Ajker Patrika

‘সুবিধাবঞ্চিতদের সেবায় স্বতন্ত্র আই ইনস্টিটিউটের কাজ এগিয়ে চলছে’

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
নগরের সিএলএফ কমপ্লেক্সের হালিমা-রোকেয়া মেমোরিয়াল হলে সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা। ছবি: আজকের পত্রিকা
নগরের সিএলএফ কমপ্লেক্সের হালিমা-রোকেয়া মেমোরিয়াল হলে সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা। ছবি: আজকের পত্রিকা

সুবিধাবঞ্চিত মানুষের চিকিৎসাসেবায় চট্টগ্রামে স্বতন্ত্র ‘আই ইনস্টিটিউট’ পূর্ণাঙ্গ করার কাজ এগিয়ে চলছে বলে জানিয়েছেন লায়ন্স জেলা ৩১৫-বি-৪-এর বর্তমান গভর্নর কোহিনুর কামাল। আজ রোববার (২৫ মে) দুপুরে নগরের সিএলএফ কমপ্লেক্সের হালিমা-রোকেয়া মেমোরিয়াল হলে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান। লায়ন্স জেলা ৩১৫-বি-৪-এর ২৮তম বার্ষিক জেলা সম্মেলন উপলক্ষে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে কোহিনুর কামাল জানান, লায়ন্স চট্টগ্রামে মানবকল্যাণ ও মানবসেবায় এরই মধ্যে যেসব কর্মসূচি ও প্রকল্প সাফল্যের সঙ্গে বাস্তবায়ন ও পরিচালনা করছে, এর মধ্যে রয়েছে স্বতন্ত্র আই ইনস্টিটিউট। এই ইনস্টিটিউটের কার্যক্রম দ্রুততার সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছে। এটি পুরোদমে চালু হলে চট্টগ্রামবাসী উপকৃত হবে।

কোহিনুর কামাল আরও জানান, চট্টগ্রাম লায়ন্স ফাউন্ডেশন ভবনকে ঘিরে একটি ১৫ বছর মেয়াদি মাস্টারপ্ল্যান তৈরির প্রক্রিয়া চলছে। এ কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠা করা গেলে এটিই হবে দেশের সর্ববৃহৎ স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান।

সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়েছে, মাল্টিপল জেলা ৩১৫-এর অধীন ছয়টি লায়ন্স জেলায় বর্তমানে ৯১৯টি ক্লাবের মাধ্যমে ২৪ হাজার ৪১৮ জন লায়ন সদস্য সেবামূলক কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত। এর মধ্যে চট্টগ্রামভিত্তিক লায়ন্স জেলা ৩১৫-বি-৪-ই একমাত্র জেলা, যা ঢাকার বাইরে ব্যাপকভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। বর্তমানে এই জেলায় ৯৬টি ক্লাবের মাধ্যমে ৩ হাজার ৩৬৮ জন লায়ন সদস্য সক্রিয়ভাবে কাজ করছেন। এ বছর লায়ন্স জেলা ৩১৫-বি-৪ ‘যত্নের ছায়া ছড়ায় মায়া’-এই স্লোগান নিয়ে বিভিন্ন মানবকল্যাণমূলক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।

এ ছাড়া লায়ন্স চক্ষু হাসপাতালের আওতায় চট্টগ্রামের ১৫টি উপজেলায় একাধিক আই ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়েছে। এসব ক্যাম্প থেকে ৮ হাজার ৬৩৯ জন গরিব রোগীকে বিনা মূল্যে ছানি অপারেশন সেবা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ডিটিই ক্যাম্পের মাধ্যমে ওষুধ বিতরণসহ চক্ষু পরীক্ষা ও অন্যান্য চিকিৎসাও করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে রিজিয়ন চেয়ারপারসন ও হেডকোয়ার্টার চেয়ারপারসন (প্রেস কমিটি) মোহাম্মদ শাহেদুল ইসলামের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রথম ভাইস চেয়ারপারসন মুসলেহ উদ্দিন আহমেদ অপু, দ্বিতীয় ভাইস চেয়ারপারসন কামরুজ্জামান লিটন, ক্যাবিনেট সেক্রেটারি বেলাল উদ্দিন চৌধুরী, ট্রেজারার ইমতিয়াজুল ইসলাম, ২৮তম বার্ষিক জেলা সম্মেলনের চেয়ারপারসন শফিকুল ইসলাম, সেক্রেটারি সাব্বির আহমেদ প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ডিজিটাল যুগে যেভাবে বদলে যাচ্ছে বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চল

বিজ্ঞপ্তি
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ এখন দ্রুত ডিজিটাল যুগে প্রবেশ করছে। শহরের পাশাপাশি গ্রামগুলোও ধীরে ধীরে ডিজিটাল সেবার আওতায় চলে আসছে। সেইসাথে মানুষের জীবনযাপন, শিক্ষা আর যোগাযোগের ধরনও বদলে যাচ্ছে। আগে যেখানে দূরত্ব ছিল বাধা, এখন সেখানে প্রযুক্তি এনে দিয়েছে নতুন সুযোগ। মোবাইল ইন্টারনেটের বিস্তার, সাশ্রয়ী স্মার্টফোন আর বাড়তে থাকা ডিজিটাল শিক্ষার কারণে গ্রামীণ জীবন বদলে যাচ্ছে। অনলাইন শিক্ষা, মোবাইল ব্যাংকিং কিংবা ছোট ব্যবসা, সব ক্ষেত্রেই ডিজিটাল প্রযুক্তি এখন নতুন সম্ভাবনার দরজা খুলে দিচ্ছে।

এই পরিবর্তনের ধারাবাহিকতায় আগে যে সুযোগগুলো শুধু শহরে ছিল, এখন তা ধীরে ধীরে পৌঁছে যাচ্ছে প্রত্যন্ত অঞ্চলেও। চাষি, দোকানদার, ছোট ব্যবসায়ী, এমনকি গৃহিণীরাও এখন মোবাইল ওয়ালেট ব্যবহার করছেন। তারা টাকা পাঠাচ্ছেন, বিল পরিশোধ করছেন আবার সঞ্চয়ও করছেন ফোনের মাধ্যমেই। নরসিংদীর সবজি চাষি রফিক, বাজারে না গিয়েই বিকাশে টাকা পাঠিয়ে সার কিনে নিচ্ছেন। নোয়াখালীর এক গৃহিণী সুলতানা, বিকাশের মাধ্যমেই মেয়ের কলেজ ফি দিয়ে দিচ্ছেন।

আবার গ্রামের অনেক তরুণ ও শিক্ষার্থী স্মার্টফোনে অনলাইন কোর্স করছে। কেউ ইংরেজি শিখছে, কেউ কম্পিউটার বা ডিজাইন শেখার চেষ্টা করছে। পাবনার আমিনা পরিবারের দেখাশোনা করা পাশাপাশি প্রতিদিন অনলাইনে সেলাই শেখেন। দিনাজপুরের রুবেল ইংরেজি শেখার অ্যাপ ব্যবহার করে চাকরির প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

একইভাবে কৃষকেরাও এখন ইন্টারনেট ব্যবহার করে ফসলের যত্ন নিচ্ছেন। অনেক কৃষক এখন ইউটিউব দেখে বা অ্যাপ ব্যবহার করে জানতে পারছেন কীভাবে পানি সাশ্রয় করে সেচ দেওয়া যায় বা বাজারে কোন ফসলের দাম কেমন। এতে কৃষকের উৎপাদন ও আয় বাড়ছে।

আগে চিকিৎসার জন্য শহরে যেতে হতো। এখন অনেকেই অনলাইনে ডাক্তার দেখাচ্ছেন। এভাবে সবকিছুই এখন মানুষের হাতের নাগালে। ফলে মানুষের সময় বাঁচছে, নিরাপত্তা বাড়ছে এবং কষ্টও কম হচ্ছে।

এই ডিজিটাল পরিবর্তনের সময়ে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে ইমো হয়ে উঠেছে মানুষের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এর মাধ্যমে পরিবার-পরিজন, প্রবাসী স্বজন বা দূরের বন্ধুরা একে অপরের সাথে কথা বলতে পারেন, খোঁজ-খবর নিতে পারেন। ইমো দুর্বল ইন্টারনেটেও ভালোভাবে কাজ করে তাই টুজি বা থ্রিজি নেটওয়ার্কেও ভিডিও কল স্পষ্ট হয়, যা প্রবাসীদের জন্য একটি বড় আশীর্বাদ। দুর্বল নেটওয়ার্কেও এইচডি ভিডিও কলের সুযোগ করে দেয়ায় জনপ্রিয়তা পাচ্ছে ইমোর মত মেসেজিং অ্যাপগুলো। ভিডিও কলের সাহায্যে সহজেই প্রবাসীরা পরিবারের সঙ্গে একসাথে বসে যেকোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন, টাকা পাঠানোর আগে পরিবারকে জানিয়ে দিতে পারেন; এমনকি উৎসবের আনন্দেও পরিবারের সাথে অংশগ্রহণ করতে পারেন।

আমাদের দেশে এই ডিজিটাল পরিবর্তনকে টেকসই করতে হলে দরকার সবার জন্য সাশ্রয়ী ইন্টারনেট, ডিজিটাল শিক্ষা এবং নিরাপদ অনলাইন পরিবেশ। এখনও বাংলাদেশের অনেক গ্রামে ভালো নেটওয়ার্ক পাওয়া কঠিন। এমনকি, ইন্টারনেটের খরচ তুলনামূলক বেশি। ফলে অনেকে ইন্টারনেটের অভাবে অনেক সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হন। ইন্টারনেট সাশ্রয়ী হলে আরও বেশি মানুষ শিক্ষা, কাজ ও যোগাযোগের সাথে যুক্ত হতে পারবেন। ডিজিটাল সাক্ষরতা এক্ষেত্রে সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ, যেমন- নিরাপদভাবে ইন্টারনেট ব্যবহার করা, তথ্য যাচাই করা ও নিজের গোপনীয়তা রক্ষা করা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

এবার এনসিপি কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রাজধানীর বাংলামোটর এলাকায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় অস্থায়ী কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। আজ সোমবার রাত ১০টা ৪৫ মিনিটের দিকে এই বিস্ফোরণ হয়। ঘটনাস্থলে আরও একটি ককটেল অবিস্ফোরিত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা গেছে। রাত প্রায় ১১টা ১০ মিনিটের দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।

তবে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ বা কার্যালয়-সংশ্লিষ্ট কেউ বিস্ফোরণের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেননি।

রাজধানীতে গত কয়েক ঘণ্টায় একাধিক স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে রাতে মিরপুরের শাহ আলী মার্কেটের সামনে পরপর তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। একই সময় ধানমন্ডি ল্যাবএইড হাসপাতালের সামনে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে আগুন দেওয়া হয়। পুলিশ জানায়, সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বরের পাশের শাহ আলী মার্কেটের সামনে এসব বিস্ফোরণ ঘটে। একই সময় খিলগাঁও ফ্লাইওভারের ওপরেও একটি ককটেল বিস্ফোরণের খবর পাওয়া যায়।

দিনজুড়ে রাজধানীর আরও কয়েকটি এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত অন্তত চারটি স্থানে সাতটি বিস্ফোরণের ঘটনা নিশ্চিত করেছে পুলিশ। এগুলোর মধ্যে মিরপুরে গ্রামীণ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে একটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। মোহাম্মদপুরের স্যার সৈয়দ রোডে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের প্রতিষ্ঠান প্রবর্তনার সামনে এবং ভেতরে দুটি ককটেলের বিস্ফোরণ হয়। ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারের সামনে দুটি এবং ধানমন্ডি ৯/এ এলাকার ইবনে সিনা হাসপাতালের সামনে আরও দুটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।

এ ছাড়া গতকাল ভোর হতেই রাজধানীতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। ভোর ৫টা ৪০ মিনিটের দিকে শাহজাদপুরে ভিক্টর পরিবহনের একটি বাসে আগুন দেওয়া হয়। সকাল সোয়া ৬টার দিকে মেরুল বাড্ডায় ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির কাছে আকাশ পরিবহনের আরেকটি বাসেও আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা।

রাজধানীতে ধারাবাহিক ককটেল বিস্ফোরণ ও অগ্নিসংযোগের এসব ঘটনার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নগরজুড়ে টহল জোরদার করেছে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (গণমাধ্যম) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সব ধরনের প্রস্তুতি আছে। জনগণের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ট্রাককে ওভারটেক করতে গিয়ে দুর্ঘটনা, মোটরসাইকেল আরোহী পুলিশ সদস্য নিহত

বদলগাছী (নওগাঁ) প্রতিনিধি 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

নওগাঁর বদলগাছীতে ট্রাককে ওভারটেক করতে গিয়ে দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী পুলিশ সদস্য রায়হান (৩২) নিহত হয়েছেন। সোমবার (১০ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার কেশাইল গ্রামের শ্যালুকুড়ি ব্রিজের কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

বদলগাছী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আনিছুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, এটি অত্যন্ত দুঃখজনক একটি ঘটনা। এক সুখী পরিবারের হাসি মুহূর্তেই নিভে গেল।

থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কাশিমালা গ্রামের রেজাউল ইসলামের ছেলে রায়হান ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে থানায় কর্মরত ছিলেন। কিছুদিনের ছুটি কাটাতে তিনি স্ত্রী মিম্মা ও চার বছরের শিশুপুত্র আব্দুর রহমানকে নিয়ে নিজ গ্রামে এসেছিলেন। আজ দুপুরে মোটরসাইকেলযোগে স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে আক্কেলপুর যাচ্ছিলেন। পথে কেশাইল শ্যালুকুড়ি ব্রিজের কাছাকাছি পৌঁছালে এক ট্রাককে ওভারটেক করতে গিয়ে সামনে থাকা একটি ভ্যানের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।

এতে রায়হান ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন। মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলেই জ্ঞান হারান। স্থানীয় বাসিন্দারা দ্রুত তাদের উদ্ধার করে আক্কেলপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রায়হান মারা যান।

দুর্ঘটনায় রায়হানের স্ত্রী মিম্মা ও চার বছরের শিশুসন্তান আব্দুর রহমানও গুরুতর আহত হয়। তাদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নবগঠিত আসন বাতিল, গাজীপুরবাসী হতাশ

গাজীপুর প্রতিনিধি
নবগঠিত আসন বাতিল, গাজীপুরবাসী হতাশ

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাজীপুরের আসন পাঁচটি থেকে বাড়িয়ে ছয়টি নির্ধারণ করে নির্বাচন কমিশন (ইসি) যে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল, তা অবৈধ বলে রায় দিয়েছেন উচ্চ আদালত। ফলে পাঁচটি সংসদীয় আসনই থাকবে গাজীপুরে। এ ঘটনায় বৃহত্তর টঙ্গীসহ ওই এলাকায় রাজনৈতিক হতাশা দেখা দিয়েছে।

হতাশা প্রকাশ করে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা, প্রবীণ রাজনীতিক ও সাবেক এমপি হাসান উদ্দিন সরকার বলেন, গাজীপুর-৬ আসনটি নাগরিক ও ভোটারদের জন্য নতুন সম্ভাবনার সূচনা করতে পারত। কিন্তু আজকের রায়ে সেই সম্ভাবনা ব্যর্থ হলো।

হাসান সরকারের চাচাতো ভাই মহানগর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক সালাহউদ্দিন সরকার বলেন, ‘আমরা আপিল করব এবং গাজীপুর-৬ আসন পুনর্বহাল করব। সবাইকে ধৈর্য ধরতে অনুরোধ করছি। জয় আমাদেরই হবে, ইনশা আল্লাহ।’

জামায়াতে ইসলামীর গাজীপুর-৬ আসনের মনোনীত প্রার্থী ড. হাফিজুর রহমান বলেন, ‘গাজীপুর-৬ আসনটি গাজীপুরবাসীর আশা ও আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ছিল। টঙ্গী, গাছা ও হায়দারাবাদের মানুষ এই সিদ্ধান্ত মেনে নেবে না। আমি আশা করি, নির্বাচন কমিশন আপিলসহ আইনি পদক্ষেপ নেবে। আমরা সবাই মিলেই গাজীপুর-৬ আসনের জনগণের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করব, ইনশা আল্লাহ।’

গাজীপুর মহানগর জামায়াতে ইসলামীর আমির অধ্যাপক জামাল উদ্দিন বলেন, ‘গাজীপুর একটি জনবহুল শিল্পাঞ্চল। এখানে ছয়টি আসন থাকা গণতান্ত্রিক ভারসাম্যের জন্য জরুরি ছিল। নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত ছিল জনগণভিত্তিক ও যৌক্তিক। আমরা চাই, জনগণের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিষয়টি সমাধান করা হোক।’

বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা মাজহারুল আলম বলেন,‘গাজীপুরে পাঁচটি আসন বহাল থাকলে এটি দেশের অন্যতম বড় বৈষম্যের উদাহরণ হবে। বাসন মেট্রো থানা ঐতিহাসিক, ভৌগোলিক ও মানবিক বিবেচনায় গাজীপুর সদর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে কালিয়াকৈরের সঙ্গে যুক্ত হতে পারে না। আশা করি, সুপ্রিম কোর্ট বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করবেন।’

গাজীপুর নাগরিক ফোরামের সভাপতি মো. হেদায়েত উল্লাহ বলেন, গাজীপুরের জনসংখ্যা ও প্রশাসনিক বাস্তবতা বিবেচনায় ছয়টি আসনই যৌক্তিক ছিল। নতুন আসন বাতিল হলে নাগরিক অংশগ্রহণ ও উন্নয়ন পরিকল্পনা ব্যাহত হবে।

স্থানীয় বাসিন্দা শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘গাজীপুর-২-এ আগেভাগে প্রার্থী ঘোষণা এবং গাজীপুর-৬ বাতিলে আমরা দুদিক থেকেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। টঙ্গী, গাছা ও পুবাইল এলাকার মানুষ এখন না প্রার্থী পাচ্ছে, না এমপি পাচ্ছে—এটা চরম হতাশার।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত