Ajker Patrika

মেঘনায় বিরল প্রজাতির ‘রাজ কাঁকড়া’

ভোলা প্রতিনিধি
আপডেট : ১৭ জুন ২০২৩, ২০: ৩৭
মেঘনায় বিরল প্রজাতির ‘রাজ কাঁকড়া’

ভোলার মেঘনা নদীতে জেলেদের জালে বিরল প্রজাতির একটি কাঁকড়া ধরা পড়েছে। এটি দেখতে অনেকটা পানপাতা মাছের মতো। শক্ত পিঠের ওপর চোখ, নিচের অংশে মুখ ও ছোট অনেকগুলো পা এবং পেছনে রয়েছে একটি সরু লেজ। গতকাল শুক্রবার রাতে রাকিব মাঝি কাঁকড়াটি তাঁর বাড়ি বোরহানউদ্দিন উপজেলার বাথান গ্রামে নিয়ে আসেন।

এর আগে গত মঙ্গলবার ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার সামরাজ মাছঘাট এলাকায় মাছ ধরতে গিয়ে রাকিব মাঝির জালে ধরা পড়ে এ কাঁকড়াটি। 

রাকিব মাঝি জানান, মঙ্গলবার চরফ্যাশনের মেঘনা নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে তাঁর জালে ধরা পড়ে এই কাঁকড়াটি। পরে নৌকায় তুলে একটি পাত্রে রাখা পানির মধ্যে এটি রেখে দেন তিনি। রাকিব বলেন, ‘এ ধরনের কাঁকড়া এর আগে কখনো দেখিনি। লোকমুখে শুনেছি এই কাঁকড়ার দাম কয়েক লাখ টাকা। তাই বিক্রির আশায় সামরাজ ঘাট থেকে বাড়িতে আসার সময় পানির পাত্রে করে নিয়ে এসেছি এবং তাতেই রেখে দিয়েছি। এটি এখন অনেকেই দেখতে আসছেন। কাঁকড়াটির ওজন প্রায় ২০০ গ্রাম।’

ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা এমদাদুল্যাহ বলেন, ‘এটা “হর্সশু ক্র্যাব” (Horseshoe Crab) নামে একধরনের কাঁকড়া। এটি রাজ কাঁকড়া নামেও পরিচিত। এরা প্রধানত গভীর সমুদ্র ও নরম বালি বা কাদামাখা এলাকায় থাকে। ডাঙায় এগুলো সচরাচর দেখা যায় না। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষ এগুলো খেলেও আমাদের দেশে এগুলো কেউ খায় না। এগুলোর দাম নিয়ে লোক মুখে যা শোনা যায় সব গুজব, কোনো ভিত্তি নেই।’

মৎস্য কর্মকর্তা আরও বলেন, এই কাঁকড়া সচরাচর দেখা যায় না। গভীর সমুদ্রে থাকে। তবে, বিরল কিংবা বিপন্ন নয়। কারণ, বিপন্ন হতে হলে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দিতে হয়। এমন কোনো ঘোষণা করা হয়নি। 

বিরল প্রজাতির ‘রাজ কাঁকড়া’। ছবি: আজকের পত্রিকাযুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ওয়াইল্ড লাইফ ফেডারেশনের তথ্যমতে, হর্সশু কাঁকড়া প্রায় ৩০ কোটি বছরেরও বেশি পুরোনো একটি প্রাণী। বলা হয়ে থাকে ডাইনোসরের চেয়েও বেশি পুরোনো এই প্রাণী। এগুলো দেখতে কাঁকড়ার মতো হলেও আদতে বিচ্ছু এবং মাকড়সার প্রজাতির সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত। হর্সশু কাঁকড়ার একটি শক্ত আবরণ রয়েছে। এর শরীরে থাকা ১০টি পা। এটি সমুদ্রের তল বরাবর হাঁটার জন্য ব্যবহার করে। এই কাঁকড়ার নামকরণ করা হয় এর শরীরের আকৃতির কারণে।

এর মাথা ইংরেজি অক্ষর ‘ইউ’ আকৃতির মতো। অনেকটা ঘোড়ার ক্ষুরের নিচে পরানো পাতের মতো বলে এর নাম—হর্সশু। মূলত এই অংশেই এই প্রাণীর শরীরের মূল অঙ্গগুলো থাকে। মাথার এই অংশে মস্তিষ্ক, হৃৎপিণ্ড, মুখ, স্নায়ুতন্ত্র এবং গ্রন্থি রয়েছে—সবই একটি বড় প্লেট বা শক্ত আবরণ দ্বারা সুরক্ষিত। এই কাঁকড়ার নয়টি চোখ সারা শরীরে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকে এবং লেজের কাছে আরও কয়েকটি লাইট রিসেপ্টর থাকে। লাইট রিসেপ্টর হলো একটি অঙ্গ বা কোষ যা আলো, তাপ বা অন্যান্য বাহ্যিক উদ্দীপনায় সাড়া দিতে এবং সংবেদনশীল স্নায়ুতে একটি সংকেত পাঠাতে সক্ষম। নয়টি চোখের মধ্যে আকারে বড় দুটি চোখ যৌগিক এবং এই চোখজোড়া সঙ্গী খোঁজার কাজে ব্যবহার করে এই প্রজাতির কাঁকড়ারা। বাকি চোখগুলো এবং আলোক রিসেপ্টর চাঁদের আলোর গতিবিধি এবং পরিবর্তন বুঝতে কাজ করে। 

হর্সশু কাঁকড়ার লেজকে বলা হয় টেলসন। এটি লম্বা এবং সূক্ষ্ম। দেখতে খানিকটা ভীতিকর হলেও এটি বিপজ্জনক, বিষাক্ত বা দংশনে অভ্যস্ত নয়। পিঠে কোনো কিছুর আঘাত বা ধাক্কা লাগলে লেজের সাহায্যে নিজেদের উল্টে ফেলে এই কাঁকড়ারা। স্ত্রী হর্সশু কাঁকড়া পুরুষদের তুলনায় প্রায় এক-তৃতীয়াংশ বড়। এই প্রজাতির স্ত্রী কাঁকড়া মাথা থেকে লেজ পর্যন্ত ১৮-১৯ ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। আর পুরুষেরা প্রায় ১৪-১৫ ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মাদারীপুরে আড়াই ঘণ্টা পর যান চলাচল স্বাভাবিক

মাদারীপুর প্রতিনিধি
ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে। ছবি: আজকের পত্রিকা

বিএনপির মনোনয়ন ঘোষণার পর ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেছেন মাদারীপুর-১ (শিবচর উপজেলা) আসনের মনোনয়নবঞ্চিত সাজ্জাদ হোসেন ওরফে লাভলু সিদ্দিকীর অনুসারীরা।

লাভলু জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক। সোমবার (৩ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে এক্সপ্রেসওয়ের পাঁচ্চর গোলচত্বরে তাঁরা এ কর্মসূচি পালন করেন। প্রায় আড়াই ঘণ্টা অবরোধের কারণে এক্সপ্রেসওয়ের উভয় পাশে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়।

মনোনয়নবঞ্চিত প্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন লাভলু সিদ্দিকীর সমর্থকেরা ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের শিবচর অংশে টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আলোচনা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর অবরোধ তুলে দিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

শিবচর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহুরুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘ সময় পর সড়ক অবরোধ তুলে নিলে যান চলাচল এখন সম্পূর্ণ স্বাভাবিক হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে এবং অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কুমিল্লায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ, দীর্ঘ যানজট

 কুমিল্লা প্রতিনিধি 
কুমিল্লার আলেখারচর এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ। ছবি: আজকের পত্রিকা
কুমিল্লার আলেখারচর এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ। ছবি: আজকের পত্রিকা

কুমিল্লা-৬ (সদর, সদর দক্ষিণ ও সিটি করপোরেশন) আসনে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে বিক্ষোভ করেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য হাজি আমিন উর রশিদ ইয়াছিনের সমর্থকেরা।

সোমবার (৩ নভেম্বর) রাতে নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ড, পাড়া-মহল্লা থেকে হাজারো নেতা-কর্মী কান্দিরপাড়ে দলীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করেন।

রাত সাড়ে ১০টার দিকে কান্দিরপাড়ে টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধের পর বিক্ষোভ শুরু হয়। পরে বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে আলেখারচর এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করলে দুই পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।

এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিক্ষোভকারীরা দলীয় সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানান এবং প্রয়োজনে কঠোর কর্মসূচির হুমকি দেন।

ময়নামতি হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকবাল বাহার মজুমদার রাত পৌনে ১২টার দিকে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কুমিল্লা-৬ আসনে মনোনয়নবঞ্চিত হাজী ইয়াছিনের সমর্থকেরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন। এতে মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। আমরা অবরোধকারীদের সঙ্গে কথা বলছি। যাত্রীদের দুর্ভোগের কথা বলে তাঁদের মহাসড়ক থেকে সরানোর চেষ্টা করছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কুষ্টিয়ায় মনোনয়নবঞ্চিত সোহরাব উদ্দিনের সমর্থকদের সড়ক অবরোধ-বিক্ষোভ

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
কুষ্টিয়ায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ। ছবি: আজকের পত্রিকা
কুষ্টিয়ায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ। ছবি: আজকের পত্রিকা

কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনে মনোনয়নবঞ্চিত বিএনপির স্থানীয় সরকারবিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিনের সমর্থকেরা রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন।

সোমবার (৩ নভেম্বর) রাত ৯টার দিকে শহরের মজমপুর গেটে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কে অবস্থান নেন সোহরাব সমর্থকেরা। এ সময় তাঁরা সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন ও প্রতিবাদ মিছিল করেন।

এ ছাড়াও সদর উপজেলার মধুপুর-লক্ষ্মীপুর এলাকায় আগুন জ্বালিয়ে সমর্থকেরা বিক্ষোভ করেছেন।

এ সময় তাঁরা বলেন, সোহরাব উদ্দিন কুষ্টিয়া-৩ আসনের তিনবারের সংসদ সদস্য। তিনি দীর্ঘদিন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর বদলে এখানে অন্য কাউকে প্রার্থী হিসেবে মেনে নেওয়া হবে না। তাই অবিলম্বে এ সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিনকে আবার মনোনয়ন দেওয়ার দাবি জানান তাঁরা।

এর আগে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুষ্টিয়ার চারটি আসনে সম্ভাব্য চূড়ান্ত প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিএনপি। সোমবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন। কুষ্টিয়ার চারটি আসনে সম্ভাব্য চূড়ান্ত প্রার্থীরা হলেন কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) সাবেক সংসদ সদস্য ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি রেজা আহম্মেদ বাচ্চু মোল্লা, কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভোড়ামারা) বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার রাগীব রউফ চৌধুরী, কুষ্টিয়া-৩ (সদর) কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সদস্যসচিব প্রকৌশলী জাকির হোসেন সরকার, কুষ্টিয়া-৪ (খোকসা-কুমারখালী) বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমি।

এ বিষয়ে মনোনয়নবঞ্চিত সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন বলেন, ‘শুনেছি আমার সমর্থকেরা বিক্ষোভ করছেন। আমি শহরের বাইরে আছি।’ এর বেশি কথা বলেননি তিনি।

জানতে চাইলেন জেলা বিএনপির সদস্যসচিব ও সদ্য সদর আসনের মনোনীত প্রার্থী প্রকৌশলী জাকির হোসেন সরকার বলেন, কেন্দ্র থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে যিনি মনোনয়ন পাবেন, তাঁর পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। তবে এ নির্দেশনা যদি কেউ না মানেন, তাহলে কেন্দ্র ব্যবস্থা নেবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়া-তারেক রহমান প্রার্থী হওয়ায় বগুড়ায় বিএনপির আনন্দ মিছিল

বগুড়া প্রতিনিধি
বগুড়া শহরে বিএনপির আনন্দ মিছিল। ছবি: আজকের পত্রিকা
বগুড়া শহরে বিএনপির আনন্দ মিছিল। ছবি: আজকের পত্রিকা

আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৭ আসনে ধানের শীষের জয়ের জন্য লড়বেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তাঁর ছেলে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লড়বেন বগুড়া-৬ আসন থেকে। বগুড়ার দুটি গুরুত্বপূর্ণ আসনে বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বকে প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত করার ঘোষণায় জেলাজুড়ে দলের নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন।

আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ঘোষণার পরপরই বগুড়ায় জেলা বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনগুলো আনন্দ মিছিল ও সমাবেশ করেছে।

প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্মস্থান হওয়ায় বরাবরই বগুড়া বিএনপির শক্তিশালী ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ১৯৯১ সাল থেকে এই জেলার দুটি আসনে (বগুড়া-৬ ও ৭) নির্বাচনে অংশ নিয়ে কখনো পরাজিত হননি। ঐতিহ্যবাহী এই নির্বাচনী এলাকায় এবার তাঁর সঙ্গে ছেলে তারেক রহমানের মনোনয়ন নিশ্চিত হওয়ায় নেতা-কর্মীদের মধ্যে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।

আজ রাত ৮টায় বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশার নেতৃত্বে এক আনন্দ মিছিল দলীয় কার্যালয় থেকে শুরু হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক সাতমাথা প্রদক্ষিণ করে। মিছিল শেষে দলীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত হয় এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ।

সমাবেশে রেজাউল করিম বাদশা এই মনোনয়নকে ‘বগুড়ার সর্বস্তরের মানুষের জন্য খুশির সংবাদ’ বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, এ খবর পাওয়ার পরপরই তারেক রহমানকে ফোন করে বগুড়াবাসীর পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে। তিনি বগুড়াবাসীর কাছে দোয়া ও ভোট প্রার্থনা করেছেন।

রেজাউল করিম আরও বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে সারা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ ভোট দিয়ে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে বগুড়াবাসী নির্বাচিত করবে। আমরা আশা করছি, বগুড়া-৬ আসন থেকে নির্বাচিত হয়ে তারেক রহমান বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেবেন এবং প্রধানমন্ত্রী হবেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত