মাইনউদ্দিন শাহেদ, কক্সবাজার
২০১০ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় মাথায় আঘাত পেয়ে মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েন আবু হানজালা (৩২)। প্রায় পাঁচ বছর ধরে তাঁর খোঁজ নেই। অনেক খোঁজাখুঁজির পর বাড়ির লোকজন তাঁকে পাওয়ার আশাই ছেড়ে দেন। চার-পাঁচ দিন আগে হানজালার বাড়িতে গিয়ে পুলিশ জানায় তিনি মিয়ানমারের কারাগারে আটক আছেন। তাঁকে ফেরত পাঠানো হচ্ছে।
আবু হানজালা নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের শ্বাসকান্দর গ্রামের মৃত একরামুল হকের ছেলে। হানজালা পাঁচ ভাই ও তিন বোনের মধ্যে সবার ছোট। বাবা রেলওয়ের অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী। ২০০৩ সালে মারা যান। মা মেহেরুন্নেছা (৭২) এখনো বেঁচে আছেন।
গতকাল বুধবার সকাল থেকে হানজালার দুই ভাই মানিকুল ইসলাম ও আবু তালহা ভাইকে নিতে কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়া বিআইডব্লিউটিএ ঘাটে অপেক্ষা করছিলেন।
মানিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হানজালা মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ার পর মাঝেমধ্যে দু-তিন দিনের জন্য হারিয়ে যেত। আবার ফিরে আসত। কিন্তু পাঁচ বছর আগে সে বাড়িতে থেকে বের হয়ে আর ফেরেনি। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাঁর সন্ধান পাইনি। ধরে নিয়েছিলাম সে মারা গেছে।’
আবু তালহা বলেন, ‘ভাইয়ের খোঁজে মা অনেকটা পাগল হয়ে পড়েছিল। প্রায় প্রতিদিনই আমাদের তাগাদা দিত। শুধুই বলত, হানজালা বেঁচে আছে। তোরা আমার ছোট ছেলেরে খুঁজে দে। আল্লাহ মায়ের আশা কবুল করেছেন।’
তালহা বলেন, ‘এখন আমরা বুঝতে পারছি না হানজালা কীভাবে মিয়ানমারে গেল।’ গতকাল বেলা ৩টার দিকে হানজালাকে গ্রহণ করে দুই ভাই বাড়ির উদ্দেশে কক্সবাজার ত্যাগ করেন।
রামুর দুই ছাত্রও পড়েছিল পাচারকারী চক্রের খপ্পরে
কক্সবাজারের রামু উপজেলার রাজারকূল ইউনিয়নের সিকদারপাড়ার নুরুল আমিনের ছেলে মো. রাশেদ উল্লাহ (১৫) এবং একই গ্রামের মোস্তাক আহমদের ছেলে রবিউল্লাহ (১৫)। তারা স্থানীয় মনসুর আলী আইডিয়াল স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। গত বছরের মার্চ মাসে (৩ রমজান) স্কুল থেকে তারা উধাও হয়ে যায়।
হঠাৎ ২৭ মার্চ রাশেদ উল্লাহর বাবা নুরুল আমিনের মোবাইল ফোনে কল করে পাচারকারী চক্র মিয়ানমারে রাশেদ তাদের কাছে আছে বলে জানায়। চক্রটি ছেলেকে ফেরতের বিনিময়ে নুরুল আমিনের কাছ থেকে ৪ লাখ টাকা দাবি করে। এ ব্যাপারে নুরুল আমিন রামু থানায় অভিযোগও দেন। কিন্তু পুলিশ কোনো কিনারা করতে পারেনি।
নুরুল আমিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ছেলের জীবন বাঁচাতে ধার ও ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে কয়েক দফায় পাচারকারী চক্রের কাছে বিকাশে ৩ লাখ ৭০ হাজার টাকা পাঠাই। এরপর চক্রটি মোবাইল ফোনে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। পরে মিয়ানমারের কারাগারে ছেলে আটক হওয়ার ঘটনা জানতে পারেন বলে জানান তিনি।
এ দুই ছাত্রের মতো কয়েকজন কিশোরও পাচারকারী চক্রের খপ্পরে পড়ে মালয়েশিয়ায় পাচারের সময় মিয়ানমার নৌবাহিনীর হাতে আটক হয়ে জেল খেটে দেশে ফিরেছে।
বিজিপির হাতে আটক দুই বোন ফিরছেন দুই বছর পর
বান্দরবানের থানচি উপজেলার বলী পাড়ার বাসিন্দা মুয়ে অং প্রুর মেয়ে হ্লা চিং মারমা (৩৬) ও এম্যানু মারমা (২৩)। দুই বছর আগে সীমান্তে মন্দিরে পুজো দিতে গিয়ে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) কাছে ধরা পড়েন। বুধবার তাঁরাও ১৭৩ জনের সঙ্গে দেশে ফিরেছেন।
সকাল থেকে দুই বোনকে নিতে কক্সবাজারের নুনিয়ারছড়া বিআইডব্লিওটিএ ঘাটে অপেক্ষা করছিলেন কলেজ পড়ুয়া ভাই থোয়াই লা অং মারমা (২০)। দীর্ঘশ্বাস ফেলে থোয়াই লা অং মারমা বলেন, ‘গেল দুই বছর আগে সীমান্ত লাগোয়া মন্দিরে গিয়েছিলেন আমার দুই দিদি। সেখান থেকে সে দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপি তাঁদের ধরে নিয়ে যায়। পরে তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়। এখন তাঁরা সরকারি সহযোগিতায় দেশে ফিরছেন।’
এ দুই বছরে দুই বোনকে ফিরে পেতে নানা সংগ্রাম করতে হয়েছে জানিয়ে থোয়াই লা অং মারমা বলেন, ‘বোনদের ফিরে পাওয়ার অনুভূতি প্রকাশের ভাষা নেই। আমাদের পরিবার এ দুই বছর তাঁদের ফেরাতে নানা জায়গায় ধরনা দিতে দিতে হয়রান হয়ে পড়েছি। এ দুই বছর একেকটা দিন যেন একটি বছর গেছে। এখন সব কষ্ট যেন নিমেষেই মুছে গেল।
মিয়ানমার কারাগার থেকে ফেরত আসা বাংলাদেশিদের অভ্যর্থনা জানাতে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও হুইপ সাইমুম সরওয়ার কমল। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ফেরত আসা এসব বাংলাদেশিরা কেউ সাগরপথে মালয়েশিয়া, কেউ সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে মিয়ানমারের সরকারি বাহিনীর হাতে আটক হয়ে জেল খেটেছেন। এসব নাগরিকদের কেউ কেউ দালালের খপ্পরে পড়ে নিঃস্ব হয়েছেন।
২০১০ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় মাথায় আঘাত পেয়ে মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েন আবু হানজালা (৩২)। প্রায় পাঁচ বছর ধরে তাঁর খোঁজ নেই। অনেক খোঁজাখুঁজির পর বাড়ির লোকজন তাঁকে পাওয়ার আশাই ছেড়ে দেন। চার-পাঁচ দিন আগে হানজালার বাড়িতে গিয়ে পুলিশ জানায় তিনি মিয়ানমারের কারাগারে আটক আছেন। তাঁকে ফেরত পাঠানো হচ্ছে।
আবু হানজালা নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের শ্বাসকান্দর গ্রামের মৃত একরামুল হকের ছেলে। হানজালা পাঁচ ভাই ও তিন বোনের মধ্যে সবার ছোট। বাবা রেলওয়ের অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী। ২০০৩ সালে মারা যান। মা মেহেরুন্নেছা (৭২) এখনো বেঁচে আছেন।
গতকাল বুধবার সকাল থেকে হানজালার দুই ভাই মানিকুল ইসলাম ও আবু তালহা ভাইকে নিতে কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়া বিআইডব্লিউটিএ ঘাটে অপেক্ষা করছিলেন।
মানিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হানজালা মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ার পর মাঝেমধ্যে দু-তিন দিনের জন্য হারিয়ে যেত। আবার ফিরে আসত। কিন্তু পাঁচ বছর আগে সে বাড়িতে থেকে বের হয়ে আর ফেরেনি। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাঁর সন্ধান পাইনি। ধরে নিয়েছিলাম সে মারা গেছে।’
আবু তালহা বলেন, ‘ভাইয়ের খোঁজে মা অনেকটা পাগল হয়ে পড়েছিল। প্রায় প্রতিদিনই আমাদের তাগাদা দিত। শুধুই বলত, হানজালা বেঁচে আছে। তোরা আমার ছোট ছেলেরে খুঁজে দে। আল্লাহ মায়ের আশা কবুল করেছেন।’
তালহা বলেন, ‘এখন আমরা বুঝতে পারছি না হানজালা কীভাবে মিয়ানমারে গেল।’ গতকাল বেলা ৩টার দিকে হানজালাকে গ্রহণ করে দুই ভাই বাড়ির উদ্দেশে কক্সবাজার ত্যাগ করেন।
রামুর দুই ছাত্রও পড়েছিল পাচারকারী চক্রের খপ্পরে
কক্সবাজারের রামু উপজেলার রাজারকূল ইউনিয়নের সিকদারপাড়ার নুরুল আমিনের ছেলে মো. রাশেদ উল্লাহ (১৫) এবং একই গ্রামের মোস্তাক আহমদের ছেলে রবিউল্লাহ (১৫)। তারা স্থানীয় মনসুর আলী আইডিয়াল স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। গত বছরের মার্চ মাসে (৩ রমজান) স্কুল থেকে তারা উধাও হয়ে যায়।
হঠাৎ ২৭ মার্চ রাশেদ উল্লাহর বাবা নুরুল আমিনের মোবাইল ফোনে কল করে পাচারকারী চক্র মিয়ানমারে রাশেদ তাদের কাছে আছে বলে জানায়। চক্রটি ছেলেকে ফেরতের বিনিময়ে নুরুল আমিনের কাছ থেকে ৪ লাখ টাকা দাবি করে। এ ব্যাপারে নুরুল আমিন রামু থানায় অভিযোগও দেন। কিন্তু পুলিশ কোনো কিনারা করতে পারেনি।
নুরুল আমিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ছেলের জীবন বাঁচাতে ধার ও ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে কয়েক দফায় পাচারকারী চক্রের কাছে বিকাশে ৩ লাখ ৭০ হাজার টাকা পাঠাই। এরপর চক্রটি মোবাইল ফোনে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। পরে মিয়ানমারের কারাগারে ছেলে আটক হওয়ার ঘটনা জানতে পারেন বলে জানান তিনি।
এ দুই ছাত্রের মতো কয়েকজন কিশোরও পাচারকারী চক্রের খপ্পরে পড়ে মালয়েশিয়ায় পাচারের সময় মিয়ানমার নৌবাহিনীর হাতে আটক হয়ে জেল খেটে দেশে ফিরেছে।
বিজিপির হাতে আটক দুই বোন ফিরছেন দুই বছর পর
বান্দরবানের থানচি উপজেলার বলী পাড়ার বাসিন্দা মুয়ে অং প্রুর মেয়ে হ্লা চিং মারমা (৩৬) ও এম্যানু মারমা (২৩)। দুই বছর আগে সীমান্তে মন্দিরে পুজো দিতে গিয়ে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) কাছে ধরা পড়েন। বুধবার তাঁরাও ১৭৩ জনের সঙ্গে দেশে ফিরেছেন।
সকাল থেকে দুই বোনকে নিতে কক্সবাজারের নুনিয়ারছড়া বিআইডব্লিওটিএ ঘাটে অপেক্ষা করছিলেন কলেজ পড়ুয়া ভাই থোয়াই লা অং মারমা (২০)। দীর্ঘশ্বাস ফেলে থোয়াই লা অং মারমা বলেন, ‘গেল দুই বছর আগে সীমান্ত লাগোয়া মন্দিরে গিয়েছিলেন আমার দুই দিদি। সেখান থেকে সে দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপি তাঁদের ধরে নিয়ে যায়। পরে তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়। এখন তাঁরা সরকারি সহযোগিতায় দেশে ফিরছেন।’
এ দুই বছরে দুই বোনকে ফিরে পেতে নানা সংগ্রাম করতে হয়েছে জানিয়ে থোয়াই লা অং মারমা বলেন, ‘বোনদের ফিরে পাওয়ার অনুভূতি প্রকাশের ভাষা নেই। আমাদের পরিবার এ দুই বছর তাঁদের ফেরাতে নানা জায়গায় ধরনা দিতে দিতে হয়রান হয়ে পড়েছি। এ দুই বছর একেকটা দিন যেন একটি বছর গেছে। এখন সব কষ্ট যেন নিমেষেই মুছে গেল।
মিয়ানমার কারাগার থেকে ফেরত আসা বাংলাদেশিদের অভ্যর্থনা জানাতে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও হুইপ সাইমুম সরওয়ার কমল। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ফেরত আসা এসব বাংলাদেশিরা কেউ সাগরপথে মালয়েশিয়া, কেউ সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে মিয়ানমারের সরকারি বাহিনীর হাতে আটক হয়ে জেল খেটেছেন। এসব নাগরিকদের কেউ কেউ দালালের খপ্পরে পড়ে নিঃস্ব হয়েছেন।
বঙ্গোপসাগরে পাঁচ দিন ভেসে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছেন মোরশেদ (২০) নামের এক জেলে। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় কুয়াকাটার জেলেরা তাঁকে উদ্ধার করেন। আজ বুধবার (২০ আগস্ট) দুপুরে বঙ্গোপসাগরের পায়রা বন্দর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে এফবি সাজেদা ট্রলারের মাঝি সোবহান তাঁকে এফবি বায়েজিদ ট্রলারে হস্তান্তর করেন।
২৫ মিনিট আগেসিলেট সিটি করপোরেশনের এক কর্মচারীর ওপর হামলার ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে ওই দিন দুপুরে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করা হয়। পরে বুধবার তাঁদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
৩১ মিনিট আগেহবিগঞ্জের চুনারুঘাটে তিন নারী-পুরুষকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। গতকাল মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) রাতে তাঁদের চুনারুঘাট থানায় সোপর্দ করে বিজিবি।
৩৪ মিনিট আগেবর্তমানে চিতলমারীতে কর্মরত চিকিৎসক শর্মী রায়ের বিরুদ্ধে এর আগে একই জেলার মোরেলগঞ্জ উপজেলায় স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে করোনা মহামারির সময়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ইউনিয়ন পর্যায়ে বরাদ্দ করা সরকারি অর্থ আত্মসাৎসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে।
৩৫ মিনিট আগে