Ajker Patrika

বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদ্‌যাপন কমিটিতে নেই শিক্ষক সমিতির প্রতিনিধি 

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
আপডেট : ১৫ নভেম্বর ২০২১, ১৫: ৫৮
বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদ্‌যাপন কমিটিতে নেই শিক্ষক সমিতির প্রতিনিধি 

আগামী ১৮ নভেম্বর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ৫৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। অন্যান্যবারের মতো এবারও নানা আয়োজনে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্‌যাপন করবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি নির্ধারণ করতে এরই মধ্যে একটি কমিটি ও কয়েকটি উপ-কমিটি গঠন করেছে কর্তৃপক্ষ। তবে মূল কমিটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব পর্ষদ থেকে প্রতিনিধি রাখা হলেও শিক্ষক সমিতি থেকে কোন প্রতিনিধি রাখা হয়নি। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী শিক্ষক না হওয়া সত্ত্বেও একজন খণ্ডকালীন শিক্ষককে মূল কমিটির বৈঠক আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এই নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন শিক্ষক সমিতির নেতারা। 

নাম প্রকাশ না করা শর্তে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির এক নেতা আজকের পত্রিকাকে বলেন, এটা শিক্ষকদের জন্য খুব বিব্রতকর একটা ঘটনা। প্রতিবছরই কমিটিতে শিক্ষক সমিতির প্রতিনিধি থাকে। এইবারই প্রথম কমিটিতে কাউকে রাখা হয়নি। সম্প্রতি দুজন শিক্ষককে হেনস্তার প্রতিবাদে শিক্ষক সমিতি প্রশাসনের নির্লিপ্ততার বিষয়ে একটা বিবৃতি দিয়েছিল। হয়তো এ কারণেই প্রশাসন ক্ষুব্ধ হয়ে কমিটিতে শিক্ষক সমিতির কাউকে রাখেনি। 

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ১০ নভেম্বর উপাচার্য অধ্যাপক শিরিন আখতারের নির্দেশনায় 'বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদ্‌যাপন' সংক্রান্ত কর্মসূচি নির্ধারণের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়। ১৪ সদস্যের এই কমিটিতে উপাচার্যকে আহ্বায়ক, সহউপাচার্যকে যুগ্ম আহ্বায়ক ও প্রক্টরকে সদস্যসচিব করা হয়েছে। এ ছাড়া সিনেট, সিন্ডিকেট, ডিন, প্রভোস্ট, বিভাগীয় সভাপতিদের থেকে একজন করে, আইকিউএসির পরিচালক, রেজিস্ট্রার, কলেজ পরিদর্শক, আইসিটি সেলের পরিচালক, ছাত্র উপদেষ্টা ও গবেষণা পরিচালনা ও প্রকাশনা দপ্তরের পরিচালককে সদস্য করা হয়েছে। 

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, অতীতে যেভাবে কমিটিতে শিক্ষক সমিতির প্রতিনিধি থাকত, এবার আমরা সেটা দেখছি না। এবারের কমিটিতে শিক্ষক সমিতির কোন প্রতিনিধি নেই। আমরা বিষয়টি প্রশাসনকে মৌখিকভাবে জানিয়েছি। 

এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও সহ-উপাচার্যকে একাধিকবার মুঠোফোনে কল দিলেও সাড়া পাওয়া যায়নি। 

তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক এসো এম মনিরুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, সবাইকে নিয়েই এই আয়োজন হচ্ছে। এখানে কাউকে বাদ দেওয়া হয়নি। শিক্ষক সমিতির প্রতিনিধি বিভিন্ন উপকমিটিতে আছে। 

মূল কমিটিতে এবার না রাখার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, যারা কমিটি করেছে তাদের বলে দিচ্ছি শিক্ষক সমিতির প্রতিনিধি যোগ করার জন্য। 

প্রসঙ্গত, গত ৪ অক্টোবর এক বিবৃতিতে কতিপয় বিপথগামী ছাত্র নামধারীরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ক্যাম্পাসে প্রকাশ্যে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দুজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে মিথ্যা স্লোগান, আপত্তিকর শব্দপ্রয়োগে গালাগাল ও হুমকি দিয়ে অসম্মান, অবমাননা করে ঔদ্ধত্য দেখিয়ে যাচ্ছে জানিয়ে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। 

বিবৃতিতে শিক্ষক অবমাননাকারীদের এমন আচরণ মুক্তচিন্তা ও গণতন্ত্র চর্চার অন্তরায় এবং এ বিষয়ে দায়িত্বশীলদের নির্লিপ্ততা ও শৈথিল্য প্রদর্শন কখনো কাম্য নয়। কারণ এর পরিণতি ভয়ংকর হতে পারে বলেও উল্লেখ করা হয়। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত