Ajker Patrika

চবিতে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান বয়কট করল শিক্ষক ও অফিসার সমিতি 

চবি প্রতিনিধি
চবিতে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান বয়কট করল শিক্ষক ও অফিসার সমিতি 

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) প্রশাসন আয়োজিত স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভা ও মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান বয়কট করেছে শিক্ষক সমিতি ও অফিসার সমিতি।

আজ রোববার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদ মিলনায়তনে স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভা আয়োজন করে কর্তৃপক্ষ। পরে সেখানে ৫০ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মাননা দেওয়া হয়। এতে স্বাগত বক্তা হিসেবে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. নূরুল আজিম শিকদার। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি এস্যুরেন্স সেলের (আইকিউএসি) পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ মামুন।

শিক্ষক সমিতির দাবি, আলোচনা সভার স্বাগত বক্তা প্রক্টরের বিরুদ্ধে জামায়াত-শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভায় স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির সঙ্গে সম্পৃক্ত কাউকে প্রধান বক্তা রাখা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থী। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে এমন ব্যক্তিকে সভাপতি করা হয়েছে যিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো প্রশাসনিক পদে নেই।

অন্যদিকে অফিসার সমিতির দাবি, রেজিস্ট্রারকে অনুষ্ঠানে যথাযোগ্য মর্যাদা দেওয়া হয়নি। এ ছাড়া সংগঠনের সভাপতির জন্য অন্যান্যবার মঞ্চে আসন রাখা হলেও এবার তা রাখা হয়নি।

আলোচনা সভা বয়কটের বিষয়ে চবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান সিদ্দিকী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আলোচনা অনুষ্ঠানে এমন একজন ব্যক্তিকে স্বাগত বক্তা রাখা হয়েছে যার বিরুদ্ধে স্বাধীনতাবিরোধী কর্মকাণ্ড ও জামায়াত-শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগ রয়েছে ৷ ওই অনুষ্ঠানে দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা দেওয়া হবে। এ রকম একটি অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেবেন একজন স্বাধীনতাবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকা লোক। এটা আমরা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারি না। এটা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থী।’

অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান আরও বলেন, ‘অনুষ্ঠানের সভাপতি হিসেবে আইকিউএসির পরিচালককে রাখা হয়েছে, যিনি কিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কোনো পদে নেই। এ ছাড়া মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে কাদের সম্মাননা দেওয়া হচ্ছে সে বিষয়েও কারও সঙ্গে আলোচনা করা হয়নি। এ বিষয়ে আমরা কিছু জানি না, অনেক ডিনও জানেন না বলে জানিয়েছেন। তবে আমরা সংগঠন থেকে বঙ্গবন্ধু চত্বর ও স্বাধীনতা স্মৃতি ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছি।’

অন্যদিকে চবি অফিসারস সমিতির সভাপতি রশীদুল হায়দার জাবেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানগুলো পরিচালনা বা সভাপতিত্ব করে থাকেন রেজিস্ট্রার। কিন্তু স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান পরিচালনা বা সভাপতিত্ব কোনোটিতেই রেজিস্ট্রারকে রাখা হয়নি। রেজিস্ট্রার আমাদের অভিভাবক। তাঁকে অসম্মান করা মানে আমাদেরও অসম্মান করা। এ ছাড়া অন্যান্যবার স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে অফিসার সমিতিসহ অন্যান্য কর্মচারী সমিতির সভাপতিদের জন্য মঞ্চে আসন রাখা হয়। এবার তাও করা হয়নি। সব মিলিয়ে আমরা মনে করেছি, যে অনুষ্ঠানে আমাদের মূল্যায়ন নেই, সেখানে না যাওয়াই ভালো।’ 

এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতারকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত