Ajker Patrika

কোর্ট হিলকে পরীর পাহাড় হিসেবে প্রচার বন্ধে মামলা, জেলা প্রশাসকসহ ৪ জনকে শোকজ

আদালত প্রতিবেদক চট্টগ্রাম
কোর্ট হিলকে পরীর পাহাড় হিসেবে প্রচার বন্ধে মামলা, জেলা প্রশাসকসহ ৪ জনকে শোকজ

চট্টগ্রামের আদালত ভবনের কোর্ট হিলকে পরীর পাহাড় লেখার ওপর কেন চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমানসহ চারজনের বিরুদ্ধে শোকজ জারি করেছেন আদালত। চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির করা মামলায় গতকাল রোববার চট্টগ্রাম প্রথম সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ইছরাত জাহান নাসরিন এ আদেশ দেন। আদালত ৪ বিবাদীকে তিনি দিনের মধ্যে শোকজের জবাব দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। 

অন্য বিবাদীরা হলেন, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ কামরুল হাসান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) নাজমুল আহসান ও বাকলিয়া সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আতিকুর রহমান। 

রোববার সকালে জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এসএইচ জিয়াউদ্দিন বাদী হয়ে চারজনের বিরুদ্ধে দেওয়ানি মামলাটি করেন। জিয়াউদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, এটি জনপ্রতিনিধিত্বমূলক মামলা। আগ্রহী যে কেউ এ মামলায় বাদী হিসেবে যুক্ত হতে পারবেন। 

বাদীপক্ষে শুনানি করেন, আইনজীবী সমিতির সভাপতি এনামুল হক, সাবেক সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন আখতার মোশতাক, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জিয়াউদ্দিন। 

আরজিতে শতবর্ষের কোর্ট হিল হিসেবে পরিচিত এবং সরকারি বিভিন্ন দলিলপত্রে এ পাহাড় কোর্ট হিল হিসেবে পরিচিত বলে উল্লেখ করা হয়। কিন্তু সম্প্রতি বর্তমান জেলা প্রশাসকের বিভিন্ন ব্যানার-ফেস্টুনে উদ্দেশ্যমূলকভাবে পাহাড়টিকে কোর্ট হিলের পরিবর্তে পরীর পাহাড় লেখা হচ্ছে। আরজিতে আরও বলা হয়, চট্টগ্রামের কোর্ট হিলে প্রথম যে লাল দালানটি হয় সেটিকে চট্টগ্রামবাসীসহ দেশের মানুষ কোর্ট বিল্ডিং হিসেবেই চেনে। আর পাহাড়টিকে কোর্ট হিল বলেই সরকারি বেসরকারি দলিলপত্রে লেখা হয়ে আসছে। 

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ২০১০ সালের ১৯ সেপ্টেম্বরের এক চিঠিতে, ২০০৭ সালের ৫ নভেম্বরে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক অনুমোদনপত্রে এটিকে অতীতের ধারাবাহিকতায় কোর্ট হিল উল্লেখ করেছেন। শুধু তাই নয়, এ মামলার ৩ নম্বর বিবাদী নাজমুল আহসান আইনজীবী সমিতির সঙ্গে ২০১৪ সালের করা এক চুক্তিতে কোর্ট হিলকে ‘কোর্ট হিল’ উল্লেখ করে স্বাক্ষর করেছিলেন। কিন্তু বর্তমান জেলা প্রশাসক এ বছরের ৮ আগস্ট থেকে কোর্ট হিল শব্দের পরে বন্ধনীবদ্ধ (ব্রাকেট) করে পরীর পাহাড় লেখা শুরু করেছেন। যা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তাই কোর্ট হিলকে পরীর পাহাড় লেখার ওপর বিবাদীদের বিরুদ্ধে চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আবেদন জানানো হয়। শুনানি শেষে আদালত বিকেলে চার বিবাদীর বিরুদ্ধে শোকজ (কারণ দর্শানো) জারি করেন। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ফোন-ইন্টারনেট ভাতা পাচ্ছেন মাঠ প্রশাসনের সব কর্মচারী

এস আলমের জামাতার পেটে ৩৭৪৫ কোটি টাকা

ভাড়া বাড়িতে চলা ১৬ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিসহ সব শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ

পিপির বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব ৪৯ জন সহকারী পিপির

জোবাইদার নিরাপত্তার নামে প্রতিবেশীদের বিরক্ত না করার নির্দেশ তারেক রহমানের

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত