ফায়সাল করিম, চট্টগ্রাম
নগরীর জেনারেল হাসপাতালের কোভিড ওয়ার্ডের সামনে বিষণ্ন পরিবেশ। হাসপাতালের উঁচু প্রবেশপথ ধরে শেষ মাথায় হাতের ডান দিকে আইসিইউ ভবন। সেই ভবনের নিচতলার প্রবেশমুখে দাঁড়াতেই চোখে পড়ে করিডর। তার একপাশে সারি সারি মাদুর পেতে শুয়ে-বসে উদ্বিগ্ন মুখের বেশ কয়েকজন। করোনা রোগীদের স্বজন। সংখ্যায় তাঁরা ১৮ থেকে ২০ জন।
মেঝেতে পাতা মাদুরের অর্ধেকই ঠাসা ঘটিবাটি, বিছানা-বালিশ, রোগীর জন্য আনা জিনিসপত্র আর ওষুধে। হঠাৎ দেখে মনে হতে পারে সরু এই করিডরেই যেন তাঁরা পেতেছেন এক ‘অস্থায়ী সংসার।’
নগরীর লাভ লেন থেকে করোনাক্রান্ত বাবাকে নিয়ে এসেছেন মো. হাসান নামের এক যুবক। বেসরকারি এক ওষুধ কোম্পানির চাকরিজীবী তিনি। জানালেন, তাঁর বাবা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন পাঁচ দিন আগে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় আইসিইউতে এনেছেন গত সোমবার। সেই থেকে প্রতিদিন ভাইয়ের সঙ্গে পালা করে এই করিডরেই বসবাস।
হাসান বলেন, ‘ভাই নিজেই গতকাল করোনায় আক্রান্ত হয়ে পড়ায় এখন আমিই দায়িত্ব পালন করছি। বিছানা, বালিশ, কাথা, গরম পানির হিটার, ফ্লাক্স, টাওয়েল সব নিয়ে এসেছি। গোসল-টয়লেট সারছি পাশের আইসোলেশন ওয়ার্ডে গিয়ে।’
তৌকির নামের এক যুবককে দেখা গেল আইসিইউর ওয়ার্ডের ভেতরের গেটের সামনে। জানালেন তাঁর বোন মিরসরাইয়ে মাতৃকা হাসপাতালে কাজ করতেন। সেখান থেকেই হয়েছেন করোনায় আক্রান্ত।
তৌকির বলেন, ‘গত ১৫ দিন ধরে এখানে আমার বোন। তাঁর দেখাশোনার জন্য প্রথম প্রথম আমার বড় ভাই তুহিন এখানে থাকতেন। সাত দিন পর তিনিও আক্রান্ত হয়ে বর্তমানে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি আছেন।’
নগরীর কালামিয়া বাজারের জিসান। বয়স ১৭ কি ১৮। পেশায় পাইপ মিস্ত্রি। গত মাসের ১৩ তারিখ থেকে করিডরের ছোট্ট বসার টুলেই গড়েছেন তাঁর ‘অস্থায়ী সংসার’। বালিশ–কাঁথা, ঘটিবাটিতে ঠাসা টুলে কোনো মতে গা এলিয়ে রাত কাটান। ভেতরে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন তাঁর মা জেসমিন বেগম। তিনি বলেন, প্রতিদিন মৃত্যুর খবর শুনি। ভয়ে থাকি আমার মায়ের কোনো দুঃসংবাদ আসে কি না।’
মো. সম্রাট এসেছেন বোয়ালখালী থেকে। তাঁর মায়ের ফুসফুস মারাত্মক আক্রান্ত। বলেন, ‘দুই ঘণ্টা পরপর আমার মাকে খাওয়া–দাওয়া দিতে হয়। প্রতিদিন রাত ১২টা পর্যন্ত এভাবে চলে।’
ওয়ার্ডের প্রবেশপথে মাদুর পেতে বসে ছিলেন ব্যবসায়ী কামালউদ্দিন। তিনি বলেন, ‘এদের সেবা ভালো। হটলাইন নম্বরও আছে। রোগীর ওষুধ আর খাবারের জন্য দিনে ৩–৪ হাজার টাকা খরচ হয়। রোগীদের জন্য বরাদ্দ সকালের নাশতাটা আমরা খেয়ে নিই। এখানে পাউরুটি, কলা আর ডিম দেওয়া হয়। বাবা এসব খেতে পারেন না। তাঁর জন্য স্যুপের ব্যবস্থা করতে হয়।’
উচ্চঝুঁকির মধ্যেই করিডরে স্বজনদের এভাবে থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, `এ কথা সত্য, ঝুঁকি নিয়েই তাঁরা থাকছেন। অনেকে আক্রান্তও হচ্ছেন। আইসিইউর ভেতরের জটিল রোগীর জন্য সার্বক্ষণিক একজন স্বজন লাগে। তাই তাঁদের এভাবে ঝুঁকি নিয়ে থাকতে হয়। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে এই ব্যবস্থা আর থাকবে না। আমরা বাইরে একটি বড় স্থানে ছাউনি করে দেব। সেখানেই তাঁদের থাকার ব্যবস্থা হবে।'
নগরীর জেনারেল হাসপাতালের কোভিড ওয়ার্ডের সামনে বিষণ্ন পরিবেশ। হাসপাতালের উঁচু প্রবেশপথ ধরে শেষ মাথায় হাতের ডান দিকে আইসিইউ ভবন। সেই ভবনের নিচতলার প্রবেশমুখে দাঁড়াতেই চোখে পড়ে করিডর। তার একপাশে সারি সারি মাদুর পেতে শুয়ে-বসে উদ্বিগ্ন মুখের বেশ কয়েকজন। করোনা রোগীদের স্বজন। সংখ্যায় তাঁরা ১৮ থেকে ২০ জন।
মেঝেতে পাতা মাদুরের অর্ধেকই ঠাসা ঘটিবাটি, বিছানা-বালিশ, রোগীর জন্য আনা জিনিসপত্র আর ওষুধে। হঠাৎ দেখে মনে হতে পারে সরু এই করিডরেই যেন তাঁরা পেতেছেন এক ‘অস্থায়ী সংসার।’
নগরীর লাভ লেন থেকে করোনাক্রান্ত বাবাকে নিয়ে এসেছেন মো. হাসান নামের এক যুবক। বেসরকারি এক ওষুধ কোম্পানির চাকরিজীবী তিনি। জানালেন, তাঁর বাবা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন পাঁচ দিন আগে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় আইসিইউতে এনেছেন গত সোমবার। সেই থেকে প্রতিদিন ভাইয়ের সঙ্গে পালা করে এই করিডরেই বসবাস।
হাসান বলেন, ‘ভাই নিজেই গতকাল করোনায় আক্রান্ত হয়ে পড়ায় এখন আমিই দায়িত্ব পালন করছি। বিছানা, বালিশ, কাথা, গরম পানির হিটার, ফ্লাক্স, টাওয়েল সব নিয়ে এসেছি। গোসল-টয়লেট সারছি পাশের আইসোলেশন ওয়ার্ডে গিয়ে।’
তৌকির নামের এক যুবককে দেখা গেল আইসিইউর ওয়ার্ডের ভেতরের গেটের সামনে। জানালেন তাঁর বোন মিরসরাইয়ে মাতৃকা হাসপাতালে কাজ করতেন। সেখান থেকেই হয়েছেন করোনায় আক্রান্ত।
তৌকির বলেন, ‘গত ১৫ দিন ধরে এখানে আমার বোন। তাঁর দেখাশোনার জন্য প্রথম প্রথম আমার বড় ভাই তুহিন এখানে থাকতেন। সাত দিন পর তিনিও আক্রান্ত হয়ে বর্তমানে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি আছেন।’
নগরীর কালামিয়া বাজারের জিসান। বয়স ১৭ কি ১৮। পেশায় পাইপ মিস্ত্রি। গত মাসের ১৩ তারিখ থেকে করিডরের ছোট্ট বসার টুলেই গড়েছেন তাঁর ‘অস্থায়ী সংসার’। বালিশ–কাঁথা, ঘটিবাটিতে ঠাসা টুলে কোনো মতে গা এলিয়ে রাত কাটান। ভেতরে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন তাঁর মা জেসমিন বেগম। তিনি বলেন, প্রতিদিন মৃত্যুর খবর শুনি। ভয়ে থাকি আমার মায়ের কোনো দুঃসংবাদ আসে কি না।’
মো. সম্রাট এসেছেন বোয়ালখালী থেকে। তাঁর মায়ের ফুসফুস মারাত্মক আক্রান্ত। বলেন, ‘দুই ঘণ্টা পরপর আমার মাকে খাওয়া–দাওয়া দিতে হয়। প্রতিদিন রাত ১২টা পর্যন্ত এভাবে চলে।’
ওয়ার্ডের প্রবেশপথে মাদুর পেতে বসে ছিলেন ব্যবসায়ী কামালউদ্দিন। তিনি বলেন, ‘এদের সেবা ভালো। হটলাইন নম্বরও আছে। রোগীর ওষুধ আর খাবারের জন্য দিনে ৩–৪ হাজার টাকা খরচ হয়। রোগীদের জন্য বরাদ্দ সকালের নাশতাটা আমরা খেয়ে নিই। এখানে পাউরুটি, কলা আর ডিম দেওয়া হয়। বাবা এসব খেতে পারেন না। তাঁর জন্য স্যুপের ব্যবস্থা করতে হয়।’
উচ্চঝুঁকির মধ্যেই করিডরে স্বজনদের এভাবে থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, `এ কথা সত্য, ঝুঁকি নিয়েই তাঁরা থাকছেন। অনেকে আক্রান্তও হচ্ছেন। আইসিইউর ভেতরের জটিল রোগীর জন্য সার্বক্ষণিক একজন স্বজন লাগে। তাই তাঁদের এভাবে ঝুঁকি নিয়ে থাকতে হয়। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে এই ব্যবস্থা আর থাকবে না। আমরা বাইরে একটি বড় স্থানে ছাউনি করে দেব। সেখানেই তাঁদের থাকার ব্যবস্থা হবে।'
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার সকল স্কুল-কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায় পর্যন্ত মোবাইল নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তের নেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
১৪ মিনিট আগেমহাসড়ক আইনের ৯ (১১) ধারা অনুযায়ী মহাসড়কের উভয় পার্শ্বে ভূমির প্রান্তসীমা থেকে ১০ মিটারের মধ্যে কোনো স্থাপনা নির্মাণ করা দন্ডনীয় অপরাধ। এমন আইনের ধারা সম্বলিত লেখা সাইটনবোর্ডের সাথেই নির্মাণ করা হয়েছে অবৈধ স্থাপনা।
১৮ মিনিট আগেউত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এর প্রভাবে পটুয়াখালীর আকাশ ঘন মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। গত দুই দিন ধরে জেলার বিভিন্ন স্থানে থেমে থেমে গুঁড়ি গুঁড়ি থেকে মাঝারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। উত্তাল হয়ে উঠেছে কুয়াকাটা সংলগ্ন
১ ঘণ্টা আগেজাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র সংগ্রহের শেষ দিন ছিল আজ মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট)। তবে শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে সময়সীমা আরও একদিন বাড়ানো হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে