বান্দরবান প্রতিনিধি
বান্দরবান পার্বত্য জেলার ঐতিহ্যবাহী রাজকর আদায়ের উৎসব রাজপুণ্যাহ মেলা শত বছরের পথ ধরে প্রতিবছর আয়োজন করা হয়ে হচ্ছিল। তবে ২০১৮ সাল থেকে আর এই আয়োজন হচ্ছে না। এ বছরও ১৪৭তম রাজপুণ্যাহ উৎসব হবে না বলে জানিয়েছে রাজ পরিবার।
বোমাং রাজ পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বান্দরবান শহরের স্থানীয় রাজার মাঠে প্রতি বছর ডিসেম্বরের শেষে বা জানুয়ারির প্রথম দিকে ৩ দিনব্যাপী রাজপুণ্যাহ মেলার আয়োজন করা হয়ে থাকে। কিন্তু অস্থিতিশীল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কারণে এবারও রাজপুণ্যাহ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বোমাং রাজা।
মেলাকে ঘিরে জেলার ১১টি সম্প্রদায়ের ঐতিহ্য মণ্ডিত মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। এ সময় পাহাড়ি-বাঙালিদের মিলন মেলায় পরিণত হয় এলাকাটি, পর্যটকসহ দেশি-বিদেশি লক্ষাধিক মানুষ ভিড় জমায় পর্যটন শহর বান্দরবানে। বোমাং রাজার আশীর্বাদ পাওয়ার জন্য তিন পার্বত্য জেলার দুর্গম এলাকা থেকে পাহাড়িরা রাজ দরবারে এসে ভিড় জমান।
বোমাং রাজ পরিবার সূত্র আরও জানায়, ব্রিটিশ শাসন আমলে পার্বত্য চট্টগ্রামের বান্দরবান, রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি ৩ জেলাকে তিনটি সার্কেলে বিভক্ত করে খাজনা আদায় করা হতো। ১৮৬৬ সাল পর্যন্ত চাকমা রাজা পার্বত্য এলাকা শাসন করত। ১৮৬৭ সালে কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ অঞ্চলের মারমা অধ্যুষিত এলাকাকে বোমাং সার্কেল, ১৮৭০ সালে রামগড় ও মাইনি উপত্যকার এলাকাকে নিয়ে মং সার্কেল গঠিত হয়।
বান্দরবান শহরের বাসিন্দা শামসুল ইসলাম বলেন, বছরের পর বছর ধরে রাজপূণ্যাহর আয়োজন না করার কারণে জেলার মানুষ তাদের ঐতিহ্যবাহী জমকালো সাংস্কৃতিক এই আয়োজন ভুলতে বসেছে, এই ঐতিহ্য সবার ধরে রাখা উচিত।
আরও জানা গেছে, বর্তমানে রাঙামাটিকে চাকমা সার্কেল, বান্দরবানকে বোমাং সার্কেল এবং খাগড়াছড়িকে মং সার্কেল হিসাবে গণ্য করা হয়। প্রায় ১৭৬৪ বর্গমাইল এলাকার বান্দরবানের ৯৫টি, রাঙামাটির রাজস্থলী ও কাপ্তাই উপজেলার ১৪টি মৌজা নিয়ে বান্দরবান বোমাং সার্কেল গড়ে উঠেছে। দুইশ বছরের ঐতিহ্য অনুসারে বছরে একবার এই মেলা আয়োজন করা হয় বোমাং সার্কেলের পক্ষ থেকে।
বান্দরবানের বোমাং রাজা উ চ প্রু চৌধুরীর সহকারী অং ঝাই খ্যায়াং আজকের পত্রিকাকে বলেন, দেশের অস্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে মেলার আয়োজন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বোমাং রাজা।
বান্দরবান পার্বত্য জেলার ঐতিহ্যবাহী রাজকর আদায়ের উৎসব রাজপুণ্যাহ মেলা শত বছরের পথ ধরে প্রতিবছর আয়োজন করা হয়ে হচ্ছিল। তবে ২০১৮ সাল থেকে আর এই আয়োজন হচ্ছে না। এ বছরও ১৪৭তম রাজপুণ্যাহ উৎসব হবে না বলে জানিয়েছে রাজ পরিবার।
বোমাং রাজ পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বান্দরবান শহরের স্থানীয় রাজার মাঠে প্রতি বছর ডিসেম্বরের শেষে বা জানুয়ারির প্রথম দিকে ৩ দিনব্যাপী রাজপুণ্যাহ মেলার আয়োজন করা হয়ে থাকে। কিন্তু অস্থিতিশীল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কারণে এবারও রাজপুণ্যাহ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বোমাং রাজা।
মেলাকে ঘিরে জেলার ১১টি সম্প্রদায়ের ঐতিহ্য মণ্ডিত মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। এ সময় পাহাড়ি-বাঙালিদের মিলন মেলায় পরিণত হয় এলাকাটি, পর্যটকসহ দেশি-বিদেশি লক্ষাধিক মানুষ ভিড় জমায় পর্যটন শহর বান্দরবানে। বোমাং রাজার আশীর্বাদ পাওয়ার জন্য তিন পার্বত্য জেলার দুর্গম এলাকা থেকে পাহাড়িরা রাজ দরবারে এসে ভিড় জমান।
বোমাং রাজ পরিবার সূত্র আরও জানায়, ব্রিটিশ শাসন আমলে পার্বত্য চট্টগ্রামের বান্দরবান, রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি ৩ জেলাকে তিনটি সার্কেলে বিভক্ত করে খাজনা আদায় করা হতো। ১৮৬৬ সাল পর্যন্ত চাকমা রাজা পার্বত্য এলাকা শাসন করত। ১৮৬৭ সালে কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ অঞ্চলের মারমা অধ্যুষিত এলাকাকে বোমাং সার্কেল, ১৮৭০ সালে রামগড় ও মাইনি উপত্যকার এলাকাকে নিয়ে মং সার্কেল গঠিত হয়।
বান্দরবান শহরের বাসিন্দা শামসুল ইসলাম বলেন, বছরের পর বছর ধরে রাজপূণ্যাহর আয়োজন না করার কারণে জেলার মানুষ তাদের ঐতিহ্যবাহী জমকালো সাংস্কৃতিক এই আয়োজন ভুলতে বসেছে, এই ঐতিহ্য সবার ধরে রাখা উচিত।
আরও জানা গেছে, বর্তমানে রাঙামাটিকে চাকমা সার্কেল, বান্দরবানকে বোমাং সার্কেল এবং খাগড়াছড়িকে মং সার্কেল হিসাবে গণ্য করা হয়। প্রায় ১৭৬৪ বর্গমাইল এলাকার বান্দরবানের ৯৫টি, রাঙামাটির রাজস্থলী ও কাপ্তাই উপজেলার ১৪টি মৌজা নিয়ে বান্দরবান বোমাং সার্কেল গড়ে উঠেছে। দুইশ বছরের ঐতিহ্য অনুসারে বছরে একবার এই মেলা আয়োজন করা হয় বোমাং সার্কেলের পক্ষ থেকে।
বান্দরবানের বোমাং রাজা উ চ প্রু চৌধুরীর সহকারী অং ঝাই খ্যায়াং আজকের পত্রিকাকে বলেন, দেশের অস্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে মেলার আয়োজন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বোমাং রাজা।
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার বাবুরহাট বাজারে নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার এক মাস যেতে না যেতেই উঠে যাচ্ছে সড়কের আরসিসি ঢালাই। এ ছাড়া সড়কটির সম্প্রসারণ জয়েন্টগুলোতে আঁকাবাঁকা ফাটল দেখা দিয়েছে। বিষয়টি বুঝতে পেরে সংশ্লিষ্টরা তাড়াহুড়া করে বিটুমিন দিয়ে ফাটল বন্ধের চেষ্টা চালিয়েছেন বলে জানা গেছে।
৬ ঘণ্টা আগেতিন পার্বত্য জেলার মধ্যে আগে থেকেই চিকিৎসাসেবায় পিছিয়ে খাগড়াছড়ি। তার ওপর বছরের পর বছর চিকিৎসক, নার্স, কর্মচারী ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির সংকট থাকায় খাগড়াছড়ি আধুনিক সদর হাসপাতালে কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছেন না রোগীরা।
৬ ঘণ্টা আগেনেত্রকোনার দুর্গাপুরে এক কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে ফয়সাল আহমেদ ওরফে দুর্জয় (২৪) নামে এক ছাত্রদল নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। আটক ফয়সাল আহমেদ ওরফে দুর্জয় দুর্গাপুর উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) রাতে দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান...
৬ ঘণ্টা আগেরাজধানীর খিলগাঁওয়ে একটি নির্মাণাধীন ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। তবে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই আগুন নিভে গেছে। এতে কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
৭ ঘণ্টা আগে