Ajker Patrika

দশমাইল পশুহাটে সবার নজর গয়ালে

প্রতিনিধি, রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম) 
দশমাইল পশুহাটে সবার নজর গয়ালে

উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের সুখবিলাস গ্রামের দশমাইল পশুর হাটে এবারের আকর্ষণ গয়াল। আজ শুক্রবার সকালে হাটে গিয়ে দেখা যায় ১০টি গয়াল বিক্রির জন্য আনা হয়েছে। সবচেয়ে বড় গয়ালটির দাম হাঁকা হচ্ছে ৫ লাখ টাকা। 

গয়াল মূলত বন্যপ্রাণী। গরুর মতো দেখতে, তবে শিং দুটি ছড়ানো। শিঙের গোড়া বেশ মোটা। সাধারণত কালো রঙের হয়। তবে হাঁটুর নিচ থেকে ক্ষুর পর্যন্ত সাদা লোমে ঢাকা। গয়ালের ঘাড় বেশ এবং বাঁকানো। কুঁজ নেই বলেই চলে।

দেশে গয়ালের একমাত্র সফল খামারি রাঙ্গুনিয়ার সংসদ সদস্য তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের ছোট ভাই এরশাদ মাহমুদ। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, কোরবানি উপলক্ষে গয়ালের চাহিদা দিন দিন বেড়ে চলেছে। কয়েক বছর আগেও কোরবানির পশু হিসেবে গয়াল পছন্দের তালিকায় ছিল না। দুই বছর আগেও উপজেলার বিভিন্ন পশুর বাজারে ব্যাপারীরা খামার থেকে গয়াল নিয়ে বিক্রি করতেন। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এই খামার থেকে গয়াল পাঠানো হতো। করোনা মহামারির কারণে গত বছর থেকে খামার থেকে গয়াল বাইরে দিচ্ছি না। তবে সুখবিলাসের দশমাইল এলাকায় আমি নিজে বসে কিছু গয়াল বেচাবিক্রি করছি। নমুনা হিসেবে এখানে কিছু গয়াল রাখলেও মূলত গয়াল সরবরাহ করি খামার থেকেই।

এরশাদ মাহমুদ বলেন, একসময় গয়াল বন্যপ্রাণী হিসেবে বিবেচিত হতো। তখন এটি ফাঁদ পেতে বন থেকে ধরে এনে চোরাই পথে বেচাবিক্রি হতো। পরে বন বিভাগ গয়ালের ওপর থেকে বন্যপ্রাণীর পরিচিতি তুলে নিয়ে এটিকে গৃহপালিত গবাদিপশু হিসেবে ঘোষণা দেয়। এরপর থেকে পশুটির বাণিজ্যিক পালন শুরু হয়। বাণিজ্যিক উৎপাদনের পর থেকে ধীরে ধীরে গয়ালের চাহিদাও বেড়ে চলে। জিয়াফত, মেজবানি, ওরসসহ সামাজিক অনুষ্ঠানে গয়ালের চাহিদা আছে। কোরবানির পশুর হাটেও বিক্রি হচ্ছে গয়াল। 

খামারের শুরুর দিকে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ২০০৮ সালে পার্শ্ববর্তী রাঙামাটি জেলার গহিন বনের এক ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী পরিবার থেকে তিনটি গয়াল কিনে আনি। এর মধ্যে একটি বাচ্চা ও একটি মাদি গয়াল ছিল। এখন আমার খামারে রয়েছে দেড় শতাধিক গয়াল।

খামারের তত্ত্বাবধায়ক টিটু বড়ুয়া আজকের পত্রিকাকে জানান, গত ৫ দিনে ১৭টি গয়াল বিক্রি হয়েছে। সবচেয়ে ছোট গয়ালটি বিক্রি হয়েছে ১ লাখ ৬৫ হাজারে। বড়টি ৪ লাখ টাকায়। এ পর্যন্ত অর্ধ কোটি টাকার গয়াল বিক্রি হয়েছে। খামারে আরও একশটি গয়াল রয়েছে। এর আরও ৪০ থেকে ৫০টি গয়াল বিক্রি হবে বলে আশা করছেন তিনি। 

তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন গরুর গড় ওজন ২শ থেকে ৪শ কেজি। কিন্তু প্রতিটি গয়ালের গড় ওজন ৬শ থেকে ৭শ কেজি হয়। ফলে গয়ালের চাহিদা এখন অনেক বেশি।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোস্তফা কামাল বলেন, জেলার একমাত্র বাণিজ্যিক গয়ালের খামার এটি। মাংসের চাহিদা পূরণে গয়ালের খামার গড়ে তোলা খুবই জরুরি। উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর গয়ালের স্বাস্থ্য পরীক্ষা নিরীক্ষায় বিশেষ নজর রাখছে। অন্যান্য সময়ের তুলনায় কোরবানি ঈদে গয়ালের বেশ চাহিদা রয়েছে। গয়ালের মাংসে কোলেস্টেরল কম হওয়ায় এটি মানবদেহের জন্য সব সময় কম ঝুঁকিপূর্ণ বল জানান এই কর্মকর্তা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ফোন-ইন্টারনেট ভাতা পাচ্ছেন মাঠ প্রশাসনের সব কর্মচারী

ভাড়া বাড়িতে চলা ১৬ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিসহ সব শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ

পিপির বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব ৪৯ জন সহকারী পিপির

জোবাইদার নিরাপত্তার নামে প্রতিবেশীদের বিরক্ত না করার নির্দেশ তারেক রহমানের

শান্ত যে কারণে টি-টোয়েন্টি দলে, মিরাজ কেন নেই

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত