মো. ইমরান হোসাইন, কর্ণফুলী
খাওয়ার পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে চট্টগ্রামের আনোয়ারা ও কর্ণফুলীর দুই ইউনিয়নে। দুই ইউনিয়নে অধিকাংশ নলকূপে পানি উঠছে না। আনোয়ারা উপজেলার বৈরাগ ইউনিয়ন ও কর্ণফুলী উপজেলার বড় উঠান ইউনিয়নের অংশ থেকে কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড গভীর নলকূপ স্থাপন করে পানি তুলে নেওয়ায় এসব এলাকার সাধারণ মানুষের নলকূপগুলোতে পানির সংকট চলছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, বহুজাতিক কোম্পানি কাফকো প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে ভূগর্ভস্থ পানি উঠিয়ে নেওয়ার ফলে উপজেলার বৈরাগসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর কমে সংকট দেখা দিয়েছে। বর্তমানে আনোয়ারা ও কর্ণফুলীর বড় উঠানের হাজারের বেশি টিউবওয়েলে পানি পাওয়া যাচ্ছে না।
এলাকাবাসী অভিযোগ করে আরও বলেন, কাফকোর উৎপাদন অব্যাহত রাখার জন্য অতিরিক্ত পরিমাণে ভূগর্ভস্থ পানি তুলে ফেলায় পানির স্তর অনেক নিচে নেমে গেছে, যার কারণে অগভীর নলকূপগুলোতে পানি মিলছে না। সাধারণ মানুষ বাধ্য হয়ে বছর দুয়েক ধরে পুকুর থেকে পানি নিয়ে ফুটিয়ে পান করে আসছিলেন। কিন্তু এখন আর পুকুরেও ঠিকমতো পানি থাকছে না। এমনকি পুকুরের পানি শুকিয়ে গেছে।
এ ছাড়া প্রচণ্ড গরমে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে উঠেছে। সঙ্গে দেখা দিয়েছে খাওয়ার পানির তীব্র সংকট। এ ছাড়া ভয়াবহ লোডশেডিং আরও ১০ গুণ কষ্ট বাড়িয়ে দিয়েছে। ফলে মানুষের জীবনমান চরম কষ্টের দিকে ধাবিত হচ্ছে।
গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলার বৈরাগ ইউনিয়নে গুয়াপঞ্চক, বৈরাগ ও উত্তর বন্দর এলাকায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইশতিয়াক ইমন ও বৈরাগ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নোয়াব আলী পরিদর্শন করেন এবং নলকূপ দেখে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
বৈরাগ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নোয়াব আলী বলেন, ‘কাফকো শুরু থেকে ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবহারের মাধ্যমে কারখানা পরিচালনা করে। এর ফলে আনোয়ারার ভূগর্ভস্থ পানির স্তর দিনে দিনে কমছে। ১০ বছর আগেও স্থানীয়রা কাফকোর পানি উত্তোলন নিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে, কিন্তু তার সুরাহা হয়নি। বর্তমানে বৈরাগ ইউনিয়নে পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। বলতে গেলে খাওয়ার পানির জন্য হাহাকার চলছে। এলাকার শত শত টিউবওয়েলে পানি উঠছে না। আমি এ বিষয়ে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীকে অবহিত করেছি। পাশাপাশি সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের সুদৃষ্টি কামনা করছি।’
নোয়াব আলী আরও বলেন, ‘সব পুকুর শুকিয়ে যাচ্ছে। সিইউএফএল রাষ্ট্রীয় কোম্পানি হয়ে কালুরঘাটের কর্ণফুলী নদী এলাকা থেকে যদি মিঠাপানি আনতে পারে, তাহলে কাফকো কেন পারবে না?’
কেইপিজেডের ডিজিএম মুশফিকুর রহমান বলেন, কেইপিজেড প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এলাকার ভূগর্ভস্থ পানির লেয়ার বাড়ানোর জন্য কেইপিজেডে বনায়নের পাশাপাশি বড় বড় লেক তৈরি করে পানি ধরে রাখার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। কেইপিজেডের ইন্ডাস্ট্রিয়াল কাজে ব্যবহারের জন্য ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবহারের প্রয়োজন হয় না। শুধু শ্রমিকদের খাওয়া ও পরিচ্ছন্নতার জন্য প্রয়োজনীয় পানি ভূগর্ভ থেকে উত্তোলন করে।
মুশফিকুর রহমান আরও বলেন, কেইপিজেডের উদ্যোগে চট্টগ্রাম ওয়াসার যে পানি সরবরাহ লাইন স্থাপন করা হয়েছে, সেটির সুফল পুরো দক্ষিণ চট্টগ্রামবাসী ভোগ করবে। ইতিমধ্যে কেইপিজেডের কর্ণফুলীর দৌলতপুর প্রধান গেটে ওয়াসা পানি সংরক্ষণাগার স্থাপন করেছে। আগামী জুনে এটি চালু হলে ভূগর্ভস্থ কোনো পানি কেইপিজেড ব্যবহার করবে না।
আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইশতিয়াক ইমন সাংবাদিকদের বলেেন, ‘বৈরাগ ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় টিউবওয়েলে ভূগর্ভস্থ পানি পাওয়া যাচ্ছে না বলে স্থানীয়দের অভিযোগ সরেজমিনে তদন্ত করে সত্যতা পেয়েছি। এ বিষয়ে কাফকো ও কেইপিজেডের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করব।’
সূত্র জানায়, কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেডে (কাফকো) উৎপাদন চালু রাখতে হলে ঘণ্টায় ৮০০ মেট্রিক টন মিঠাপানির প্রয়োজন হয়। এসব পানি পাশের কর্ণফুলী নদী থেকে নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নদীর পানিতে লবণাক্ততা বেড়ে গেলে চাহিদামতো পানি পাচ্ছে না কাফকো। ফলে প্রতিষ্ঠানটি সাতটি গভীর নলকূপ স্থাপন করে পানি তুলে নিচ্ছে কারখানায়। এ কারণে উপজেলার বৈরাগ, চাতরী, বারশত ইউনিয়ন ও কর্ণফুলী উপজেলার বড় উঠান ইউনিয়নের লক্ষাধিক সাধারণ মানুষ বিগত কয়েক বছর ধরে তাদের নলকূপগুলোতে পানি পাচ্ছে না।
খাওয়ার পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে চট্টগ্রামের আনোয়ারা ও কর্ণফুলীর দুই ইউনিয়নে। দুই ইউনিয়নে অধিকাংশ নলকূপে পানি উঠছে না। আনোয়ারা উপজেলার বৈরাগ ইউনিয়ন ও কর্ণফুলী উপজেলার বড় উঠান ইউনিয়নের অংশ থেকে কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড গভীর নলকূপ স্থাপন করে পানি তুলে নেওয়ায় এসব এলাকার সাধারণ মানুষের নলকূপগুলোতে পানির সংকট চলছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, বহুজাতিক কোম্পানি কাফকো প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে ভূগর্ভস্থ পানি উঠিয়ে নেওয়ার ফলে উপজেলার বৈরাগসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর কমে সংকট দেখা দিয়েছে। বর্তমানে আনোয়ারা ও কর্ণফুলীর বড় উঠানের হাজারের বেশি টিউবওয়েলে পানি পাওয়া যাচ্ছে না।
এলাকাবাসী অভিযোগ করে আরও বলেন, কাফকোর উৎপাদন অব্যাহত রাখার জন্য অতিরিক্ত পরিমাণে ভূগর্ভস্থ পানি তুলে ফেলায় পানির স্তর অনেক নিচে নেমে গেছে, যার কারণে অগভীর নলকূপগুলোতে পানি মিলছে না। সাধারণ মানুষ বাধ্য হয়ে বছর দুয়েক ধরে পুকুর থেকে পানি নিয়ে ফুটিয়ে পান করে আসছিলেন। কিন্তু এখন আর পুকুরেও ঠিকমতো পানি থাকছে না। এমনকি পুকুরের পানি শুকিয়ে গেছে।
এ ছাড়া প্রচণ্ড গরমে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে উঠেছে। সঙ্গে দেখা দিয়েছে খাওয়ার পানির তীব্র সংকট। এ ছাড়া ভয়াবহ লোডশেডিং আরও ১০ গুণ কষ্ট বাড়িয়ে দিয়েছে। ফলে মানুষের জীবনমান চরম কষ্টের দিকে ধাবিত হচ্ছে।
গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলার বৈরাগ ইউনিয়নে গুয়াপঞ্চক, বৈরাগ ও উত্তর বন্দর এলাকায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইশতিয়াক ইমন ও বৈরাগ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নোয়াব আলী পরিদর্শন করেন এবং নলকূপ দেখে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
বৈরাগ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নোয়াব আলী বলেন, ‘কাফকো শুরু থেকে ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবহারের মাধ্যমে কারখানা পরিচালনা করে। এর ফলে আনোয়ারার ভূগর্ভস্থ পানির স্তর দিনে দিনে কমছে। ১০ বছর আগেও স্থানীয়রা কাফকোর পানি উত্তোলন নিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে, কিন্তু তার সুরাহা হয়নি। বর্তমানে বৈরাগ ইউনিয়নে পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। বলতে গেলে খাওয়ার পানির জন্য হাহাকার চলছে। এলাকার শত শত টিউবওয়েলে পানি উঠছে না। আমি এ বিষয়ে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীকে অবহিত করেছি। পাশাপাশি সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের সুদৃষ্টি কামনা করছি।’
নোয়াব আলী আরও বলেন, ‘সব পুকুর শুকিয়ে যাচ্ছে। সিইউএফএল রাষ্ট্রীয় কোম্পানি হয়ে কালুরঘাটের কর্ণফুলী নদী এলাকা থেকে যদি মিঠাপানি আনতে পারে, তাহলে কাফকো কেন পারবে না?’
কেইপিজেডের ডিজিএম মুশফিকুর রহমান বলেন, কেইপিজেড প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এলাকার ভূগর্ভস্থ পানির লেয়ার বাড়ানোর জন্য কেইপিজেডে বনায়নের পাশাপাশি বড় বড় লেক তৈরি করে পানি ধরে রাখার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। কেইপিজেডের ইন্ডাস্ট্রিয়াল কাজে ব্যবহারের জন্য ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবহারের প্রয়োজন হয় না। শুধু শ্রমিকদের খাওয়া ও পরিচ্ছন্নতার জন্য প্রয়োজনীয় পানি ভূগর্ভ থেকে উত্তোলন করে।
মুশফিকুর রহমান আরও বলেন, কেইপিজেডের উদ্যোগে চট্টগ্রাম ওয়াসার যে পানি সরবরাহ লাইন স্থাপন করা হয়েছে, সেটির সুফল পুরো দক্ষিণ চট্টগ্রামবাসী ভোগ করবে। ইতিমধ্যে কেইপিজেডের কর্ণফুলীর দৌলতপুর প্রধান গেটে ওয়াসা পানি সংরক্ষণাগার স্থাপন করেছে। আগামী জুনে এটি চালু হলে ভূগর্ভস্থ কোনো পানি কেইপিজেড ব্যবহার করবে না।
আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইশতিয়াক ইমন সাংবাদিকদের বলেেন, ‘বৈরাগ ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় টিউবওয়েলে ভূগর্ভস্থ পানি পাওয়া যাচ্ছে না বলে স্থানীয়দের অভিযোগ সরেজমিনে তদন্ত করে সত্যতা পেয়েছি। এ বিষয়ে কাফকো ও কেইপিজেডের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করব।’
সূত্র জানায়, কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেডে (কাফকো) উৎপাদন চালু রাখতে হলে ঘণ্টায় ৮০০ মেট্রিক টন মিঠাপানির প্রয়োজন হয়। এসব পানি পাশের কর্ণফুলী নদী থেকে নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নদীর পানিতে লবণাক্ততা বেড়ে গেলে চাহিদামতো পানি পাচ্ছে না কাফকো। ফলে প্রতিষ্ঠানটি সাতটি গভীর নলকূপ স্থাপন করে পানি তুলে নিচ্ছে কারখানায়। এ কারণে উপজেলার বৈরাগ, চাতরী, বারশত ইউনিয়ন ও কর্ণফুলী উপজেলার বড় উঠান ইউনিয়নের লক্ষাধিক সাধারণ মানুষ বিগত কয়েক বছর ধরে তাদের নলকূপগুলোতে পানি পাচ্ছে না।
দখল-দূষণে অস্তিত্বসংকটে পড়েছে কুমিল্লার পুরাতন গোমতী নদী। দখলদারদের কাছ থেকে নদীটি উদ্ধারের পর সংস্কার করে রাজধানীর হাতিরঝিলের আদলে নান্দনিক করার প্রকল্প হাতে নেওয়া হলেও তা বাস্তবায়ন হচ্ছে না। নদীপাড়ে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার বিষয়ে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক), পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)
৫ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে ধর্ষণের মামলা থেকে বাঁচতে জালিয়াতির মাধ্যমে তৈরি করা জন্মসনদে বয়স কমানোর অভিযোগ উঠেছে এক তরুণের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত তরুণের নাম কাউসার হোসেন (১৯)। তিনি উপজেলার বাগানবাজার ইউনিয়নের হলুদিয়া এলাকার প্রয়াত মুকলেছুর রহমানের ছেলে। জালিয়াতির মাধ্যমে করা জন্মসনদে কাউসারের বয়স দেখানো হয়েছ
৫ ঘণ্টা আগেনীলফামারীর ডিমলা উপজেলা ঘিরে রেখেছে নাউতারা, কুমলাই, ধুম ও বুড়িতিস্তা নদ-নদী। তবে দখল-দূষণে অস্তিত্বের সংকটে পড়েছে এগুলো। তিন বছর আগে প্রাণ ফেরাতে নাউতারা ও ধুম খনন করা হলেও কাজে আসেনি। খননের পরও নিশ্চিত করা যায়নি পানির প্রবাহ। নাব্যতা হারিয়ে এগুলো শুকিয়ে জেগে উঠেছে চর। সেখানে ধানসহ সবজির চাষ হচ্ছে।
৫ ঘণ্টা আগেগত বছরের দফায় দফায় বন্যায় মৌলভীবাজারে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বছর পেরিয়ে আবার বর্ষা মৌসুম এলেও সড়ক সংস্কারে কোনো উদ্যোগ নেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এতে সীমাহীন দুর্ভোগে রয়েছে জেলাবাসী। সড়কগুলোর কোনোটির পিচ উঠে ইট-সুরকি বেরিয়ে গেছে, কোথাও সৃষ্টি হয়েছে ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত।
৫ ঘণ্টা আগে