কাউছার আলম, পটিয়া (চট্টগ্রাম)
নিজেদের উৎপাদিত পেয়ারা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন দক্ষিণ চট্টগ্রামের চাষিরা। করোনার কারণে ক্রেতা কমে যাওয়া ও হিমাগারের অভাবে চলতি মৌসুমে এক-তৃতীয়াংশ পেয়ারা বাগানেই নষ্ট হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। অল্প কিছু পেয়ারা বিক্রি হলেও ন্যায্য দাম মিলছে না।
পটিয়ার কেলিশহর এলাকার পেয়ারা চাষি মাহবুবুর রহমান বলেন, তিনি এবার ১৫ একর জমিতে পেয়ারার আবাদ করেছেন। তাঁর বাগান থেকে চট্টগ্রাম ছাড়াও ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ হয় পেয়ারা। করোনার আগে প্রতি বছর লাভের মুখ দেখলেও গত বছরের ন্যায় এবারও উৎপাদিত পেয়ারা বাজারজাত করতে পারছেন না। ফলে বাগানেই নষ্ট হচ্ছে পেয়ারা। এতে লোকসানের আশঙ্কায় তিনি।
এ পেয়ারা চাষি আরও বলেন, ‘প্রতিবছর মৌসুম শুরুর আগেই ব্যবসায়ীরা পেয়ারা কেনার চুক্তি করতেন। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে গত বছরের মতো এবারও বাজারের অবস্থা নাজুক। হাট-বাজারেও পেয়ারা বিক্রি করা যাচ্ছে না। তাই গাছেই থেকে যাচ্ছে পেয়ারা। যা বিক্রি হচ্ছে তা দিয়ে শ্রমিকের বেতন দিতে হিমশিম খাচ্ছি।’
এদিকে চট্টগ্রাম জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য মতে, চট্টগ্রামে পেয়ারা গাছের সংখ্যা প্রায় সাড়ে ২২ লাখ। পটিয়া, চন্দনাইশ, বাঁশখালী, লোহাগাড়া ও বোয়ালখালী, সীতাকুণ্ডসহ বিভিন্ন উপজেলায় পাহাড় ও পাহাড়ের পাদদেশে পাঁচ হাজার হেক্টর জমিতে এসব পেয়ারার চাষ হয়। হেক্টরপ্রতি গড়ে ১৫ মেট্রিকটন পেয়ারা উৎপাদন হয়। জেলায় প্রতি বছর ৭৫ হাজার মেট্রিকটন পেয়ারা উৎপাদন হয়।
পটিয়ায় কাজি ও কাঞ্চননগর নামে দুই জাতের পেয়ারার চাষ হয় বেশি। প্রতি বছর জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত বাজারে পেয়ারা পাওয়া যায়। মৌসুম চলাকালীন বাগান থেকে পেয়ারা সংগ্রহ, বাজারে আনা, খুচরা ও পাইকারি বিক্রিতে প্রায় ১২ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হয়।
হিমাগার না থাকায় উৎপাদিত পেয়ারা নষ্ট হয়ে যাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে চট্টগ্রাম জেলা কৃষি অধিদপ্তরের উপপরিচালক আখতারুজ্জামান বলেন, করোনার কারণে স্বাভাবিক সময়ের মতো বিক্রি নেই। পাশাপাশি সংরক্ষণের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় এবার উৎপাদিত পেয়ারার মধ্যে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ পেয়ারা নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এবার বড় সাইজের প্রতি ডজন পেয়ারা ৮০ থেকে ৯০ টাকা, মাঝারি সাইজের পেয়ারা ৫০ থেকে ৬০ টাকা এবং ছোট সাইজের পেয়ারা ৩৫ থেকে ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অথচ গত বছর বড় সাইজের প্রতি ডজন পেয়ারা ৯০ থেকে ১০০ টাকা, মাঝারি সাইজের পেয়ারা ৬০ থেকে ৭০ টাকা এবং ছোট সাইজের পেয়ারা ৪০ থেকে ৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছিল বলে জানিয়েছেন চাষিরা।
চন্দনাইশের কাঞ্চনাবাদ পেয়ারা চাষি আলমগীর আলম বলেন, ‘স্বাভাবিক সময়ে ব্যবসায়ীরা বাগান থেকে পেয়ারা কিনে নিয়ে যান। কিন্তু এবার বাজারে নিয়েও পেয়ারা বিক্রি করতে পারছি না। তাই গাছেই অনেক পেয়ারা পচে যাচ্ছে। এবার লাভের আশা ছেড়ে দিছি।’
জেলা কৃষি অধিদপ্তর উপ-পরিচালক আখতারুজ্জামান এ বিষয়ে বলেন, চট্টগ্রামে পেয়ারার জুস তৈরির জন্য প্ল্যান্ট গড়ে উঠলে এই অঞ্চলের পেয়ারা চাষিরা লাভবান হতেন। কিন্তু এখনো এ ধরনের উদ্যোগ নেয়নি কেউ। তবে হিমাগার তৈরির জন্য চেষ্টা চলছে। সেটি হলে চাষিরা কিছুটা লাভবান হবেন।
পটিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কল্পনা রহমান বলেন, ‘পটিয়ায় এবার ৭২ হেক্টর পেয়ারার আবাদ হয়েছে। তার থেকে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ১ হাজার ৪৪০ মেট্রিকটন পেয়ারা পাওয়া যাবে বলে আশা করছি। চাষি রয়েছেন ১ হাজার ৮০০ জন। তবে দক্ষিণ চট্টগ্রামে যদি সরকারি বা বেসরকারি উদ্যোগে যদি একটি হিমাগার থাকত তাহলে কৃষকেরা লাভবান হতেন।’
নিজেদের উৎপাদিত পেয়ারা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন দক্ষিণ চট্টগ্রামের চাষিরা। করোনার কারণে ক্রেতা কমে যাওয়া ও হিমাগারের অভাবে চলতি মৌসুমে এক-তৃতীয়াংশ পেয়ারা বাগানেই নষ্ট হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। অল্প কিছু পেয়ারা বিক্রি হলেও ন্যায্য দাম মিলছে না।
পটিয়ার কেলিশহর এলাকার পেয়ারা চাষি মাহবুবুর রহমান বলেন, তিনি এবার ১৫ একর জমিতে পেয়ারার আবাদ করেছেন। তাঁর বাগান থেকে চট্টগ্রাম ছাড়াও ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ হয় পেয়ারা। করোনার আগে প্রতি বছর লাভের মুখ দেখলেও গত বছরের ন্যায় এবারও উৎপাদিত পেয়ারা বাজারজাত করতে পারছেন না। ফলে বাগানেই নষ্ট হচ্ছে পেয়ারা। এতে লোকসানের আশঙ্কায় তিনি।
এ পেয়ারা চাষি আরও বলেন, ‘প্রতিবছর মৌসুম শুরুর আগেই ব্যবসায়ীরা পেয়ারা কেনার চুক্তি করতেন। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে গত বছরের মতো এবারও বাজারের অবস্থা নাজুক। হাট-বাজারেও পেয়ারা বিক্রি করা যাচ্ছে না। তাই গাছেই থেকে যাচ্ছে পেয়ারা। যা বিক্রি হচ্ছে তা দিয়ে শ্রমিকের বেতন দিতে হিমশিম খাচ্ছি।’
এদিকে চট্টগ্রাম জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য মতে, চট্টগ্রামে পেয়ারা গাছের সংখ্যা প্রায় সাড়ে ২২ লাখ। পটিয়া, চন্দনাইশ, বাঁশখালী, লোহাগাড়া ও বোয়ালখালী, সীতাকুণ্ডসহ বিভিন্ন উপজেলায় পাহাড় ও পাহাড়ের পাদদেশে পাঁচ হাজার হেক্টর জমিতে এসব পেয়ারার চাষ হয়। হেক্টরপ্রতি গড়ে ১৫ মেট্রিকটন পেয়ারা উৎপাদন হয়। জেলায় প্রতি বছর ৭৫ হাজার মেট্রিকটন পেয়ারা উৎপাদন হয়।
পটিয়ায় কাজি ও কাঞ্চননগর নামে দুই জাতের পেয়ারার চাষ হয় বেশি। প্রতি বছর জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত বাজারে পেয়ারা পাওয়া যায়। মৌসুম চলাকালীন বাগান থেকে পেয়ারা সংগ্রহ, বাজারে আনা, খুচরা ও পাইকারি বিক্রিতে প্রায় ১২ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হয়।
হিমাগার না থাকায় উৎপাদিত পেয়ারা নষ্ট হয়ে যাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে চট্টগ্রাম জেলা কৃষি অধিদপ্তরের উপপরিচালক আখতারুজ্জামান বলেন, করোনার কারণে স্বাভাবিক সময়ের মতো বিক্রি নেই। পাশাপাশি সংরক্ষণের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় এবার উৎপাদিত পেয়ারার মধ্যে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ পেয়ারা নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এবার বড় সাইজের প্রতি ডজন পেয়ারা ৮০ থেকে ৯০ টাকা, মাঝারি সাইজের পেয়ারা ৫০ থেকে ৬০ টাকা এবং ছোট সাইজের পেয়ারা ৩৫ থেকে ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অথচ গত বছর বড় সাইজের প্রতি ডজন পেয়ারা ৯০ থেকে ১০০ টাকা, মাঝারি সাইজের পেয়ারা ৬০ থেকে ৭০ টাকা এবং ছোট সাইজের পেয়ারা ৪০ থেকে ৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছিল বলে জানিয়েছেন চাষিরা।
চন্দনাইশের কাঞ্চনাবাদ পেয়ারা চাষি আলমগীর আলম বলেন, ‘স্বাভাবিক সময়ে ব্যবসায়ীরা বাগান থেকে পেয়ারা কিনে নিয়ে যান। কিন্তু এবার বাজারে নিয়েও পেয়ারা বিক্রি করতে পারছি না। তাই গাছেই অনেক পেয়ারা পচে যাচ্ছে। এবার লাভের আশা ছেড়ে দিছি।’
জেলা কৃষি অধিদপ্তর উপ-পরিচালক আখতারুজ্জামান এ বিষয়ে বলেন, চট্টগ্রামে পেয়ারার জুস তৈরির জন্য প্ল্যান্ট গড়ে উঠলে এই অঞ্চলের পেয়ারা চাষিরা লাভবান হতেন। কিন্তু এখনো এ ধরনের উদ্যোগ নেয়নি কেউ। তবে হিমাগার তৈরির জন্য চেষ্টা চলছে। সেটি হলে চাষিরা কিছুটা লাভবান হবেন।
পটিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কল্পনা রহমান বলেন, ‘পটিয়ায় এবার ৭২ হেক্টর পেয়ারার আবাদ হয়েছে। তার থেকে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ১ হাজার ৪৪০ মেট্রিকটন পেয়ারা পাওয়া যাবে বলে আশা করছি। চাষি রয়েছেন ১ হাজার ৮০০ জন। তবে দক্ষিণ চট্টগ্রামে যদি সরকারি বা বেসরকারি উদ্যোগে যদি একটি হিমাগার থাকত তাহলে কৃষকেরা লাভবান হতেন।’
মৌলভীবাজারের সৌন্দর্য বাড়িয়েছে নদী আর ছড়া। এ জেলায় রয়েছে কয়েক শ ছড়া। কিন্তু সিলিকা বালু লুটের কারণে এসব ছড়া শ্রীহীন হয়ে পড়ছে। বিপন্ন হচ্ছে পরিবেশ। এখানকার অর্ধশতাধিক ছড়া থেকে রাতের আঁধারে একটি মহল বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে; কিন্তু তা ঠেকানোর দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নেই। প্রশাস
১ ঘণ্টা আগেসন্ত্রাসী কার্যকলাপের জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জের এক বিএনপি নেতা আগ্নেয়াস্ত্র সরবরাহ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ-সংক্রান্ত তিনজনের একটি ফোনকল রেকর্ড ছড়িয়ে পড়েছে। এ ফোনকল রেকর্ড নিয়ে স্থানীয় প্রশাসন ও রাজনৈতিক অঙ্গনে তোলপাড় চলছে।
১ ঘণ্টা আগেটাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বছরে জমির নামজারি বা খারিজ হয় ৭ হাজারের অধিক। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বা এসি ল্যান্ড কার্যালয়ের এলআর (লোকাল রিলেশনস) ফান্ডের নামে নেওয়া হয় ২ হাজার টাকা। সেই সঙ্গে পৌর ও ইউনিয়ন ভূমি অফিসগুলোর কন্টিনজেন্সি বিলের (খাতা, কলমসহ আনুষঙ্গিক খরচ) জন্য বরাদ্দ আসে বছরে সাড়ে ৩ থেকে ৫
২ ঘণ্টা আগেকৃষি ব্যাংকের খুলনার পূর্ব রূপসা শাখা থেকে লকার ভেঙে কয়েক লাখ টাকা নিয়ে গেছে সংঘবদ্ধ চোরেরা। শুক্রবার রাতে বিষয়টি ধরা পড়ে। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার মধ্যে কোনো এক সময়ে এ চুরির ঘটনা ঘটতে পারে বলে পুলিশের ধারণা। ব্যাংক এবং আশপাশের ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে চোরদের শনাক্ত করার চেষ্টা
৩ ঘণ্টা আগে