Ajker Patrika

উনি যখন চাচ্ছেন না, আপনারা আরও কিছুদিন আমাকে সহ্য করুন: চবি উপাচার্য

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
আপডেট : ২১ ডিসেম্বর ২০২৩, ১১: ০৬
উনি যখন চাচ্ছেন না, আপনারা আরও কিছুদিন আমাকে সহ্য করুন: চবি উপাচার্য

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার বলেছেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যখন চাইবেন, তখন আমি চলে যাব। এখন উনি চাচ্ছেন না, আমি কী করব? আমাকে থাকতেই হচ্ছে। উনি যখন চাচ্ছেন না, আপনারা আরও কিছুদিন আমাকে সহ্য করুন। উনি যখন বলবেন, তখন আমি সিট ছেড়ে দিয়ে চলে যাব।’

আজ শুক্রবার দুপুরে উপাচার্যের সম্মেলন কক্ষে নবনির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও অতীশ দীপঙ্কর হলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য এসব কথা বলেন। ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে হল দুটির উদ্বোধন করেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

উপাচার্য বলেন, ‘ভিসি, প্রো-ভিসি একটি চলমান প্রবাহ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যখন চাইবেন, তখন আমি চলে যাব। এখন উনি চাচ্ছেন না, আমি কী করব? আমাকে থাকতেই হচ্ছে। আমারও খুব বেশি আরামের দরকার ছিল। একটু চলে টলে গিয়ে একটু লেখালেখি করা, ঘোরাঘুরি করা। উনি যখন চাচ্ছেন না, আপনারা আরও কিছুদিন আমাকে সহ্য করুন। আপনারা তত দিন পর্যন্ত একটু ভালো রাখুন। আমার বিরুদ্ধে যা বলবেন বলেন, আমার কানে না এলেই হলো। আমাকে কাজগুলো করতে দেন। তবে যত দিন আছি, মাঠ ছেড়ে যাব না।’

শিরীণ আখতার আরও বলেন, ‘আমি বীর মুক্তিযোদ্ধার কন্যা, বীর মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী। যে মানুষ সরাসরি যুদ্ধ করেছে, তাঁর স্ত্রী আমি। তাই আমি মাঠ ছাড়ার ভয় পাই না। আমার ওপরে আল্লাহ আছে, নিচে আছে শেখ হাসিনা। আমার আছে সাহিত্যপ্রেম। আল্লাহর প্রতি ভক্তি। আমি তাহাজ্জুদের নামাজ পড়লে সবকিছু ভুলে যাই।’

বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার সাঈদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বঙ্গবন্ধু হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সজীব কুমার ঘোষ, বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সহ-উপাচার্য অধ্যাপক বেণু কুমার দে, শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. খায়রুল ইসলাম ও আইকিউএসির পরিচালক অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ মামুন।

বঙ্গবন্ধু হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সজীব কুমার ঘোষ বলেন, ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় পূর্ণ আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে যাত্রা শুরু করেছিল। কিন্তু ক্রমান্বয়ে শিক্ষার্থী বৃদ্ধি পেলেও সেই তুলনায় আবাসন নিশ্চিত করা যায়নি। তবে সম্প্রতি এ দুটিসহ মোট চারটি হল উদ্বোধন করা হয়েছে। আশা করি, তাতে আবাসন সংকট অনেকটাই কমে যাবে। আমরা চেষ্টা করব, সুষ্ঠু আসন বিন্যাসের মাধ্যমে হলে শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করতে। অতীশ দীপঙ্কর ও বঙ্গবন্ধু হলের প্রভোস্ট যেহেতু সেখানে থাকব, আমরা চেষ্টা করব সহযোগিতাপূর্ণ মনোভাব রাখার। যার মাধ্যমে সংকটগুলো নিরসন হবে।’

এর আগে ২০১৫ সালের ৮ অক্টোবর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৯ কোটি ৭৫ লাখ ৮৫ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মিত হলটির আবাসন যাত্রা শুরু হলো উদ্বোধনের ৮ বছর পর। অন্যদিকে ২০১৬ সালের ২১ জানুয়ারি অতীশ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান হলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। নির্মাণকাজ চলমান থাকায় হলগুলোতে এত দিন আবাসন কার্যক্রম শুরু করেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত