প্রতিনিধি, পানছড়ি (খাগড়াছড়ি)
খাগড়াছড়ির পানছড়ি বাজারে সারা বছরই বন-জঙ্গল থেকে আনা বিভিন্ন ধরনের ফল ও শাকসবজি পাওয়া যায়। মূলত দরিদ্র নারীরা সংসারের জোগান দিতে বুনো শাকসবজি সংগ্রহ করে বিক্রয়ের জন্য বাজার নিতে আসেন। আর এসব টাটকা সবজি কিনতে ক্রেতারা প্রতিদিন তাঁদের সময়মতো বাজারে যান।
সরেজমিনে বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পানছড়ির সীমান্তবর্তী বিভিন্ন বাজারে বিক্রেতাদের মধ্যে হাতেগোনা দু-একজন পুরুষ চোখে পড়লেও বেশির ভাগই রয়েছে নারী বিক্রেতা। পার্বত্য অঞ্চলের পাহাড়ে জুমচাষে (পাহাড়ে সনাতন পদ্ধতিতে চাষ করা জমি) উৎপাদিত ফলমূল এবং গভীর বনজঙ্গল থেকে সংগ্রহ করা নানান জাতের সবজি নিয়ে সকাল-বিকেলে বিক্রি করতে চলে আসেন উপজাতীয় নারীরা। সবজির মধ্যে রয়েছে-বাঁশকুড়ল, তারাগাছ, কচুশাক, কচু লতি, কচু ফুল, কাঁচা ও পাকা পেঁপে, থানকুনি পাতা, কলার মোচা, জুমের কচু, মারফা (শসা জাতীয়), জুম কুমড়া, বরবটি উল্লেখযোগ্য। যেগুলোর অধিকাংশই প্রাকৃতিকভাবে উৎপাদিত হয়। উপজেলার পানছড়ির চেঙ্গী, বড়কলক, পুজগং, বাবুড়াপাড়া, কুড়াদিয়া, দাংগা বাজারে প্রতিদিন এসব সবজি কিনতে পাওয়া যায়।
পুজগাং বাজারে জুমের সবজি ক্রেতারা বলেন, এখানে বনের ভেজালমুক্ত শাকসবজি পাওয়া যায়। তাই প্রতিদিন প্রয়োজন মতো কিনে নিয়ে যাই। সার-ওষুধ ছাড়া ভেজাল মুক্ত বুনো সবজি ও জুমের সবজির চাহিদা এখানে অনেক বেশি।
পাহাড়ি সবজি বিক্রেতা অনুরুপা ত্রিপুরা বলেন, পাহাড়ের জঙ্গলে গোনায় (দু'পাহাড়ের মাঝ অংশ), ছড়ার পাড় থেকে সবজি সংগ্রহ করে বিক্রি করা খুবই কষ্টের। পাহাড়ের পিচ্ছিল পথ পাড়ি দিয়ে ঝাড়-জঙ্গল থেকে সারা দিন বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি এনে বিকেলে এ বাজারে বিক্রি করি। সবজি বিক্রি করে প্রত্যেকদিন ২০০-৩০০ টাকা পাই। এ টাকা দিয়েই পরিবারের খরচ চালাতে হয়।
পুজগাং উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শান্তি ময় চাকমা বলেন, পানছড়ি বাজারের ভেজালমুক্ত শাকসবজি কিনতে প্রতিদিন পাহাড়ি-বাঙালি সকল সম্প্রদায়ের লোকজন ভিড় করেন। দরিদ্র পরিবারের পাহাড়ি নারীরা দুর্গম উঁচুনিচু পাহাড় পাড়ি দিয়ে বনজঙ্গল থেকে বিভিন্ন সবজি এনে স্থানীয় বাজারে বিক্রি করেন। শুধু তাই নয়, কেউ কেউ বিভিন্ন এলাকা থেকে বিভিন্ন সবজি জাতীয় ফলমূল কিনে এনে বিক্রি করেন। এসব সবজি বিক্রি সেই টাকা দিয়ে তাঁদের সংসার চলে।
চেঙ্গী ইউপি চেয়ারম্যান কালা চাঁদ চাকমা বলেন, দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় কৃষিকাজ ছাড়া অন্য কোন কাজের উৎস নাই। পাহাড়ি মায়েরা সকল কাজেই পরিবারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। জুমচাষের ও বনজঙ্গল থেকে সংগ্রহ করে আনা টাটকা সবজি বিক্রি করে তাঁরা পরিবারে জোগান দেন। একই সাথে অনেকে কৃষিকাজ করে অর্থ উপার্জন করেন।
খাগড়াছড়ির পানছড়ি বাজারে সারা বছরই বন-জঙ্গল থেকে আনা বিভিন্ন ধরনের ফল ও শাকসবজি পাওয়া যায়। মূলত দরিদ্র নারীরা সংসারের জোগান দিতে বুনো শাকসবজি সংগ্রহ করে বিক্রয়ের জন্য বাজার নিতে আসেন। আর এসব টাটকা সবজি কিনতে ক্রেতারা প্রতিদিন তাঁদের সময়মতো বাজারে যান।
সরেজমিনে বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পানছড়ির সীমান্তবর্তী বিভিন্ন বাজারে বিক্রেতাদের মধ্যে হাতেগোনা দু-একজন পুরুষ চোখে পড়লেও বেশির ভাগই রয়েছে নারী বিক্রেতা। পার্বত্য অঞ্চলের পাহাড়ে জুমচাষে (পাহাড়ে সনাতন পদ্ধতিতে চাষ করা জমি) উৎপাদিত ফলমূল এবং গভীর বনজঙ্গল থেকে সংগ্রহ করা নানান জাতের সবজি নিয়ে সকাল-বিকেলে বিক্রি করতে চলে আসেন উপজাতীয় নারীরা। সবজির মধ্যে রয়েছে-বাঁশকুড়ল, তারাগাছ, কচুশাক, কচু লতি, কচু ফুল, কাঁচা ও পাকা পেঁপে, থানকুনি পাতা, কলার মোচা, জুমের কচু, মারফা (শসা জাতীয়), জুম কুমড়া, বরবটি উল্লেখযোগ্য। যেগুলোর অধিকাংশই প্রাকৃতিকভাবে উৎপাদিত হয়। উপজেলার পানছড়ির চেঙ্গী, বড়কলক, পুজগং, বাবুড়াপাড়া, কুড়াদিয়া, দাংগা বাজারে প্রতিদিন এসব সবজি কিনতে পাওয়া যায়।
পুজগাং বাজারে জুমের সবজি ক্রেতারা বলেন, এখানে বনের ভেজালমুক্ত শাকসবজি পাওয়া যায়। তাই প্রতিদিন প্রয়োজন মতো কিনে নিয়ে যাই। সার-ওষুধ ছাড়া ভেজাল মুক্ত বুনো সবজি ও জুমের সবজির চাহিদা এখানে অনেক বেশি।
পাহাড়ি সবজি বিক্রেতা অনুরুপা ত্রিপুরা বলেন, পাহাড়ের জঙ্গলে গোনায় (দু'পাহাড়ের মাঝ অংশ), ছড়ার পাড় থেকে সবজি সংগ্রহ করে বিক্রি করা খুবই কষ্টের। পাহাড়ের পিচ্ছিল পথ পাড়ি দিয়ে ঝাড়-জঙ্গল থেকে সারা দিন বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি এনে বিকেলে এ বাজারে বিক্রি করি। সবজি বিক্রি করে প্রত্যেকদিন ২০০-৩০০ টাকা পাই। এ টাকা দিয়েই পরিবারের খরচ চালাতে হয়।
পুজগাং উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শান্তি ময় চাকমা বলেন, পানছড়ি বাজারের ভেজালমুক্ত শাকসবজি কিনতে প্রতিদিন পাহাড়ি-বাঙালি সকল সম্প্রদায়ের লোকজন ভিড় করেন। দরিদ্র পরিবারের পাহাড়ি নারীরা দুর্গম উঁচুনিচু পাহাড় পাড়ি দিয়ে বনজঙ্গল থেকে বিভিন্ন সবজি এনে স্থানীয় বাজারে বিক্রি করেন। শুধু তাই নয়, কেউ কেউ বিভিন্ন এলাকা থেকে বিভিন্ন সবজি জাতীয় ফলমূল কিনে এনে বিক্রি করেন। এসব সবজি বিক্রি সেই টাকা দিয়ে তাঁদের সংসার চলে।
চেঙ্গী ইউপি চেয়ারম্যান কালা চাঁদ চাকমা বলেন, দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় কৃষিকাজ ছাড়া অন্য কোন কাজের উৎস নাই। পাহাড়ি মায়েরা সকল কাজেই পরিবারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। জুমচাষের ও বনজঙ্গল থেকে সংগ্রহ করে আনা টাটকা সবজি বিক্রি করে তাঁরা পরিবারে জোগান দেন। একই সাথে অনেকে কৃষিকাজ করে অর্থ উপার্জন করেন।
তিনি টেকের বাজারে কাগজপত্র ফটোকপি করতে গেলে স্থানীয় বিএনপির কর্মী গিয়াস উদ্দিন দেওয়ান, তাঁর ছেলে রিয়াজুল ইসলাম জিসান এবং সহযোগী আজমাইন চৌধুরীসহ আরও তিন-চারজন মিলে তাঁর পথরোধ করে। একপর্যায়ে গিয়াস উদ্দিন বাঁশের লাঠি দিয়ে তাঁর মাথায় আঘাত করেন এবং অন্যরা এলোপাতাড়ি মারধর করেন। এতে তিনি গুরুতর আহত হন।
৪১ মিনিট আগেনারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে চাঁদা চেয়ে না পেয়ে বন্দুক দিয়ে গুলি করে হত্যার হুমকির অভিযোগে অস্ত্রধারী এক বিএনপি নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার রাতে তাঁকে উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের আমগাঁও এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম শাহজাহান ভূঁইয়া।
১ ঘণ্টা আগে২২ জুন রাতে বিস্ফোরণের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত সাচড়া ইউনিয়নের দেউলা শিবপুর গ্রামের দুটি পরিবারের জন্য হাফিজ ইব্রাহিমের পক্ষ থেকে ২৩ জুন (সোমবার) সকালে এক লাখ টাকার আর্থিক সহায়তা প্রদান করে উপজেলা বিএনপি। মিছির কাজীর ছেলে মোজাম্মেলকে ৭০ হাজার ও আজাহার চৌকিদারকে ৩০ হাজার টাকা দেওয়া হয়।
১ ঘণ্টা আগেসাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ কে এম নূরুল হুদার সঙ্গে তাঁর আটকের আগে যেভাবে আচরণ করা হয়েছে, তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
১ ঘণ্টা আগে