Ajker Patrika

দুর্যোগ এলাকা ছাড়া বাকি জায়গায় এইচএসসি পরীক্ষা চলবে: শিক্ষামন্ত্রী

চাঁদপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ১১ আগস্ট ২০২৩, ১৬: ৩৪
দুর্যোগ এলাকা ছাড়া বাকি জায়গায় এইচএসসি পরীক্ষা চলবে: শিক্ষামন্ত্রী

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ‘আমাদের সিদ্ধান্ত আছে এইচএসসি পরীক্ষার সময়ে যদি কোনো জায়গায় দুর্যোগের কারণে পরীক্ষা বন্ধ করতে হয়, সে স্থানে পরীক্ষা বন্ধ থাকবে; বাকি সব জায়গায় পরীক্ষা চলবে। ১৭ আগস্ট পরীক্ষার তারিখ বহু আগে ঘোষণা করা হয়েছে, সে অনুযায়ী শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত।’ 

আজ শুক্রবার চাঁদপুর শহরের লেডি প্রতিমা মিত্র বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। 

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘ডেঙ্গু প্রতিবছরই হয়, এ বছর হয়তো প্রকোপটা একটু বেশি। ডেঙ্গু পরিস্থিতির জন্য সারা দেশের এইচএসসি পরীক্ষার মতো পাবলিক পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার সুযোগ নেই। প্রায় ১৪ লাখ পরীক্ষার্থী, তারা পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছে।’ 

শিক্ষার্থীদের আন্দোলন সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, ‘কিছু পরীক্ষার্থী সব সময় পরীক্ষার আগে চিন্তা করে আরেকটু সময় পেলে ভালোভাবে প্রস্তুতি নেওয়া যাবে। সে জন্য তো পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়া যায় না। এটি পাবলিক পরীক্ষা, এটি সঠিক সময়ে নেওয়া জরুরি। এমনিতে কোভিডের সময় পিছিয়ে পরীক্ষা নিতে হচ্ছে এবং এ বছর চেষ্টা করছি পরীক্ষা এগিয়ে নিতে। আগামী বছর আমরা চেষ্টা করব স্বাভাবিক সময়ে নিতে।’ 

চাঁদপুরে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনিতিনি বলেন, এর মধ্যে মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থীদের চিন্তা থাকে। সে জন্য আইসিটি বিষয়ে কম নম্বরে পরীক্ষা হচ্ছে। পুরো পরীক্ষা কম নম্বরে অর্থাৎ পুনর্বিন্যাস নম্বরে পরীক্ষা হচ্ছে। কাজেই যে অল্পসংখ্যক শিক্ষার্থী আন্দোলনে আছে, তারা রাস্তাঘাটে এই আন্দোলন না করে তারা পড়ার টেবিলে ফিরে যাক এবং তারা প্রস্তুতি নিলে আমি বিশ্বাস করি তারা ভালো করবে।’ 

দীপু মনি বলেন, ‘আমাদের পরীক্ষার্থীরা তো শতভাগ পাস করে না। যারা পাস করে না, তারা পরের বছর পরীক্ষা দেয়। যারা ভালো করে না, তারা মান উন্নয়নের জন্য পরের বছর পরীক্ষা দেয়। এই সুযোগগুলো সব আছে। কাজেই পরীক্ষা পেছানোর কোনো সুযোগ নেই। আমাদের পরীক্ষার্থীরা যেন সবাই পড়ার মধ্যে মনোনিবেশ করে এবং তাদের জন্য শুভ কামনা রইল।’ 

এসএসসির পরে এইচএসসিতে শিক্ষার্থী কমে যাওয়া প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘অনেক সময় এই সংখ্যাটি হঠাৎ করে মনগড়া বলা হয়। এটির সঠিক সংখ্যা জেনে বলতে হবে। যারা এসএসসি দেয়, তাদের মধ্যে বহুসংখ্যক কর্মজীবনে প্রবেশ করে। অনেকে বিদেশে চলে যায়। আবার কেউ আছে কারিগরি শিক্ষায় চলে যায়, তারা আর এইচএসসি দিতে আসে না। এ বিষয়গুলো আমাদের মাথায় রাখতে হবে।’ 

এ সময় সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. হেদায়েত উল্যাহ, জেলা আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক রণজিৎ রায় চৌধুরী, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমান বাবুল, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোসাম্মৎ মোর্শেদা ইয়াসমিনসহ সরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা কর্মী ও বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। 

এর আগে শিক্ষামন্ত্রী শহরের পুরান বাজার ডিগ্রি কলেজে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা চত্বর উদ্বোধন করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত