Ajker Patrika

রাঙ্গুনিয়ায় ইছামতী নদীতীরের ২৭ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে পাউবোর নোটিশ

প্রতিনিধি
আপডেট : ১৬ জুন ২০২১, ১০: ৩২
রাঙ্গুনিয়ায় ইছামতী নদীতীরের ২৭ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে পাউবোর নোটিশ

রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম) : চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় অবৈধ দখলদার কর্তৃক নির্মিত ২৭ স্থাপনা উচ্ছেদে নোটিশ দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। গতকাল মঙ্গলবার অবৈধ দখলদারদের নোটিশ দেওয়া হয়েছে। নোটিশ জারির এক সপ্তাহের মধ্যে নিজ দায়িত্বে অবৈধ স্থাপনা অপসারণ করে নিতে বলা হয়েছে। তারা নিজ দায়িত্বে অপসারণ না করলে উচ্ছেদসহ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড রাঙামাটি পওর বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী নুরুল ইসলাম।

রওয়াজারহাটে নোটিশ দেওয়া হয়েছে ইব্রাহীম সওদাগরের গুদামঘর, পারভেজের শুঁটকি দোকান, নুরুল ইসলাম বাঘার মুরগি দোকান, ডা. বি কে বড়ুয়ার ওষুধের দোকান, এনামের কাঁচামালের দোকানসহ আরও কয়েকটি দোকানকে। এর বাইরেও রওয়াজারহাট এলাকায় ইছামতী নদীর জায়গা দখল করে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন বিপণিবিতান, ভাড়াবাসা, বসতঘরসহ নানা অবৈধ স্থাপনা।

পাউবো সূত্রে জানা গেছে, অবৈধ স্থাপনা ও দখলদারদের কারণে রাঙামাটির কাউখালী থেকে বয়ে চলা স্রোতস্বিনী ইছামতী নদী মরে যাচ্ছে। এর ভাটিতে রাঙ্গুনিয়ার রওয়াজারহাট, রাণীরহাট বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় নদীতীরের জায়গা দখল করে গড়ে উঠেছে শত শত অবৈধ স্থাপনা। বিভিন্ন বর্জ্য ও আবর্জনা ফেলার পাশাপাশি দখল–দূষণের ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে নদীটি। এতে ভরাট হয়ে যাচ্ছে কর্ণফুলীর শাখা নদী এই ইছামতী। কমে গেছে পানি প্রবাহের গতি। ফলে জোয়ারভাটা বাধাগ্রস্ত হয়ে আশপাশের কৃষি খেতের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।

স্থানীয় ব্যক্তিরা জানান, প্রায় দেড় যুগ ধরে দখলের প্রক্রিয়া চলে আসছে। এতে এখন পর্যন্ত ইছামতীর রাঙ্গুনিয়া অংশে প্রায় ২০ কিলোমিটার অংশজুড়ে রয়েছে কয়েক শতাধিক অবৈধ স্থাপনা। এভাবে দিনের পর দিন দখল প্রক্রিয়া চললেও একেবারে নীরব ভূমিকায় ছিল সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

পানি উন্নয়ন বোর্ড রাঙামাটি পওর বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী নুরুল ইসলাম জানান, রওয়াজারহাটে ইছামতী ব্রিজ কাম রেগুলেটর ও ফ্লাড বাইপাস এলাকায় অবৈধ অনুপ্রবেশের কারণে সেচ ও বন্যার পানি নিষ্কাশনের কাজ ব্যাহত হওয়াসহ উক্ত স্থানে নির্মিত পাউবোর অবকাঠামোসমূহ হুমকির সম্মুখীন হয়েছে। এই অবকাঠামোর স্বাভাবিক পরিচালনা ব্যাহত হওয়ায় পাউবোর কর্ণফুলী সেচ প্রকল্পে (ইছামতী ইউনিট) নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। এতে পাউবো তথা রাষ্ট্রের বিপুল আর্থিক ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

নুরুল ইসলাম বলেন, এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের লক্ষ্যে সম্প্রতি নদী দখলদার ও পাউবোর জায়গা দখলকারীদের একটি তালিকা প্রস্তুত করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এর মধ্যে মঙ্গলবার ২৭ জন দখলদারকে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিতে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। যাঁরা এই নির্দেশ মানবেন না, তাঁদের উচ্ছেদ করা হবে। অবৈধ দখলদারদের তালিকা সরকারি বিভিন্ন সংস্থাকে দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত