মো. সাইফুল ইসলাম আকাশ, ভোলা প্রতিনিধি

ভোলার ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে গত এক মাসে ৬৩৫ জন ডায়রিয়ায় এবং ১ হাজার ১৫৮ জন নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছে। তাদের মধ্যে মারা গেছে দুই শিশু। হাসপাতালে চিকিৎসকের সংকটে রোগীরা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
জেলার ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত এক সপ্তাহে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছে ১৯৯ জন এবং ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছে ১৬৫ জন। এসব রোগী দুই মাস থেকে পাঁচ বছরের শিশু। তাঁদের মধ্যে ঠান্ডাজনিত রোগে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। গত এক মাসে মোট ৬৩৫ জন ডায়রিয়ায় ও ১ হাজার ১৫৮ জন নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়া রোগী ভর্তি হয়েছে।
মারা যাওয়া শিশুরা হলো ৩ মাসের ফারিয়া ও দেড় বছর বয়সী তাহসিন। ফারিয়া ২ সেপ্টেম্বর সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটের দিকে সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়ে সকাল ৯টার দিকে মারা যায়। তাহসিন ৩০ আগস্ট সকাল ৭টার দিকে ভর্তি হয়ে ৩১ আগস্ট দুপুর ২টার দিকে মারা যায়।
ফারিয়া দৌলতখান উপজেলার চরশুভি ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ফখরুল ইসলামের মেয়ে। তাহসিন জেলার সদর উপজেলার ধনীয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিল্লাল হোসেনের ছেলে।
এদিকে ভোলা সদরসহ জেলার অন্য হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে ভিড় করছে শিশুসহ বিভিন্ন বয়সী রোগী। অতিরিক্ত রোগীর চাপে হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসকদের। হাসপাতালে শয্যা খালি না থাকায় অনেক রোগী মেঝেতে থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছে।
জেলার সিভিল সার্জনের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, টানা বৃষ্টিপাতের পর গরমের প্রকোপ বাড়ায় উপকূলীয় জ্বর, সর্দি, কাশি ও নিউমোনিয়া রোগে মানুষ বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। এসব রোগে শিশুদের পাশাপাশি বিভিন্ন বয়সীরা আছেন।
গত সোম ও মঙ্গলবার জেলার ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে গিয়ে জানা গেছে, হাসপাতালের ৫০ বেডের শিশু ওয়ার্ডে কোনো শয্যা খালি নেই। অনেক শিশুকে বারান্দার মেঝে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। প্রতি বেডে দুই থেকে তিনজন শিশুকে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
জেলার বোরহানউদ্দিন থেকে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর অভিভাবক রানু বলেন, ‘৬ দিন ধরে শিশুকে নিয়ে হাসপাতালে আছি। জ্বর ভালো হচ্ছে না। খুব টেনশনে আছি।’
জ্বর ওঠায় দেড় মাস বয়সী সন্তান আবিরকে ভোলার সদর উপজেলার ধনিয়া এলাকা থেকে সদর হাসপাতালে এনেছেন মা-বাবা। আবিরের ঠাঁই হয়েছে শিশু ওয়ার্ডের বারান্দার মেঝেতে। আবিরের বাবা বলেন, ‘জ্বরে ছেলেটার শরীর যেন পুড়ে যাচ্ছে। আমার খুব খারাপ লাগতেছে আজকে কত দিন ধরে অসুস্থ। সুস্থতার কোনো হদিস দেখছি না।’
সদর উপজেলার বাসিন্দা কুসুম বেগম, ছালমা বেগম ও আব্দুর রহমান পরিবারের শিশুদের নিয়ে চিকিৎসার জন্য এসেছেন ভোলা সদর হাসপাতালে শিশু ওয়ার্ডে। কিন্তু চার থেকে পাঁচ দিন হয়ে গেল সুস্থ হচ্ছে না তারা।
শিশু ওয়ার্ডে থাকা রোগীর স্বজনদের দাবি, শিশুদের জন্য হাসপাতাল থেকে কোনো খাবার বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে না। সেখানে খুব কষ্টে দিন পার করছেন তাঁরা।
ডায়রিয়ায় আক্রান্ত শিশু ওয়ার্ডের একাধিক রোগীর স্বজন জানান, তিন থেকে চার দিন ভর্তি হলেও রোগীদের দেখতে আসেন না কর্তব্যরত চিকিৎসক। সঠিক চিকিৎসাসেবা না পাওয়ায় সুস্থ হচ্ছে না তারা। টাকার অভাবে বেসরকারি হাসপাতালে ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে চিকিৎসা করাতে পারছেন না। স্বজনেরা বলেন, নার্সরা মাঝেমধ্যে এসে চিকিৎসা দেয়, এতে আমাগো সন্তান কীভাবে সুস্থ হবে যদি ডাক্তার না দেখে?
সদর উপজেলার দক্ষিণ দীঘলদি ইউনিয়নের ১১ মাস বয়সী শিশু নুসাইবাকে নিয়ে হাসপাতালে যান মা রুজিনা বেগম। তাঁর মেয়ের শ্বাসকষ্ট। চিকিৎসকের দেখা না পেয়ে এবং মেয়ের শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত দেখে তিনি হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র না নিয়ে চলে যান বেসরকারি হাসপাতালে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সেবিকা বলেন, রোগী থাকার কথা ৫০ জনের, কিন্তু থাকছে ২০০-৩০০ জন। এত রোগীর চিকিৎসাসেবা কমসংখ্যক জনবল দিয়ে সম্ভব নয়। তিনি আরও বলেন, শিশুদের ওয়ার্ডে খাবার বরাদ্দ নেই।
হাসপাতালে চিকিৎসক, সেবিকা, শয্যা পর্যাপ্ত না থাকায় সেবা ব্যাহত হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন ভোলার ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক সৈয়দ আবু আহমেদ শাফী। তিনি বলেন, রোগীর চাপে ওষুধের সংকটও দেখা দিয়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এসব সংকট কাটানোর চেষ্টা করছি। আশা করছি দ্রুত সমাধান হয়ে হবে।
তত্ত্বাবধায়ক আবু আহমেদ বলেন, ‘হাসপাতালে পদ রয়েছে ৬০ জন চিকিৎসকের। এখানে কর্মরত আছেন মাত্র ২০ জন। ৮৬ জন নার্সের পদ থাকলেও কর্মরত রয়েছেন ৪৫ জন। জনবলের সংকটের কারণে চিকিৎসা দিতে আমরা হিমশিম খাচ্ছি।’
ভোলা জেলা সিভিল সার্জন কে এম শফিকুজ্জামান বলেন, আবহাওয়া পরিবর্তন হওয়ার কারণে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। হাসপাতালগুলোতে রোগীদের প্রয়োজনীয় সেবা দেওয়া হচ্ছে। রোগীর চাপ বেশি, অভিভাবকদের আরও সচেতন এবং যত্নবান হতে হবে।

ভোলার ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে গত এক মাসে ৬৩৫ জন ডায়রিয়ায় এবং ১ হাজার ১৫৮ জন নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছে। তাদের মধ্যে মারা গেছে দুই শিশু। হাসপাতালে চিকিৎসকের সংকটে রোগীরা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
জেলার ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত এক সপ্তাহে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছে ১৯৯ জন এবং ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছে ১৬৫ জন। এসব রোগী দুই মাস থেকে পাঁচ বছরের শিশু। তাঁদের মধ্যে ঠান্ডাজনিত রোগে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। গত এক মাসে মোট ৬৩৫ জন ডায়রিয়ায় ও ১ হাজার ১৫৮ জন নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়া রোগী ভর্তি হয়েছে।
মারা যাওয়া শিশুরা হলো ৩ মাসের ফারিয়া ও দেড় বছর বয়সী তাহসিন। ফারিয়া ২ সেপ্টেম্বর সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটের দিকে সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়ে সকাল ৯টার দিকে মারা যায়। তাহসিন ৩০ আগস্ট সকাল ৭টার দিকে ভর্তি হয়ে ৩১ আগস্ট দুপুর ২টার দিকে মারা যায়।
ফারিয়া দৌলতখান উপজেলার চরশুভি ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ফখরুল ইসলামের মেয়ে। তাহসিন জেলার সদর উপজেলার ধনীয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিল্লাল হোসেনের ছেলে।
এদিকে ভোলা সদরসহ জেলার অন্য হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে ভিড় করছে শিশুসহ বিভিন্ন বয়সী রোগী। অতিরিক্ত রোগীর চাপে হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসকদের। হাসপাতালে শয্যা খালি না থাকায় অনেক রোগী মেঝেতে থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছে।
জেলার সিভিল সার্জনের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, টানা বৃষ্টিপাতের পর গরমের প্রকোপ বাড়ায় উপকূলীয় জ্বর, সর্দি, কাশি ও নিউমোনিয়া রোগে মানুষ বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। এসব রোগে শিশুদের পাশাপাশি বিভিন্ন বয়সীরা আছেন।
গত সোম ও মঙ্গলবার জেলার ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে গিয়ে জানা গেছে, হাসপাতালের ৫০ বেডের শিশু ওয়ার্ডে কোনো শয্যা খালি নেই। অনেক শিশুকে বারান্দার মেঝে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। প্রতি বেডে দুই থেকে তিনজন শিশুকে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
জেলার বোরহানউদ্দিন থেকে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর অভিভাবক রানু বলেন, ‘৬ দিন ধরে শিশুকে নিয়ে হাসপাতালে আছি। জ্বর ভালো হচ্ছে না। খুব টেনশনে আছি।’
জ্বর ওঠায় দেড় মাস বয়সী সন্তান আবিরকে ভোলার সদর উপজেলার ধনিয়া এলাকা থেকে সদর হাসপাতালে এনেছেন মা-বাবা। আবিরের ঠাঁই হয়েছে শিশু ওয়ার্ডের বারান্দার মেঝেতে। আবিরের বাবা বলেন, ‘জ্বরে ছেলেটার শরীর যেন পুড়ে যাচ্ছে। আমার খুব খারাপ লাগতেছে আজকে কত দিন ধরে অসুস্থ। সুস্থতার কোনো হদিস দেখছি না।’
সদর উপজেলার বাসিন্দা কুসুম বেগম, ছালমা বেগম ও আব্দুর রহমান পরিবারের শিশুদের নিয়ে চিকিৎসার জন্য এসেছেন ভোলা সদর হাসপাতালে শিশু ওয়ার্ডে। কিন্তু চার থেকে পাঁচ দিন হয়ে গেল সুস্থ হচ্ছে না তারা।
শিশু ওয়ার্ডে থাকা রোগীর স্বজনদের দাবি, শিশুদের জন্য হাসপাতাল থেকে কোনো খাবার বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে না। সেখানে খুব কষ্টে দিন পার করছেন তাঁরা।
ডায়রিয়ায় আক্রান্ত শিশু ওয়ার্ডের একাধিক রোগীর স্বজন জানান, তিন থেকে চার দিন ভর্তি হলেও রোগীদের দেখতে আসেন না কর্তব্যরত চিকিৎসক। সঠিক চিকিৎসাসেবা না পাওয়ায় সুস্থ হচ্ছে না তারা। টাকার অভাবে বেসরকারি হাসপাতালে ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে চিকিৎসা করাতে পারছেন না। স্বজনেরা বলেন, নার্সরা মাঝেমধ্যে এসে চিকিৎসা দেয়, এতে আমাগো সন্তান কীভাবে সুস্থ হবে যদি ডাক্তার না দেখে?
সদর উপজেলার দক্ষিণ দীঘলদি ইউনিয়নের ১১ মাস বয়সী শিশু নুসাইবাকে নিয়ে হাসপাতালে যান মা রুজিনা বেগম। তাঁর মেয়ের শ্বাসকষ্ট। চিকিৎসকের দেখা না পেয়ে এবং মেয়ের শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত দেখে তিনি হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র না নিয়ে চলে যান বেসরকারি হাসপাতালে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সেবিকা বলেন, রোগী থাকার কথা ৫০ জনের, কিন্তু থাকছে ২০০-৩০০ জন। এত রোগীর চিকিৎসাসেবা কমসংখ্যক জনবল দিয়ে সম্ভব নয়। তিনি আরও বলেন, শিশুদের ওয়ার্ডে খাবার বরাদ্দ নেই।
হাসপাতালে চিকিৎসক, সেবিকা, শয্যা পর্যাপ্ত না থাকায় সেবা ব্যাহত হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন ভোলার ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক সৈয়দ আবু আহমেদ শাফী। তিনি বলেন, রোগীর চাপে ওষুধের সংকটও দেখা দিয়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এসব সংকট কাটানোর চেষ্টা করছি। আশা করছি দ্রুত সমাধান হয়ে হবে।
তত্ত্বাবধায়ক আবু আহমেদ বলেন, ‘হাসপাতালে পদ রয়েছে ৬০ জন চিকিৎসকের। এখানে কর্মরত আছেন মাত্র ২০ জন। ৮৬ জন নার্সের পদ থাকলেও কর্মরত রয়েছেন ৪৫ জন। জনবলের সংকটের কারণে চিকিৎসা দিতে আমরা হিমশিম খাচ্ছি।’
ভোলা জেলা সিভিল সার্জন কে এম শফিকুজ্জামান বলেন, আবহাওয়া পরিবর্তন হওয়ার কারণে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। হাসপাতালগুলোতে রোগীদের প্রয়োজনীয় সেবা দেওয়া হচ্ছে। রোগীর চাপ বেশি, অভিভাবকদের আরও সচেতন এবং যত্নবান হতে হবে।
মো. সাইফুল ইসলাম আকাশ, ভোলা প্রতিনিধি

ভোলার ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে গত এক মাসে ৬৩৫ জন ডায়রিয়ায় এবং ১ হাজার ১৫৮ জন নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছে। তাদের মধ্যে মারা গেছে দুই শিশু। হাসপাতালে চিকিৎসকের সংকটে রোগীরা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
জেলার ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত এক সপ্তাহে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছে ১৯৯ জন এবং ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছে ১৬৫ জন। এসব রোগী দুই মাস থেকে পাঁচ বছরের শিশু। তাঁদের মধ্যে ঠান্ডাজনিত রোগে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। গত এক মাসে মোট ৬৩৫ জন ডায়রিয়ায় ও ১ হাজার ১৫৮ জন নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়া রোগী ভর্তি হয়েছে।
মারা যাওয়া শিশুরা হলো ৩ মাসের ফারিয়া ও দেড় বছর বয়সী তাহসিন। ফারিয়া ২ সেপ্টেম্বর সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটের দিকে সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়ে সকাল ৯টার দিকে মারা যায়। তাহসিন ৩০ আগস্ট সকাল ৭টার দিকে ভর্তি হয়ে ৩১ আগস্ট দুপুর ২টার দিকে মারা যায়।
ফারিয়া দৌলতখান উপজেলার চরশুভি ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ফখরুল ইসলামের মেয়ে। তাহসিন জেলার সদর উপজেলার ধনীয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিল্লাল হোসেনের ছেলে।
এদিকে ভোলা সদরসহ জেলার অন্য হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে ভিড় করছে শিশুসহ বিভিন্ন বয়সী রোগী। অতিরিক্ত রোগীর চাপে হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসকদের। হাসপাতালে শয্যা খালি না থাকায় অনেক রোগী মেঝেতে থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছে।
জেলার সিভিল সার্জনের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, টানা বৃষ্টিপাতের পর গরমের প্রকোপ বাড়ায় উপকূলীয় জ্বর, সর্দি, কাশি ও নিউমোনিয়া রোগে মানুষ বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। এসব রোগে শিশুদের পাশাপাশি বিভিন্ন বয়সীরা আছেন।
গত সোম ও মঙ্গলবার জেলার ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে গিয়ে জানা গেছে, হাসপাতালের ৫০ বেডের শিশু ওয়ার্ডে কোনো শয্যা খালি নেই। অনেক শিশুকে বারান্দার মেঝে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। প্রতি বেডে দুই থেকে তিনজন শিশুকে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
জেলার বোরহানউদ্দিন থেকে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর অভিভাবক রানু বলেন, ‘৬ দিন ধরে শিশুকে নিয়ে হাসপাতালে আছি। জ্বর ভালো হচ্ছে না। খুব টেনশনে আছি।’
জ্বর ওঠায় দেড় মাস বয়সী সন্তান আবিরকে ভোলার সদর উপজেলার ধনিয়া এলাকা থেকে সদর হাসপাতালে এনেছেন মা-বাবা। আবিরের ঠাঁই হয়েছে শিশু ওয়ার্ডের বারান্দার মেঝেতে। আবিরের বাবা বলেন, ‘জ্বরে ছেলেটার শরীর যেন পুড়ে যাচ্ছে। আমার খুব খারাপ লাগতেছে আজকে কত দিন ধরে অসুস্থ। সুস্থতার কোনো হদিস দেখছি না।’
সদর উপজেলার বাসিন্দা কুসুম বেগম, ছালমা বেগম ও আব্দুর রহমান পরিবারের শিশুদের নিয়ে চিকিৎসার জন্য এসেছেন ভোলা সদর হাসপাতালে শিশু ওয়ার্ডে। কিন্তু চার থেকে পাঁচ দিন হয়ে গেল সুস্থ হচ্ছে না তারা।
শিশু ওয়ার্ডে থাকা রোগীর স্বজনদের দাবি, শিশুদের জন্য হাসপাতাল থেকে কোনো খাবার বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে না। সেখানে খুব কষ্টে দিন পার করছেন তাঁরা।
ডায়রিয়ায় আক্রান্ত শিশু ওয়ার্ডের একাধিক রোগীর স্বজন জানান, তিন থেকে চার দিন ভর্তি হলেও রোগীদের দেখতে আসেন না কর্তব্যরত চিকিৎসক। সঠিক চিকিৎসাসেবা না পাওয়ায় সুস্থ হচ্ছে না তারা। টাকার অভাবে বেসরকারি হাসপাতালে ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে চিকিৎসা করাতে পারছেন না। স্বজনেরা বলেন, নার্সরা মাঝেমধ্যে এসে চিকিৎসা দেয়, এতে আমাগো সন্তান কীভাবে সুস্থ হবে যদি ডাক্তার না দেখে?
সদর উপজেলার দক্ষিণ দীঘলদি ইউনিয়নের ১১ মাস বয়সী শিশু নুসাইবাকে নিয়ে হাসপাতালে যান মা রুজিনা বেগম। তাঁর মেয়ের শ্বাসকষ্ট। চিকিৎসকের দেখা না পেয়ে এবং মেয়ের শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত দেখে তিনি হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র না নিয়ে চলে যান বেসরকারি হাসপাতালে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সেবিকা বলেন, রোগী থাকার কথা ৫০ জনের, কিন্তু থাকছে ২০০-৩০০ জন। এত রোগীর চিকিৎসাসেবা কমসংখ্যক জনবল দিয়ে সম্ভব নয়। তিনি আরও বলেন, শিশুদের ওয়ার্ডে খাবার বরাদ্দ নেই।
হাসপাতালে চিকিৎসক, সেবিকা, শয্যা পর্যাপ্ত না থাকায় সেবা ব্যাহত হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন ভোলার ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক সৈয়দ আবু আহমেদ শাফী। তিনি বলেন, রোগীর চাপে ওষুধের সংকটও দেখা দিয়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এসব সংকট কাটানোর চেষ্টা করছি। আশা করছি দ্রুত সমাধান হয়ে হবে।
তত্ত্বাবধায়ক আবু আহমেদ বলেন, ‘হাসপাতালে পদ রয়েছে ৬০ জন চিকিৎসকের। এখানে কর্মরত আছেন মাত্র ২০ জন। ৮৬ জন নার্সের পদ থাকলেও কর্মরত রয়েছেন ৪৫ জন। জনবলের সংকটের কারণে চিকিৎসা দিতে আমরা হিমশিম খাচ্ছি।’
ভোলা জেলা সিভিল সার্জন কে এম শফিকুজ্জামান বলেন, আবহাওয়া পরিবর্তন হওয়ার কারণে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। হাসপাতালগুলোতে রোগীদের প্রয়োজনীয় সেবা দেওয়া হচ্ছে। রোগীর চাপ বেশি, অভিভাবকদের আরও সচেতন এবং যত্নবান হতে হবে।

ভোলার ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে গত এক মাসে ৬৩৫ জন ডায়রিয়ায় এবং ১ হাজার ১৫৮ জন নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছে। তাদের মধ্যে মারা গেছে দুই শিশু। হাসপাতালে চিকিৎসকের সংকটে রোগীরা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
জেলার ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত এক সপ্তাহে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছে ১৯৯ জন এবং ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছে ১৬৫ জন। এসব রোগী দুই মাস থেকে পাঁচ বছরের শিশু। তাঁদের মধ্যে ঠান্ডাজনিত রোগে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। গত এক মাসে মোট ৬৩৫ জন ডায়রিয়ায় ও ১ হাজার ১৫৮ জন নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়া রোগী ভর্তি হয়েছে।
মারা যাওয়া শিশুরা হলো ৩ মাসের ফারিয়া ও দেড় বছর বয়সী তাহসিন। ফারিয়া ২ সেপ্টেম্বর সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটের দিকে সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়ে সকাল ৯টার দিকে মারা যায়। তাহসিন ৩০ আগস্ট সকাল ৭টার দিকে ভর্তি হয়ে ৩১ আগস্ট দুপুর ২টার দিকে মারা যায়।
ফারিয়া দৌলতখান উপজেলার চরশুভি ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ফখরুল ইসলামের মেয়ে। তাহসিন জেলার সদর উপজেলার ধনীয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিল্লাল হোসেনের ছেলে।
এদিকে ভোলা সদরসহ জেলার অন্য হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে ভিড় করছে শিশুসহ বিভিন্ন বয়সী রোগী। অতিরিক্ত রোগীর চাপে হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসকদের। হাসপাতালে শয্যা খালি না থাকায় অনেক রোগী মেঝেতে থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছে।
জেলার সিভিল সার্জনের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, টানা বৃষ্টিপাতের পর গরমের প্রকোপ বাড়ায় উপকূলীয় জ্বর, সর্দি, কাশি ও নিউমোনিয়া রোগে মানুষ বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। এসব রোগে শিশুদের পাশাপাশি বিভিন্ন বয়সীরা আছেন।
গত সোম ও মঙ্গলবার জেলার ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে গিয়ে জানা গেছে, হাসপাতালের ৫০ বেডের শিশু ওয়ার্ডে কোনো শয্যা খালি নেই। অনেক শিশুকে বারান্দার মেঝে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। প্রতি বেডে দুই থেকে তিনজন শিশুকে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
জেলার বোরহানউদ্দিন থেকে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর অভিভাবক রানু বলেন, ‘৬ দিন ধরে শিশুকে নিয়ে হাসপাতালে আছি। জ্বর ভালো হচ্ছে না। খুব টেনশনে আছি।’
জ্বর ওঠায় দেড় মাস বয়সী সন্তান আবিরকে ভোলার সদর উপজেলার ধনিয়া এলাকা থেকে সদর হাসপাতালে এনেছেন মা-বাবা। আবিরের ঠাঁই হয়েছে শিশু ওয়ার্ডের বারান্দার মেঝেতে। আবিরের বাবা বলেন, ‘জ্বরে ছেলেটার শরীর যেন পুড়ে যাচ্ছে। আমার খুব খারাপ লাগতেছে আজকে কত দিন ধরে অসুস্থ। সুস্থতার কোনো হদিস দেখছি না।’
সদর উপজেলার বাসিন্দা কুসুম বেগম, ছালমা বেগম ও আব্দুর রহমান পরিবারের শিশুদের নিয়ে চিকিৎসার জন্য এসেছেন ভোলা সদর হাসপাতালে শিশু ওয়ার্ডে। কিন্তু চার থেকে পাঁচ দিন হয়ে গেল সুস্থ হচ্ছে না তারা।
শিশু ওয়ার্ডে থাকা রোগীর স্বজনদের দাবি, শিশুদের জন্য হাসপাতাল থেকে কোনো খাবার বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে না। সেখানে খুব কষ্টে দিন পার করছেন তাঁরা।
ডায়রিয়ায় আক্রান্ত শিশু ওয়ার্ডের একাধিক রোগীর স্বজন জানান, তিন থেকে চার দিন ভর্তি হলেও রোগীদের দেখতে আসেন না কর্তব্যরত চিকিৎসক। সঠিক চিকিৎসাসেবা না পাওয়ায় সুস্থ হচ্ছে না তারা। টাকার অভাবে বেসরকারি হাসপাতালে ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে চিকিৎসা করাতে পারছেন না। স্বজনেরা বলেন, নার্সরা মাঝেমধ্যে এসে চিকিৎসা দেয়, এতে আমাগো সন্তান কীভাবে সুস্থ হবে যদি ডাক্তার না দেখে?
সদর উপজেলার দক্ষিণ দীঘলদি ইউনিয়নের ১১ মাস বয়সী শিশু নুসাইবাকে নিয়ে হাসপাতালে যান মা রুজিনা বেগম। তাঁর মেয়ের শ্বাসকষ্ট। চিকিৎসকের দেখা না পেয়ে এবং মেয়ের শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত দেখে তিনি হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র না নিয়ে চলে যান বেসরকারি হাসপাতালে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সেবিকা বলেন, রোগী থাকার কথা ৫০ জনের, কিন্তু থাকছে ২০০-৩০০ জন। এত রোগীর চিকিৎসাসেবা কমসংখ্যক জনবল দিয়ে সম্ভব নয়। তিনি আরও বলেন, শিশুদের ওয়ার্ডে খাবার বরাদ্দ নেই।
হাসপাতালে চিকিৎসক, সেবিকা, শয্যা পর্যাপ্ত না থাকায় সেবা ব্যাহত হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন ভোলার ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক সৈয়দ আবু আহমেদ শাফী। তিনি বলেন, রোগীর চাপে ওষুধের সংকটও দেখা দিয়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এসব সংকট কাটানোর চেষ্টা করছি। আশা করছি দ্রুত সমাধান হয়ে হবে।
তত্ত্বাবধায়ক আবু আহমেদ বলেন, ‘হাসপাতালে পদ রয়েছে ৬০ জন চিকিৎসকের। এখানে কর্মরত আছেন মাত্র ২০ জন। ৮৬ জন নার্সের পদ থাকলেও কর্মরত রয়েছেন ৪৫ জন। জনবলের সংকটের কারণে চিকিৎসা দিতে আমরা হিমশিম খাচ্ছি।’
ভোলা জেলা সিভিল সার্জন কে এম শফিকুজ্জামান বলেন, আবহাওয়া পরিবর্তন হওয়ার কারণে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। হাসপাতালগুলোতে রোগীদের প্রয়োজনীয় সেবা দেওয়া হচ্ছে। রোগীর চাপ বেশি, অভিভাবকদের আরও সচেতন এবং যত্নবান হতে হবে।

বড়দিন ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে আগামীকাল শনিবার পর্যন্ত টানা তিন দিন অফিস-আদালতে ছুটি চলছে। বার্ষিক পরীক্ষা শেষে কয়েক দিন ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও বন্ধ। এই লম্বা ছুটি কিংবা বিশেষ দিনে অনেকেই পরিবার-পরিজন নিয়ে বেড়াতে বের হয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগে
সিলেটে জুয়া খেলা অবস্থায় ৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছেন সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
৩ ঘণ্টা আগে
খুলনায় শিউলী বেগম হত্যা মামলায় ছেলে মো. রিয়াদ খানকে (২২) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে তাঁকে খুলনা র্যাব-৬ এবং ৭-এর যৌথ অভিযানে ফেনী জেলার সদর থানা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
৩ ঘণ্টা আগে
নরসিংদীতে অদ্ভুত আকৃতির বাছুরের জন্ম হয়েছে। বাছুরটির রয়েছে দুটি মুখ, দুটি জিহ্বা, দুটি কান ও তিনটি চোখ। এর মধ্যে একটি চোখ বাছুরের কপালের মাঝখানে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগেকক্সবাজার প্রতিনিধি

বড়দিন ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে আগামীকাল শনিবার পর্যন্ত টানা তিন দিন অফিস-আদালতে ছুটি চলছে। বার্ষিক পরীক্ষা শেষে কয়েক দিন ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও বন্ধ। এই লম্বা ছুটি কিংবা বিশেষ দিনে অনেকেই পরিবার-পরিজন নিয়ে বেড়াতে বের হয়েছেন। বরাবরের মতোই অবকাশযাপনে ভ্রমণপিপাসুরা এবারও দেশের প্রধান পর্যটনকেন্দ্র কক্সবাজারে ছুটে এসেছেন।
পর্যটনসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বলছেন, শনিবার পর্যন্ত অন্তত ৫ লাখ পর্যটক কক্সবাজারে ভ্রমণ করবেন। তবে শনিবারেই চাপ কমবে না। পর্যটকের এই ঢল আগামী ১ জানুয়ারি পর্যন্ত থাকবে। এর মধ্যে ৩১ ডিসেম্বর কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে পুরোনো বছরকে বিদায় ও নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে পর্যটকেরা ভিড় করবেন।
হোটেল, রিসোর্ট ও গেস্ট হাউসের মালিকেরা বলছেন, বুধবার বিকেল থেকেই দেশের নানা প্রান্ত থেকে পর্যটকেরা কক্সবাজারমুখী হয়েছেন। ইতিমধ্যে হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট ও গেস্ট হাউসগুলোয় ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে।
কক্সবাজার হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট ও গেস্ট হাউস অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক করিম উল্লাহ কলিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, আগামী শনিবার পর্যন্ত শহরের তারকা মানের হোটেলগুলোয় শতভাগ কক্ষ বুকিং রয়েছে। মাঝারি মানের হোটেল ও রিসোর্টগুলোয় ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে।
সাগরপারের তারকা মানের হোটেল কক্স টুডেতে কক্ষ আছে ২৪৫টি। তাদের প্রায় সব কক্ষ শনিবার পর্যন্ত বুকিং আছে। হোটেলটির মহাব্যবস্থাপক (রিজার্ভেশন) আবু তালেব শাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, তিন দিনের ছুটিতে আশানুরূপ পর্যটক ভ্রমণে এসেছেন।
কক্সবাজার শহর, মেরিন ড্রাইভ, সেন্ট মার্টিন ও আশপাশের এলাকার ৬০০ হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট, গেস্ট হাউসে প্রায় দুই লাখ পর্যটকের রাতযাপনের সুযোগ আছে। হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট ও গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার বলেন, বছরের শেষ সময়ে আশানুরূপ পর্যটকের সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। বিপুল পর্যটক সমাগমে যেন কেউ থাকা-খাওয়ায় বাড়তি অর্থ আদায় না করে তার জন্য পর্যটনসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয়েছে।
এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে সমুদ্রসৈকতের কলাতলী, লাবণী ও সুগন্ধা পয়েন্ট ঘুরে দেখা গেছে, পর্যটকের আনাগোনায় তিন কিলোমিটার সৈকত মুখর। কোথাও তিল ধারণের ঠাঁই নেই। শান্ত সৈকতে কেউ গোসলে নেমেছেন, কেউ জেটস্কি করে দূর সাগরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। কেউ আবার চেয়ার-ছাতায় বসে প্রিয়জনদের সঙ্গে সমুদ্র দর্শনে সময় কাটাচ্ছেন। গোসলে নামা বিপুল পর্যটকদের নানাভাবে সতর্ক করছেন লাইফগার্ড ও বিচকর্মীরা। এ দিন সকাল থেকেই পর্যটকের বাড়তি চাপে কক্সবাজার বাস টার্মিনাল থেকে কলাতলী সড়ক, মেরিন ড্রাইভ ও শহরের প্রধান সড়কে যানজট সৃষ্টি হয়েছে।
পর্যটকেরা শহরের এই তিন পয়েন্টের পাশাপাশি মেরিন ড্রাইভ ধরে দরিয়ানগর, হিমছড়ি, ইনানী, পাটুয়ারটেক, টেকনাফ সৈকতে ভিড় করছেন বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসনের বিচকর্মীদের সহকারী সুপারভাইজার বেলাল হোসেন।
কুমিল্লার হোমনা থেকে পরিবার নিয়ে বেড়াতে এসেছেন সরকারি কর্মকর্তা আবিদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। এর মধ্যে বড়দিনের সঙ্গে সাপ্তাহিক ছুটি পড়েছে। ফলে বাচ্চাদের নিয়ে তিন দিনের জন্য ঘুরতে বেরিয়ে পড়লাম।’ তাঁর মতো পরিবার নিয়ে অনেকেই বেড়ানোর জন্য বের হয়েছেন।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার অঞ্চলের প্রধান ও অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ছুটিতে পর্যটকদের চাপ বাড়বে—বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সার্বক্ষণিক টহলে রয়েছেন। কোথাও পর্যটক হয়রানির খবর পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

বড়দিন ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে আগামীকাল শনিবার পর্যন্ত টানা তিন দিন অফিস-আদালতে ছুটি চলছে। বার্ষিক পরীক্ষা শেষে কয়েক দিন ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও বন্ধ। এই লম্বা ছুটি কিংবা বিশেষ দিনে অনেকেই পরিবার-পরিজন নিয়ে বেড়াতে বের হয়েছেন। বরাবরের মতোই অবকাশযাপনে ভ্রমণপিপাসুরা এবারও দেশের প্রধান পর্যটনকেন্দ্র কক্সবাজারে ছুটে এসেছেন।
পর্যটনসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বলছেন, শনিবার পর্যন্ত অন্তত ৫ লাখ পর্যটক কক্সবাজারে ভ্রমণ করবেন। তবে শনিবারেই চাপ কমবে না। পর্যটকের এই ঢল আগামী ১ জানুয়ারি পর্যন্ত থাকবে। এর মধ্যে ৩১ ডিসেম্বর কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে পুরোনো বছরকে বিদায় ও নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে পর্যটকেরা ভিড় করবেন।
হোটেল, রিসোর্ট ও গেস্ট হাউসের মালিকেরা বলছেন, বুধবার বিকেল থেকেই দেশের নানা প্রান্ত থেকে পর্যটকেরা কক্সবাজারমুখী হয়েছেন। ইতিমধ্যে হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট ও গেস্ট হাউসগুলোয় ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে।
কক্সবাজার হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট ও গেস্ট হাউস অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক করিম উল্লাহ কলিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, আগামী শনিবার পর্যন্ত শহরের তারকা মানের হোটেলগুলোয় শতভাগ কক্ষ বুকিং রয়েছে। মাঝারি মানের হোটেল ও রিসোর্টগুলোয় ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে।
সাগরপারের তারকা মানের হোটেল কক্স টুডেতে কক্ষ আছে ২৪৫টি। তাদের প্রায় সব কক্ষ শনিবার পর্যন্ত বুকিং আছে। হোটেলটির মহাব্যবস্থাপক (রিজার্ভেশন) আবু তালেব শাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, তিন দিনের ছুটিতে আশানুরূপ পর্যটক ভ্রমণে এসেছেন।
কক্সবাজার শহর, মেরিন ড্রাইভ, সেন্ট মার্টিন ও আশপাশের এলাকার ৬০০ হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট, গেস্ট হাউসে প্রায় দুই লাখ পর্যটকের রাতযাপনের সুযোগ আছে। হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট ও গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার বলেন, বছরের শেষ সময়ে আশানুরূপ পর্যটকের সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। বিপুল পর্যটক সমাগমে যেন কেউ থাকা-খাওয়ায় বাড়তি অর্থ আদায় না করে তার জন্য পর্যটনসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয়েছে।
এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে সমুদ্রসৈকতের কলাতলী, লাবণী ও সুগন্ধা পয়েন্ট ঘুরে দেখা গেছে, পর্যটকের আনাগোনায় তিন কিলোমিটার সৈকত মুখর। কোথাও তিল ধারণের ঠাঁই নেই। শান্ত সৈকতে কেউ গোসলে নেমেছেন, কেউ জেটস্কি করে দূর সাগরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। কেউ আবার চেয়ার-ছাতায় বসে প্রিয়জনদের সঙ্গে সমুদ্র দর্শনে সময় কাটাচ্ছেন। গোসলে নামা বিপুল পর্যটকদের নানাভাবে সতর্ক করছেন লাইফগার্ড ও বিচকর্মীরা। এ দিন সকাল থেকেই পর্যটকের বাড়তি চাপে কক্সবাজার বাস টার্মিনাল থেকে কলাতলী সড়ক, মেরিন ড্রাইভ ও শহরের প্রধান সড়কে যানজট সৃষ্টি হয়েছে।
পর্যটকেরা শহরের এই তিন পয়েন্টের পাশাপাশি মেরিন ড্রাইভ ধরে দরিয়ানগর, হিমছড়ি, ইনানী, পাটুয়ারটেক, টেকনাফ সৈকতে ভিড় করছেন বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসনের বিচকর্মীদের সহকারী সুপারভাইজার বেলাল হোসেন।
কুমিল্লার হোমনা থেকে পরিবার নিয়ে বেড়াতে এসেছেন সরকারি কর্মকর্তা আবিদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। এর মধ্যে বড়দিনের সঙ্গে সাপ্তাহিক ছুটি পড়েছে। ফলে বাচ্চাদের নিয়ে তিন দিনের জন্য ঘুরতে বেরিয়ে পড়লাম।’ তাঁর মতো পরিবার নিয়ে অনেকেই বেড়ানোর জন্য বের হয়েছেন।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার অঞ্চলের প্রধান ও অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ছুটিতে পর্যটকদের চাপ বাড়বে—বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সার্বক্ষণিক টহলে রয়েছেন। কোথাও পর্যটক হয়রানির খবর পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

ভোলার ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে গত এক মাসে ৬৩৫ জন ডায়রিয়ায় এবং ১ হাজার ১৫৮ জন নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছে। তাদের মধ্যে মারা গেছে দুই শিশু। হাসপাতালে চিকিৎসকের সংকটে রোগীরা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সিলেটে জুয়া খেলা অবস্থায় ৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছেন সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
৩ ঘণ্টা আগে
খুলনায় শিউলী বেগম হত্যা মামলায় ছেলে মো. রিয়াদ খানকে (২২) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে তাঁকে খুলনা র্যাব-৬ এবং ৭-এর যৌথ অভিযানে ফেনী জেলার সদর থানা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
৩ ঘণ্টা আগে
নরসিংদীতে অদ্ভুত আকৃতির বাছুরের জন্ম হয়েছে। বাছুরটির রয়েছে দুটি মুখ, দুটি জিহ্বা, দুটি কান ও তিনটি চোখ। এর মধ্যে একটি চোখ বাছুরের কপালের মাঝখানে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগেসিলেট প্রতিনিধি

সিলেটে জুয়া খেলা অবস্থায় ৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছেন সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
পুলিশ জানায়, বুধবার বিকেলে সিলেটের কোতোয়ালি মডেল থানাধীন কানিশাইল ১ নম্বর রোডের মারুফ টি স্টল নামক দোকানে অভিযান পরিচালনা করে তির শিলং-জাতীয় জুয়া খেলা অবস্থায় তাঁদের আটক করা হয়।
আটক ব্যক্তিরা হলেন সিলেটের কোতোয়ালি মডেল থানাধীন কানিশাইলের সজীব মিয়ার কলোনির রমিজ আলীর ছেলে তাহের মিয়া (৩০), উসমান মিয়ার ছেলে শামীম (২০), ইমন মিয়ার কলোনির মো. আব্দুল করিম তালুকদারের ছেলে মো. স্বপন মিয়া (৫৫), রঙ্গ মিয়ার ছেলে জসিম (৪৫), জামাল উদ্দিনের ছেলে আল আমিন (২৭), আব্দুর রশিদের ছেলে মো. বাদল (৩৮) এবং আবুল কালামের ছেলে সুজাত মিয়া (৩৫)।
মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, তাঁদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

সিলেটে জুয়া খেলা অবস্থায় ৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছেন সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
পুলিশ জানায়, বুধবার বিকেলে সিলেটের কোতোয়ালি মডেল থানাধীন কানিশাইল ১ নম্বর রোডের মারুফ টি স্টল নামক দোকানে অভিযান পরিচালনা করে তির শিলং-জাতীয় জুয়া খেলা অবস্থায় তাঁদের আটক করা হয়।
আটক ব্যক্তিরা হলেন সিলেটের কোতোয়ালি মডেল থানাধীন কানিশাইলের সজীব মিয়ার কলোনির রমিজ আলীর ছেলে তাহের মিয়া (৩০), উসমান মিয়ার ছেলে শামীম (২০), ইমন মিয়ার কলোনির মো. আব্দুল করিম তালুকদারের ছেলে মো. স্বপন মিয়া (৫৫), রঙ্গ মিয়ার ছেলে জসিম (৪৫), জামাল উদ্দিনের ছেলে আল আমিন (২৭), আব্দুর রশিদের ছেলে মো. বাদল (৩৮) এবং আবুল কালামের ছেলে সুজাত মিয়া (৩৫)।
মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, তাঁদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

ভোলার ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে গত এক মাসে ৬৩৫ জন ডায়রিয়ায় এবং ১ হাজার ১৫৮ জন নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছে। তাদের মধ্যে মারা গেছে দুই শিশু। হাসপাতালে চিকিৎসকের সংকটে রোগীরা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
বড়দিন ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে আগামীকাল শনিবার পর্যন্ত টানা তিন দিন অফিস-আদালতে ছুটি চলছে। বার্ষিক পরীক্ষা শেষে কয়েক দিন ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও বন্ধ। এই লম্বা ছুটি কিংবা বিশেষ দিনে অনেকেই পরিবার-পরিজন নিয়ে বেড়াতে বের হয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগে
খুলনায় শিউলী বেগম হত্যা মামলায় ছেলে মো. রিয়াদ খানকে (২২) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে তাঁকে খুলনা র্যাব-৬ এবং ৭-এর যৌথ অভিযানে ফেনী জেলার সদর থানা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
৩ ঘণ্টা আগে
নরসিংদীতে অদ্ভুত আকৃতির বাছুরের জন্ম হয়েছে। বাছুরটির রয়েছে দুটি মুখ, দুটি জিহ্বা, দুটি কান ও তিনটি চোখ। এর মধ্যে একটি চোখ বাছুরের কপালের মাঝখানে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগেখুলনা প্রতিনিধি

খুলনায় শিউলী বেগম হত্যা মামলায় ছেলে মো. রিয়াদ খানকে (২২) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে তাঁকে খুলনা র্যাব-৬ এবং ৭-এর যৌথ অভিযানে ফেনী জেলার সদর থানা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার রিয়াদ শিউলী বেগমের একমাত্র ছেলে। এ সময় তাঁর কাছ থেকে ২ লাখ ৫ হাজার ৮০ টাকা, দুটি আইফোন, একটি স্মার্টফোন ও একটি এয়ারপড জব্দ করা হয়।
র্যাবের পাঠানো বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানা গেছে, নিহত শিউলি বেগম সৌদি আরবপ্রবাসী ছিলেন। গত ২৭ অক্টোবর দুই মাসের ছুটিতে বাংলাদেশে আসেন। পরে নগরীর ট্যাংক রোডের বাসিন্দা রবিউল ইসলামের বাড়ির নিচতলায় ছেলে রিয়াদ খান এবং দ্বিতীয় স্বামী সাগরকে নিয়ে বসবাস শুরু করেন।
দেশে আসার ১০-১২ দিন পরে উত্তরা ব্যাংক খুলনা শাখা থেকে পৌনে ৭ লাখ টাকা উত্তোলন করে আলমারিতে রেখে দেন।
৯ ডিসেম্বর রাতে শিউলী বেগমের বড় মেয়ে রুবিনা আক্তার এবং তাঁর স্বামী রাজিব রাতের খাবার খেয়ে বাড়িতে চলে যান। ১০ ডিসেম্বর সকাল থেকে শিউলী বেগমকে ফোনে না পেয়ে রুবিনা আক্তারকে খোঁজ নিতে বলেন তাঁর স্বামী।
কিন্তু খোঁজ নিয়ে তাঁর সন্ধান না পেয়ে ওই দিন রাতে স্থানীয়দের সহায়তায় তালা ভেঙে ঘর থেকে শিউলী বেগমের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পরে তাঁর ঘর থেকে পৌনে ৭ লাখ টাকা উধাও হয়ে যায়। শিউলী বেগম হত্যার পর থেকে একমাত্র ছেলে রিয়াদ খানেরও কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই রায়হান গাজী বাদী হয়ে শিউলী বেগমের ছেলে রিয়াদ খানকে আসামি করে মামলা করেন। উন্নত প্রযুক্তির সহায়তায় র্যাব খুলনা-৬ ও ৭-এর একটি দল তাঁকে ফেনী সদর থেকে গ্রেপ্তার করে।

খুলনায় শিউলী বেগম হত্যা মামলায় ছেলে মো. রিয়াদ খানকে (২২) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে তাঁকে খুলনা র্যাব-৬ এবং ৭-এর যৌথ অভিযানে ফেনী জেলার সদর থানা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার রিয়াদ শিউলী বেগমের একমাত্র ছেলে। এ সময় তাঁর কাছ থেকে ২ লাখ ৫ হাজার ৮০ টাকা, দুটি আইফোন, একটি স্মার্টফোন ও একটি এয়ারপড জব্দ করা হয়।
র্যাবের পাঠানো বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানা গেছে, নিহত শিউলি বেগম সৌদি আরবপ্রবাসী ছিলেন। গত ২৭ অক্টোবর দুই মাসের ছুটিতে বাংলাদেশে আসেন। পরে নগরীর ট্যাংক রোডের বাসিন্দা রবিউল ইসলামের বাড়ির নিচতলায় ছেলে রিয়াদ খান এবং দ্বিতীয় স্বামী সাগরকে নিয়ে বসবাস শুরু করেন।
দেশে আসার ১০-১২ দিন পরে উত্তরা ব্যাংক খুলনা শাখা থেকে পৌনে ৭ লাখ টাকা উত্তোলন করে আলমারিতে রেখে দেন।
৯ ডিসেম্বর রাতে শিউলী বেগমের বড় মেয়ে রুবিনা আক্তার এবং তাঁর স্বামী রাজিব রাতের খাবার খেয়ে বাড়িতে চলে যান। ১০ ডিসেম্বর সকাল থেকে শিউলী বেগমকে ফোনে না পেয়ে রুবিনা আক্তারকে খোঁজ নিতে বলেন তাঁর স্বামী।
কিন্তু খোঁজ নিয়ে তাঁর সন্ধান না পেয়ে ওই দিন রাতে স্থানীয়দের সহায়তায় তালা ভেঙে ঘর থেকে শিউলী বেগমের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পরে তাঁর ঘর থেকে পৌনে ৭ লাখ টাকা উধাও হয়ে যায়। শিউলী বেগম হত্যার পর থেকে একমাত্র ছেলে রিয়াদ খানেরও কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই রায়হান গাজী বাদী হয়ে শিউলী বেগমের ছেলে রিয়াদ খানকে আসামি করে মামলা করেন। উন্নত প্রযুক্তির সহায়তায় র্যাব খুলনা-৬ ও ৭-এর একটি দল তাঁকে ফেনী সদর থেকে গ্রেপ্তার করে।

ভোলার ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে গত এক মাসে ৬৩৫ জন ডায়রিয়ায় এবং ১ হাজার ১৫৮ জন নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছে। তাদের মধ্যে মারা গেছে দুই শিশু। হাসপাতালে চিকিৎসকের সংকটে রোগীরা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
বড়দিন ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে আগামীকাল শনিবার পর্যন্ত টানা তিন দিন অফিস-আদালতে ছুটি চলছে। বার্ষিক পরীক্ষা শেষে কয়েক দিন ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও বন্ধ। এই লম্বা ছুটি কিংবা বিশেষ দিনে অনেকেই পরিবার-পরিজন নিয়ে বেড়াতে বের হয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগে
সিলেটে জুয়া খেলা অবস্থায় ৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছেন সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
৩ ঘণ্টা আগে
নরসিংদীতে অদ্ভুত আকৃতির বাছুরের জন্ম হয়েছে। বাছুরটির রয়েছে দুটি মুখ, দুটি জিহ্বা, দুটি কান ও তিনটি চোখ। এর মধ্যে একটি চোখ বাছুরের কপালের মাঝখানে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগেনরসিংদী প্রতিনিধি

নরসিংদীতে অদ্ভুত আকৃতির বাছুরের জন্ম হয়েছে। বাছুরটির রয়েছে দুটি মুখ, দুটি জিহ্বা, দুটি কান ও তিনটি চোখ। এর মধ্যে একটি চোখ বাছুরের কপালের মাঝখানে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
২৩ ডিসেম্বর রাতে শিবপুর উপজেলার চক্রধা ইউনিয়নের পুবেরগাঁও গ্রামে স্থানীয় ইউপি সদস্য কাশেম খানের খামারে বাছুরটির জন্ম।
খামারমালিক কাশেম খান বলেন, বাছুরটি জন্মের পর থেকেই অসুস্থ। স্বাভাবিকভাবে দুধ পান করতে না পারায় ফিডারের মাধ্যমে দুধ খাওয়াতে হচ্ছে।
তিনি জানান, তাঁর খামারের একটি গাভি বাছুরটির জন্ম দিয়েছে। তিনি বলেন, এর আগেও গাভিটির বাছুর হয়েছে। কিন্তু এবারের মতো এমন অদ্ভুদ বাছুর আগে কখনো হয়নি।
ঘটনাটি জানাজানির পর থেকেই বাছুরটিকে একনজর দেখতে আশপাশের কৌতূহলী মানুষ খামারে আসছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা আবদুল জলিল বলেন, ‘আমরা ছোটবেলা থেকে গরু-ছাগল দেখছি। কিন্তু তিন চোখ আর দুই মুখের বাছুর এই প্রথম দেখলাম। খবর পেয়ে দূর থেকে এসেছি।’
আরেক স্থানীয় নারী জরিনা বেগম বলেন, ‘বাছুরটা দেখতে অদ্ভুত লাগলেও মায়া হচ্ছে। বাছুরটির স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। অনেকেই দ্রুত প্রাণিসম্পদ বিভাগের চিকিৎসকের পরামর্শ ও চিকিৎসা নিশ্চিত করার পরামর্শ দিচ্ছেন।’
এর আগে এ ধরনের বাছুর জন্মের বিষয়ে প্রাণী বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, সাধারণত জেনেটিকস ডিফেক্টের কারণে গাভির এমন ত্রুটিপূর্ণ বাচ্চার জন্ম হয়।

নরসিংদীতে অদ্ভুত আকৃতির বাছুরের জন্ম হয়েছে। বাছুরটির রয়েছে দুটি মুখ, দুটি জিহ্বা, দুটি কান ও তিনটি চোখ। এর মধ্যে একটি চোখ বাছুরের কপালের মাঝখানে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
২৩ ডিসেম্বর রাতে শিবপুর উপজেলার চক্রধা ইউনিয়নের পুবেরগাঁও গ্রামে স্থানীয় ইউপি সদস্য কাশেম খানের খামারে বাছুরটির জন্ম।
খামারমালিক কাশেম খান বলেন, বাছুরটি জন্মের পর থেকেই অসুস্থ। স্বাভাবিকভাবে দুধ পান করতে না পারায় ফিডারের মাধ্যমে দুধ খাওয়াতে হচ্ছে।
তিনি জানান, তাঁর খামারের একটি গাভি বাছুরটির জন্ম দিয়েছে। তিনি বলেন, এর আগেও গাভিটির বাছুর হয়েছে। কিন্তু এবারের মতো এমন অদ্ভুদ বাছুর আগে কখনো হয়নি।
ঘটনাটি জানাজানির পর থেকেই বাছুরটিকে একনজর দেখতে আশপাশের কৌতূহলী মানুষ খামারে আসছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা আবদুল জলিল বলেন, ‘আমরা ছোটবেলা থেকে গরু-ছাগল দেখছি। কিন্তু তিন চোখ আর দুই মুখের বাছুর এই প্রথম দেখলাম। খবর পেয়ে দূর থেকে এসেছি।’
আরেক স্থানীয় নারী জরিনা বেগম বলেন, ‘বাছুরটা দেখতে অদ্ভুত লাগলেও মায়া হচ্ছে। বাছুরটির স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। অনেকেই দ্রুত প্রাণিসম্পদ বিভাগের চিকিৎসকের পরামর্শ ও চিকিৎসা নিশ্চিত করার পরামর্শ দিচ্ছেন।’
এর আগে এ ধরনের বাছুর জন্মের বিষয়ে প্রাণী বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, সাধারণত জেনেটিকস ডিফেক্টের কারণে গাভির এমন ত্রুটিপূর্ণ বাচ্চার জন্ম হয়।

ভোলার ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে গত এক মাসে ৬৩৫ জন ডায়রিয়ায় এবং ১ হাজার ১৫৮ জন নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছে। তাদের মধ্যে মারা গেছে দুই শিশু। হাসপাতালে চিকিৎসকের সংকটে রোগীরা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
বড়দিন ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে আগামীকাল শনিবার পর্যন্ত টানা তিন দিন অফিস-আদালতে ছুটি চলছে। বার্ষিক পরীক্ষা শেষে কয়েক দিন ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও বন্ধ। এই লম্বা ছুটি কিংবা বিশেষ দিনে অনেকেই পরিবার-পরিজন নিয়ে বেড়াতে বের হয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগে
সিলেটে জুয়া খেলা অবস্থায় ৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছেন সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
৩ ঘণ্টা আগে
খুলনায় শিউলী বেগম হত্যা মামলায় ছেলে মো. রিয়াদ খানকে (২২) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে তাঁকে খুলনা র্যাব-৬ এবং ৭-এর যৌথ অভিযানে ফেনী জেলার সদর থানা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
৩ ঘণ্টা আগে