Ajker Patrika

আনোয়ারায় পাঁচ কিলোমিটার সড়কে ৫ হাজারের বেশি গর্ত

প্রতিনিধি, আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) 
আনোয়ারায় পাঁচ কিলোমিটার সড়কে ৫ হাজারের বেশি গর্ত

চট্টগ্রামের লন্ডনিপাড়া হিসেবে পরিচিতি আছে বখতেয়াপাড়ার। প্রতিবছর শত কোটি টাকার রেমিট্যান্স জোগান দিচ্ছে সেখানকার একমাত্র সড়কের অবস্থা এখন প্রাগৈতিহাসিক যুগের ধানি জমির মতো। বখতেয়ার সড়ক নামে এই রাস্তার ৫ কিলোমিটার অংশে রয়েছে ৫ হাজারের বেশি গর্ত। সড়কের অবস্থা এতটাই খারাপ যে যাতায়াতে জীবন বের হওয়ার উপক্রম হয়ে পড়ে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর সড়কটির আড়াই কিলোমিটার প্রকল্প অনুমোদনের বিষয়টি নিশ্চিত করলেও সড়ক ও জনপথ বিভাগের অংশে কবে কাজ শুরু হবে তার তথ্য কারও কাছে নেই। 

জানা যায়, পশ্চিম আনোয়ারার জনগুরুত্বপূর্ণ একটি সড়কের নাম হচ্ছে বখতেয়ার সড়ক। নানান প্রয়োজনে এ সড়ক দিয়ে বৈরাগ, বারশত, বটতলী, জুঁইদণ্ডী ও রায়পুর ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ ছাড়াও কোরিয়ার শিল্প জোনে কর্মরত ৫ হাজারের বেশি শ্রমিক ও বিভিন্ন পেশার মানুষ যাতায়াত করেন। তাই যোগাযোগ ব্যবস্থা রক্ষায় এ সড়কটি অতি গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু বর্তমানে বন্দর কমিউনিটি সেন্টারের মহালখান বাজার থেকে কবিরের দোকান পর্যন্ত সড়ক ও জনপদ বিভাগ পরিচালিত ১ কিলোমিটারের বেশি সড়ক জুড়ে রয়েছে গর্ত। পানি চলাচলে কোন ড্রেন নেই। তাই বৃষ্টির সব পানি সড়কে জমে থাকে।

বখতেয়ার সড়কের ৫ কিলোমিটার সড়কে রয়েছে ৫ হাজারের বেশি গর্তসড়ক ও জনপদ বিভাগের উপসহকারী বলরাম চাকমা বলেন, বর্ষার পর কাজ এ সড়কের মেরামত কাজ শুরু হবে। এদিকে এলজিইডির অধীনে এ সড়কের কবির সওদাগর দোকানের মোড় থেকে বখতেয়ার পাড়া মিন্নাত আলী দোভাষীর হাট, কালীবাড়ি, বোয়ালিয়া পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার সড়কের যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও বেশি খারাপ হয়ে পড়েছে। 

স্থানীয় চাপাতলী গ্রামের বাসিন্দা প্রবাসী কাজী মোরশেদুল হক বলেন, আনোয়ারার অতি গুরুত্বপূর্ণ বখতেয়ার সড়কের ৫ কিলোমিটারে ৫ হাজারের বেশি গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। কোথাও কোথাও গর্ত গুলো পুকুরের মতো বড় আকার ধারণ করেছে। ফলে বয়স্ক, গর্ভবতী নারীর স্বাভাবিক চলাচল ব্যাহত ছাড়াও জরুরি রোগী পরিবহনে মারাত্মকভাবে সমস্যার সৃষ্টি দেওয়া দিয়েছে। তাই জরুরি ভিত্তিতে এ সড়কটি মেরামত করা অতি জরুরি। 

বখতেয়ার সড়কের ৫ কিলোমিটার সড়কে রয়েছে ৫ হাজারের বেশি গর্তবারশত ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম. এ. কাইয়ুম শাহ বলেন, চলতি বর্ষা মৌসুমে এ সড়কটি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই জনদুর্ভোগ বেড়ে গেছে। আগামী মাসে সড়কটির টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে রাস্তাটি মেরামত করা হবে। 

আনোয়ারা উপজেলা প্রকৌশলী তাসলিমা জাহান বলেন, এ সড়কের মহালখান বাজার থেকে কবির সওদাগরের দোকানের মোড় পর্যন্ত অংশ সড়ক ও জনপদ বিভাগের। তাই কবির সওদাগরের দোকান থেকে কালী বাড়ি পর্যন্ত আড়াই কিলোমিটার সড়ক ১ কোটি ৪০ লাখ টাকায় প্রকল্প অনুমোদন লাভ করেছে। আগামী মাসে সড়কটির টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। এ বছরই রাস্তার মেরামত কাজ শেষ করা হলে জনদুর্ভোগ কমে যাবে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত