Ajker Patrika

টেবিল দখল নিয়ে শজিমেক ছাত্রলীগের দুপক্ষের সংঘর্ষে আহত ১৫, পাঁচ কক্ষ তছনছ

বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা ও বগুড়া প্রতিনিধি
আপডেট : ০৩ মে ২০২৪, ০৮: ৫২
টেবিল দখল নিয়ে শজিমেক ছাত্রলীগের দুপক্ষের সংঘর্ষে আহত ১৫, পাঁচ কক্ষ তছনছ

পড়ার টেবিল দখলকে কেন্দ্র করে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজে (শজিমেক) ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে আটজন ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। 

গতকাল বুধবার রাত ১০টার দিকে সংঘর্ষ শুরু হয়। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষের সময় কলেজ ছাত্রাবাসের পাঁচটি কক্ষ ভাঙচুর করা হয়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনা খতিয়ে দেখতে কলেজ কর্তৃপক্ষ পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। 

শজিমেকে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় হলের একাধিক কক্ষ তছনছ করে তারাশজিমেক শিক্ষার্থীরা জানান, পড়ার টেবিল দখলকে কেন্দ্র করে গত মঙ্গলবার তৃতীয় বর্ষের (৩১ তম ব্যাচ) শিক্ষার্থী ফুয়াদ হোসেনের সঙ্গে একই ব্যাচের আলী হাসানের বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। এর জেরে গতকাল বুধবার রাত ১০টার দিকে ফুয়াদ ও আলী হাসানের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। 

খবর পেয়ে রাত ১১টার দিকে কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. রেজাউল আলম জুয়েল পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। এ সময় অধ্যক্ষ ও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। 

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক মিনহাজুলসহ কয়েকজনকে আটক করে পুলিশ। রাত সাড়ে ১১টার দিকে অতিরিক্ত পুলিশ শজিমেকে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। পরে অধ্যক্ষের নির্দেশে আটকদের ছেড়ে দেওয়া হয়। 

আহতদের মধ্যে আলী হাসান, সীমান্ত ইসলাম, অর্পণ নিলয়, রিদওয়ান হক, তালহা, নাদিম ও আরিফ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আহত অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। 

শিক্ষার্থীরা জানান, আলী হাসানের পক্ষ নিয়ে সংঘর্ষে জড়ান বর্তমান কমিটির সহসভাপতি মেহেদী হাসান, যুগ্ম সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম ও সাংগঠনিক সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম। তাঁরা কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। 

শজিমেকে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় হলের একাধিক কক্ষ তছনছ করে তারাঅন্যদিকে ফুয়াদের পক্ষ নিয়ে সংঘর্ষে জড়ান বর্তমান কমিটির সহসভাপতি অর্ঘ্য রায়, তানভির আহমেদ সাকি, যুগ্ম সম্পাদক তোফায়েল তুষার ও ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সম্পাদক ইলিয়াস হোসেন। তাঁরা কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি শৈশব রায়ের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। 

কলেজের অধ্যক্ষ ডা. রেজাউল আলম জুয়েল বলেন, বুধবার রাতে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। একাডেমিক কাউন্সিলের জরুরি সভায় অধ্যাপক নিতাই চন্দ্র সরকারকে প্রধান করে এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে কমিটিকে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

শজিমেক কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম অভিযোগ করেন, বর্তমান সভাপতি শৈশব রায়ের অনুসারী ছাত্রলীগের একাংশ সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর অতর্কিত হামলা করে। এ সময় তারা কলেজের ছাত্রাবাসের পাঁচটি কক্ষের পড়ার টেবিল, ল্যাপটপ, ফ্রিজ ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। 

সহসভাপতি অর্ঘ্য রায় দাবি করেন, ওই ঘটনার সঙ্গে ছাত্রলীগের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। হোস্টেলে একটি পড়ার টেবিল নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের দুই পক্ষ সংঘাতে জড়িয়েছে। কলেজ প্রশাসনের তদন্তে তা বেরিয়ে আসবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। 

শজিমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) আনিসুর রহমান বলেন, আজ বুধবার রাত সাড়ে ১১টার পর থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। সংঘর্ষকালে যাদের আটক করা হয়েছিল অধ্যক্ষের নির্দেশে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রাজশাহীতে দুই নারীকে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
আপডেট : ১৪ নভেম্বর ২০২৫, ১৫: ৫১
রাজশাহীতে দুই নারীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে মানববন্ধন। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাজশাহীতে দুই নারীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে মানববন্ধন। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজশাহীতে দুই নারীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। সচেতন নারী সমাজের ব্যানারে আজ শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত নগরের সাহেববাজার জিরো পয়েন্টে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের সদস্যরা অংশ নেন।

এর আগে ১১ নভেম্বর রাজশাহীর পবা উপজেলার আশরাফের মোড় এলাকায় মহিলা দলের দুই কর্মী নিলুফা ইয়াসমিন ও তাঁর বোন নূরবানু বেগমকে স্থানীয় জামায়াত কর্মী নুরুল ইসলাম লাঞ্ছিত করেন বলে অভিযোগ। মানববন্ধনে অভিযোগ করা হয়, জামায়াতে ইসলামীর কর্মী নুরুল ইসলাম নিলুফাকে পায়ের জুতা খুলে নির্যাতন করেন। আরেকজনকে লাথি মারেন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, দেশে শান্তিশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিকল্প নেই। নির্বাচিত সরকারের মাধ্যমে স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে। বক্তারা নারী নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত নুরুল ইসলামকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের বিএনপির প্রার্থী শফিকুল হক মিলন, বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য মাহমুদা হাবিবা, মহিলা দলের রাজশাহী বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক রোকসানা বেগম টুকটুকি, জেলা মহিলা দলের সভাপতি সামসাদ বেগম মিতালী, রাজশাহী মহানগরের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ সখিনা খাতুন প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রাজবাড়ীর নুরাল পাগলার দরবারে হামলা, লুটপাটের আড়াই মাস পর মামলা

রাজবাড়ী প্রতিনিধি
রাজবাড়ীতে ‘নুরাল পাগলার’ দরবারে ভাঙচুর। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাজবাড়ীতে ‘নুরাল পাগলার’ দরবারে ভাঙচুর। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজবাড়ীর আলোচিত নুরুল হক ওরফে নুরাল পাগলার লাশ কবর থেকে তুলে পোড়ানো ও দরবারে হামলা ও লুটপাটের ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। ঘটনার আড়াই মাস পর ৯৬ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা পাঁচ শতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করে গতকাল বৃহস্পতিবার আদাল‌তে মামলা করা হয়। নুরাল পাগলার স্ত্রীর বড় বোন শিরিনা রাজবাড়ী আদালতে মামলাটি করেছেন ব‌লে জানান তাঁর আইনজীবী শরিফুল ইসলাম।

মামলার নথি থে‌কে জানা যায়, গত ২৩ আগস্ট বার্ধক্যজনিত কারণে নুরাল পাগলার মৃত্যু হয়। ওই দিন রাতে দরবারের ভেতরে বেদির ওপর ১২ ফুট উঁচু করে তাঁকে দাফন করা হয়। তবে শরিয়তবিরোধী কবর দেওয়ার অভিযোগ তুলে ৫ সেপ্টেম্বর জুমার নামাজের পর নুরাল পাগলার দরবারে হামলা চালায় তৌহিদী জনতা। এ সময় সংঘর্ষে রাসেল মোল্লা নামে নুরুল পাগলের এক ভক্ত নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হন। হামলাকারীরা একপর্যায়ে নুরাল পাগলার কবর খুঁড়ে লাশ তুলে মহাসড়কের ওপর পুড়িয়ে দেয়। পরে নুরাল পাগলার বাড়িতে লুটপাট চালায়।

অ্যাডভোকেট শরিফুল ইসলাম ব‌লেন, আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তাম‌জিদ হোসেন মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য পিবিআইকে আদেশ দিয়েছেন। চলতি বছরের ২২ ডিসেম্বরের মধ্যে মামলাটি তদন্ত করে পিবিআইকে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

উল্লেখ‌্য, এর আগে এই ঘটনায় পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে পুলিশ বাদী হয়ে ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজার অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করেছে। একইভাবে নিহত ভক্ত রাসেল মোল্লার বাবা মো. আজাদ মোল্লা বাদী হয়ে আরও ৪ থেকে সাড়ে ৪ হাজার অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেছেন। ওই দুটি মামলায় পুলিশ এখন পর্যন্ত ২৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রাঙ্গুনিয়ায় দুর্বৃত্তের গুলিতে শ্রমিক দল নেতা খুন

রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি 
আপডেট : ১৪ নভেম্বর ২০২৫, ১৫: ৩৫
নিহত যুবক আবদুল মান্নান। ছবি: সংগৃহীত
নিহত যুবক আবদুল মান্নান। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় দুর্বৃত্তের গুলিতে আব্দুল মান্নান (৪০) নামের এক যুবক খুন হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) রাত ১০টার দিকে উপজেলার সরফভাটা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড সরফভাটা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত আব্দুল মান্নান সরফভাটা ২ নম্বর ওয়ার্ড জিলানী মাদ্রাসা এলাকার মুহিদুল্লাহ বাপের বাড়ির মো. নাজেরের ছেলে। তিনি সরফভাটা ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সিনিয়র সহসভাপতি ছিলেন। তবে তাঁর পৈতৃক বাড়ি সরফভাটা হলেও তিনি স্ত্রী-সন্তান নিয়ে উপজেলার ১০ নম্বর চন্দ্রঘোনা-কদমতলী ইউনিয়নের লিচুবাগান এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পথচারীরা বুলইন্যা বাড়ির কাছে সড়কের নির্জন এলাকায় মান্নানকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। এ সময় তাঁর ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটিও সেখানেই ছিল। তবে কারা এবং কী কারণে তাঁকে হত্যা করেছে, সে বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো তথ্য জানা যায়নি। দেশের পটপরিবর্তনের পর প্রবাস থেকে ফিরে মান্নান বিভিন্ন ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি স্ত্রী ও দুই কন্যাসন্তানের জনক।

দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাব্বির মোহাম্মদ সেলিম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘আমরা খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে তাঁর নিথর দেহ পড়ে ছিল, সঙ্গে ছিল একটি মোটরসাইকেল। তবে তাঁর মোবাইলটি পাওয়া যায়নি। তাঁর শরীরে মোট চারটি গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে। এর মধ্যে একটি বাঁ চোখের কাছে, একটি বাঁ হাতে এবং পেটের ডান পাশে দুটি। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এই ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রাঙামাটিতে চলছে দুই দিনব্যাপী লেখক সম্মেলন; অংশ নিচ্ছেন দেড় শতাধিক লেখক

রাঙামাটি, প্রতিনিধি
উদ্বোধনী দিনে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য কয়কজন লখককে সম্মাননা দেওয়া হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
উদ্বোধনী দিনে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য কয়কজন লখককে সম্মাননা দেওয়া হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাঙামাটিতে চলছে দুই দিনব্যাপী পার্বত্য চট্টগ্রাম লেখক সম্মেলন। রাঙামাটি শহরে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। শুক্রবার সকাল ১০টায় মঙ্গল প্রদীপ জ্বালিয়ে এই সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারপ্রাপ্ত বিশিষ্ট কবি মৃত্তিকা চাকমা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চাকমা সার্কেলের প্রধান ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায়।

লেখক সম্মেলনে তিন পার্বত্য জেলার বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর দেড় শতাধিক কবি, লেখক, সাহিত্যিক ও সংস্কৃতি উন্নয়ন কর্মী অংশ নিচ্ছেন।

উদ্বোধনী দিনে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য সুগত চাকমা, প্রমোদ বিকাশ কার্বারি, জ্যোতিপ্রভা লারমা, অলিন্দ্র লাল ত্রিপুরা, ডা. মং উষাইথোয়াই, মনোজ বাহাদুর গুর্খা এবং ইয়াংঙান ম্রোকে লেখক সম্মাননা দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামের “আদিবাসী” জনগোষ্ঠীর বিশাল সমৃদ্ধ ইতিহাস, কৃষ্টি, সংস্কৃতি রয়েছে, যা লেখকদের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা সম্ভব।’

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংসুই মারমার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন শিক্ষাবিদ অঞ্জুলীকা খীসা, কবি শিশির চাকমা, রাঙামাটি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটের পরিচালক জিতেন চাকমা, কবি ও লেখক প্রভাংশু ত্রিপুরা। স্বাগত বক্তব্য দেন লেখক সম্মেলনের আহ্বায়ক শুভ্রজ্যোতি চাকমা। আগামীকাল শনিবার এই সম্মেলন সমাপ্ত হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত