রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের শ্রমিকের সংকট দেখা দিয়েছে। শ্রমিকসংকটের কারণে কৃষকেরা সময়মতো ফসল ঘরে তুলতে পারছেন না। এদিকে শ্রমিকের মূল্য অতিরিক্ত হওয়ায় ধানের মূল্যের সঙ্গে কোনোভাবেই মেলাতে পারছেন না। ফলে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন উপজেলার কৃষকেরা।
উপজেলা কৃষি অফিসের সূত্রে জানা যায়, এই মৌসুমে রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় ৮ হাজার ৩৬৫ হেক্টর জমিতে ধান রোপণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে সব জাতের ধান পেকে গেছে। অর্ধেকেরও বেশি কৃষকদের জমির ধান কাটা-মাড়াই হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার পোমরা, বেতাগী ও গুমাইবিল, দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়ার সরফভাটা, কোদালা, পদুয়া ও শিলক, উত্তর রাঙ্গুনিয়ার রানিরহাট, রাজানগর, রাজাভুবন, ঘাগড়া ও পারুয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন কৃষিজমিতে এ বছর এখন পর্যন্ত মাঠের ৭০ ভাগের বেশি ধান কাটা ও মাড়াই হয়নি।
এ বিষয়ে কৃষকেরা জানান, প্রতিবছর নোয়াখালী, নীলফামারী, দিনাজপুর, গাইবান্ধা, নাটোরসহ বেশ কয়েকটি জেলা থেকে রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় ধান কাটা-মাড়াইয়ের জন্য প্রচুরসংখ্যক শ্রমিক আসতেন। কিন্তু এ বছর কৃষকদের চাহিদা অনুযায়ী এক-তৃতীয়াংশও শ্রমিক আসেনি। তাই ধান কাটার শুরু থেকেই শ্রমিকের সংকট দেখা দিয়েছে। এদিকে শ্রমিকসংকটের কারণে উপজেলার প্রায় প্রতিটি মাঠে ফসল পড়ে থাকায় ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কাসহ লোকসানের চিন্তা করছেন কৃষকেরা।
গুমাইবিল এলাকার কৃষক আলী আজগর বলেন, ‘চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে আমি প্রায় ১০ বিঘা জমিতে বিভিন্ন জাতের ধান রোপণ করেছি। ৮-১০ দিন আগে আমার জমির প্রায় সব ধান পেকে গেছে। এখন পর্যন্ত ধান কাটার শ্রমিক না পাওয়ায় ফসল ঘরে তুলতে পারিনি।’
দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়ার শিলক ইউনিয়নের তৈলভাঙ্গা বিলের কৃষক আব্বাস আলী বলেন, ‘আমি এবার ১৫ বিঘা জমিতে ধান রোপণ করেছি। সব ধান পেকে মাঠে পড়ে রয়েছে। ধানগুলো কাটা-মাড়াইয়ের জন্য এখনো পর্যন্ত শ্রমিক পাইনি। ঝোড়ো হাওয়া এবং দফায় দফায় বৃষ্টির কারণে আমার বেশ কিছু ধান জমিতে নুয়ে পড়েছে। এতে ধান পচে যাওয়াসহ পোকার আক্রমণের আশঙ্কায় রয়েছি। সঠিক সময়ে ফসল ঘরে তুলতে না পারলে কৃষকেরা লোকসানের মুখে পড়বেন।’
এদিকে চট্টগ্রামের শস্যভান্ডার নামে খ্যাত গুমাইবিলে গিয়ে দেখা যায়, মাইলের পর মাইল ফসলি জমিতে ধান পেকেছে। তবে ধান কাটার শ্রমিক দেখা গেছে একেবারেই কম।
গুমাইবিলের কয়েকজন কৃষক জানান, ধান পেকে গেলেও শ্রমিকের সংকটের কারণে এখনো ঘরে তুলতে পারছেন না। এভাবে হলে আমরা যেমন লোকসানে পড়ব, ঠিক একইভাবে দেশে ধান উৎপাদনের দিক দিয়ে সরকারও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
পোমরা এলাকার কৃষক আবদুর রহিম বলেন, ‘গত বছর জনপ্রতি শ্রমিকের মূল্য ছিল সর্বোচ্চ ৮০০ টাকা। কিন্তু এ বছর তা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকায়। যার কারণে আমরা শ্রমিক নিতে পারছি না। অতিরিক্ত মূল্যে শ্রমিক দিয়ে কাজ করাতে গেলে ধান বিক্রি করে দিন শেষে লোকসান গুনতে হবে। এ ব্যাপারে আমরা সরকারের সহযোগিতা চাই।’
রাঙ্গুনিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. ইমরান হোসেন (অতিরিক্ত দায়িত্ব) জানান, ‘এ বছর উপজেলায় শ্রমিকের সংকট দেখা দিয়েছে। তবে এ ব্যাপারে আমরা মাঠ পর্যায়ের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। কৃষকেরা যদি আগ্রহী হন, তাহলে হারভেস্টার মেশিনের সাহায্যে তাঁদের সহজে ধান বাড়িতে তোলার ব্যবস্থা করব। এ ছাড়া সঠিক সময়ে যাতে ধান বাড়িতে তোলা যায়, সে ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের শ্রমিকের সংকট দেখা দিয়েছে। শ্রমিকসংকটের কারণে কৃষকেরা সময়মতো ফসল ঘরে তুলতে পারছেন না। এদিকে শ্রমিকের মূল্য অতিরিক্ত হওয়ায় ধানের মূল্যের সঙ্গে কোনোভাবেই মেলাতে পারছেন না। ফলে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন উপজেলার কৃষকেরা।
উপজেলা কৃষি অফিসের সূত্রে জানা যায়, এই মৌসুমে রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় ৮ হাজার ৩৬৫ হেক্টর জমিতে ধান রোপণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে সব জাতের ধান পেকে গেছে। অর্ধেকেরও বেশি কৃষকদের জমির ধান কাটা-মাড়াই হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার পোমরা, বেতাগী ও গুমাইবিল, দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়ার সরফভাটা, কোদালা, পদুয়া ও শিলক, উত্তর রাঙ্গুনিয়ার রানিরহাট, রাজানগর, রাজাভুবন, ঘাগড়া ও পারুয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন কৃষিজমিতে এ বছর এখন পর্যন্ত মাঠের ৭০ ভাগের বেশি ধান কাটা ও মাড়াই হয়নি।
এ বিষয়ে কৃষকেরা জানান, প্রতিবছর নোয়াখালী, নীলফামারী, দিনাজপুর, গাইবান্ধা, নাটোরসহ বেশ কয়েকটি জেলা থেকে রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় ধান কাটা-মাড়াইয়ের জন্য প্রচুরসংখ্যক শ্রমিক আসতেন। কিন্তু এ বছর কৃষকদের চাহিদা অনুযায়ী এক-তৃতীয়াংশও শ্রমিক আসেনি। তাই ধান কাটার শুরু থেকেই শ্রমিকের সংকট দেখা দিয়েছে। এদিকে শ্রমিকসংকটের কারণে উপজেলার প্রায় প্রতিটি মাঠে ফসল পড়ে থাকায় ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কাসহ লোকসানের চিন্তা করছেন কৃষকেরা।
গুমাইবিল এলাকার কৃষক আলী আজগর বলেন, ‘চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে আমি প্রায় ১০ বিঘা জমিতে বিভিন্ন জাতের ধান রোপণ করেছি। ৮-১০ দিন আগে আমার জমির প্রায় সব ধান পেকে গেছে। এখন পর্যন্ত ধান কাটার শ্রমিক না পাওয়ায় ফসল ঘরে তুলতে পারিনি।’
দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়ার শিলক ইউনিয়নের তৈলভাঙ্গা বিলের কৃষক আব্বাস আলী বলেন, ‘আমি এবার ১৫ বিঘা জমিতে ধান রোপণ করেছি। সব ধান পেকে মাঠে পড়ে রয়েছে। ধানগুলো কাটা-মাড়াইয়ের জন্য এখনো পর্যন্ত শ্রমিক পাইনি। ঝোড়ো হাওয়া এবং দফায় দফায় বৃষ্টির কারণে আমার বেশ কিছু ধান জমিতে নুয়ে পড়েছে। এতে ধান পচে যাওয়াসহ পোকার আক্রমণের আশঙ্কায় রয়েছি। সঠিক সময়ে ফসল ঘরে তুলতে না পারলে কৃষকেরা লোকসানের মুখে পড়বেন।’
এদিকে চট্টগ্রামের শস্যভান্ডার নামে খ্যাত গুমাইবিলে গিয়ে দেখা যায়, মাইলের পর মাইল ফসলি জমিতে ধান পেকেছে। তবে ধান কাটার শ্রমিক দেখা গেছে একেবারেই কম।
গুমাইবিলের কয়েকজন কৃষক জানান, ধান পেকে গেলেও শ্রমিকের সংকটের কারণে এখনো ঘরে তুলতে পারছেন না। এভাবে হলে আমরা যেমন লোকসানে পড়ব, ঠিক একইভাবে দেশে ধান উৎপাদনের দিক দিয়ে সরকারও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
পোমরা এলাকার কৃষক আবদুর রহিম বলেন, ‘গত বছর জনপ্রতি শ্রমিকের মূল্য ছিল সর্বোচ্চ ৮০০ টাকা। কিন্তু এ বছর তা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকায়। যার কারণে আমরা শ্রমিক নিতে পারছি না। অতিরিক্ত মূল্যে শ্রমিক দিয়ে কাজ করাতে গেলে ধান বিক্রি করে দিন শেষে লোকসান গুনতে হবে। এ ব্যাপারে আমরা সরকারের সহযোগিতা চাই।’
রাঙ্গুনিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. ইমরান হোসেন (অতিরিক্ত দায়িত্ব) জানান, ‘এ বছর উপজেলায় শ্রমিকের সংকট দেখা দিয়েছে। তবে এ ব্যাপারে আমরা মাঠ পর্যায়ের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। কৃষকেরা যদি আগ্রহী হন, তাহলে হারভেস্টার মেশিনের সাহায্যে তাঁদের সহজে ধান বাড়িতে তোলার ব্যবস্থা করব। এ ছাড়া সঠিক সময়ে যাতে ধান বাড়িতে তোলা যায়, সে ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
তিনি টেকের বাজারে কাগজপত্র ফটোকপি করতে গেলে স্থানীয় বিএনপির কর্মী গিয়াস উদ্দিন দেওয়ান, তাঁর ছেলে রিয়াজুল ইসলাম জিসান এবং সহযোগী আজমাইন চৌধুরীসহ আরও তিন-চারজন মিলে তাঁর পথরোধ করে। একপর্যায়ে গিয়াস উদ্দিন বাঁশের লাঠি দিয়ে তাঁর মাথায় আঘাত করেন এবং অন্যরা এলোপাতাড়ি মারধর করেন। এতে তিনি গুরুতর আহত হন।
২০ মিনিট আগেনারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে চাঁদা চেয়ে না পেয়ে বন্দুক দিয়ে গুলি করে হত্যার হুমকির অভিযোগে অস্ত্রধারী এক বিএনপি নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার রাতে তাঁকে উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের আমগাঁও এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম শাহজাহান ভূঁইয়া।
৩৫ মিনিট আগে২২ জুন রাতে বিস্ফোরণের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত সাচড়া ইউনিয়নের দেউলা শিবপুর গ্রামের দুটি পরিবারের জন্য হাফিজ ইব্রাহিমের পক্ষ থেকে ২৩ জুন (সোমবার) সকালে এক লাখ টাকার আর্থিক সহায়তা প্রদান করে উপজেলা বিএনপি। মিছির কাজীর ছেলে মোজাম্মেলকে ৭০ হাজার ও আজাহার চৌকিদারকে ৩০ হাজার টাকা দেওয়া হয়।
৩৯ মিনিট আগেমব জাস্টিস কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। তাঁর (নূরুল হুদার) সঙ্গে যেটা হয়েছে, মানে গলায় এটা-সেটা পরিয়ে দেওয়া হয়েছে, তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
১ ঘণ্টা আগে