বিএনপি কোনো দিনই ক্ষমতায় আসতে পারবে না: কৃষিমন্ত্রী

বিএনপির পায়ের নিচে মাটি নেই। ওরা আর কোনো দিনই বাংলাদেশের ক্ষমতায় আসতে পারবে না। জনগণকে আমরা সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা ও উন্নয়ন দিয়েছি। জনগণ যদি নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে প্রত্যাখ্যান করে, আমরা ক্ষমতা থেকে চলে যাব। আজ রোববার নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চরজব্বর ইউনিয়নের পাঙ্খার বাজার এলাকায় বিএডিসি খামারে সয়াবিন, ভুট্টা ও সূর্যমুখী মাঠ পরিদর্শন শেষে কৃষক ও সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক। 

কৃষিমন্ত্রী, ‘খালেদা জিয়ার অবর্তমানে যিনি বিএনপি চালাবেন, সেই তারেক রহমান লন্ডনে বসে ভোগবিলাস করছেন, রিমোট কন্ট্রোলে দল চালাচ্ছেন। আর সেই রিমোট কন্ট্রোলে হুমকি দিয়ে আওয়াজ তুলে তারা ক্ষমতায় আসতে পারবে না। ক্ষমতায় আসতে হলে মানুষের কাছে যেতে হবে। মানুষের দুঃখ-কষ্টের সাথি হতে হবে। তা ছাড়া ক্ষমতায় আসতে পারবে না।’ 

আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘আওয়ামী লীগ কখনো পর্দার অন্তরালে ষড়যন্ত্র করে নীল কুঠি, লাল কুঠিতে বসে সেনাবাহিনীর মাধ্যমে ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতায় আসে না। আমাদের ভিত্তি জনগণ, আমরা জনগণকে নিয়ে এগোচ্ছি, জনগণ যদি আমাদের প্রত্যাখ্যান করে আমরা চলে যাব। এটা নিয়ে আমাদের কোনো দুঃখ নেই।’ 

মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ পাকিস্তানি স্বৈরশাসক আইয়ুব, ইয়াহিয়ার স্বৈরশাসন, স্বৈরাচার জিয়া কোথায় গেছে তা-ও আপনারা জানেন, এরশাদের স্বৈরশাসনের পতনও আপনারা দেখেছেন। বঙ্গবন্ধু এসবকে কখনো ভয় পাননি। আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা এবং আমরাও কোনো হুমকিকে ভয় পাই না।’ 

আবদুর রাজ্জাক আরও বলেন, ‘বিরোধী দল (বিএনপি) ক্ষমতায় আসার জন্য হুংকার দিতেই পারে। এটা অস্বাভাবিক কিছুই না। আমরা দেখেছি, ২০০৯ সাল থেকে বিরোধী দল আন্দোলনের নামে এসব কাজ করেছে। ২০১৪ সালে নির্বাচন বানচাল করার জন্য হরতাল-অবরোধ, লুণ্ঠন, গাড়ি পোড়ানো ও মানুষ হত্যা করেছে। একটানা ৯২ দিন হরতাল-অবরোধ করেও জাতীয় নির্বাচন ভন্ডুল করতে পারেনি। এরা আন্দোলনের নামে গাড়িতে আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়েছে। রেললাইন উপড়ে ফেলেছে। বর্বরতা আর পৈশাচিকতা গণতন্ত্র নয়। নির্বাচনই ক্ষমতা পরিবর্তনের একমাত্র গণতান্ত্রিক পথ। দলীয় সভানেত্রীর নির্দেশ মোতাবেক প্রস্তুতি নেন, জনগণের কাছে যান। আমাদের সরকার ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দিয়েছে। পার্বত্য অঞ্চলে সোলার সিস্টেমের মাধ্যমে বিদ্যুৎ-পানির ব্যবস্থা করেছে। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, পুল-কালভাট, সড়ক, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভবন কোনোটিই অবশিষ্ট রয়ে যায়নি। চ্যালেঞ্জিং প্রকল্প সর্ববৃহৎ পদ্মা সেতুও নির্মিত হয়েছে, যা আগামী কয়েক দিনের মধ্যে উন্মুক্ত করা হবে। 

কৃষির উৎপাদন প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা জাতির কাছে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। আমরা বাংলাদেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করব। দারিদ্র্য কমিয়ে নিয়ে আসব। আজকে বাংলাদেশ দানাজাতীয় খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। শাক-সবজি, ডালের উৎপাদন বৃদ্ধি করেছি। কিন্তু তেলের উৎপাদন তেমন বৃদ্ধি করতে পারিনি। তবে আমাদের কাছে প্রযুক্তি এসেছে।’ 

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন নোয়াখালী-৩ আসনের সংসদ সদস্য মামুনুর রশীদ কিরণ, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সদস্য হোসনে আরা, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) মহাপরিচালক মো. বেনজীর আলম, নোয়াখালী জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান প্রমুখ।