বেলাল হোসাইন, রামগড় (খাগড়াছড়ি)
কাগজে-কলমে ২০১৩ সালে ৫০ শয্যায় রূপান্তর করা হয় খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। এরপর দীর্ঘদিন কেটে গেলেও নিয়োগ দেওয়া হয়নি পর্যাপ্ত জনবল। ১৩ চিকিৎসকের পদ থাকলেও হাসপাতালটিতে কর্মরত আছেন ডেপুটেশনে আসা এক চিকিৎসকসহ দুজন। শিগগির আরেকজনের ডেপুটেশনে আসার কথা রয়েছে। তাতেও সব মিলিয়ে চিকিৎসক হবে তিনজন। নেই পর্যাপ্ত নার্সও। ফলে প্রতিদিন সেবা নিতে আসা দুই শতাধিক রোগীকে পড়তে হয় ভোগান্তিতে। রোগী ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, হাসপাতালে গুরুতর চিকিৎসার ব্যবস্থা নেই। পরীক্ষা-নিরীক্ষার যন্ত্রও সচল নয়। প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা ছাড়া আর কোনো সেবাই মেলে না সেখানে। সামান্য দুর্ঘটনা থেকে শুরু করে যেকোনো অবস্থায় রোগীদের বিভাগীয় শহরে স্থানান্তর করাই এই হাসপাতালের নিত্যদিনের কাজ।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে জানা যায়, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে হাসপাতালটি ৩১ থেকে ৫০ শয্যায় রূপান্তর করা হলেও কোনো জনবল নিয়োগ দেওয়া হয়নি। ৩১ শয্যার কাঠামোতে হাসপাতাল চললেও সেখানে রয়েছে চিকিৎসক ও নার্সের সংকট। হাসপাতালে চিকিৎসক পদের সংখ্যা ১৩। তবে বর্তমানে স্থায়ীভাবে আছেন একজন। অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে তিনজনকে সংযুক্তি দেওয়া হলেও তাঁদের মধ্যে একজন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বদলি হয়েছেন। একজন ছুটিতে আছেন। সম্প্রতি লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে প্রসূতি বিশেষজ্ঞ মাসুমা তাবাচ্ছুমকে ডেপুটেশনে দেওয়া হয়েছে। তবে তিনি এখনো যোগ দেননি। তাঁর সপ্তাহে দুই দিন সেবা দেওয়ার কথা রয়েছে। মাসুমা, সংযুক্তি দেওয়া আরেক চিকিৎসক এবং স্থায়ী ওই চিকিৎসক—তিনজন দিয়েই চলছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। এ ছাড়া আছেন চারজন উপসহকারী চিকিৎসা কর্মকর্তা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হাসপাতালটিতে সার্জারি, চক্ষু,অ্যানেসথেসিয়া, মেডিসিন, ডেন্টাল, অর্থোপেডিক, চর্ম ও যৌন বিভাগে কোনো চিকিৎসক নেই। নার্সের সংখ্যাও কম। নেই কোনো পুষ্টিবিদ ও টেকনিশিয়ান। স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির পদগুলোতে সংকট।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সাল থেকে হাসপাতালে উন্নত মানের যন্ত্রপাতিসমৃদ্ধ দুটি অপারেশন থিয়েটার থাকলেও এক দিনও চালু হয়নি। দক্ষ টেকনিশিয়ানের অভাবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে কোরিয়ার তৈরি ৩০০ এমএম ক্ষমতাসম্পন্ন এক্স-রে মেশিনটি বন্ধ। হাসপাতালের একমাত্র জেনারেটর বিকল। দুটি অ্যাম্বুলেন্সের একটি নষ্ট। অযত্নে পড়ে আছে অপারেশন থিয়েটারের জন্য কেনা কয়েক লাখ টাকার ওষুধ।
হাসপাতালের এক কর্মী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, গত বৃহস্পতিবার রাতে বিদ্যুৎ ছিল না। জেনারেটর দীর্ঘদিন ধরে বিকল। আইপিএসের চার্জ শেষ। মোমবাতি দিয়ে হাসপাতালের কার্যক্রম চালানো হয়েছে।
রামগড় বাজারের বাসিন্দা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমার ষাটের কাছাকাছি বয়স। জন্মের পর থেকে দেখছি, কখনোই এ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসা ছিল না। হাতভাঙা রোগীকেও বিভাগীয় শহরে পাঠাতে দেখি প্রতিনিয়ত। পরীক্ষা-নিরীক্ষাও স্থানীয় ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো থেকে করাতে হয়। গুরুতর রোগী নিয়ে গেলে প্রাথমিকভাবে কিছুক্ষণ চিকিৎসা দিয়ে চট্টগ্রাম শহরে স্থানান্তর করতে বলা হয়। তাৎক্ষণিক প্রয়োজনীয় চিকিৎসার অভাবে অনেক রোগী মারা যেতে দেখেছি।’
মেডিকেল অফিসার রোকসনা ইয়াসমিন বলেন, এই অবস্থার মধ্যে ২০০-৩০০ রোগী দেখতে হয়। উপসহকারী চিকিৎসা কর্মকর্তাদের সহায়তা নিয়ে সেবা দিতে হচ্ছে।
রামগড় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোজাম্মেল হোসেন বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসক এবং জনবলের সংকট রয়েছে। জোড়াতালি দিয়ে চিকিৎসাসেবা অব্যাহত রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ছাবের দাবি করেন, রামগড় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকসংকট দ্রুত কেটে যাবে। জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হবে। জেলার শুধু দীঘিনালা ও মহালছড়ি হাসপাতালে টেকনিশিয়ান রয়েছে। তাঁদের রোস্টার পদ্ধতিতে সব উপজেলায় ডিউটি দেওয়া হবে। আর অন্যান্য সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হবে বলে তিনি আশ্বস্ত করেন।
কাগজে-কলমে ২০১৩ সালে ৫০ শয্যায় রূপান্তর করা হয় খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। এরপর দীর্ঘদিন কেটে গেলেও নিয়োগ দেওয়া হয়নি পর্যাপ্ত জনবল। ১৩ চিকিৎসকের পদ থাকলেও হাসপাতালটিতে কর্মরত আছেন ডেপুটেশনে আসা এক চিকিৎসকসহ দুজন। শিগগির আরেকজনের ডেপুটেশনে আসার কথা রয়েছে। তাতেও সব মিলিয়ে চিকিৎসক হবে তিনজন। নেই পর্যাপ্ত নার্সও। ফলে প্রতিদিন সেবা নিতে আসা দুই শতাধিক রোগীকে পড়তে হয় ভোগান্তিতে। রোগী ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, হাসপাতালে গুরুতর চিকিৎসার ব্যবস্থা নেই। পরীক্ষা-নিরীক্ষার যন্ত্রও সচল নয়। প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা ছাড়া আর কোনো সেবাই মেলে না সেখানে। সামান্য দুর্ঘটনা থেকে শুরু করে যেকোনো অবস্থায় রোগীদের বিভাগীয় শহরে স্থানান্তর করাই এই হাসপাতালের নিত্যদিনের কাজ।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে জানা যায়, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে হাসপাতালটি ৩১ থেকে ৫০ শয্যায় রূপান্তর করা হলেও কোনো জনবল নিয়োগ দেওয়া হয়নি। ৩১ শয্যার কাঠামোতে হাসপাতাল চললেও সেখানে রয়েছে চিকিৎসক ও নার্সের সংকট। হাসপাতালে চিকিৎসক পদের সংখ্যা ১৩। তবে বর্তমানে স্থায়ীভাবে আছেন একজন। অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে তিনজনকে সংযুক্তি দেওয়া হলেও তাঁদের মধ্যে একজন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বদলি হয়েছেন। একজন ছুটিতে আছেন। সম্প্রতি লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে প্রসূতি বিশেষজ্ঞ মাসুমা তাবাচ্ছুমকে ডেপুটেশনে দেওয়া হয়েছে। তবে তিনি এখনো যোগ দেননি। তাঁর সপ্তাহে দুই দিন সেবা দেওয়ার কথা রয়েছে। মাসুমা, সংযুক্তি দেওয়া আরেক চিকিৎসক এবং স্থায়ী ওই চিকিৎসক—তিনজন দিয়েই চলছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। এ ছাড়া আছেন চারজন উপসহকারী চিকিৎসা কর্মকর্তা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হাসপাতালটিতে সার্জারি, চক্ষু,অ্যানেসথেসিয়া, মেডিসিন, ডেন্টাল, অর্থোপেডিক, চর্ম ও যৌন বিভাগে কোনো চিকিৎসক নেই। নার্সের সংখ্যাও কম। নেই কোনো পুষ্টিবিদ ও টেকনিশিয়ান। স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির পদগুলোতে সংকট।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সাল থেকে হাসপাতালে উন্নত মানের যন্ত্রপাতিসমৃদ্ধ দুটি অপারেশন থিয়েটার থাকলেও এক দিনও চালু হয়নি। দক্ষ টেকনিশিয়ানের অভাবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে কোরিয়ার তৈরি ৩০০ এমএম ক্ষমতাসম্পন্ন এক্স-রে মেশিনটি বন্ধ। হাসপাতালের একমাত্র জেনারেটর বিকল। দুটি অ্যাম্বুলেন্সের একটি নষ্ট। অযত্নে পড়ে আছে অপারেশন থিয়েটারের জন্য কেনা কয়েক লাখ টাকার ওষুধ।
হাসপাতালের এক কর্মী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, গত বৃহস্পতিবার রাতে বিদ্যুৎ ছিল না। জেনারেটর দীর্ঘদিন ধরে বিকল। আইপিএসের চার্জ শেষ। মোমবাতি দিয়ে হাসপাতালের কার্যক্রম চালানো হয়েছে।
রামগড় বাজারের বাসিন্দা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমার ষাটের কাছাকাছি বয়স। জন্মের পর থেকে দেখছি, কখনোই এ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসা ছিল না। হাতভাঙা রোগীকেও বিভাগীয় শহরে পাঠাতে দেখি প্রতিনিয়ত। পরীক্ষা-নিরীক্ষাও স্থানীয় ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো থেকে করাতে হয়। গুরুতর রোগী নিয়ে গেলে প্রাথমিকভাবে কিছুক্ষণ চিকিৎসা দিয়ে চট্টগ্রাম শহরে স্থানান্তর করতে বলা হয়। তাৎক্ষণিক প্রয়োজনীয় চিকিৎসার অভাবে অনেক রোগী মারা যেতে দেখেছি।’
মেডিকেল অফিসার রোকসনা ইয়াসমিন বলেন, এই অবস্থার মধ্যে ২০০-৩০০ রোগী দেখতে হয়। উপসহকারী চিকিৎসা কর্মকর্তাদের সহায়তা নিয়ে সেবা দিতে হচ্ছে।
রামগড় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোজাম্মেল হোসেন বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসক এবং জনবলের সংকট রয়েছে। জোড়াতালি দিয়ে চিকিৎসাসেবা অব্যাহত রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ছাবের দাবি করেন, রামগড় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকসংকট দ্রুত কেটে যাবে। জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হবে। জেলার শুধু দীঘিনালা ও মহালছড়ি হাসপাতালে টেকনিশিয়ান রয়েছে। তাঁদের রোস্টার পদ্ধতিতে সব উপজেলায় ডিউটি দেওয়া হবে। আর অন্যান্য সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হবে বলে তিনি আশ্বস্ত করেন।
যশোরের মনিরামপুর উপজেলার পলাশী পূর্বপাড়ার ভ্যানচালক মিজানুর রহমান জ্বর-ব্যথা নিয়ে গিয়েছিলেন পাশের বাসুদেবপুর কমিউনিটি ক্লিনিকে। সেখানে কমিউনিটি হেলথকেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) মিতা রাণী দত্ত রোগের কথা শুনেই তাঁকে স্থানীয় পল্লিচিকিৎসক বা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
২ ঘণ্টা আগেদীর্ঘদিন সংস্কার না করায় রাজধানীর জুরাইন-দয়াগঞ্জ সড়কটি বেহাল হয়ে পড়েছে। সড়কের গেন্ডারিয়া রেলস্টেশনের সামনের অংশে অসংখ্য খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে। এসব খানাখন্দ কোথাও কোথাও এক থেকে দেড় ফুট পর্যন্ত গভীর। বৃষ্টির পানি জমে সেসব গর্ত পুকুরের রূপ ধারণ করেছে।
২ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন আগামী ৯ সেপ্টেম্বর। এই নির্বাচনের মাত্র এক মাস আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে ছাত্র রাজনীতিতে নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখায় ক্যাম্পাসে সক্রিয় ছাত্রসংগঠনগুলোর মধ্যে বিরোধ আরও বেড়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেরাজধানীর নিউমার্কেট এলাকার বিভিন্ন দোকান ও গুদামে অভিযান চালিয়ে প্রায় ১ হাজার ১০০টি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী। উদ্ধারকৃত অস্ত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে কিশোর গ্যাং ও ছিনতাইকারীদের ব্যবহৃত কুখ্যাত ‘সামুরাই’ চাপাতি ও অন্যান্য ধারালো অস্ত্র।
৫ ঘণ্টা আগে