চাঁদপুর প্রতিনিধি
ইলিশ ধরায় সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চাঁদপুরের মেঘনায় প্রকাশ্যে মা ইলিশ ধরছেন জেলেরা। সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর মডেল, হানারচর ও চান্দ্রা ইউনিয়নে মেঘনা নদীতে কয়েক শ নৌকা নিয়ে জেলেদের ইলিশ শিকার করতে দেখা গেছে।
নিষেধাজ্ঞার আগে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জনপ্রতিনিধিদের অভিযানে সহযোগিতা করার কথা বললেও তা বাস্তবায়ন হচ্ছে না। যে কারণে গত ১০ দিনে জেলা টাস্কফোর্সের শতাধিক অভিযানেও সফলতার দেখা মিলছে না।
আজ শনিবার সকাল ৭টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত সদর উপজেলার মেঘনা উপকূলীয় জেলে এলাকা দোকানঘর, বহরিয়া, লক্ষ্মীপুর, হরিণা ফেরিঘাট ও আখনের হাট ঘুরে দেখা গেছে মেঘনা সংযুক্ত খাল থেকে শত শত নৌকা ইলিশ ধরার জন্য বের হচ্ছে। অনেক স্থানে জাল পেতে সরে যাচ্ছেন জেলেরা। জেল ও জরিমানা থেকে বাঁচতে জেলেরা ইলিশ ধরার জন্য নদীতে নামাচ্ছেন শিশু ও কিশোরদের।
হরিণা ফেরিঘাট এলাকায় দেখা গেল, নৌ-পুলিশের অভিযানে ব্যবহৃত ট্রলার ও স্পিডবোটের পাশ থেকেই বের হচ্ছে জেলে নৌকা। পাশের আখনের হাটে মৎস্য আড়তের পাশেই দেখা গেল, জাল পেতে বসে আছে ২০-২৫টি নৌকা এবং জেলে। জেলেরা ইলিশ ধরে নির্দিষ্ট ঘাটে এনে বিক্রি না করে বিভিন্ন বাগানে এবং নিরাপদ স্থানে নিয়ে বিক্রি করে দিচ্ছেন।
হরিণাঘাটের প্রবীণ মৎস্য ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলাম সৈয়াল জানান, ‘অভিযানের কারণে আমরা আড়ত বন্ধ রেখেছি। কিন্তু কিছু জেলে আমাদের এলাকার পাশ থেকেই নৌকা নিয়ে মাছ ধরছে। সকালেই এসে এই দৃশ্যই চোখে পড়ল।’
আখনের হাটের বাসিন্দা আব্দুল করিম জানান, ‘নিষেধাজ্ঞার সময় কোনোভাবেই মাছ ধরার বৈধতা নেই। কিন্তু নৌ-পুলিশের কিছু অসাধু ব্যক্তি আছেন যারা প্রতিদিন মাছ ধরার জন্য ১ থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত জেলেদের কাছ থেকে নিচ্ছে। টাকা না দিলে ধরপাকড় শুরু করেন।’
হানাচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছাত্তার রাঢ়ী জানান, ‘আমাদের হরিণাঘাটে নৌপুলিশ আছে। তাদের সামনে প্রকাশ্যে ইলিশ ধরছেন জেলেরা। কিন্তু পুলিশের কোনো তৎপরতা দেখি না। আমার সঙ্গে ফাঁড়ি ইনচার্জের কথা হয়েছে। আমি বলেছি নদীতে প্রকাশ্যে মা ইলিশ ধরা হচ্ছে। আপনারা অভিযান করেন। তারা এখানে অভিযান না করে মেঘনার পশ্চিমে গিয়ে জেলেদের ধরে।’
চাঁদপুর সদর উপজেলার জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. তানজিমুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা রাতে অভিযান করেছি। আমরা চলে আসার পর হয়তো তাঁরা নদীতে নেমেছেন। কিন্তু আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে।’
নৌপুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, ‘বিশাল নদী, আমাদের ৮০ জন নৌপুলিশের সদস্য দুই বারে অভিযান করলে ৪০ জন করে কাজে লাগানো যায়। আমরা আজকেও সকাল থেকে অভিযান করেছি। ইতিমধ্যে অনেক জেলে আটক হয়েছে এবং আইনের আওতায় আসছে। কিন্তু জনপ্রতিনিধিরা যদি আমাদের সহযোগিতা না করেন এবং খালের মুখগুলো বন্ধ না রাখে তাহলে কিভাবে কাজে সফলতা আসবে। তাঁরা সহযোগিতা না করে খুব সহজেই আমাদের ওপর দোষ চাপিয়ে দিচ্ছেন।’
তিনি বলেন, ‘যেসব স্থানে প্রকাশ্যে ইলিশ ধরা হচ্ছে বিষয়টি আমি অবগত হলাম। খুব শিগগির নৌপুলিশ বড় ধরনের অভিযানে নামবে।’
মা ইলিশ সংরক্ষণে ১২ অক্টোবর থেকে আগামী ২ নভেম্বর পর্যন্ত ইলিশ ধরা, সরবরাহ ও বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে সরকার।
ইলিশ ধরায় সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চাঁদপুরের মেঘনায় প্রকাশ্যে মা ইলিশ ধরছেন জেলেরা। সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর মডেল, হানারচর ও চান্দ্রা ইউনিয়নে মেঘনা নদীতে কয়েক শ নৌকা নিয়ে জেলেদের ইলিশ শিকার করতে দেখা গেছে।
নিষেধাজ্ঞার আগে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জনপ্রতিনিধিদের অভিযানে সহযোগিতা করার কথা বললেও তা বাস্তবায়ন হচ্ছে না। যে কারণে গত ১০ দিনে জেলা টাস্কফোর্সের শতাধিক অভিযানেও সফলতার দেখা মিলছে না।
আজ শনিবার সকাল ৭টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত সদর উপজেলার মেঘনা উপকূলীয় জেলে এলাকা দোকানঘর, বহরিয়া, লক্ষ্মীপুর, হরিণা ফেরিঘাট ও আখনের হাট ঘুরে দেখা গেছে মেঘনা সংযুক্ত খাল থেকে শত শত নৌকা ইলিশ ধরার জন্য বের হচ্ছে। অনেক স্থানে জাল পেতে সরে যাচ্ছেন জেলেরা। জেল ও জরিমানা থেকে বাঁচতে জেলেরা ইলিশ ধরার জন্য নদীতে নামাচ্ছেন শিশু ও কিশোরদের।
হরিণা ফেরিঘাট এলাকায় দেখা গেল, নৌ-পুলিশের অভিযানে ব্যবহৃত ট্রলার ও স্পিডবোটের পাশ থেকেই বের হচ্ছে জেলে নৌকা। পাশের আখনের হাটে মৎস্য আড়তের পাশেই দেখা গেল, জাল পেতে বসে আছে ২০-২৫টি নৌকা এবং জেলে। জেলেরা ইলিশ ধরে নির্দিষ্ট ঘাটে এনে বিক্রি না করে বিভিন্ন বাগানে এবং নিরাপদ স্থানে নিয়ে বিক্রি করে দিচ্ছেন।
হরিণাঘাটের প্রবীণ মৎস্য ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলাম সৈয়াল জানান, ‘অভিযানের কারণে আমরা আড়ত বন্ধ রেখেছি। কিন্তু কিছু জেলে আমাদের এলাকার পাশ থেকেই নৌকা নিয়ে মাছ ধরছে। সকালেই এসে এই দৃশ্যই চোখে পড়ল।’
আখনের হাটের বাসিন্দা আব্দুল করিম জানান, ‘নিষেধাজ্ঞার সময় কোনোভাবেই মাছ ধরার বৈধতা নেই। কিন্তু নৌ-পুলিশের কিছু অসাধু ব্যক্তি আছেন যারা প্রতিদিন মাছ ধরার জন্য ১ থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত জেলেদের কাছ থেকে নিচ্ছে। টাকা না দিলে ধরপাকড় শুরু করেন।’
হানাচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছাত্তার রাঢ়ী জানান, ‘আমাদের হরিণাঘাটে নৌপুলিশ আছে। তাদের সামনে প্রকাশ্যে ইলিশ ধরছেন জেলেরা। কিন্তু পুলিশের কোনো তৎপরতা দেখি না। আমার সঙ্গে ফাঁড়ি ইনচার্জের কথা হয়েছে। আমি বলেছি নদীতে প্রকাশ্যে মা ইলিশ ধরা হচ্ছে। আপনারা অভিযান করেন। তারা এখানে অভিযান না করে মেঘনার পশ্চিমে গিয়ে জেলেদের ধরে।’
চাঁদপুর সদর উপজেলার জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. তানজিমুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা রাতে অভিযান করেছি। আমরা চলে আসার পর হয়তো তাঁরা নদীতে নেমেছেন। কিন্তু আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে।’
নৌপুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, ‘বিশাল নদী, আমাদের ৮০ জন নৌপুলিশের সদস্য দুই বারে অভিযান করলে ৪০ জন করে কাজে লাগানো যায়। আমরা আজকেও সকাল থেকে অভিযান করেছি। ইতিমধ্যে অনেক জেলে আটক হয়েছে এবং আইনের আওতায় আসছে। কিন্তু জনপ্রতিনিধিরা যদি আমাদের সহযোগিতা না করেন এবং খালের মুখগুলো বন্ধ না রাখে তাহলে কিভাবে কাজে সফলতা আসবে। তাঁরা সহযোগিতা না করে খুব সহজেই আমাদের ওপর দোষ চাপিয়ে দিচ্ছেন।’
তিনি বলেন, ‘যেসব স্থানে প্রকাশ্যে ইলিশ ধরা হচ্ছে বিষয়টি আমি অবগত হলাম। খুব শিগগির নৌপুলিশ বড় ধরনের অভিযানে নামবে।’
মা ইলিশ সংরক্ষণে ১২ অক্টোবর থেকে আগামী ২ নভেম্বর পর্যন্ত ইলিশ ধরা, সরবরাহ ও বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে সরকার।
ফরিদপুরে পুত্রবধূকে ধর্ষণের দায়ে গণি খা (৫০) নামের এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। আজ মঙ্গলবার বিকেলে ফরিদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) শামীমা পারভীন এই রায় দেন।
১ মিনিট আগেনেত্রকোনায় ৩১ দফা রূপরেখা তুলে ধরে জনসংযোগ কর্মসূচি চালিয়েছে বিএনপি।
২ মিনিট আগেলালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্ত দিয়ে আরও সাতজনকে ঠেলে পাঠিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। আজ মঙ্গলবার ভোরে উপজেলার বাউরা ইউনিয়নের হোসনাবাদ সীমান্ত দিয়ে তাঁদের ঠেলে দেওয়া হয়।
৯ মিনিট আগেরাজশাহীর নওহাটা সরকারি ডিগ্রি কলেজের একজন প্রভাষক জাল সনদ দিয়ে চাকরি নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আব্দুর রব নামের এই শিক্ষক ২০১৫ সালে যোগ দেন প্রভাষক হিসেবে। তিনি ইসলাম শিক্ষা বিষয়ের প্রভাষক। জাল সনদে চাকরির অভিযোগে আজ মঙ্গলবার সকালে তাঁর অপসারণের দাবিতে কলেজের সামনে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থী ও
১৩ মিনিট আগে