Ajker Patrika

কুমিল্লায় পৃথক হত্যা মামলায় পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ড

কুমিল্লা প্রতিনিধি
আপডেট : ০৮ আগস্ট ২০২৩, ২২: ১৭
কুমিল্লায় পৃথক হত্যা মামলায় পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ড

হত্যার ঘটনায় করা দুই মামলায় কুমিল্লায় পাঁচজনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছে পৃথক আদালত। আজ মঙ্গলবার সংশ্লিষ্ট দুই আদালতের বিচারক এ রায় দেন। মামলার সরকারি কৌঁসুলিরা (এপিপি) বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন।

বুড়িচংয়ে মনিরুল ইসলাম হত্যা মামলায় চারজনকে ফাঁসির আদেশ দেন কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালত-৩-এর বিচারক রোজিনা খান। একই সঙ্গে প্রত্যককে ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। 

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার জগতপুর গ্রামের মালু মিয়ার ছেলে ইউছুফ মিয়া, আব্দুল মালেকের ছেলে খোকন মিয়া, মৃত বন্দে আলীর ছেলে আব্দুল মালেক ও মৃত আব্দুর রাজ্জাক মিয়ার ছেলে মফিজুল ইসলাম।

মামলার সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) মোহাম্মদ সেলিম মিয়া বলেন, ‘এ মামলায় ১৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণের পর আদালত এই রায় দেন। রায়ের সময় আসামিরা পলাতক ছিলেন।’

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০০৩ সালে ৩১ আগস্ট উপজেলার জগতপুরে সম্পত্তির ভাগাভাগির ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিহত মনিরুল ইসলামের ভাই নজরুল ইসলামের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে তাঁদের প্রতিবেশী কনু মিয়ার বাগ্‌বিতণ্ডা চলে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কনু মিয়া দলবল নিয়ে নজরুল ইসলামের বাড়ি ঘেরাও করে।

এই সময় মনিরুল ইসলাম গরুর দুধ বিক্রি করার জন্য বুড়িচং বাজারে যাওয়ার জন্য বের হলে মালেক, মফিজুল, ইউসুফসহ অন্য আসামিরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তাঁকে কুপিয়ে আহত করেন।  

পরিবারের সদস্যরা তাঁকে উদ্ধার করে কুমিল্লা সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে এই ঘটনায় মনিরুল ইসলামের স্ত্রী শিরিনা আক্তার বাদী হয়ে ১৬ জনের নামে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

অপর মামলাটি লাকসামে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে নারীকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যার ঘটনায় মো. মহিন উদ্দিন নামে একজনকে মৃত্যুদণ্ড দেয় আদালত। একই সঙ্গে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ প্রদান করা হয়। কুমিল্লার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন এ রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি লাকসাম উপজেলার দক্ষিণ বিনই নোয়াপাড়া গ্রামের মৃত আ. জলিল মিয়ার ছেলে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি উপজেলার গোপালপুর গ্রামে নাছিমা আক্তারকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করেন মো. মহিন উদ্দিন। পরে ওই নারীকে গলায় ও মুখে কাপড় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। এ ঘটনায় তাঁর বিরুদ্ধে কুমিল্লার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। 

মামলার সরকারি বিশেষ কৌঁসুলি (এপিপি) অ্যাডভোকেট প্রদীপ কুমার দত্ত বলেন, ‘১৫ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাঁকে মৃত্যুদণ্ড এবং এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন আদালত। রায়ের সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত