Ajker Patrika

সেতু রক্ষার অভিনব কৌশল

মো. আইয়ুব খান, রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী) 
আপডেট : ০২ জুলাই ২০২১, ১৮: ৫৬
সেতু রক্ষার অভিনব কৌশল

সেতুর তিনটি অংশ ভেঙে গেছে। রডের সঙ্গে রডের সংযোগ নেই। ভাঙা অংশগুলো জিআই তার দিয়ে বাঁধা। সেই তারের ওপর ভর করেই ঝুলছে সেতু।

যানবাহন তো দূরে থাক, লোকজন চলাচল করলেই কাঁপাকাঁপি শুরু হয়। এই বিপজ্জনক সেতুতে দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা।

পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার পূর্ব বাহেরচর ও হরিদ্রখালী গ্রামের মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া গহিনখালী খালের ওপর নির্মিত সেতুর এমন চিত্র।

স্থানীয়রা জানান, সেতুর এক পাড়ে রাঙ্গাবালী, অন্য পাড়ে ছোটবাইশদিয়া। দুপাড়ের মানুষের যোগাযোগের জন্য সেতুটি নির্মাণ করা হয়। কিন্তু সেই সেতু এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সেতু ভেঙে একদিকে হেলে পড়েছে। কোনো মতে জিআই তার দিয়ে সেতুর তিনটি অংশ বেঁধে রাখা হয়েছে। যেকোনো মুহূর্তে সেই তার ছিঁড়ে গিয়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তবু বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় আতঙ্কের মধ্যেও সেতু পারাপার হচ্ছে প্রতিদিন দুপাড়ের শত শত লোক।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) জানায়, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে এলজিএসপি থেকে ৪ লাখ টাকা ব্যয়ে সেতুটি নির্মাণ করে ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ। নির্মাণের দুই বছরের মাথায় একটি ফিশিং বোটের ধাক্কায় সেতুর তিন অংশ ভেঙে যায়। এরপর থেকেই সেতুটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে।

গহিনখালী গ্রামের বাসিন্দা ইমরান হোসাইন বলেন, ‘সেতুটি এমনিতেই অনেক উঁচু। এর মধ্যে আবার এখন ভাঙা। প্রতিদিন সেতু পারাপার হতে গিয়ে এক-দুইটা দুর্ঘটনা ঘটতেই আছে। তাই পরিকল্পিতভাবে এখানে জনস্বার্থে একটি সেতু নির্মাণ প্রয়োজন।’

সেতু পারাপার হতে গিয়ে মোটরসাইকেলচালক নিশাত মিয়া বলেন, ‘যাত্রী নামিয়ে একা গাড়ি চালিয়ে সেতুতে উঠতে হয়। গাড়ি নিয়ে উঠলে থরথর করে কাঁপতে থাকে।’ 
ছোটবাইশদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান এ বি এম আব্দুল মান্নান বলেন, ‘জনগণের স্বার্থে দ্রুত ওইখানে একটি টেকসই সেতু নির্মাণ প্রয়োজন।’

এ ব্যাপারে এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী মিজানুল কবির বলেন, ‘অনূর্ধ্ব ১০০ মিটার সেতু নির্মাণ প্রকল্পে ওই সেতু অন্তর্ভুক্তকরণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। প্রস্তাব অনুমোদন করা হলে সেতুটির নির্মাণকাজ শুরু হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত