নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামের রাউজানে ব্যবসায়ী মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমকে হত্যার ঘটনায় আরাফাত মামুন ও বিপ্লব বড়ুয়া নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁদের মধ্যে আরাফাত মামুন রাউজানে যুবদলের নেতা হিসেবে পরিচিত। বিএনপির সক্রিয় রাজনীতি করলেও তাঁর কোনো পদ-পদবি নেই। খুন, চাঁদাবাজি, অপহরণসহ বিভিন্ন অভিযোগের আট মামলার আসামি তিনি। চাঁদার জন্য তিনি দিনদুপুরে গুলি করে খুন করেছিলেন খাতুনগঞ্জের শুঁটকি ব্যবসায়ী মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমকে।
মামুন ও তাঁর সহযোগীকে গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে পুরো তথ্য বের করতে রিমান্ডে নিতে চায় পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম নগরীর ২ নম্বর গেট এলাকায় জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সংম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম সানতু।
৪ মার্চ দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে বাগোয়ান ইউনিয়নের গরিবউল্লাহপাড়ার একটি বাড়ি থেকে আরাফাত মামুন ও তাঁর সহযোগী বিপ্লব বড়ুয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে রামদা, দেশীয় এলজি ও বিদেশি রিভলবার, পাঁচটি গুলি ও দুটি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার বলেন, মামুনের নামে বেশ কিছু মামলা রয়েছে। মামুন রাউজান এলাকার ত্রাস। তাঁর বাহিনীর লোকজন তাঁকে ‘কিং অব রাউজান’ ডাকত।
চাঁদার জন্য ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীরকে খুন করা হয়েছে জানিয়ে পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম সানতু বলেন, ‘ভিকটিম খাতুনগঞ্জের একজন শুঁটকি ব্যবসায়ী ছিলেন। আমরা যতটা জানি, তাঁর কাছে চাঁদা চেয়েছিল আসামিরা। চাঁদা না পাওয়ায় তিনি যখন নামাজে যাচ্ছিলেন, তখন মোটরসাইকেলে করে পেছন থেকে তাঁকে গুলি করা হয়। চাঁদার অ্যামাউন্ট পারিবারিকভাবে আমাদের জানানো হয়নি। পরিবারও জানত না টাকার অঙ্কের বিষয়ে।’
গ্রেপ্তার মামুন ও বিপ্লবের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশ সুপার বলেন, ‘প্রত্যেক অপরাধী চায় রাজনৈতিক ছত্রচ্ছায়ায় থাকতে। এটা অপরাধীদের স্বাভাবিক ধারণা। অপরাধীরা চায় রাজনীতিকে ব্যবহার করে রাজনীতিকের ওপর দোষ চাপাতে। মামুনের রাজনৈতিক সম্পৃক্ততার কথা পাওয়া যাচ্ছে।’
স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা বিএনপি নেতা গোলাম আকবর খন্দকারের অনুসারী।
এদিকে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে রাউজানে প্রতিনিয়ত অস্ত্রবাজি, খুন ও চাঁদাবাজি বাড়ায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবণতি হয়েছে বলা যাবে কি না—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে পুলিশ সুপার বলেন, ‘রাউজানের অস্ত্রের ঝনঝানানি ৫ আগস্টের পরে না, এটি দীর্ঘদিন ধরে চলছে। এটা নতুন জানা নয়। চট্টগ্রামের প্রত্যেক মানুষ সম্ভবত রাউজানের ইতিহাস জানেন। এখানে দুই ব্যক্তি রয়েছেন, যাঁদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ থাকতে পারে। আমি আসার পর থেকে গত দুই মাসে যারা গোলাগুলি করেছে, যতগুলো নাম শুনেছি, মামুন তার মধ্যে আলোচিত নাম। যেহেতু সে হত্যা মামলার আসামি, তাই সে কোনো সুস্থ রাজনৈতিক নেতা নয়। সুতরাং তাকে গ্রেপ্তার করা আমাদের কর্তব্য।’
খুনের সঙ্গে মামুনের সম্পৃক্ততা কীভাবে পাওয়া গেল—এমন প্রশ্নের জবাবে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘সিসিটিভি ফুটেজের মাধ্যমে আমরা প্রথমে তাদের শনাক্ত করেছি। আসামিরা আমাদের কাছে ঘটনা ঘটানোর বিষয়ে স্বীকার করেছে। গ্রেপ্তার আরাফাতের বিরুদ্ধে রাউজান থানায় দ্রুত বিচার আইনে একটি, মারামারির দুটি, অপহরণ ও চাঁদাবাজির দুটি ও খুনের একটি মামলা রয়েছে।’ এ ছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে নগরের চকবাজার থানায় একটি খুনের ও চান্দগাঁও থানায় একটি চেক প্রত্যাখ্যানসহ মোট আটটি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম সানতু।
উল্লেখ্য, গত ২৪ জানুয়ারি জুমার নামাজ পড়তে শহরের চান্দগাঁওয়ের বাসা থেকে গ্রামের বাড়ি নোয়াপাড়ায় যান জাহাঙ্গীর আলম। ১৭ দিন ব্যবসার কাজে মিয়ানমার ও মালয়েশিয়ায় অবস্থান শেষে ওই দিনই দেশে ফিরেছিলেন। মোটরসাইকেলে করে মসজিদে যাওয়ার পথে বাড়ির অদূরে আসাদ আলী মাতব্বরপাড়া জামে মসজিদের আগে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা তার পথ আটকে এলোপাতাড়ি গুলি করে। পরে মসজিদের মুসল্লিরা বের হলে তাঁদের লক্ষ্য করে সন্ত্রাসীরা ফাঁকা গুলি ছুড়ে পালিয়ে যায়। তখন এলাকার লোকজন জাহাঙ্গীরকে উদ্ধার করে এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
চট্টগ্রামের রাউজানে ব্যবসায়ী মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমকে হত্যার ঘটনায় আরাফাত মামুন ও বিপ্লব বড়ুয়া নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁদের মধ্যে আরাফাত মামুন রাউজানে যুবদলের নেতা হিসেবে পরিচিত। বিএনপির সক্রিয় রাজনীতি করলেও তাঁর কোনো পদ-পদবি নেই। খুন, চাঁদাবাজি, অপহরণসহ বিভিন্ন অভিযোগের আট মামলার আসামি তিনি। চাঁদার জন্য তিনি দিনদুপুরে গুলি করে খুন করেছিলেন খাতুনগঞ্জের শুঁটকি ব্যবসায়ী মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমকে।
মামুন ও তাঁর সহযোগীকে গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে পুরো তথ্য বের করতে রিমান্ডে নিতে চায় পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম নগরীর ২ নম্বর গেট এলাকায় জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সংম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম সানতু।
৪ মার্চ দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে বাগোয়ান ইউনিয়নের গরিবউল্লাহপাড়ার একটি বাড়ি থেকে আরাফাত মামুন ও তাঁর সহযোগী বিপ্লব বড়ুয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে রামদা, দেশীয় এলজি ও বিদেশি রিভলবার, পাঁচটি গুলি ও দুটি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার বলেন, মামুনের নামে বেশ কিছু মামলা রয়েছে। মামুন রাউজান এলাকার ত্রাস। তাঁর বাহিনীর লোকজন তাঁকে ‘কিং অব রাউজান’ ডাকত।
চাঁদার জন্য ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীরকে খুন করা হয়েছে জানিয়ে পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম সানতু বলেন, ‘ভিকটিম খাতুনগঞ্জের একজন শুঁটকি ব্যবসায়ী ছিলেন। আমরা যতটা জানি, তাঁর কাছে চাঁদা চেয়েছিল আসামিরা। চাঁদা না পাওয়ায় তিনি যখন নামাজে যাচ্ছিলেন, তখন মোটরসাইকেলে করে পেছন থেকে তাঁকে গুলি করা হয়। চাঁদার অ্যামাউন্ট পারিবারিকভাবে আমাদের জানানো হয়নি। পরিবারও জানত না টাকার অঙ্কের বিষয়ে।’
গ্রেপ্তার মামুন ও বিপ্লবের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশ সুপার বলেন, ‘প্রত্যেক অপরাধী চায় রাজনৈতিক ছত্রচ্ছায়ায় থাকতে। এটা অপরাধীদের স্বাভাবিক ধারণা। অপরাধীরা চায় রাজনীতিকে ব্যবহার করে রাজনীতিকের ওপর দোষ চাপাতে। মামুনের রাজনৈতিক সম্পৃক্ততার কথা পাওয়া যাচ্ছে।’
স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা বিএনপি নেতা গোলাম আকবর খন্দকারের অনুসারী।
এদিকে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে রাউজানে প্রতিনিয়ত অস্ত্রবাজি, খুন ও চাঁদাবাজি বাড়ায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবণতি হয়েছে বলা যাবে কি না—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে পুলিশ সুপার বলেন, ‘রাউজানের অস্ত্রের ঝনঝানানি ৫ আগস্টের পরে না, এটি দীর্ঘদিন ধরে চলছে। এটা নতুন জানা নয়। চট্টগ্রামের প্রত্যেক মানুষ সম্ভবত রাউজানের ইতিহাস জানেন। এখানে দুই ব্যক্তি রয়েছেন, যাঁদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ থাকতে পারে। আমি আসার পর থেকে গত দুই মাসে যারা গোলাগুলি করেছে, যতগুলো নাম শুনেছি, মামুন তার মধ্যে আলোচিত নাম। যেহেতু সে হত্যা মামলার আসামি, তাই সে কোনো সুস্থ রাজনৈতিক নেতা নয়। সুতরাং তাকে গ্রেপ্তার করা আমাদের কর্তব্য।’
খুনের সঙ্গে মামুনের সম্পৃক্ততা কীভাবে পাওয়া গেল—এমন প্রশ্নের জবাবে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘সিসিটিভি ফুটেজের মাধ্যমে আমরা প্রথমে তাদের শনাক্ত করেছি। আসামিরা আমাদের কাছে ঘটনা ঘটানোর বিষয়ে স্বীকার করেছে। গ্রেপ্তার আরাফাতের বিরুদ্ধে রাউজান থানায় দ্রুত বিচার আইনে একটি, মারামারির দুটি, অপহরণ ও চাঁদাবাজির দুটি ও খুনের একটি মামলা রয়েছে।’ এ ছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে নগরের চকবাজার থানায় একটি খুনের ও চান্দগাঁও থানায় একটি চেক প্রত্যাখ্যানসহ মোট আটটি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম সানতু।
উল্লেখ্য, গত ২৪ জানুয়ারি জুমার নামাজ পড়তে শহরের চান্দগাঁওয়ের বাসা থেকে গ্রামের বাড়ি নোয়াপাড়ায় যান জাহাঙ্গীর আলম। ১৭ দিন ব্যবসার কাজে মিয়ানমার ও মালয়েশিয়ায় অবস্থান শেষে ওই দিনই দেশে ফিরেছিলেন। মোটরসাইকেলে করে মসজিদে যাওয়ার পথে বাড়ির অদূরে আসাদ আলী মাতব্বরপাড়া জামে মসজিদের আগে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা তার পথ আটকে এলোপাতাড়ি গুলি করে। পরে মসজিদের মুসল্লিরা বের হলে তাঁদের লক্ষ্য করে সন্ত্রাসীরা ফাঁকা গুলি ছুড়ে পালিয়ে যায়। তখন এলাকার লোকজন জাহাঙ্গীরকে উদ্ধার করে এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার বাবুরহাট বাজারে নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার এক মাস যেতে না যেতেই উঠে যাচ্ছে সড়কের আরসিসি ঢালাই। এ ছাড়া সড়কটির সম্প্রসারণ জয়েন্টগুলোতে আঁকাবাঁকা ফাটল দেখা দিয়েছে। বিষয়টি বুঝতে পেরে সংশ্লিষ্টরা তাড়াহুড়া করে বিটুমিন দিয়ে ফাটল বন্ধের চেষ্টা চালিয়েছেন বলে জানা গেছে।
৬ ঘণ্টা আগেতিন পার্বত্য জেলার মধ্যে আগে থেকেই চিকিৎসাসেবায় পিছিয়ে খাগড়াছড়ি। তার ওপর বছরের পর বছর চিকিৎসক, নার্স, কর্মচারী ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির সংকট থাকায় খাগড়াছড়ি আধুনিক সদর হাসপাতালে কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছেন না রোগীরা।
৬ ঘণ্টা আগেনেত্রকোনার দুর্গাপুরে এক কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে ফয়সাল আহমেদ ওরফে দুর্জয় (২৪) নামে এক ছাত্রদল নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। আটক ফয়সাল আহমেদ ওরফে দুর্জয় দুর্গাপুর উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) রাতে দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান...
৬ ঘণ্টা আগেরাজধানীর খিলগাঁওয়ে একটি নির্মাণাধীন ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। তবে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই আগুন নিভে গেছে। এতে কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
৮ ঘণ্টা আগে