রামগড় (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি
খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার প্রত্যন্ত পাহাড়ি অঞ্চল খাগড়াবিল এলাকার একমাত্র ভরসা খাগড়াবিল জুনিয়র হাই স্কুল। ১৯৯৪ সালে স্থানীয় যুবকদের স্বপ্ন, শ্রম আর নিজেদের অর্থায়নে প্রতিষ্ঠিত এই স্কুলটি দুর্গম এলাকার গরিব-অসহায় মানুষের সন্তানদের শিক্ষার আলো পৌঁছে দিচ্ছিল। ২০১৮ সালে পাঠদানের অনুমতি এবং ২০২৩ সালে সরকারি স্বীকৃতি পেলেও স্কুলটি এখন চলছে এক ব্যক্তির স্বেচ্ছাচারিতায়। তাঁর নাম খুরশিদ আলম।
গত ছয় বছর ধরে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে খুরশিদ আলমের বিরুদ্ধে রয়েছে দুর্নীতি, অনিয়ম ও ক্ষমতার অপব্যবহারের পাহাড়সম অভিযোগ।
স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, ২০১৯ সাল থেকে আজ পর্যন্ত স্কুলের কোনো বার্ষিক আয়-ব্যয়ের হিসাব ম্যানেজিং কমিটির কাছে জমা দেননি খুরশিদ আলম। নেই কোনো ভাউচার, নেই ব্যাংক হিসাবের লেনদেন নথি। কমিটি ব্যবস্থা নিতে গেলে তিনি পালিয়ে থাকেন। পরিস্থিতি ঠান্ডা হলে আবার স্কুলে ফিরে আসেন এবং আগের মতোই কর্মকাণ্ড চালিয়ে যান।
ম্যানেজিং কমিটির সাবেক এক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘প্রধান শিক্ষক খুরশিদ আলম তাঁর ইচ্ছামতো স্কুল চালাচ্ছেন। যেদিন কমিটি হিসাব চাইতো, সেদিন তিনি গা ঢাকা দিতেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবার ফিরে আসতেন।’
গত ২৯ মে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদে নামে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রশিদবিহীন বেতন আদায়, অতিরিক্ত সার্টিফিকেট ফি, সনদে ইচ্ছাকৃত ভুল করে টাকা আদায়, ক্লাস রুটিন না রাখা, স্কুল বন্ধের আগাম নোটিশ না দেওয়া, বাঁশ-ফল বিক্রি এবং অনুদানের টাকা আত্মসাৎ—এসবই এখন এই স্কুলের নিত্যদিনের চিত্র। শিক্ষার্থীরা এসবের প্রতিবাদ জানালে খুরশিদ আলম এবং তার দুই শ্যালক শিক্ষার্থীদের সাথে অশোভন আচরণ করেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। শুধু তাই নয়, স্কুলের সহকারী শিক্ষকদের ১৩ মাস ধরে বেতন বন্ধ। প্রতিবাদ করায় একাধিক শিক্ষককে মিথ্যা অভিযোগে বরখাস্ত করা হয়েছে বলেও জানা গেছে।
অভিযোগ রয়েছে, শামীমা আক্তার ও আরিফ হোসেন নামের দুই সহকারী শিক্ষক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দিলে তাঁদের মিথ্যা অভিযোগে চাকরিচ্যুত করা হয়। অব্যাহতির কোনো আনুষ্ঠানিকতা বা নোটিশ ছাড়াই ৩০ মে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা এবং স্কুল সভাপতি তাঁর অফিসে ডেকে নিয়ে হাতে দেন অব্যাহতির চিঠি।
৮ম শ্রেণির ছাত্র আবু বক্কর বলে, ‘চোর প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয় ধ্বংস করে দিয়েছেন। ষড়যন্ত্র করে দুই শিক্ষককে বের করে দিয়েছেন। কেন তাদের অব্যাহতি, আমরা জানতেও পারলাম না।’
শাহিদা ও ধনপ্রিয়া নামে দুই শিক্ষার্থী বলে, ‘শিক্ষক ধাঁধাঁয় ক্লাস হয় না। সামনে পরীক্ষা। আমাদের ক্ষতির দায় কে নেবে?’
সদ্য অব্যাহতিপ্রাপ্ত শিক্ষক আরিফ হোসেন বলেন, ‘ষড়যন্ত্র করে প্রধান শিক্ষক মিথ্যা অভিযোগে আমাকে এবং আরও এক সহকর্মীকে অব্যাহতি দিয়েছেন। বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরাও তার হাতে নিরাপদ নয়। আমাদের বেতন আটকে রেখে তিনি নিজের বেতন ঠিকই তুলে নেন।’
সর্বশেষ, গতকাল রোববারও শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করে প্রধান শিক্ষক খুরশিদ আলমের অপসারণ দাবি করে।
এ সব বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত শিক্ষক খুরশিদ আলম বলেন, ‘এটি একটি চক্রের ষড়যন্ত্র। সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি জানান, বিদ্যালয়ের আয় সীমিত। আয় ব্যায় হিসেব মিলে না। আমার নিজেরও বেতন বকেয়া রয়েছে। শিক্ষার্থীদের শ্রেণীকক্ষ থেকে জোরপূর্বক বের করে শিখিয়ে দেওয়া বক্তব্য দিতে বাধ্য করেছে।’
এ বিষয়ে স্কুলের বর্তমান সভাপতি ও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘বিদ্যালয়ে ব্যাপক অনিয়ম রয়েছে। শিক্ষকদের বরখাস্তের ঘটনা, বেতন বকেয়া ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে ২১ দিনের মধ্যে সভা ডেকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।’ আজ সোমবার বিকেলে বিদ্যালয়ে জরুরি সভা ডাকা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার প্রত্যন্ত পাহাড়ি অঞ্চল খাগড়াবিল এলাকার একমাত্র ভরসা খাগড়াবিল জুনিয়র হাই স্কুল। ১৯৯৪ সালে স্থানীয় যুবকদের স্বপ্ন, শ্রম আর নিজেদের অর্থায়নে প্রতিষ্ঠিত এই স্কুলটি দুর্গম এলাকার গরিব-অসহায় মানুষের সন্তানদের শিক্ষার আলো পৌঁছে দিচ্ছিল। ২০১৮ সালে পাঠদানের অনুমতি এবং ২০২৩ সালে সরকারি স্বীকৃতি পেলেও স্কুলটি এখন চলছে এক ব্যক্তির স্বেচ্ছাচারিতায়। তাঁর নাম খুরশিদ আলম।
গত ছয় বছর ধরে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে খুরশিদ আলমের বিরুদ্ধে রয়েছে দুর্নীতি, অনিয়ম ও ক্ষমতার অপব্যবহারের পাহাড়সম অভিযোগ।
স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, ২০১৯ সাল থেকে আজ পর্যন্ত স্কুলের কোনো বার্ষিক আয়-ব্যয়ের হিসাব ম্যানেজিং কমিটির কাছে জমা দেননি খুরশিদ আলম। নেই কোনো ভাউচার, নেই ব্যাংক হিসাবের লেনদেন নথি। কমিটি ব্যবস্থা নিতে গেলে তিনি পালিয়ে থাকেন। পরিস্থিতি ঠান্ডা হলে আবার স্কুলে ফিরে আসেন এবং আগের মতোই কর্মকাণ্ড চালিয়ে যান।
ম্যানেজিং কমিটির সাবেক এক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘প্রধান শিক্ষক খুরশিদ আলম তাঁর ইচ্ছামতো স্কুল চালাচ্ছেন। যেদিন কমিটি হিসাব চাইতো, সেদিন তিনি গা ঢাকা দিতেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবার ফিরে আসতেন।’
গত ২৯ মে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদে নামে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রশিদবিহীন বেতন আদায়, অতিরিক্ত সার্টিফিকেট ফি, সনদে ইচ্ছাকৃত ভুল করে টাকা আদায়, ক্লাস রুটিন না রাখা, স্কুল বন্ধের আগাম নোটিশ না দেওয়া, বাঁশ-ফল বিক্রি এবং অনুদানের টাকা আত্মসাৎ—এসবই এখন এই স্কুলের নিত্যদিনের চিত্র। শিক্ষার্থীরা এসবের প্রতিবাদ জানালে খুরশিদ আলম এবং তার দুই শ্যালক শিক্ষার্থীদের সাথে অশোভন আচরণ করেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। শুধু তাই নয়, স্কুলের সহকারী শিক্ষকদের ১৩ মাস ধরে বেতন বন্ধ। প্রতিবাদ করায় একাধিক শিক্ষককে মিথ্যা অভিযোগে বরখাস্ত করা হয়েছে বলেও জানা গেছে।
অভিযোগ রয়েছে, শামীমা আক্তার ও আরিফ হোসেন নামের দুই সহকারী শিক্ষক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দিলে তাঁদের মিথ্যা অভিযোগে চাকরিচ্যুত করা হয়। অব্যাহতির কোনো আনুষ্ঠানিকতা বা নোটিশ ছাড়াই ৩০ মে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা এবং স্কুল সভাপতি তাঁর অফিসে ডেকে নিয়ে হাতে দেন অব্যাহতির চিঠি।
৮ম শ্রেণির ছাত্র আবু বক্কর বলে, ‘চোর প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয় ধ্বংস করে দিয়েছেন। ষড়যন্ত্র করে দুই শিক্ষককে বের করে দিয়েছেন। কেন তাদের অব্যাহতি, আমরা জানতেও পারলাম না।’
শাহিদা ও ধনপ্রিয়া নামে দুই শিক্ষার্থী বলে, ‘শিক্ষক ধাঁধাঁয় ক্লাস হয় না। সামনে পরীক্ষা। আমাদের ক্ষতির দায় কে নেবে?’
সদ্য অব্যাহতিপ্রাপ্ত শিক্ষক আরিফ হোসেন বলেন, ‘ষড়যন্ত্র করে প্রধান শিক্ষক মিথ্যা অভিযোগে আমাকে এবং আরও এক সহকর্মীকে অব্যাহতি দিয়েছেন। বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরাও তার হাতে নিরাপদ নয়। আমাদের বেতন আটকে রেখে তিনি নিজের বেতন ঠিকই তুলে নেন।’
সর্বশেষ, গতকাল রোববারও শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করে প্রধান শিক্ষক খুরশিদ আলমের অপসারণ দাবি করে।
এ সব বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত শিক্ষক খুরশিদ আলম বলেন, ‘এটি একটি চক্রের ষড়যন্ত্র। সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি জানান, বিদ্যালয়ের আয় সীমিত। আয় ব্যায় হিসেব মিলে না। আমার নিজেরও বেতন বকেয়া রয়েছে। শিক্ষার্থীদের শ্রেণীকক্ষ থেকে জোরপূর্বক বের করে শিখিয়ে দেওয়া বক্তব্য দিতে বাধ্য করেছে।’
এ বিষয়ে স্কুলের বর্তমান সভাপতি ও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘বিদ্যালয়ে ব্যাপক অনিয়ম রয়েছে। শিক্ষকদের বরখাস্তের ঘটনা, বেতন বকেয়া ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে ২১ দিনের মধ্যে সভা ডেকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।’ আজ সোমবার বিকেলে বিদ্যালয়ে জরুরি সভা ডাকা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
যশোরের মনিরামপুর উপজেলার পলাশী পূর্বপাড়ার ভ্যানচালক মিজানুর রহমান জ্বর-ব্যথা নিয়ে গিয়েছিলেন পাশের বাসুদেবপুর কমিউনিটি ক্লিনিকে। সেখানে কমিউনিটি হেলথকেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) মিতা রাণী দত্ত রোগের কথা শুনেই তাঁকে স্থানীয় পল্লিচিকিৎসক বা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
১ ঘণ্টা আগেদীর্ঘদিন সংস্কার না করায় রাজধানীর জুরাইন-দয়াগঞ্জ সড়কটি বেহাল হয়ে পড়েছে। সড়কের গেন্ডারিয়া রেলস্টেশনের সামনের অংশে অসংখ্য খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে। এসব খানাখন্দ কোথাও কোথাও এক থেকে দেড় ফুট পর্যন্ত গভীর। বৃষ্টির পানি জমে সেসব গর্ত পুকুরের রূপ ধারণ করেছে।
২ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন আগামী ৯ সেপ্টেম্বর। এই নির্বাচনের মাত্র এক মাস আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে ছাত্র রাজনীতিতে নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখায় ক্যাম্পাসে সক্রিয় ছাত্রসংগঠনগুলোর মধ্যে বিরোধ আরও বেড়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেরাজধানীর নিউমার্কেট এলাকার বিভিন্ন দোকান ও গুদামে অভিযান চালিয়ে প্রায় ১ হাজার ১০০টি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী। উদ্ধারকৃত অস্ত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে কিশোর গ্যাং ও ছিনতাইকারীদের ব্যবহৃত কুখ্যাত ‘সামুরাই’ চাপাতি ও অন্যান্য ধারালো অস্ত্র।
৫ ঘণ্টা আগে