আদালত প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামে চার বছরের মেয়েকে বৈদ্যুতিক তার দিয়ে পেটানোর অপরাধে মা ও মায়ের প্রেমিককে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার বিকেলে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহনাজ রহমান এ আদেশ দেন।
শিশু নির্যাতনের অভিযোগে শিশুটির বাবা ও আসামির প্রাক্তন স্বামী গতকাল রোববার ঘটনার রাতে চকবাজার থানায় মামলা করেছেন। ২০১৩ সালের শিশু আইনে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়।
শিশুটির মা আসামি জান্নাত আরা বেগম (৩০) সাতকানিয়া পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের জনৈক মো. আমির হোসেনের মেয়ে ও অপর আসামি মো. সাদিকুজ্জামান তুহিন (২৮) সাতকানিয়া উপজেলার ছমদর পাড়ার জনৈক নুরুল আনোয়ারের ছেলে।
চকবাজার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ও মামলাটির তদন্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাউসার হামিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রোববার সন্ধ্যায় চকবাজার মাস্টার কলোনির জনৈক বাড়িওয়ালা জাকিরুল ইসলাম থানায় ফোন দিয়ে জানান এক শিশুকে তার মা ও বাবা চরম নির্যাতন করছে। এ খবর পেয়ে আমরা বাড়িতে অভিযান চালিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করি। শিশুটির মা ও কথিত বাবাকে আটক করি। সেসময় শিশুটির সারা গায়ে নির্যাতনের দাগ। পুরো শরীরে মাংস উঠে গিয়ে গর্তের মতো হয়ে গেছে। দুই হাত, দুই পা এবং নিতম্বে আঘাত বেশি ছিল। এরপর শিশুটির বাবাকে ফোন করি। শিশুটিকে হাসপাতালে চিকিৎসা করাই। আজ ওই দুজনকে আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাদের কারাগারে পাঠিয়ে দেন।’
এক প্রশ্নের উত্তরে এস আই কাউসার বলেন, ‘আসামিরা বিয়ে করেছেন কি না নিশ্চিত নই। এ ব্যাপারে কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। তবে বিয়ে করার নোটারি পাবলিকের একটি হলফনামা দিয়েছেন তাঁরা।’
বাদীর আইনজীবী মো. মোস্তাফিজুর রহমান শিমুল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শিশুটির জিম্মা চেয়ে তার বাবা আদালতে আবেদন করেছেন। এ সময় আদালতে শিশুটির মামা এবং চাচাও হাজির ছিলেন। তারাও শিশুটিকে তার বাবার জিম্মায় দেওয়ার পক্ষে মতো দেন। পরে আদালত শিশুটিকে বাবার জিম্মায় দেন। এদিকে শিশুটি আদালতে জবানবন্দিতে বলেছে, তার মা এবং আংকেল তাকে মেরেছে।’
মামলার অভিযোগে বলা হয়, নির্যাতনের সময় মা শিশুটির হাত-পা চেপে ধরতো আর আসামি সাদিক শিশুটিকে তার দিয়ে মারধর করত। কান্না বাইরে শোনা না যাওয়ার জন্য শিশুটির মুখে কাপড় ঢুকিয়ে দেওয়া হত।
জানতে চাইলে শিশুটির মামা ফরিদুল আলম (২৯) বলেন, ‘আমার বোন ডাইনির মতো কাজ করেছে। আমিও এর বিচার চাই।’
শিশুটির চাচা রেজাউল করিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মধ্যযুগীয় কায়দায় আমাদের বাচ্চাকে এভাবে নির্যাতন করেছে তা ভাবতেও ঘৃণা হচ্ছে।’
এদিকে শিশুটির বাবা রকিবুল হাসান বলেন, ‘১২ বছর আগে জান্নাতের সঙ্গে আমার বিয়ে হয়। আমাদের ঘরে দুইটা সন্তান আছে। বড় সন্তান আমার সাথে থাকে। জান্নাতের উচ্ছৃঙ্খল জীবন যাপনে জান্নাতের ভাই বোনও অসন্তুষ্ট ছিল। আমাদের এলাকার এক যুবকের সাথে জান্নাতের সম্পর্ক হওয়ার পর গত বছর ডিসেম্বরে জান্নাত কাউকে কিছু না বলে চলে যায়। এ ব্যাপারে আমি সাতকানিয়া থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছি। এরপর পর জান্নাত আমাকে তালাক দেয়। শুনেছি দুই আসামি বিয়ে করেছে। কিন্তু মা হয়ে আমার সন্তানকে এভাবে মারতে পারে আমি ভাবতেও পারিনি।’
চট্টগ্রামে চার বছরের মেয়েকে বৈদ্যুতিক তার দিয়ে পেটানোর অপরাধে মা ও মায়ের প্রেমিককে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার বিকেলে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহনাজ রহমান এ আদেশ দেন।
শিশু নির্যাতনের অভিযোগে শিশুটির বাবা ও আসামির প্রাক্তন স্বামী গতকাল রোববার ঘটনার রাতে চকবাজার থানায় মামলা করেছেন। ২০১৩ সালের শিশু আইনে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়।
শিশুটির মা আসামি জান্নাত আরা বেগম (৩০) সাতকানিয়া পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের জনৈক মো. আমির হোসেনের মেয়ে ও অপর আসামি মো. সাদিকুজ্জামান তুহিন (২৮) সাতকানিয়া উপজেলার ছমদর পাড়ার জনৈক নুরুল আনোয়ারের ছেলে।
চকবাজার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ও মামলাটির তদন্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাউসার হামিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রোববার সন্ধ্যায় চকবাজার মাস্টার কলোনির জনৈক বাড়িওয়ালা জাকিরুল ইসলাম থানায় ফোন দিয়ে জানান এক শিশুকে তার মা ও বাবা চরম নির্যাতন করছে। এ খবর পেয়ে আমরা বাড়িতে অভিযান চালিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করি। শিশুটির মা ও কথিত বাবাকে আটক করি। সেসময় শিশুটির সারা গায়ে নির্যাতনের দাগ। পুরো শরীরে মাংস উঠে গিয়ে গর্তের মতো হয়ে গেছে। দুই হাত, দুই পা এবং নিতম্বে আঘাত বেশি ছিল। এরপর শিশুটির বাবাকে ফোন করি। শিশুটিকে হাসপাতালে চিকিৎসা করাই। আজ ওই দুজনকে আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাদের কারাগারে পাঠিয়ে দেন।’
এক প্রশ্নের উত্তরে এস আই কাউসার বলেন, ‘আসামিরা বিয়ে করেছেন কি না নিশ্চিত নই। এ ব্যাপারে কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। তবে বিয়ে করার নোটারি পাবলিকের একটি হলফনামা দিয়েছেন তাঁরা।’
বাদীর আইনজীবী মো. মোস্তাফিজুর রহমান শিমুল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শিশুটির জিম্মা চেয়ে তার বাবা আদালতে আবেদন করেছেন। এ সময় আদালতে শিশুটির মামা এবং চাচাও হাজির ছিলেন। তারাও শিশুটিকে তার বাবার জিম্মায় দেওয়ার পক্ষে মতো দেন। পরে আদালত শিশুটিকে বাবার জিম্মায় দেন। এদিকে শিশুটি আদালতে জবানবন্দিতে বলেছে, তার মা এবং আংকেল তাকে মেরেছে।’
মামলার অভিযোগে বলা হয়, নির্যাতনের সময় মা শিশুটির হাত-পা চেপে ধরতো আর আসামি সাদিক শিশুটিকে তার দিয়ে মারধর করত। কান্না বাইরে শোনা না যাওয়ার জন্য শিশুটির মুখে কাপড় ঢুকিয়ে দেওয়া হত।
জানতে চাইলে শিশুটির মামা ফরিদুল আলম (২৯) বলেন, ‘আমার বোন ডাইনির মতো কাজ করেছে। আমিও এর বিচার চাই।’
শিশুটির চাচা রেজাউল করিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মধ্যযুগীয় কায়দায় আমাদের বাচ্চাকে এভাবে নির্যাতন করেছে তা ভাবতেও ঘৃণা হচ্ছে।’
এদিকে শিশুটির বাবা রকিবুল হাসান বলেন, ‘১২ বছর আগে জান্নাতের সঙ্গে আমার বিয়ে হয়। আমাদের ঘরে দুইটা সন্তান আছে। বড় সন্তান আমার সাথে থাকে। জান্নাতের উচ্ছৃঙ্খল জীবন যাপনে জান্নাতের ভাই বোনও অসন্তুষ্ট ছিল। আমাদের এলাকার এক যুবকের সাথে জান্নাতের সম্পর্ক হওয়ার পর গত বছর ডিসেম্বরে জান্নাত কাউকে কিছু না বলে চলে যায়। এ ব্যাপারে আমি সাতকানিয়া থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছি। এরপর পর জান্নাত আমাকে তালাক দেয়। শুনেছি দুই আসামি বিয়ে করেছে। কিন্তু মা হয়ে আমার সন্তানকে এভাবে মারতে পারে আমি ভাবতেও পারিনি।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে এখন পর্যন্ত ৫ জন ভিপি (সহ-সভাপতি) পদে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। বুধবার (১৩ আগস্ট) দ্বিতীয় দিনের মনোনয়নপত্র বিতরণের কার্যক্রম শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন এ তথ্য জানিয়েছেন।
১৩ মিনিট আগেঢাকা মহানগর পুলিশে কর্মরত সাব-ইন্সপেক্টরদের পেশাদারিত্ব, স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। বুধবার (১৩ আগস্ট) সকালে রাজারবাগস্থ বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে ডিএমপি কমিশনারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
১৫ মিনিট আগেরাজধানীর আদাবরে একটি স্টাফ বাসে পেট্রোল ঢেলে অগ্নিসংযোগের চেষ্টাকালে এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার (১৩ আগস্ট) ভোর ৪টার দিকে আদাবর থানাধীন সুনিবিড় হাউজিং নবদিগন্ত আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন বেড়িবাঁধ সড়কে একটি স্টাফ বাসে পেট্রোল ঢেলে অগ্নিসংযোগের চেষ্টাকালে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২১ মিনিট আগেফেনী পুলিশ লাইনসে সহকর্মীর বঁটির কোপে মো. রহমত আলী (৫৪) নামের বিশেষ আনসারের এক সদস্য আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত আরেক আনসার সদস্য আলী মনোয়ার হোসেনকে (৫৫) আটক করেছে পুলিশ। বুধবার (১৩ আগস্ট) দুপুর পৌনে ১টার দিকে পুলিশ লাইনসের মেসে এ ঘটনা ঘটে।
৩৪ মিনিট আগে