

ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহযোগী চার্লি কার্ককে গুলি করে হত্যা

প্রশাসনের বিরুদ্ধে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ ছাত্রদল সমর্থিত ভিপির

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত