নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
৬৫ দিন পর সাগরে নেমেই ইলিশ পাচ্ছেন চট্টগ্রামের জেলেরা। আষাঢ়ের এ সময়ে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পেয়ে খুশি তাঁরা। শনিবার ভোরে চট্টগ্রামের ফিশারিঘাটে গিয়ে দেখা যায়, বেশির ভাগ আড়তেই থরে থরে সাজানো রয়েছে ইলিশ। পাশেই কর্ণফুলী নদীতীরে ভিড়ে আছে সারি সারি মাছ ধরার ট্রলার। রাতে বঙ্গোপসাগরের বিভিন্ন উপকূলে মাছ ধরে ফিরেছেন তাঁরা।
মায়ের দোয়া ট্রলারের মাঝি জসিম বলেন, ‘এখানকার ট্রলারগুলো আনোয়ারা, বাঁশখালী, কুতুবদিয়া, সেন্টমার্টিন, নোয়াখালী, হাতিয়া, সন্দ্বীপ, ভোলা এসব জায়গায় মাছ ধরে। আমরা বাঁশখালী ও কুতুবদিয়া উপকূলে মাছ ধরেছি, সকালে ইলিশ নিয়ে ঘাটে এলাম, দামও পাব বলে আশা করছি।’
সরেজমিনে দেখা যায়, ফিশারিঘাটের একাধিক জায়গায় ট্রলার নোঙর করা। মাথায় ঝুড়ি করে ইলিশ, পোয়া, লইট্টা, ছুরি, চিংড়িসহ নানা প্রজাতির মাছ নামাচ্ছেন শ্রমিকেরা। কেউ কেউ আবার সামনের সড়কে রাখা ভ্যানে ইলিশ এনে ফেলছেন। সেই ভ্যানে বিশেষ কায়দায় দৃষ্টিনন্দন করে সাজানো হচ্ছে ধরা পড়া ইলিশ। ভ্যানে সাজানো ইলিশ নিয়ে চালক ছুটে চলছেন আড়তে।
এক একটি আড়তের সামনে ইলিশ কিনতে জড়ো হয়েছেন চট্টগ্রামসহ আশপাশের উপজেলা থেকে আসা খুচরা বিক্রেতারা। ইলিশের ভ্যান আসার পর সেখানে হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন খুচরা বিক্রেতারা। প্রতিটি আড়তেই আছে একজন নিলামকারী। প্রতি মণ হিসাবে দর হাঁকা হচ্ছে ইলিশের। একজনের পর একজন দাম বলছেন। দীর্ঘদিন পর এমন হাঁকডাকে মুখর দেশের মাছের অন্যতম বৃহৎ পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের ফিশারিঘাট।
আড়তদার জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘মূলত চট্টগ্রামের ফিশারিঘাটে ৬০ শতাংশ মাছই সমুদ্রের। তাই সমুদ্রে মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকলে ফিশারিঘাট জমজমাট থাকে না। অনেক দিন পর শ্রমিকেরা কাজ করছেন। ইলিশ ও সামুদ্রিক মাছ কিনতে ক্রেতারা আসছেন। অনেক ভালো লাগছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রথম দিন বড় আকৃতির ইলিশ যেগুলোর ওজন এক কেজির ওপরে, সেগুলো বিক্রি হচ্ছে পাইকারিতে ৮০০ থেকে ৯০০ টাকায়। এর চেয়ে ছোট ৬০০ থেকে ৭০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকায়। তবে লকডাউন আর কোরবানির ঈদের কারণে মাছের চাহিদা খানিকটা কম। অন্য সময় হলে এ মাছ আরও বেশি দামে বিক্রি করতে পারতাম। মূলত অলিগলি বা সড়কের পাশে যারা মাছ বিক্রি করত, তারা আসছে না। আবার বাজারেও ক্রেতা নেই। তাই মাছ বিক্রেতারা এলেও সবাই পরিমাণে মাছ কম নিচ্ছেন।’
পাশের আড়তদার ফজল হোসেন জানান, সাগরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত থাকায় অনেক ট্রলারই ঝুঁকি নিয়ে যেতে চাচ্ছে না। যারা গেছে তারাও কাছাকাছি উপকূল থেকে মাছ ধরেছে। খুব বেশি দূরে গেলে আরও বেশি মাছ ধরা পড়ত।
তিনি বলেন, এখানে আসা জেলেরা বলছেন সাগরে প্রচুর মাছ; বিশেষ করে আষাঢ়ী পূর্ণিমার কারণে মাছ তীরের দিকে এসেছে। কিন্তু সাগর উত্তাল থাকায় তাঁরা ধরতে পারছেন না। ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত কেটে গেলে এবার প্রচুর ইলিশ ধরা পড়বে বলে আশা জেলেদের।
৬৫ দিন পর সাগরে নেমেই ইলিশ পাচ্ছেন চট্টগ্রামের জেলেরা। আষাঢ়ের এ সময়ে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পেয়ে খুশি তাঁরা। শনিবার ভোরে চট্টগ্রামের ফিশারিঘাটে গিয়ে দেখা যায়, বেশির ভাগ আড়তেই থরে থরে সাজানো রয়েছে ইলিশ। পাশেই কর্ণফুলী নদীতীরে ভিড়ে আছে সারি সারি মাছ ধরার ট্রলার। রাতে বঙ্গোপসাগরের বিভিন্ন উপকূলে মাছ ধরে ফিরেছেন তাঁরা।
মায়ের দোয়া ট্রলারের মাঝি জসিম বলেন, ‘এখানকার ট্রলারগুলো আনোয়ারা, বাঁশখালী, কুতুবদিয়া, সেন্টমার্টিন, নোয়াখালী, হাতিয়া, সন্দ্বীপ, ভোলা এসব জায়গায় মাছ ধরে। আমরা বাঁশখালী ও কুতুবদিয়া উপকূলে মাছ ধরেছি, সকালে ইলিশ নিয়ে ঘাটে এলাম, দামও পাব বলে আশা করছি।’
সরেজমিনে দেখা যায়, ফিশারিঘাটের একাধিক জায়গায় ট্রলার নোঙর করা। মাথায় ঝুড়ি করে ইলিশ, পোয়া, লইট্টা, ছুরি, চিংড়িসহ নানা প্রজাতির মাছ নামাচ্ছেন শ্রমিকেরা। কেউ কেউ আবার সামনের সড়কে রাখা ভ্যানে ইলিশ এনে ফেলছেন। সেই ভ্যানে বিশেষ কায়দায় দৃষ্টিনন্দন করে সাজানো হচ্ছে ধরা পড়া ইলিশ। ভ্যানে সাজানো ইলিশ নিয়ে চালক ছুটে চলছেন আড়তে।
এক একটি আড়তের সামনে ইলিশ কিনতে জড়ো হয়েছেন চট্টগ্রামসহ আশপাশের উপজেলা থেকে আসা খুচরা বিক্রেতারা। ইলিশের ভ্যান আসার পর সেখানে হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন খুচরা বিক্রেতারা। প্রতিটি আড়তেই আছে একজন নিলামকারী। প্রতি মণ হিসাবে দর হাঁকা হচ্ছে ইলিশের। একজনের পর একজন দাম বলছেন। দীর্ঘদিন পর এমন হাঁকডাকে মুখর দেশের মাছের অন্যতম বৃহৎ পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের ফিশারিঘাট।
আড়তদার জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘মূলত চট্টগ্রামের ফিশারিঘাটে ৬০ শতাংশ মাছই সমুদ্রের। তাই সমুদ্রে মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকলে ফিশারিঘাট জমজমাট থাকে না। অনেক দিন পর শ্রমিকেরা কাজ করছেন। ইলিশ ও সামুদ্রিক মাছ কিনতে ক্রেতারা আসছেন। অনেক ভালো লাগছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রথম দিন বড় আকৃতির ইলিশ যেগুলোর ওজন এক কেজির ওপরে, সেগুলো বিক্রি হচ্ছে পাইকারিতে ৮০০ থেকে ৯০০ টাকায়। এর চেয়ে ছোট ৬০০ থেকে ৭০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকায়। তবে লকডাউন আর কোরবানির ঈদের কারণে মাছের চাহিদা খানিকটা কম। অন্য সময় হলে এ মাছ আরও বেশি দামে বিক্রি করতে পারতাম। মূলত অলিগলি বা সড়কের পাশে যারা মাছ বিক্রি করত, তারা আসছে না। আবার বাজারেও ক্রেতা নেই। তাই মাছ বিক্রেতারা এলেও সবাই পরিমাণে মাছ কম নিচ্ছেন।’
পাশের আড়তদার ফজল হোসেন জানান, সাগরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত থাকায় অনেক ট্রলারই ঝুঁকি নিয়ে যেতে চাচ্ছে না। যারা গেছে তারাও কাছাকাছি উপকূল থেকে মাছ ধরেছে। খুব বেশি দূরে গেলে আরও বেশি মাছ ধরা পড়ত।
তিনি বলেন, এখানে আসা জেলেরা বলছেন সাগরে প্রচুর মাছ; বিশেষ করে আষাঢ়ী পূর্ণিমার কারণে মাছ তীরের দিকে এসেছে। কিন্তু সাগর উত্তাল থাকায় তাঁরা ধরতে পারছেন না। ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত কেটে গেলে এবার প্রচুর ইলিশ ধরা পড়বে বলে আশা জেলেদের।
একসময় নদী ছিল এই দেশের মেরুদণ্ড। নৌকাই ছিল চলাচলের প্রধান মাধ্যম। সময় বদলেছে, নদী সরে গেছে পেছনে, তবে নৌকার চাহিদা হারিয়ে যায়নি। বরং প্রকৃতির আচমকা রূপে যখন আগাম বৃষ্টি নামে, তখন আবার ফিরেও আসে নৌকার প্রয়োজন। ঠিক যেমনটা ঘটেছে এ বছর।
৯ মিনিট আগেঅসুস্থ মাকে হাসপাতালে পৌঁছে দিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেরি হওয়ায় পরীক্ষা দিতে না পারা শিক্ষার্থীর বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার।
১ ঘণ্টা আগেকুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় বাড়ির পাশের পুকুরের পানিতে ডুবে আদিবা নামে ১৯ মাস বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রাত ৮টায় উপজেলার সাহেবাবাদ ইউনিয়নের ছাতিয়ানী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মারা যাওয়া শিশু আদিবা ওই গ্রামের রাজ্জাক মাস্টার বাড়ির কাপড় ব্যবসায়ী মুমিত মুনসীর মেয়ে।
১ ঘণ্টা আগেরাজধানীর খিলক্ষেত এলাকায় রেলের জমি থেকে অস্থায়ী মণ্ডপ সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। উচ্ছেদের বিভিন্ন ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মাধ্যমে অনেকে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে অভিযোগ করেছে রেলপথ মন্ত্রণালয়।
২ ঘণ্টা আগে