দেবিদ্বার (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার বনকুট গ্রামের মনির হোসেন ১৯৮৭ সালে সিলেটে কাজের সন্ধানে গিয়ে নিখোঁজ হন। তখন তাঁর বয়স ছিল সাত বছর। অনেক খোঁজাখুঁজির পর আশাই ছেড়ে দিয়েছিলেন পরিবারের সদস্যরা। সবাই ধরেই নিয়েছেন মনির মারা গেছেন।
নিখোঁজের প্রায় ৩৬ বছর পর গতকাল বুধবার সকালে আবদুল হালিম নামের এক ব্যক্তির সহযোগিতায় স্ত্রী ও চার সন্তানকে নিয়ে নিজ বাড়ি ফিরেছেন মনির। মনির হোসেন গুনাইঘর দক্ষিণ ইউনিয়নের বনকুট গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রবিউল্লাহ মিয়ার (মৃত) ছেলে। বুধবার বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মনির হোসেনকে দেখতে ভিড় জমিয়েছেন প্রতিবেশীরা। আপন ঠিকানা ও স্বজনদের খুঁজে পেয়ে যারপরনাই নেই খুশি মনির হোসেন।
আবদুল হালিম বলেন, ‘আমার বয়স যখন ১১ বছর তখন আমি সিলেটের অনুরাগ এলাকার জগুলু মেম্বারের আনোয়ার বেকারিতে কাজ শুরু করি। মনির হোসেন জগুলু মেম্বারের বাড়িতে কাজ করার সুবাদে তার সঙ্গে পরিচয় ও বন্ধুত্ব হয়। আমি স্বাধীন নামে ডাকতাম। তার পরিচয় জিজ্ঞাসা করলে সে কিছুই বলতে পারত না। আমি চাকরি ছেড়ে দেশে চলে আসি। দেবিদ্বার উপজেলার জাফরাবাদ গ্রামের এক লোক হারিয়ে গেছে বহু বছর আগে, তাঁকে খুঁজছে তাঁর পরিবার। এই কথা শুনে আমার সন্দেহ হয়। সিলেটে মনির হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তখন মনির আমায় বলে, আসলে আমি হিন্দু না মুসলমান তাও বলতে পারব না! এরপর আমি সিদ্ধান্ত নিই, তার ঠিকানা খুঁজে বের করব। খোঁজাখুঁজি শুরু করি। খুঁজতে খুঁজতে গুনাইঘরের বনকুট গ্রামে এসে তার মতো অবিকল চেহারা তার ছোট ভাই আবু হানিফকে খুঁজে পাই। পরে ভিডিও কলের মাধ্যমে দেখে নিশ্চিত হয়ে সিলেটে মনির হোসেন যেখানে থাকে ওখানে নিয়ে যাই। মনিরকে দেখে তাঁর ভাই বোনেরা আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন। একে অপরকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন।’
মনিরের ছোট ভাই আবু হানিফ ও বোন রোকেয়া বেগম বলেন, ভাইকে খুঁজতে অনেকবার সিলেটে গিয়েছিলেন আব্বা। কিন্তু কোথাও পায়নি। আব্বা সারা দিন খোঁজাখুঁজি করে রাতে মসজিদে ঘুমাতেন। এক টুকরো জমি ছিল, ছেলের খোঁজে তাও বিক্রি করে দেন। আমরা ধরে নিয়েছিলাম আর হয়তো বেঁচে নেই। আশাও ছেড়ে দিয়েছিলাম। ছেলে হারানোর শোকে প্রথমে বাবা ও পরে মা অকালে মারা যান। আজ বাবা-মা বেঁচে থাকলে খুব খুশি হতেন। এই বলেই ভাইকে জড়িয়ে ধরে হাউমাউ করে কেঁদে ফেলেন দুই ভাই-বোন।
মনির হোসেন বলেন, ‘আমার ভোটার আইডি কার্ডে নাম স্বাধীন। সাত বছর বয়সে কাজের সন্ধানে গিয়ে হারিয়ে যাই। পরে সিলেটে শাহ পরান মাজারে কান্নাকাটি করতে দেখে শাহীন নামে এক রিকশাচালক আমাকে তাঁর বাড়িতে আশ্রয় দেন। তাঁর বাড়িতে আমি দুই বছর থেকে শাহপরান বাজারে কাঁচামালের ব্যবসা শুরু করি। সেখানে কয়েক বছর ব্যবসা করার পর সিলেটের অনুরাগ এলাকায় জগুলু মেম্বারের বাসায় কাজ শুরু করি। দিনের বেলায় যেমন তেমন সময় কেটে গেলেও রাতে মা-বাবার জন্য ছটফট করতাম। বাড়ির ঠিকানা মনে করার চেষ্টা করছি। কিন্তু মনে করতে পারতাম না। ৩৬ বছর পর নিজের ভিটায় স্বজনদের খুঁজে পেয়ে আমি অনেক খুশি।’
গুনাইঘর দক্ষিণ ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মো. কামাল হোসেন বলেন, ‘৩৬ বছর আগে মনির হোসেন হারিয়ে যায়। এরপর তাকে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও পাওয়া যায়নি। মনির হোসেন বাড়ি ফিরে আসায় এলাকার সবাই খুশি।’
কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার বনকুট গ্রামের মনির হোসেন ১৯৮৭ সালে সিলেটে কাজের সন্ধানে গিয়ে নিখোঁজ হন। তখন তাঁর বয়স ছিল সাত বছর। অনেক খোঁজাখুঁজির পর আশাই ছেড়ে দিয়েছিলেন পরিবারের সদস্যরা। সবাই ধরেই নিয়েছেন মনির মারা গেছেন।
নিখোঁজের প্রায় ৩৬ বছর পর গতকাল বুধবার সকালে আবদুল হালিম নামের এক ব্যক্তির সহযোগিতায় স্ত্রী ও চার সন্তানকে নিয়ে নিজ বাড়ি ফিরেছেন মনির। মনির হোসেন গুনাইঘর দক্ষিণ ইউনিয়নের বনকুট গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রবিউল্লাহ মিয়ার (মৃত) ছেলে। বুধবার বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মনির হোসেনকে দেখতে ভিড় জমিয়েছেন প্রতিবেশীরা। আপন ঠিকানা ও স্বজনদের খুঁজে পেয়ে যারপরনাই নেই খুশি মনির হোসেন।
আবদুল হালিম বলেন, ‘আমার বয়স যখন ১১ বছর তখন আমি সিলেটের অনুরাগ এলাকার জগুলু মেম্বারের আনোয়ার বেকারিতে কাজ শুরু করি। মনির হোসেন জগুলু মেম্বারের বাড়িতে কাজ করার সুবাদে তার সঙ্গে পরিচয় ও বন্ধুত্ব হয়। আমি স্বাধীন নামে ডাকতাম। তার পরিচয় জিজ্ঞাসা করলে সে কিছুই বলতে পারত না। আমি চাকরি ছেড়ে দেশে চলে আসি। দেবিদ্বার উপজেলার জাফরাবাদ গ্রামের এক লোক হারিয়ে গেছে বহু বছর আগে, তাঁকে খুঁজছে তাঁর পরিবার। এই কথা শুনে আমার সন্দেহ হয়। সিলেটে মনির হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তখন মনির আমায় বলে, আসলে আমি হিন্দু না মুসলমান তাও বলতে পারব না! এরপর আমি সিদ্ধান্ত নিই, তার ঠিকানা খুঁজে বের করব। খোঁজাখুঁজি শুরু করি। খুঁজতে খুঁজতে গুনাইঘরের বনকুট গ্রামে এসে তার মতো অবিকল চেহারা তার ছোট ভাই আবু হানিফকে খুঁজে পাই। পরে ভিডিও কলের মাধ্যমে দেখে নিশ্চিত হয়ে সিলেটে মনির হোসেন যেখানে থাকে ওখানে নিয়ে যাই। মনিরকে দেখে তাঁর ভাই বোনেরা আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন। একে অপরকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন।’
মনিরের ছোট ভাই আবু হানিফ ও বোন রোকেয়া বেগম বলেন, ভাইকে খুঁজতে অনেকবার সিলেটে গিয়েছিলেন আব্বা। কিন্তু কোথাও পায়নি। আব্বা সারা দিন খোঁজাখুঁজি করে রাতে মসজিদে ঘুমাতেন। এক টুকরো জমি ছিল, ছেলের খোঁজে তাও বিক্রি করে দেন। আমরা ধরে নিয়েছিলাম আর হয়তো বেঁচে নেই। আশাও ছেড়ে দিয়েছিলাম। ছেলে হারানোর শোকে প্রথমে বাবা ও পরে মা অকালে মারা যান। আজ বাবা-মা বেঁচে থাকলে খুব খুশি হতেন। এই বলেই ভাইকে জড়িয়ে ধরে হাউমাউ করে কেঁদে ফেলেন দুই ভাই-বোন।
মনির হোসেন বলেন, ‘আমার ভোটার আইডি কার্ডে নাম স্বাধীন। সাত বছর বয়সে কাজের সন্ধানে গিয়ে হারিয়ে যাই। পরে সিলেটে শাহ পরান মাজারে কান্নাকাটি করতে দেখে শাহীন নামে এক রিকশাচালক আমাকে তাঁর বাড়িতে আশ্রয় দেন। তাঁর বাড়িতে আমি দুই বছর থেকে শাহপরান বাজারে কাঁচামালের ব্যবসা শুরু করি। সেখানে কয়েক বছর ব্যবসা করার পর সিলেটের অনুরাগ এলাকায় জগুলু মেম্বারের বাসায় কাজ শুরু করি। দিনের বেলায় যেমন তেমন সময় কেটে গেলেও রাতে মা-বাবার জন্য ছটফট করতাম। বাড়ির ঠিকানা মনে করার চেষ্টা করছি। কিন্তু মনে করতে পারতাম না। ৩৬ বছর পর নিজের ভিটায় স্বজনদের খুঁজে পেয়ে আমি অনেক খুশি।’
গুনাইঘর দক্ষিণ ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মো. কামাল হোসেন বলেন, ‘৩৬ বছর আগে মনির হোসেন হারিয়ে যায়। এরপর তাকে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও পাওয়া যায়নি। মনির হোসেন বাড়ি ফিরে আসায় এলাকার সবাই খুশি।’
চট্টগ্রাম নগরে পরীর পাহাড়ে যাতায়াতের দুর্ভোগ কমাতে বছরখানেক আগে সড়কের পাশের ২৩ শতক জায়গার ওপর গড়ে ওঠা অবৈধ দখলদারদের স্থাপনা ভেঙে দিয়েছিলেন তৎকালীন জেলা প্রশাসক। উচ্ছেদের পর সেখানে জনস্বার্থে প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা ছিল। জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের পর ডিসি রদবদল হলে সেই উদ্ধার করা জায়গা আরেক দখলদারের
২ ঘণ্টা আগেসিলেটের ১৩৩ বছরের পুরোনো এমসি কলেজ। এর ছাত্রাবাসের সপ্তম ব্লকে ১২৮ জন শিক্ষার্থীর পাশাপাশি কলেজের কয়েকজন কর্মচারীও থাকেন। কিন্তু বেশ কয়েক দিন ধরে পানির তীব্র সংকট থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। গোসল করা দূরে থাক, প্রয়োজনীয় খাওয়ার পানিও পাচ্ছেন না তাঁরা। তাই অনেকে বাধ্য হয়ে নিজ নিজ বাড়িতে চলে
২ ঘণ্টা আগেটানা বৃষ্টি আর উজানের ঢলে পদ্মা নদীতে বৃদ্ধি পাচ্ছে পানি। এতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলার চরাঞ্চল ডুবে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে পাঁচটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের সাড়ে ৬ হাজার পরিবার। অন্যদিকে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের পদ্মার চরের নিম্নাঞ্চলের আবাদি জমি ও চলাচলের রাস্তা ডুবে গেছে। ইতিমধ্যে রামকৃষ্ণপুর
২ ঘণ্টা আগেরংপুরের তারাগঞ্জে গণপিটুনিতে শ্বশুর রূপলাল দাস (৪৫) ও জামাই প্রদীপ লালের (৩৫) প্রাণহানির পেছনে আইনশৃঙ্খলাহীনতাকে দুষছেন স্থানীয় লোকজন। তাঁরা বলছেন, গত কয়েক দিনের চুরি, ছিনতাই ও হত্যাকাণ্ড-সংশ্লিষ্ট অপরাধের কারণে স্থানীয় জনতার ভেতর মবের মনোভাব তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশও সেভাবে তৎপর নয়। এসব কারণেই শ্
২ ঘণ্টা আগে