Ajker Patrika

৯ দিন পর ফেনী-পরশুরাম সড়কে বাস চলাচল শুরু

পরশুরাম (ফেনী) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৮ আগস্ট ২০২৪, ১৫: ২২
৯ দিন পর ফেনী-পরশুরাম সড়কে বাস চলাচল শুরু

ভয়াবহ বন্যায় ৯ দিন বন্ধ থাকার পর ফেনী-পরশুরাম সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। সড়কের পানি কিছুটা নেমে যাওয়া আজ বুধবার সকাল থেকে বাস চলাচল শুরু হয়েছে। 

ফেনী আঞ্চলিক মহাসড়কের বাস মালিক সমিতির নেতা সিরাজুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘পানি কিছুটা কমে যাওয়ায় মানুষের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে কয়েকটি বাস চলাচলের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ 

গত ১৯ আগস্ট আকস্মিক বন্যায় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরদিন ২০ আগস্টের ভয়াবহ বন্যার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেলিকপ্টার ও স্পিডবোট ছাড়া অন্য কোনো মাধ্যমে পরশুরামে যাওয়ার সুযোগ ছিল না। গত মঙ্গলবার থেকে পরশুরাম ও ফুলগাজী উপজেলার প্রায় সব এলাকায় বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেটের সংযোগও সচল হয়েছে। 

এদিকে যান চলাচল শুরু হওয়ায় মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে। সকালে বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে দেখা গেছে, ফেনীর হাসপাতাল মোড় থেকে দু-একটি বাস যাত্রী নিয়ে যাচ্ছে। তবে প্রত্যেক যাত্রীর কাছ থেকে ৪০ টাকা করে ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। ফেনী-পরশুরাম সড়কে বাস ভাড়া ২৫ টাকার পরিবর্তে ৪০ টাকা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ৪০ টাকার ভাড়া ১০০ টাকা, এ ছাড়াও পিকআপে ৮০ টাকা করে ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। অন্যদিকে পাওয়ার ট্রলিতে করেও ৮০ টাকায় ফেনী-পরশুরামের যাত্রী পারাপার হচ্ছে। 

স্থানীয়রা জানান, ফেনী-পরশুরাম সড়কের কাজীরবাগ বন্ধুয়া আনন্দপুরে সড়কে এখনো হাঁটুপানি থাকলেও পরশুরাম ও ফুলগাজী উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে বন্যার পানি নেমে গেছে। তবে ফেনী-পরশুরাম সড়কে যান চলাচল শুরু হলেও উপজেলা সদরের সঙ্গে আঞ্চলিক সড়কের বেশির ভাগ অংশ ভেঙে যাওয়ায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। 

বাসচালক সালেহ আহাম্মদ বলেন, দু-একটি বাস ফেনী থেকে পরশুরামের উদ্দেশে ছেড়ে যাচ্ছে তবে যাত্রীদের গুনতে হচ্ছে বেশি ভাড়া। 

পরশুরাম উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা পরিবারগুলো নিজ নিজ বসতবাড়িতে ফিরে গেলেও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর ঘরে বসবাস অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বেশির ভাগ ঘরে দেখা গেছে কাদা। ঘরের বিভিন্ন অংশ বন্যার পানির স্রোতে ফেটে ও ভেঙে গেছে। 

উপজেলার স্থানীয় সাংবাদিক আব্দুল মান্নান জানান, তাঁদের মনিপুর গ্রামে ঘরের টিনের চাল পর্যন্ত পানি ছিল। বন্যার পানি নেমে গেলেও ঘরের বেশির ভাগ অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় নিজ ঘরে বসবাস করতে না পেরে পাশে আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। তাঁদের ঘর ও আসবাবপত্র মেরামত করে পুনরায় বসবাস শুরু করতে আরও এক মাস সময় লাগতে পারে। 

মো. মাসুদ নামের ফেনী জেলা প্রশাসকের এক কর্মচারী বলেন, সকালে তিনি বাসে করে ফেনীতে গিয়ে অফিস করেছেন। সড়কের দু-এক জায়গায় এখনো পানি রয়েছে। 

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আফরোজা হাবিব শাপলা বলেন, উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে বন্যার পানি নেমে গেছে। আশ্রয়কেন্দ্রের বাসিন্দারাও নিজ নিজ ঘরে ফিরে গেছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়মিত ত্রাণসহায়তা দেওয়া হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

সরকারি টাকায় ব্যক্তিগত সড়ক কার্পেটিং বিচারপতি খিজির হায়াতের, প্রমাণ পেয়েছে দুদক

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় সোপর্দ, ছিঁড়ে ফেলা হয় পরনের পোশাক

ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের তেলের বরাদ্দ ২৫০ থেকে বেড়ে ৫০০ লিটার

বগুড়ায় ছাত্রদল নেতার ওপর হামলা, পাঁচ নেতা-কর্মীকে শোকজ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত