Ajker Patrika

১১ মামলার আসামিকে তুলে নিয়ে হত্যা, লাশ খালে ফেলার সময় আটক ২

নোয়াখালী প্রতিনিধি
আপডেট : ১৩ মে ২০২৫, ২০: ২০
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় লাশ খালে ফেলে পালানোর সময় এলাকাবাসী একজনকে ধরে বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে পিটুনি দেয়। ছবি: সংগৃহীত
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় লাশ খালে ফেলে পালানোর সময় এলাকাবাসী একজনকে ধরে বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে পিটুনি দেয়। ছবি: সংগৃহীত

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় জাকির হোসেন (৩৮) নামের এক ব্যক্তিকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তাঁর লাশ খালে ফেলে দেওয়ার সময় দুই ব্যক্তিকে ধরে পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে জাকিরের লাশ বেগমগঞ্জ থেকে এনে সোনাইমুড়ী উপজেলার বাংলাবাজার এলাকার খালে ফেলা হয়।

জাকির হোসেন সোনাইমুড়ীর সোনাপুর ইউনিয়নের হাসানপুর গ্রামের রফিক উল্যাহ মিস্ত্রির ছেলে। তিনি স্থানীয় সন্ত্রাসী গ্রুপ জাকির বাহিনীর প্রধান বলে জানিয়েছে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে সোনাইমুড়ী থানায় হত্যা, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অভিযোগে ১১টি মামলা রয়েছে।

জানা গেছে, আজ দুপুরে সোনাইমুড়ীর সোনাপুর ইউনিয়নের সোনাপুর বাজারে নজরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তির মাটি কাটার মেশিন পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে জাকিরের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার পর দুর্বৃত্তরা সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে জাকিরকে তাঁর বাড়ি থেকে অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে যায়। বিকেলে অটোরিকশা থেকে পাশের উপজেলা বেগমগঞ্জের পলোয়ানপোল এলাকার খালে জাকিরের লাশ ফেলে দেওয়ার সময় স্থানীয় লোকজন বিষয়টি দেখতে পায়। এ সময় লোকজন অটোরিকশাটি ধাওয়া করে বাংলাবাজার এলাকায় গিয়ে সেটি জব্দ করে। পরে অটোরিকশার চালক ও ভেতরে থাকা বাবু (৩৬) নামের এক যুবককে পিটুনি দিয়ে বেঁধে রাখে স্থানীয় লোকজন।

খবর পেয়ে বেগমগঞ্জ মডেল থানা-পুলিশ গিয়ে তাঁদের আটক করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। একই সঙ্গে খাল থেকে জাকিরের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোর্শেদ আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নজরুলের সঙ্গে জাকিরের ঝামেলার কথা আমরাও শুনেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে, তারা ফিরে এলে বিস্তারিত জানা যাবে। জাকিরের বিরুদ্ধে হত্যা, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অভিযোগে সোনাইমুড়ী থানায় ১১টি মামলা রয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে অন্য থানায় আরও মামলা রয়েছে।’

বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিটন দেওয়ান বলেন, নিহতের মৃতদেহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আটক দুজনকে পুলিশি হেফাজতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় পরবর্তীকালে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত