দাউদকান্দি (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মেডিকেল রিপ্রেজেনটেটিভদের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। চিকিৎসকদের সঙ্গে প্রতিনিধিদের আলাপচারিতায় সিরিয়ালে এসে রোগীদের দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হচ্ছে। বিনা অনুমতিতে কখনো জোরপূর্বক রোগীদের ব্যক্তিগত ব্যবস্থাপত্রের ছবি তোলাসহ চিকিৎসকের চেম্বারের ভেতরে-বাইরে অবস্থান করেন তাঁরা। কর্তৃপক্ষ তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন রোগীরা।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, অফিস সময়ে হাসপাতালে যাওয়ার নিয়ম না থাকলেও সকাল ১০টার আগেই দলে দলে ভাগ হয়ে সেখানে অবস্থান নিচ্ছেন প্রতিনিধিরা। হাসপাতালের চিকিৎসকদের বিভিন্ন কক্ষের সামনের রোগীদের ভিড় থাকার সুযোগ নেন মেডিকেল রিপ্রেজেনটেটিভরা। কক্ষ থেকে রোগী বের হওয়া মাত্রই তাঁদের ব্যবস্থাপত্র নিয়ে একেকজন টানাটানি শুরু করে দেন। চিকিৎসক কোনো কোম্পানির ওষুধ লিখেছেন তা জানার চেষ্টা করেন। কেউ কেউ আবার একটি ওষুধের বদলে নিজের কোম্পানির ওষুধ কেনার পরামর্শ দেন। কেউবা আবার চিকিৎসকের কক্ষে ঢুকে দীর্ঘক্ষণ ধরে কথা বলেন। এতে ভোগান্তিতে পড়েন রোগীরা।
হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা গৌরীপুর গ্রামের মফিজুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, স্ত্রীকে ডাক্তার দেখাতে টিকিট কেটে ১৪ নম্বর কক্ষে সিরিয়ালে দাঁড়াই। ওই কক্ষে রোগী দেখছিলেন হাসপাতালের উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মিতালি। প্রায় ৪০ মিনিট লাইনে দাঁড়িয়ে থাকি। কিন্তু কোনো সাড়া না পেয়ে দরজা দিয়ে উঁকি দিয়ে দেখি ডাক্তার রোগী দেখা বাদ দিয়ে মেডিকেল রিপ্রেজেনটেটিভদের সঙ্গে কথা বলে সময় পার করছেন।
মফিজুল ইসলাম আরও বলেন, ‘আমাদের পক্ষে কথা বলার কেউ নেই। আমরা সাধারণ অসহায় মানুষ যাব কোথায়?’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নারী রোগী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রায় এক ঘণ্টা সিরিয়ালে দাঁড়িয়ে আছি। কিন্তু ডাক্তারের সঙ্গে মেডিকেল রিপ্রেজেনটেটিভদের গল্পের কারণে ভেতরে ঢুকতে পারছি না। আর কতক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে আমাদের?’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডা. মো. হাবিবুর রহমান অসৌজন্যমূলক আচরণ করে বলেন, ওষুধ কোম্পানির রিপ্রেজেনটেটিভরা আসবেই, তাতে আপনাদের সমস্যা কী?
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তৌহিদ আল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, সম্প্রতি আমি হাসপাতালে যোগদান করেছি। ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের এ হাসপাতালে আসার কী নিয়মনীতি রয়েছে তা আমার জানা নেই। এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মেডিকেল রিপ্রেজেনটেটিভদের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। চিকিৎসকদের সঙ্গে প্রতিনিধিদের আলাপচারিতায় সিরিয়ালে এসে রোগীদের দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হচ্ছে। বিনা অনুমতিতে কখনো জোরপূর্বক রোগীদের ব্যক্তিগত ব্যবস্থাপত্রের ছবি তোলাসহ চিকিৎসকের চেম্বারের ভেতরে-বাইরে অবস্থান করেন তাঁরা। কর্তৃপক্ষ তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন রোগীরা।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, অফিস সময়ে হাসপাতালে যাওয়ার নিয়ম না থাকলেও সকাল ১০টার আগেই দলে দলে ভাগ হয়ে সেখানে অবস্থান নিচ্ছেন প্রতিনিধিরা। হাসপাতালের চিকিৎসকদের বিভিন্ন কক্ষের সামনের রোগীদের ভিড় থাকার সুযোগ নেন মেডিকেল রিপ্রেজেনটেটিভরা। কক্ষ থেকে রোগী বের হওয়া মাত্রই তাঁদের ব্যবস্থাপত্র নিয়ে একেকজন টানাটানি শুরু করে দেন। চিকিৎসক কোনো কোম্পানির ওষুধ লিখেছেন তা জানার চেষ্টা করেন। কেউ কেউ আবার একটি ওষুধের বদলে নিজের কোম্পানির ওষুধ কেনার পরামর্শ দেন। কেউবা আবার চিকিৎসকের কক্ষে ঢুকে দীর্ঘক্ষণ ধরে কথা বলেন। এতে ভোগান্তিতে পড়েন রোগীরা।
হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা গৌরীপুর গ্রামের মফিজুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, স্ত্রীকে ডাক্তার দেখাতে টিকিট কেটে ১৪ নম্বর কক্ষে সিরিয়ালে দাঁড়াই। ওই কক্ষে রোগী দেখছিলেন হাসপাতালের উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মিতালি। প্রায় ৪০ মিনিট লাইনে দাঁড়িয়ে থাকি। কিন্তু কোনো সাড়া না পেয়ে দরজা দিয়ে উঁকি দিয়ে দেখি ডাক্তার রোগী দেখা বাদ দিয়ে মেডিকেল রিপ্রেজেনটেটিভদের সঙ্গে কথা বলে সময় পার করছেন।
মফিজুল ইসলাম আরও বলেন, ‘আমাদের পক্ষে কথা বলার কেউ নেই। আমরা সাধারণ অসহায় মানুষ যাব কোথায়?’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নারী রোগী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রায় এক ঘণ্টা সিরিয়ালে দাঁড়িয়ে আছি। কিন্তু ডাক্তারের সঙ্গে মেডিকেল রিপ্রেজেনটেটিভদের গল্পের কারণে ভেতরে ঢুকতে পারছি না। আর কতক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে আমাদের?’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডা. মো. হাবিবুর রহমান অসৌজন্যমূলক আচরণ করে বলেন, ওষুধ কোম্পানির রিপ্রেজেনটেটিভরা আসবেই, তাতে আপনাদের সমস্যা কী?
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তৌহিদ আল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, সম্প্রতি আমি হাসপাতালে যোগদান করেছি। ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের এ হাসপাতালে আসার কী নিয়মনীতি রয়েছে তা আমার জানা নেই। এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পুলিশের পলাতক উপপরিদর্শক (এসআই) সুকান্ত দাশকে ছেড়ে দেওয়ার প্রতিবাদে এবং পুলিশ কমিশনার মো. জুলফিকার আলী হায়দারের পদত্যাগের দাবিতে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) সদর দপ্তরে তালা দিয়ে বিক্ষোভ করছিলেন শিক্ষার্থীরা। প্রায় সাত ঘণ্টা পর রাত পৌনে ৯টার দিকে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের সদর দপ্তরের সামনে
৬ মিনিট আগেপরিবার নিয়ে ইসলামপুর এলাকার আনসার মিয়ার দোতলা বাড়ির নিচতলায় ভাড়া থাকতেন আতিকুর। প্রতিদিনের মতো বুধবার দুপুরে স্ত্রী ও সন্তানের সঙ্গে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন তিনি। পরে বিকেলে হঠাৎ চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে গিয়ে দেখেন, শিশুকন্যা ইনায়ার গলা কাটা এবং আতিকুর রহমান রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন।
৭ মিনিট আগেগত সোমবার সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বের হন আদর। এরপর আর বাড়ি ফেরেননি। পরে পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজাখুঁজি করেও সন্ধান পায়নি তাঁর। এ বিষয়ে রাজবাড়ী সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে আদরের পরিবার। আজ বিকেলে একটি পরিত্যক্ত পুকুরে লাশটি দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয় বাসিন্দারা।
৩৫ মিনিট আগেআখাউড়া উপজেলার মোগড়া সীমান্তবর্তী গ্রামে যৌথ অভিযানে বিপুল মাদকদ্রব্য ও ডিজিটাল সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আজ বুধবার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, বিজিবি ও পুলিশের সমন্বয়ে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
৩৫ মিনিট আগে