নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় হুন্ডির টাকার বিরোধ নিয়ে নিজের সিন্ডিকেটের লোকজনের হাতে মারধরের একপর্যায়ে মারা যান শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কর্মচারী ওসমান সিকদার (৪০)। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে পতেঙ্গা লিংক রোড থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় প্রাথমিক তদন্ত ও তিন আসামিকে গ্রেপ্তারের পর আজ শুক্রবার পুলিশ এ তথ্য জানিয়েছে।
নিহত ওসমান সিকদার চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সিভিল অ্যাভিয়েশন অফিস সহকারী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি চট্টগ্রামের হাটহাজারীর মেঘল ইউনিয়নের রুহুল্লাহ গ্রামের মো. শাহ আলম সিকদারের ছেলে। চট্টগ্রাম নগরীতে তিনি বিমানবন্দরসংলগ্ন সরকারি বাসায় থাকতেন।
পুলিশ বলছে, হত্যার ঘটনায় গতকাল পরিবারের পক্ষ থেকে করা হত্যা মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁরা হলেন ইব্রাহিম খলিল, বাদল মজুমদার ও নিহত ওসমানের বাসার কাছের বাসিন্দা মো. আরিফ। ইব্রাহিম সিভিল অ্যাভিয়েশনের কর্মচারী। বাদলের বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি।
পুলিশের প্রাথমিক তদন্ত, বিমানবন্দর কর্মকর্তা ও আসামিদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জানা গেছে, ওসমান সিকদার বিমানবন্দরকেন্দ্রিক চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তাঁদের মধ্যে হুন্ডির টাকার বিরোধ নিয়ে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে বলে ধারণা পুলিশের।
সূত্রগুলো বলেছে, ওসমান সিকদারসহ সিভিল অ্যাভিয়েশনের বেশ কয়েকজন কর্মচারী বৈদেশিক মুদ্রা চোরাচালানের সঙ্গে যুক্ত। সম্প্রতি ওসমানের সঙ্গে ফটিকছড়ির বাসিন্দা এক ব্যক্তির ৩০ লাখ রিয়াল নিয়ে দ্বন্দ্ব হয়। কথা ছিল ওসমান রিয়ালগুলো নিয়ে ইমিগ্রেশন পার হওয়া যাত্রীদের হাতে পৌঁছে দেবেন। কিন্তু ওসমান রিয়ালগুলো সেই যাত্রীদের দেননি। তিনি প্রচার করেন রিয়ালগুলো গোয়েন্দা পুলিশ ছিনিয়ে নিয়েছে।
পরে ওসমানের কাছ থেকে রিয়ালগুলো ফেরত পেতে চাপ দিতে থাকে প্রতিপক্ষের লোকজন। এ নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে প্রতিপক্ষরা তাঁকে মারধর করে টাকা আদায়ের পরিকল্পনা করে। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী গত বুধবার দিবাগত রাত সোয়া ১টার দিকে নগরের বাসা থেকে ওসমানকে তুলে বিমানবন্দরসংলগ্ন লিংক রোড এলাকার একটি স্থানে নিয়ে মারধর করা হয়। ওই মারধরে অংশ নেন চারজন। এর একপর্যায়ে ওসমান মারা যান। পরদিন গতকাল সকালে পুলিশ লিংক রোড থেকে লাশ উদ্ধার করে।
সূত্র বলেছে, চোরাচালানে জড়িত থাকার আলামত পেয়ে মাসখানেক আগে ওসমানসহ কয়েকজনকে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর থেকে সরিয়ে নিতে সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষের কাছে একাধিক চিঠি দিয়েছিল বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। তবে ঊর্ধ্বতনদের ‘ম্যানেজ’ করে তাঁরা থেকে যান। সম্প্রতি ওসমানকে শাহ আমানত বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের প্রশাসনিক ভবনে বদলি করার পরও টার্মিনাল ভবনের দিকে তাঁর যাওয়া-আসা ছিল।
এ ঘটনার পর সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষ পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। পুলিশের সুরতহাল প্রতিবেদনে ওসমানের কপালের ওপর ও মাথায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহফুজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঘটনার দিন লাশ উদ্ধারের পর প্রাথমিক তদন্তে হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ততার সন্দেহে দুজনকে আটক করা হয়েছিল। আজ শুক্রবার আরও একজনকে আটক করা হয়। পরে তিনজনকে এই হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় হুন্ডির টাকার বিরোধ নিয়ে নিজের সিন্ডিকেটের লোকজনের হাতে মারধরের একপর্যায়ে মারা যান শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কর্মচারী ওসমান সিকদার (৪০)। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে পতেঙ্গা লিংক রোড থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় প্রাথমিক তদন্ত ও তিন আসামিকে গ্রেপ্তারের পর আজ শুক্রবার পুলিশ এ তথ্য জানিয়েছে।
নিহত ওসমান সিকদার চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সিভিল অ্যাভিয়েশন অফিস সহকারী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি চট্টগ্রামের হাটহাজারীর মেঘল ইউনিয়নের রুহুল্লাহ গ্রামের মো. শাহ আলম সিকদারের ছেলে। চট্টগ্রাম নগরীতে তিনি বিমানবন্দরসংলগ্ন সরকারি বাসায় থাকতেন।
পুলিশ বলছে, হত্যার ঘটনায় গতকাল পরিবারের পক্ষ থেকে করা হত্যা মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁরা হলেন ইব্রাহিম খলিল, বাদল মজুমদার ও নিহত ওসমানের বাসার কাছের বাসিন্দা মো. আরিফ। ইব্রাহিম সিভিল অ্যাভিয়েশনের কর্মচারী। বাদলের বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি।
পুলিশের প্রাথমিক তদন্ত, বিমানবন্দর কর্মকর্তা ও আসামিদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জানা গেছে, ওসমান সিকদার বিমানবন্দরকেন্দ্রিক চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তাঁদের মধ্যে হুন্ডির টাকার বিরোধ নিয়ে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে বলে ধারণা পুলিশের।
সূত্রগুলো বলেছে, ওসমান সিকদারসহ সিভিল অ্যাভিয়েশনের বেশ কয়েকজন কর্মচারী বৈদেশিক মুদ্রা চোরাচালানের সঙ্গে যুক্ত। সম্প্রতি ওসমানের সঙ্গে ফটিকছড়ির বাসিন্দা এক ব্যক্তির ৩০ লাখ রিয়াল নিয়ে দ্বন্দ্ব হয়। কথা ছিল ওসমান রিয়ালগুলো নিয়ে ইমিগ্রেশন পার হওয়া যাত্রীদের হাতে পৌঁছে দেবেন। কিন্তু ওসমান রিয়ালগুলো সেই যাত্রীদের দেননি। তিনি প্রচার করেন রিয়ালগুলো গোয়েন্দা পুলিশ ছিনিয়ে নিয়েছে।
পরে ওসমানের কাছ থেকে রিয়ালগুলো ফেরত পেতে চাপ দিতে থাকে প্রতিপক্ষের লোকজন। এ নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে প্রতিপক্ষরা তাঁকে মারধর করে টাকা আদায়ের পরিকল্পনা করে। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী গত বুধবার দিবাগত রাত সোয়া ১টার দিকে নগরের বাসা থেকে ওসমানকে তুলে বিমানবন্দরসংলগ্ন লিংক রোড এলাকার একটি স্থানে নিয়ে মারধর করা হয়। ওই মারধরে অংশ নেন চারজন। এর একপর্যায়ে ওসমান মারা যান। পরদিন গতকাল সকালে পুলিশ লিংক রোড থেকে লাশ উদ্ধার করে।
সূত্র বলেছে, চোরাচালানে জড়িত থাকার আলামত পেয়ে মাসখানেক আগে ওসমানসহ কয়েকজনকে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর থেকে সরিয়ে নিতে সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষের কাছে একাধিক চিঠি দিয়েছিল বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। তবে ঊর্ধ্বতনদের ‘ম্যানেজ’ করে তাঁরা থেকে যান। সম্প্রতি ওসমানকে শাহ আমানত বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের প্রশাসনিক ভবনে বদলি করার পরও টার্মিনাল ভবনের দিকে তাঁর যাওয়া-আসা ছিল।
এ ঘটনার পর সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষ পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। পুলিশের সুরতহাল প্রতিবেদনে ওসমানের কপালের ওপর ও মাথায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহফুজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঘটনার দিন লাশ উদ্ধারের পর প্রাথমিক তদন্তে হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ততার সন্দেহে দুজনকে আটক করা হয়েছিল। আজ শুক্রবার আরও একজনকে আটক করা হয়। পরে তিনজনকে এই হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
গত জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহ থেকে ভারী বৃষ্টির কারণে নোয়াখালীর আটটি উপজেলার বেশির ভাগ এলাকায় দেখা দেয় জলাবদ্ধতা। অব্যাহত বৃষ্টি ও পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় ডুবে যায় জেলার বিভিন্ন সড়ক, মহল্লা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। জেলার ১৭৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সেই জলাবদ্ধতা এখনো রয়ে গেছে। এক মাসের বেশি এই জলাবদ্ধতায়
২১ মিনিট আগেসরকারি কেনাকাটার ক্ষেত্রে যে ঠিকাদার সর্বনিম্ন দরে মালপত্র সরবরাহ করবেন, তাকেই কাজ দেওয়ার কথা। তবে উল্টো চিত্র দেখা যাচ্ছে রাজশাহী আঞ্চলিক দুগ্ধ ও গবাদি উন্নয়ন খামারে। এখানে সর্বনিম্ন নয়, যাঁরা সর্বোচ্চ দর দিয়েছেন—তাঁদেরই কাজ দেওয়া হয়েছে। এতে সরকারের প্রায় ৯২ লাখ টাকা বাড়তি খরচ হচ্ছে।
২৬ মিনিট আগেবিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) নিয়োগ-বাণিজ্যসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় সম্প্রতি কারাগারে যেতে হয়েছে সাবেক উপাচার্য আব্দুস সাত্তারকে। তবে এসব বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গঠিত তদন্ত কমিটি গত পাঁচ মাসেও কাজ
৩১ মিনিট আগেউড়োজাহাজের অনলাইন টিকিট বুকিংয়ে দেশের অন্যতম প্ল্যাটফর্ম ফ্লাইট এক্সপার্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সালমান বিন রশিদ শাহ সাইমের গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের কচুয়ার মুরাদপুর গ্রামে। এই গ্রাম, উপজেলা, এমনকি পাশের ফরিদগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দাদের কাছ থেকেও তাঁরা টাকাপয়সা হাতিয়ে নিয়েছেন ব্যবসার নামে।
১ ঘণ্টা আগে