Ajker Patrika

রাঙামাটির কাপ্তাইয়ে বাড়ছে ম্যালেরিয়া

  • চলতি জুনের ২৫ দিনেই ২০ রোগী ভর্তি।
  • বর্ষার শুরু থেকেই বাড়ছে ম্যালেরিয়ার প্রাদুর্ভাব।
  • সচেতনতা সৃষ্টিতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং।
ঝুলন দত্ত, কাপ্তাই ( রাঙামাটি)
হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত কয়েকজন। গতকাল রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। আজকের পত্রিকা
হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত কয়েকজন। গতকাল রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। আজকের পত্রিকা

হঠাৎ করেই রাঙামাটির কাপ্তাইয়ে ম্যালেরিয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে উপজেলার কাপ্তাই ইউনিয়নের দুর্গম হরিণছড়া, ভাঙামুড়া, পাংখোয়া পাড়া, বিলি পাড়া এবং চিৎমরম ইউনিয়নের দুর্গম আড়াছড়ি এলাকায় ম্যালেরিয়ার প্রাদুর্ভাব বেশি হচ্ছে। দিনে দিনে রোগী বাড়তে থাকায় গত বুধবার উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং করে প্রচারণা চালানো হয়েছে।

স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র বলেছে, গত বছরের তুলনায় চলতি বছর এসব এলাকায় ম্যালেরিয়ার শনাক্তের হার বেশি। গত বছরের জুনে যেখানে গড়ে সাতজন ম্যালেরিয়া রোগী ছিল, সেখানে এ বছর চলতি জুনের ২৫ দিনে আক্রান্ত হয়েছে ২০ জন। গত বছর মোটের ওপর কাপ্তাইয়ে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিল ১০৫ জন। স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, এবার বর্ষা শুরু হওয়ার পরই বিভিন্ন এলাকায় শতাধিক নারী-পুরুষ ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে।

ব্রাক স্বাস্থ্য কর্মসূচি কাপ্তাই উপজেলা ম্যানেজার শম্পা দাশ গুপ্তা বলেন, ‘হঠাৎ করে কাপ্তাইয়ের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ম্যালেরিয়ার প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় সরকারি স্বাস্থ্য বিভাগকে সঙ্গে নিয়ে আমরা এসব এলাকায় উঠান বৈঠক করছি। আক্রান্ত রোগীদের রক্ত পরীক্ষা, চিকিৎসাসেবা প্রদান এবং মশারি বিতরণ করছি।

কাপ্তাই উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রুইহ্লা অং মারমা বুধবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে ম্যালেরিয়া বাড়লেও এ বছর আগের তুলনায় রোগী অনেক বেশি। চলতি জুন মাসেই প্রথম ২৫ দিনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২০ জন রোগী চিকিৎসা নিয়েছে।

এই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলেন, কাপ্তাই ইউনিয়নের দুর্গম হরিণছড়া, ভাঙামুড়া, পাংখোয়া পাড়া, বিলি পাড়া এবং চিৎমরম ইউনিয়নের দুর্গম আড়াছড়ি এলাকায় ম্যালেরিয়ার প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা দিয়েছে। শুধু এসব এলাকাই নয়, কাপ্তাই নতুনবাজার এলাকা এবং পাশের চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার সাবস্টেশন এলাকায়ও ম্যালেরিয়া রোগী পাওয়া গেছে। যাঁরা সচেতন, তাঁরা হাসপাতালে এলেও বাকিরা আসছে না।

ডা. রুইহ্লা অং মারমা বলেন, ম্যালেরিয়া নির্মূলে স্বাস্থ্য বিভাগ এবং বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকের উদ্যোগে কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের রক্ত পরীক্ষা করা হচ্ছে, ম্যালেরিয়া রোগের লক্ষণ পেলে তাৎক্ষণিক চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে। আর রোগীর অবস্থার অবনতি হলে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হচ্ছে। জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টিতে উঠান বৈঠক করা হচ্ছে, মশারি ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইরানের ‘দানবীয় ক্ষেপণাস্ত্রের’ সামনে উন্মুক্ত ইসরায়েলের ‘অ্যাকিলিস হিল’

ভারতীয় বিমানবন্দরে ১১ দিন ধরে পড়ে আছে ব্রিটিশ এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান, ঘনাচ্ছে রহস্য

মা-মেয়ের ত্রিভুজ প্রেম, বিয়ে ও একটি খুন

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার ফল আজ, যেভাবে দেখবেন

পাকিস্তানের পরমাণু প্রকল্প ধ্বংসে ভারত-ইসরায়েলের যৌথ প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয় যেভাবে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত