কক্সবাজার প্রতিনিধি
কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরগুলো ডেঙ্গুর ‘হটস্পট’ হয়ে উঠেছে। শীত মৌসুমেও এই দুই উপজেলার ৩৩টি ক্যাম্পে গড়ে ৫০ জন রোহিঙ্গার ডেঙ্গু শনাক্ত হচ্ছে। চলতি বছরে ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত সেখানে ১৪ হাজার ৪০ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এ সময়ে মারা গেছেন ৯ জন।
এর আগের দুই বছরের তুলনায় এ বছর ডেঙ্গুতে মৃত্যুর হার কমেছে। তবে আক্রান্তের হার বেড়েছে। রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরের পাশাপাশি কক্সবাজারের নয় উপজেলার ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়েছে। তবে চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের মৃত্যু হয়নি বলে জানিয়েছে জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয়।
চলতি বছরের ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেলায় ২০ হাজার ১০৭ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তের মধ্যে ৬ হাজার ৬৭ জন স্থানীয় বাংলাদেশি। বাকিরা রোহিঙ্গা নাগরিক। এ সময়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৬ রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়। এ ছাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাড়িতে আক্রান্ত আরও তিন রোহিঙ্গা নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে।
সিভিল সার্জন ও শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয়ের প্রতিবেদনে দেখা যায়, চলতি বছরের জুলাই মাস পর্যন্ত আক্রান্ত ছিল ৪ হাজার ২৪৭ জন। আগস্টে আক্রান্তের সংখ্যা হু হু করে বাড়তে থাকে। সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ৯১০ জন রোগী শনাক্ত এবং ৪ জনের মৃত্যু হয়। সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত তিন মাস রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও জেলার নয় উপজেলায় ডেঙ্গু রোগীর প্রকোপ বেশি দেখা দেয়।
এর আগে ২০২৩ সালে জেলায় ১৮ হাজার ২১১ জন আক্রান্ত হয়েছিল। এর মধ্যে রোহিঙ্গা নাগরিক ১৩ হাজার ৮৯৫ জন। মৃত্যু হয় ৪ বাংলাদেশিসহ ১৯ জনের। ২০২২ সালে নয় বাংলাদেশিসহ ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এ সময় আক্রান্ত হয়েছিল ১৭ হাজার ৩৯০ জন। তাদের মধ্যে বাংলাদেশি দুই হাজার ৩৮ জন।
চিকিৎসক ও সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রোহিঙ্গা শিবিরগুলো ঘিঞ্জি পরিবেশে গাদাগাদি জীবনযাপন, পানি পানিনিষ্কাশনের প্রতিবন্ধকতা, ডাবের খোসাসহ বিভিন্ন স্থানে জমে থাকা পানির কারণে সেখানে মশার প্রজনন বাড়ছে। অন্যদিকে মশার লার্ভা ও উড়ন্ত মশা মারার উদ্যোগও সীমিত। চিকিৎসকেরা বলছে, এখন শহরের পাশাপাশি গ্রামেও ডেঙ্গুর বিস্তার ঘটছে।
রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে ডেঙ্গুর প্রকোপ কমাতে কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) কার্যালয় এবং দেশি-বিদেশি আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থা নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। এ তথ্য জানায় আরআরআরসি কার্যালয়ের চিকিৎসা সমন্বয়ক ডা. আবু তোহা ভূঁইয়া। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সচেতনতা বাড়াতে প্রচারণার পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে।’
ডেঙ্গু প্রতিরোধে জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের সমন্বয়ে নানাভাবে সচেতনতামূলক কার্যক্রম চলমান আছে বলে জানিয়েছেন জেলা সিভিল সার্জন ডা. আসিফ আহমেদ হাওলাদার। তিনি বলেন, এ বছর আক্রান্তের হার বাড়লেও মৃত্যু কমেছে। মারা যাওয়া ব্যক্তিদের সবাই রোহিঙ্গা নাগরিক। রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরগুলো ডেঙ্গুর ‘হটস্পট’ হয়ে উঠেছে।
এখন শহরে ডেঙ্গুর প্রকোপ কমে এসেছে জানিয়ে সিভিল সার্জন বলেন, চলতি বছর স্থানীয়দের কারও মৃত্যু হয়নি। মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ছে।
কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরগুলো ডেঙ্গুর ‘হটস্পট’ হয়ে উঠেছে। শীত মৌসুমেও এই দুই উপজেলার ৩৩টি ক্যাম্পে গড়ে ৫০ জন রোহিঙ্গার ডেঙ্গু শনাক্ত হচ্ছে। চলতি বছরে ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত সেখানে ১৪ হাজার ৪০ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এ সময়ে মারা গেছেন ৯ জন।
এর আগের দুই বছরের তুলনায় এ বছর ডেঙ্গুতে মৃত্যুর হার কমেছে। তবে আক্রান্তের হার বেড়েছে। রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরের পাশাপাশি কক্সবাজারের নয় উপজেলার ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়েছে। তবে চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের মৃত্যু হয়নি বলে জানিয়েছে জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয়।
চলতি বছরের ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেলায় ২০ হাজার ১০৭ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তের মধ্যে ৬ হাজার ৬৭ জন স্থানীয় বাংলাদেশি। বাকিরা রোহিঙ্গা নাগরিক। এ সময়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৬ রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়। এ ছাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাড়িতে আক্রান্ত আরও তিন রোহিঙ্গা নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে।
সিভিল সার্জন ও শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয়ের প্রতিবেদনে দেখা যায়, চলতি বছরের জুলাই মাস পর্যন্ত আক্রান্ত ছিল ৪ হাজার ২৪৭ জন। আগস্টে আক্রান্তের সংখ্যা হু হু করে বাড়তে থাকে। সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ৯১০ জন রোগী শনাক্ত এবং ৪ জনের মৃত্যু হয়। সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত তিন মাস রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও জেলার নয় উপজেলায় ডেঙ্গু রোগীর প্রকোপ বেশি দেখা দেয়।
এর আগে ২০২৩ সালে জেলায় ১৮ হাজার ২১১ জন আক্রান্ত হয়েছিল। এর মধ্যে রোহিঙ্গা নাগরিক ১৩ হাজার ৮৯৫ জন। মৃত্যু হয় ৪ বাংলাদেশিসহ ১৯ জনের। ২০২২ সালে নয় বাংলাদেশিসহ ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এ সময় আক্রান্ত হয়েছিল ১৭ হাজার ৩৯০ জন। তাদের মধ্যে বাংলাদেশি দুই হাজার ৩৮ জন।
চিকিৎসক ও সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রোহিঙ্গা শিবিরগুলো ঘিঞ্জি পরিবেশে গাদাগাদি জীবনযাপন, পানি পানিনিষ্কাশনের প্রতিবন্ধকতা, ডাবের খোসাসহ বিভিন্ন স্থানে জমে থাকা পানির কারণে সেখানে মশার প্রজনন বাড়ছে। অন্যদিকে মশার লার্ভা ও উড়ন্ত মশা মারার উদ্যোগও সীমিত। চিকিৎসকেরা বলছে, এখন শহরের পাশাপাশি গ্রামেও ডেঙ্গুর বিস্তার ঘটছে।
রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে ডেঙ্গুর প্রকোপ কমাতে কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) কার্যালয় এবং দেশি-বিদেশি আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থা নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। এ তথ্য জানায় আরআরআরসি কার্যালয়ের চিকিৎসা সমন্বয়ক ডা. আবু তোহা ভূঁইয়া। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সচেতনতা বাড়াতে প্রচারণার পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে।’
ডেঙ্গু প্রতিরোধে জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের সমন্বয়ে নানাভাবে সচেতনতামূলক কার্যক্রম চলমান আছে বলে জানিয়েছেন জেলা সিভিল সার্জন ডা. আসিফ আহমেদ হাওলাদার। তিনি বলেন, এ বছর আক্রান্তের হার বাড়লেও মৃত্যু কমেছে। মারা যাওয়া ব্যক্তিদের সবাই রোহিঙ্গা নাগরিক। রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরগুলো ডেঙ্গুর ‘হটস্পট’ হয়ে উঠেছে।
এখন শহরে ডেঙ্গুর প্রকোপ কমে এসেছে জানিয়ে সিভিল সার্জন বলেন, চলতি বছর স্থানীয়দের কারও মৃত্যু হয়নি। মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ছে।
সরেজমিনে কুর্নী ও বহনতলী এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, সড়কের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্তে বৃষ্টির পানি জমে আছে। এতে গর্তের গভীরতা ও অবস্থান বোঝা কঠিন হয়ে পড়েছে চালকদের জন্য। প্রতিনিয়ত যানবাহন এসব গর্তে পড়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে।
২ মিনিট আগেউপজেলার বড়বিল-তুলাবিল-কালাপানি সড়কের পান্নাবিল এলাকায় একটি ব্রিজ সম্পূর্ণভাবে দেবে গেছে। এ ছাড়া একসত্যাপাড়া-বড়বিল, যোগ্যাছোলা-আছারতলী ও গচ্ছাবিল-চইক্যাবিল সড়কে চলমান কার্পেটিং প্রকল্পের ৪০-৫০ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কংক্রিট-বালু দিয়ে প্রস্তুত সড়ক অংশ খরস্রোতে ভেসে গেছে।
৬ মিনিট আগে২০১১ সাল থেকে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সোসাইটি ফর পিপলস অ্যাকশন ইন চেঞ্জ অ্যান্ড ইকুইটি—স্পেস’র সহায়তায় এসব ইকো টয়লেট স্থাপন করা হয়। প্রতিটি টয়লেটের দুটি চেম্বার থেকে বছরে দেড়শ কেজি জৈব সার উৎপন্ন হয়। পাশাপাশি প্রস্রাব সংরক্ষণ করে ব্যবহার করা হয় ইউরিয়া সারের বিকল্প হিসেবে। এতে বিঘাপ্রতি ২-৩ হাজার টাকা
১০ মিনিট আগেভূমিকম্পপ্রবণ ১৯৪টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ১৫তম অবস্থানে জানিয়ে পরিকল্পনাবিদ তৌফিকুল আলম বলেন, দেশে সিলেট অঞ্চল সবচেয়ে বেশি ভূমিকম্পপ্রবণ। ঢাকায় উচ্চ জনঘনত্ব, মাটি দুর্বল ও নীতিমালা না মেনেই ভবন নির্মাণের কারণে ৭.৫ মাত্রার ভূমিকম্প হলে ৫১ শতাংশ ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
১ ঘণ্টা আগে