চবি প্রতিনিধি
হোটেলের টেবিলে বসার ঘটনাকে কেন্দ্র করে দ্বিতীয় দফায় সংঘর্ষে জড়িয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ছাত্রলীগের দুইটি গ্রুপের নেতা কর্মীরা। সংঘর্ষে প্রক্টরসহ অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে দুজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১টার দিকে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপে বেলা ৪টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। ক্যাম্পাসে বর্তমানে অতিরিক্ত পুলিশ ও র্যাব মোতায়েন করা হয়েছে।
এর আগে বুধবার রাত ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার একটি হোটেলের টেবিলে বসার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। যা থেমে থেমে রাত প্রায় ১২টা পর্যন্ত চলে। এ সময় একজন সহকারী প্রক্টর, বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জসহ অন্তত সাতজন আহত হন।
বিবাদমান গ্রুপ দুইটি হলো– সিক্সটি নাইন ও সিএফসি। এদের মধ্যে সিক্সটি নাইন গ্রুপের কর্মীরা নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী ও অপর গ্রুপ সিএফসি শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বুধবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটল ট্রেন ক্যাম্পাসে আসার পর একটি হোটেলে টেবিলে বসাকে কেন্দ্র করে সিক্সটি নাইনের এক কর্মীর সঙ্গে সিএফসির একাধিক কর্মীর তর্কাতর্কি হয়। পরে তা দুই গ্রুপের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে রূপ নেয়।
এ সময় সিক্সটি নাইন গ্রুপের কর্মীরা শাহজালাল হল ও সিএফসি গ্রুপের কর্মীরা শাহ আমানত হলে অবস্থান নিয়ে একে অপরের দিকে ইট–পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। পুলিশ ও প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যদের উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনার রেশ ধরে আজ বৃহস্পতিবার আবার সংঘর্ষে জড়িয়ে যায় দুই গ্রুপ। এ সময় উভয় পক্ষের হাতে দেশীয় অস্ত্র ও লাঠি সোঁটা দেখা যায়। দুই দফা সংঘর্ষে আহতের সংখ্যা ১৯ জনে দাঁড়িয়েছে।
সংঘর্ষের বিষয়ে জানতে চাইলে সিএফসি গ্রুপের নেতা ও শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সাদাফ খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গতকাল রাতের ঘটনা আমরা সমাধান করে ফেলেছি। কিন্তু আজ বেলা ১১টার দিকে আমাদের কর্মীরা ক্লাসে যাওয়ার সময় সিক্সটি নাইন গ্রুপের কর্মীরা তাদের ধাওয়া দেয়। এই ঘটনা আমরা প্রক্টর স্যারকে জানালে তিনি হলে আসেন। পরে প্রক্টর স্যারকে বিদায় দিতে গেলে আমাদের উপদপ্তর সম্পাদক রমজানকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে সিক্সটি নাইন গ্রুপের কর্মীরা। এরপর আবার ঝামেলা শুরু হয়।’
অন্যদিকে, সিক্সটি নাইন গ্রুপের নেতা ও শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপু বলেন, ‘দুইটি হল পাশাপাশি হওয়ায় সংঘর্ষের ঘটনা আজও ঘটেছে। সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে প্রক্টরিয়াল বডির যে ভূমিকা রাখা দরকার, সেটা পরিলক্ষিত হয়নি। আমরা জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেব।’
বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রের প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবু তৈয়ব আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সংঘর্ষে আহত হয়ে আমাদের এখানে আজ ১২ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। এদের মধ্যে দুজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. নুরুল আজিম সিকদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পূর্বের ঘটনাকে কেন্দ্র করে শাহজালাল ও শাহ আমানত হলে ছাত্রদের দুই গ্রুপের মধ্যে ফের সংঘর্ষ হয়েছে। পরিস্থিতি বর্তমানে আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ ও র্যাব মোতায়েন করা হয়েছে। রিজার্ভ ফোর্সও কিছুক্ষণের মধ্যেই আসছে। এ ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত আমরা তদন্ত পূর্বক তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেব।’
হোটেলের টেবিলে বসার ঘটনাকে কেন্দ্র করে দ্বিতীয় দফায় সংঘর্ষে জড়িয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ছাত্রলীগের দুইটি গ্রুপের নেতা কর্মীরা। সংঘর্ষে প্রক্টরসহ অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে দুজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১টার দিকে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপে বেলা ৪টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। ক্যাম্পাসে বর্তমানে অতিরিক্ত পুলিশ ও র্যাব মোতায়েন করা হয়েছে।
এর আগে বুধবার রাত ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার একটি হোটেলের টেবিলে বসার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। যা থেমে থেমে রাত প্রায় ১২টা পর্যন্ত চলে। এ সময় একজন সহকারী প্রক্টর, বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জসহ অন্তত সাতজন আহত হন।
বিবাদমান গ্রুপ দুইটি হলো– সিক্সটি নাইন ও সিএফসি। এদের মধ্যে সিক্সটি নাইন গ্রুপের কর্মীরা নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী ও অপর গ্রুপ সিএফসি শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বুধবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটল ট্রেন ক্যাম্পাসে আসার পর একটি হোটেলে টেবিলে বসাকে কেন্দ্র করে সিক্সটি নাইনের এক কর্মীর সঙ্গে সিএফসির একাধিক কর্মীর তর্কাতর্কি হয়। পরে তা দুই গ্রুপের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে রূপ নেয়।
এ সময় সিক্সটি নাইন গ্রুপের কর্মীরা শাহজালাল হল ও সিএফসি গ্রুপের কর্মীরা শাহ আমানত হলে অবস্থান নিয়ে একে অপরের দিকে ইট–পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। পুলিশ ও প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যদের উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনার রেশ ধরে আজ বৃহস্পতিবার আবার সংঘর্ষে জড়িয়ে যায় দুই গ্রুপ। এ সময় উভয় পক্ষের হাতে দেশীয় অস্ত্র ও লাঠি সোঁটা দেখা যায়। দুই দফা সংঘর্ষে আহতের সংখ্যা ১৯ জনে দাঁড়িয়েছে।
সংঘর্ষের বিষয়ে জানতে চাইলে সিএফসি গ্রুপের নেতা ও শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সাদাফ খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গতকাল রাতের ঘটনা আমরা সমাধান করে ফেলেছি। কিন্তু আজ বেলা ১১টার দিকে আমাদের কর্মীরা ক্লাসে যাওয়ার সময় সিক্সটি নাইন গ্রুপের কর্মীরা তাদের ধাওয়া দেয়। এই ঘটনা আমরা প্রক্টর স্যারকে জানালে তিনি হলে আসেন। পরে প্রক্টর স্যারকে বিদায় দিতে গেলে আমাদের উপদপ্তর সম্পাদক রমজানকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে সিক্সটি নাইন গ্রুপের কর্মীরা। এরপর আবার ঝামেলা শুরু হয়।’
অন্যদিকে, সিক্সটি নাইন গ্রুপের নেতা ও শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপু বলেন, ‘দুইটি হল পাশাপাশি হওয়ায় সংঘর্ষের ঘটনা আজও ঘটেছে। সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে প্রক্টরিয়াল বডির যে ভূমিকা রাখা দরকার, সেটা পরিলক্ষিত হয়নি। আমরা জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেব।’
বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রের প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবু তৈয়ব আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সংঘর্ষে আহত হয়ে আমাদের এখানে আজ ১২ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। এদের মধ্যে দুজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. নুরুল আজিম সিকদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পূর্বের ঘটনাকে কেন্দ্র করে শাহজালাল ও শাহ আমানত হলে ছাত্রদের দুই গ্রুপের মধ্যে ফের সংঘর্ষ হয়েছে। পরিস্থিতি বর্তমানে আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ ও র্যাব মোতায়েন করা হয়েছে। রিজার্ভ ফোর্সও কিছুক্ষণের মধ্যেই আসছে। এ ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত আমরা তদন্ত পূর্বক তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেব।’
মৌলভীবাজারের সৌন্দর্য বাড়িয়েছে নদী আর ছড়া। এ জেলায় রয়েছে কয়েক শ ছড়া। কিন্তু সিলিকা বালু লুটের কারণে এসব ছড়া শ্রীহীন হয়ে পড়ছে। বিপন্ন হচ্ছে পরিবেশ। এখানকার অর্ধশতাধিক ছড়া থেকে রাতের আঁধারে একটি মহল বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে; কিন্তু তা ঠেকানোর দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নেই। প্রশাস
১ ঘণ্টা আগেসন্ত্রাসী কার্যকলাপের জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জের এক বিএনপি নেতা আগ্নেয়াস্ত্র সরবরাহ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ-সংক্রান্ত তিনজনের একটি ফোনকল রেকর্ড ছড়িয়ে পড়েছে। এ ফোনকল রেকর্ড নিয়ে স্থানীয় প্রশাসন ও রাজনৈতিক অঙ্গনে তোলপাড় চলছে।
১ ঘণ্টা আগেটাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বছরে জমির নামজারি বা খারিজ হয় ৭ হাজারের অধিক। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বা এসি ল্যান্ড কার্যালয়ের এলআর (লোকাল রিলেশনস) ফান্ডের নামে নেওয়া হয় ২ হাজার টাকা। সেই সঙ্গে পৌর ও ইউনিয়ন ভূমি অফিসগুলোর কন্টিনজেন্সি বিলের (খাতা, কলমসহ আনুষঙ্গিক খরচ) জন্য বরাদ্দ আসে বছরে সাড়ে ৩ থেকে ৫
২ ঘণ্টা আগেকৃষি ব্যাংকের খুলনার পূর্ব রূপসা শাখা থেকে লকার ভেঙে কয়েক লাখ টাকা নিয়ে গেছে সংঘবদ্ধ চোরেরা। শুক্রবার রাতে বিষয়টি ধরা পড়ে। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার মধ্যে কোনো এক সময়ে এ চুরির ঘটনা ঘটতে পারে বলে পুলিশের ধারণা। ব্যাংক এবং আশপাশের ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে চোরদের শনাক্ত করার চেষ্টা
৩ ঘণ্টা আগে